by Admin
|
posted: Thursday, December 22, 2011
|
‘আত তাক্বউইমুশ শামসি’ সৌর ক্যালেন্ডার পৃথিবীর কোনো ক্যালেন্ডারের অনুকরণে তৈরি না করে বরং খাছ খোদায়ী মদদে ইলহাম, ইলকার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই সৌর ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন এবং নামকরণ করেছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুজাদ্দিদ আ’যমে ছানী, আওলাদে রসূল, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
রোমান ক্যালেন্ডারে ৪টি মাস ছিল ৩১ দিনে, ৭টি মাস ছিল ২৯ দিনে, ১টি মাস ছিল ২৮ দিনে। এভাবে বছর ছিল ৩৫৫ দিনে। পরে তারা ২২ অথবা ২৩ দিনের একটি নতুন মাস প্রত্যেক দ্বিতীয় বছর যোগ করতো। এই মাসটিকে বলা হতো মার্সিডোনিয়াস। কিন্তু জুলিয়াস সিজার (ঈসায়ী পূর্ব ৪৫ সাল) এই রোমান ক্যালেন্ডারকে কিছুটা সংশোধন করে, তখন ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা (৩৬৫.২৫) হিসেবে সৌর বৎসর গণনা করা হতো। মাস গণনা করা হতো ৩০ অথবা ৩১ দিনে আর ৬ ঘণ্টার হিসাব মেলাবার জন্য চার বছর পরপর ৩৬৬ দিনে বছর গণনা করা হতো।
আমরা জানি ২০ অথবা ২১শে মার্চে দিন রাত্রি সমান হয়। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার যেহেতু ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা হিসেবে ধরা হতো অর্থাৎ প্রকৃত সৌর বৎসর (৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট, ৪৬ সেকেন্ড) এর চেয়ে ১১ মিনিট বেশি ছিল। ফলে দেখা গেলো ১৫ শতকে এসে ২১শে মার্চের পরিবর্তে ১১ মার্চ দিন-রাত্রি সমান হচ্ছে। ফলে এই ১০ দিনের সংশোধন করে ৫ অক্টোবর, শুক্রবার ১৫৮২ সালের পরিবর্তে ১৫ অক্টোবর ১৫৮২ সাল হিসেবে পরিবর্তন আনা হয়। বর্তমান গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের বাৎসরিক বিচ্যুতি প্রায় ২৭ সেকেন্ড। অথচ আত-তাক্বউইমুশ শামসি ক্যালেন্ডারের বাৎসরিক বিচ্যুতি ০.২ সেকেন্ডেরও কম।
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
by Admin
|
posted: Wednesday, December 21, 2011
|
‘আত তাক্বউইমুশ শামসি’ সৌর ক্যালেন্ডার পৃথিবীর কোনো ক্যালেন্ডারের অনুকরণে তৈরি না করে; বরং খাছ খোদায়ী মদদে ইলহাম, ইলকার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই সৌর ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন এবং নামকরণ করেছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুজাদ্দিদ আ’যমে ছানী, আওলাদে রসূল, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।
‘আত-তাক্বউইমুশ শামসি’ এই ক্যালেন্ডারের গণনা পদ্ধতি খুব সহজ। প্রতিটি বেজোড়তম মাস যেমন ১, ৩, ৫,৭, ৯, ১১ হবে ৩০ দিনের এবং জোড়তম মাস যেমন ২, ৪, ৬, ৮, ১০ হবে ৩১ দিনে। ব্যতিক্রম হবে ১২তম মাস; এটি জোড়তম মাস হলেও ৩০ দিনে গণনা করতে হবে; তবে ৪ বছর পরপর ১২তম মাস ৩১ দিনে হবে। তবে ১২৮ বছর পর পর ৩১ দিনে হবে না। বছরের শেষ দিন পরিবর্তন হওয়াতে সমস্যা সৃষ্টি হয় না। কেননা নতুন বছর শুরু হয়ে যায়।
কিন্তু গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের কোনো মাস কত দিনে এটা মনে রাখতে কবিতা নতুবা হাতের কব্জি ব্যবহারের ঘটনা কারো অজানা নয়। এছাড়াও ফেব্রুয়ারি মাস হচ্ছে এই ক্যালেন্ডারের দ্বিতীয় মাস অথচ এই দ্বিতীয় মাসটিতে লিপইয়ার সংঘটিত হয়, ফলে বাকি ১০টি মাসই ১ দিন পিছিয়ে যায়। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
by Admin
|
posted: Tuesday, December 20, 2011
|
‘আত তাক্বউইমুশ শামসি’ সৌর ক্যালেন্ডার পৃথিবীর কোনো ক্যালেন্ডারের অনুকরণে তৈরি না করে বরং খাছ খোদায়ী মদদে ইলহাম, ইলকার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই সৌর ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন এবং নামকরণ করেছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।
আজকের প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার এসেছে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে। আর জুলিয়ান ক্যালেন্ডার এসেছে রোমান ক্যালেন্ডার থেকে। রোমানদের জীবন ছিল কুসংস্কারে ভরা। তারা দেব-দেবীর উপাসনা করতো, ফলে তাদের ক্যালেন্ডারে অনেক মাসের নাম; অনেক দিনের নাম রেখেছিলো দেব-দেবীর নামে যা আজো চলে আসছে। তারা জোড় সংখ্যাকে অশুভ মনে করতো ফলে মাস গণনা করতো ২৯ দিনে অথবা ৩১ দিনে। সেই রোমান ক্যালেন্ডারকে কিছুটা সংশোধন করে রোমান স¤্রাট জুলিয়াস সিজারের স্মরণে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার নাম রাখা হয়েছিলো। পরবর্তীতে এই ক্যালেন্ডারের ত্রুটির কারণে আবারো সংশোধন করা হয়।
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের নামকরণ করা হয়েছিলো চরিত্রহীন খ্রিস্টান যাজক পোপ গ্রেগরির নামে। অথচ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসি’ কালেন্ডার রচনা করা হয়েছে মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্মরণে। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্মরণ মূলত মহান আল্লাহ পাক উনারই স্মরণ।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বিছাল শরীফ-এর তারিখ ১১ হিজরী, ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ, সোমবার শরীফ।
জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ তারিখ ৮ই জুন, ৬৩২ ঈসায়ী এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১১ই জুন ৬৩২ ঈসায়ী। কিন্তু ‘আত তাক্বউমুশ শামসি’ ক্যালেন্ডার শুরু হয়েছে ১১ হিজরী সনের রবীউল আউয়াল মাসের পহেলা তারিখ থেকে (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ৩১ মে, ৬৩২ ঈসায়ী) যা কিনা এই ক্যালেন্ডারের ০ বছর ১ মাস ১ম দিন। ফলে ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসি ক্যালেন্ডারের ০ বছরের ১ম মাসের ১২ তারিখ হচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর তারিখ। (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১১ই জুন ৬৩২)
সুতরাং যে ক্যালেন্ডার রচনার উদ্দেশ্য মূলত মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের স্মরণ সেই ক্যালেন্ডারই ব্যবহার করতে হবে আর কাফিরদের স্মরণে রচিত বাকি সব ক্যালেন্ডারের ব্যবহার বর্জন করা অপরিহার্য হয়ে পড়বে। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
by Admin
|
posted: Monday, December 19, 2011
|
আরবীতে ‘তাক্বউইম’ অর্থ ক্যালেন্ডার আর শামস অর্থ হচ্ছে সূর্য আর দু’য়ে মিলে হয়েছে, “আত তাক্বউইমুশ শামসি”। অনেকের ধারণা মুসলমানগণ শুধু হিজরী ক্যালেন্ডার বা চাঁদের ক্যালেন্ডারই ব্যবহার করবে, সৌর ক্যালেন্ডার নয়। আসলে তা নয়। মুসলমানগণের দৈনন্দিন আমলসমূহ চাঁদের সাথে সাথে সূর্যের সাথেও জড়িত। যেমন ওয়াক্ত অনুযায়ী নামায পড়া বা মাকরূহ ওয়াক্তে নামায না পড়া ইত্যাদি। আর সে কারণে সৌর ক্যালেন্ডারেরও প্রয়োজন রয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- ‘গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার’ নামে তো একটি সৌর ক্যালেন্ডার রয়েছে তারপরেও কেন প্রয়োজন নতুন একটি সৌর ক্যালেন্ডারের?
এর উত্তর অনেক দীর্ঘ এবং গভীর। মুসলমানগণের জন্য যে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নয় তার বেশ কিছু কারণ আমরা দৈনিক আল ইহসান শরীফ থেকে জেনেছি। সময়মতো আরো প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ। যাই হোক আমরা ফিরে আসছি এ ক্যালেন্ডারের নাম এবং রচনার ব্যাপারে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তোমরা কাফির, মুশরিক তথা ইহুদী-নাছারা ও মুশরিকদেরকে অনুসরণ করো না।” এছাড়াও হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুসরণ করবে সে ব্যক্তি তাদেরই দলভুক্ত বলে গণ্য হবে।”
আর সে কারণেই যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক দোয়া এবং পৃষ্ঠপোষকতায় উনার খাছ আওলাদ, আওলাদে রসূল, কুতুবুল আলম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সঙ্গে গভীর নিছবতের কারণে এই মুবারক ক্যালেন্ডার রচনা করেন। এই ক্যালেন্ডার রচনার মূল উদ্দেশ্য মুসলমানগণ যেন কাফিরদের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ না করে বরং এই মুবারক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফ-এর পূর্ণ অনুসরণ করতে পারেন
এই সৌর ক্যালেন্ডার পৃথিবীর কোনো ক্যালেন্ডারের অনুকরণে তৈরি না করে বরং খাছ খোদায়ী মদদে ইলহাম, ইলকার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই সৌর ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন এবং নামকরণ করেছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
by Admin
|
posted: Friday, December 16, 2011
|
সব প্রশংসা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।
আজ ২০ মুহররমুল হারাম/১৪৩৩ হিজরী, ২রা পৌষ/১৪১৮ ফসলী সন, শুক্রবার ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এদেশের আকাশে ৪০ বছর পূর্বের এদিনটিতে প্রথম উঠেছিলো এক স্বাধীন, সমুজ্জ্বল, অত্যুজ্জ্বল অন্যরকম সূর্য। ১৯৭১-এর এদিনে যে সূর্যের উদয় হয়েছিলো তা ছিলো বাঙালির বিজয়ের সূর্য। এদিন তাই এ ভূ-খ-ের বাঙালি জনগোষ্ঠীর ইতিহাসের মহান গৌরবময় দিন।
পঁচিশে মার্চ ভয়াল রাত্রিতে শুরু হওয়া পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যাযজ্ঞ আর নৃশংসতার দীর্ঘ ৯টি মাসে রক্তস্নাত পথ পাড়ি দিয়ে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর চার-পাঁচ লাখ নির্যাতিতা মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিলো অমূল্য এই স্বাধীনতা।
১৯৭১ সালের এই দিনে পৌষেরই এক পড়ন্ত বিকেলে স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিলো বীর বাঙালি। ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) প্রস্তুত হয়েছিলো মঞ্চ। পাশের ঢাকা ক্লাব থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আনা হয়েছিলো একটি টেবিল ও দুটি চেয়ার। পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক জোন-বি এবং ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজির নেতৃত্বে ৯১ হাজার ৫৪৯ জন পাকি সেনা ভারতীয় বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল জ্যাকবের তৈরি করা আত্মসমর্পণ দলীলে বিকেল চারটা ৩১ মিনিটে সই করে।
১৯৭১ সালের এই দিনে অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে পাকিস্তান বাহিনী দালিলিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এই দিন থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। অনেক রক্ত, অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
তাই আনন্দ উৎসব এবং শোক-শ্রদ্ধার এক অভূতপূর্ব সম্মিলনে দেশের সর্বত্রই আজ পালিত হবে ৪০তম বিজয় দিবস, মুক্তযুদ্ধে বিজয়ের ৪০তম বার্ষিকী। তবে আনন্দঘন এই দিনেও শহীদ পরিবারের সদস্যদের বুকের ভেতর থামেনি রক্তক্ষরণ। স্বজন হত্যার বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে আজ তারা অনেকটাই ক্লান্ত। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়নি। গণহত্যার জন্য ক্ষমা চায়নি পাকিস্তান। বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন দেশে এখনো অবহেলিত, অপমানিত। অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীরা প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে, মন্ত্রী হয়েছে। গেল নির্বাচনেও মনোনয়ন পেয়েছিলো ২৫ যুদ্ধাপরাধী।
বলাবাহুল্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গোষ্ঠী নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছিলো তাদের যথোপযুক্ত বিচার না হওয়ার কারণে আমাদের সামজিক জীবনে ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে এক রাশ স্বপ্ন বুকে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। সাড়ে তিন দশকেরও অধিক সময় পাড়ি দেয়ার পর এ স্বপ্ন কতটা পূরণ হয়েছে আজ সেই হিসাব নেয়ার দিন।
স্মর্তব্য, ৪০ বছর একটি রাষ্ট্রের পরিপূর্ণতার বছর। বাংলাদেশকে এখন কোনোক্রমেই আর শিশু রাষ্ট্র বলা যায় না।
অতএব, আজ আমাদের অনুভবে অন্তরের অন্তঃস্থিত প্রগাঢ় প্রশ্নের জোরদার বহিঃপ্রকাশ দরকার যে, আমাদের রক্তের, গর্বের মাতৃভূমি-
কেন এখনো বিশ্বের অনুন্নত দেশের সারিতে?
কেন এখনো অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পরও দেশের অন্তত এক-চতুর্থাংশ মানুষের দিনে দু’বেলা পেট ভরে খাওয়া জোটে না?
কেন হাজার হাজার কোটি টাকার সাহায্যের পরও সিডরে, আইলা ক্ষতিগ্রস্তদের এখনো ঘরবাড়ি হলো না?
কেন খোদ রাজধানীর ফুটপাথে শুয়ে থাকে লাখ লাখ লোক। কেন কেবল রাজধানীতেই ৬০ লাখ লাঞ্ছিত বস্তিবাসীর বাস?
কেন স্বাধীনতা উত্তর ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ তকমার পর আজও
চাল সিন্ডিকেট, তেল সিন্ডিকেট
চিনি সিন্ডিকেট, বহাল তবিয়তে থাকে?
কেন এদেশে ক্ষমতাসীনরা হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে?
কীভাবে স্বাধীন দেশে রাজাকাররা মন্ত্রীর পতাকা গাড়িতে উড়িয়ে ঘুরতে পারে, সংসদে যেতে পারে?
কেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে বিবৃত ‘দেশকে স্বাধীন করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ’ বলার পরও ‘মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি ও চেতনা’ যে ছিলো ‘ইসলাম’ সে কথা প্রতিফলিত হয় না?
কেন আজ ইসলামের নামে ঘৃণিত রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের কেনার হাট বসাতে পারে?
কেন আজ রাজাকার জামাতীরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বৃত্তি প্রদানসহ বিভিন্ন প্রলোভনে প্ররোচিত করতে পারে?
তাই একথা আজ সর্বত্র বিস্তার করা দরকার যে, স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকাররা স্বাধীনতার বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত স্বাধীনতার কোনো সুফল পেতে পারে না।
মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট কোনো সমাবেশই কেবল নয় বরং কোনো ধরনের কোনো সমাবেশের অনুমোদন তারা পেতে পারে না।
পাশাপাশি আমরা বলব ইসলামের আঙ্গিকেই স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের সমাধান হওয়া দরকার। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “পৃথিবীর পূর্বপ্রান্তে যে কেউ একটা বদ কাজ করলো পশ্চিম প্রাপ্ত থেকে যে কেউ তা সমর্থন করলো তার সমান গুনাহ তার হবে।” আমরা তাই শুধু কথিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সন্তুষ্ট নই। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থনকারী সব রাজাকার তথা গোটা জামাতে মুওদুদী এবং তাদের আদর্শে বিশ্বাসী ও সমর্থনকারী সব শিবির কর্মী এবং তাবৎ ধর্মব্যবসায়ীদেরও যথাযোগ্য বিচার চাই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমেরিকার মতো একটি খ্রিস্টান দেশ থেকে যদি তাদের দেশবিরোধী ঘাতকদের উৎখাত করা হতে পারে, তবে তা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে হতে পারবে না কেন? ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ১৭৮২ সালে যেসব আমেরিকাবাসী ব্রিটেনের পক্ষ নিয়েছিলো স্বাধীনতার পর তাদের প্রত্যেককে আমেরিকা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো।
আমাদের দেশের রাজাকারদের মতো ওদেরকে বলা হত ‘লয়েলিস্ট’। আমেরিকায় যদি কোনো ‘লয়েলিস্ট’ না থাকতে পারে, তবে আমাদের দেশে ইসলামের দৃষ্টিতে কোনো মতেই কোনো রাজাকার থাকতে পারে না। সঙ্গতকারণেই আমরা স্পষ্ট ও বুলন্দ আওয়াজ এবং তীব্র উচ্চারণ করছি, ‘রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ চাই; ইসলামে রাজাকারের ঠাঁই নেই।’
বলাবাহুল্য, এসব অনুভূতি জাগরুক ও জোরদারের জন্য প্রয়োজন নেক ছোহবত, নেক সংস্পর্শ তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ।
যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই তা প্রাপ্তি সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত নছীব করুন। (আমীন)
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
by Admin
|
posted: Thursday, December 15, 2011
|
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত
তরীক্বত, মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর
ইমাম সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সুযোগ্য আওলাদ
ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল খুলাফা, খলীফাতুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুজুর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার
এক অনবদ্য যুগান্তকারী তাজদীদ “আত-তাক্বউইমুশ শামসি” অর্থাৎ সৌর বৎসর ক্যালেন্ডার।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © বিস্তারিত পড়ুন এখানে | “আত-তাক্বউইমুশ শামসি”.
by Admin
|
posted: Tuesday, December 06, 2011
|
ছল্লু আলা-শুহাদায়ে কারবালা
ছল্লু আলা-শুহাদায়ে কারবালা ॥
হাবীবুল্লাহর লখতে জিগার,
ইমাম হুসাইন, নূরে নূরাইন
শহীদে মহান ॥
হক্ব প্রকাশে, বাতিল বিনাশে,
হাবীবী শানে, সম্মুখ পানে
হলেন আগুয়ান ॥
খোদার পেয়ারা, নববী সিতারা,
সুন্নাহ নিয়তে, দীপ্ত শপথে
রহেন বলীয়ান ॥
নূরানী জালওয়ায়, মাদানী পতাকায়,
জান্নাতী তবকায়, হাবীবী ইশারায়
সদা অনির্বাণ ॥
আহাল পরিজন, কতই যে আপন,
রসূল নূরী ধন, দেহ তনুমন
করেন কুরবান ॥
করলো কি সীমারে, ফোরাতের তীরে,
যমীন উত্তাল, রক্তে লালে লাল
কারবালা ময়দান ॥
জিন্দিক্ব ইয়াযীদ, বাতিল সৈনিক,
জনম জনম ধিক, জানাতে নির্ভিক
উম্মাহর মু’মিনপ্রাণ ॥
ইমামে আবেদীন, গাজীয়ে সাইয়্যিদীন,
নববী ধারাতে, মামদূহজী আসীন
উড়াতে হক্ব নিশান ॥
দশই মহররম, জনম জনম,
আসবে যখন, করে তার স্মরণ
আরশ কম্পমান ॥
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
by Admin
|
posted: Friday, October 28, 2011
|
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা (হজ্জ ও কুরবানীর) নির্দিষ্ট কয়েক দিন মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করো।
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর তাকবীর বলবে-
‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হলো- পুরুষ হোক, মহিলা হোক, মুক্বীম হোক, মুসাফির হোক, একা হোক বা জামায়াতে হোক প্রত্যেকের জন্য প্রতি ফরয নামাযের পর একবার তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা ওয়াজিব আর তিনবার পাঠ করা সুন্নত।
যারা এর ব্যতিক্রম বলে তাদের কথা সম্পূর্ণ অশুদ্ধ ও দলীলবিহীন।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাকবীরে তাশরীকের উৎপত্তি ইতিহাস সম্পর্কে বলা হয়, মহান আল্লাহ পাক উনার খলীল হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করলেন, হে বারে ইলাহী! আমাকে একজন নেক সন্তান দান করুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে একজন ধৈর্যশীল সন্তানের সুসংবাদ দান করেন। অর্থাৎ হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার বিলাদত শরীফ-এর সুসংবাদ দান করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইহুদীরা বলে ও প্রচার করে থাকে যে, ‘হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার ছেলে হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম উনাকে কুরবানী করেছিলেন।’ মূলত তাদের এ মতটি সম্পূর্ণই মিথ্যা, বানোয়াট ও দলীলবিহীন। নির্ভরযোগ্য সমস্ত কিতাবেই উল্লেখ আছে যে, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি উনার ছেলে হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে কুরবানী করেছেন। কেননা, হাদীছ শরীফ-এ স্পষ্টই উল্লেখ আছে, ‘আমি দুই যবেহের সন্তান।’ অর্থাৎ একজন হচ্ছেন হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনি আর অন্যজন হচ্ছেন হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম। কেননা, হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার পূর্বপুরুষ নন। পূর্বপুরুষ হচ্ছেন হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতঃপর হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনি বিলাদত লাভ করলেন এবং যখন হাঁটাহাঁটির বয়সে উপনীত হলেন তখন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে মিনায় নিয়ে গিয়ে বললেন, ‘হে আমার প্রিয় বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি আপনাকে যবেহ বা কুরবানী করছি। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?’ হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনি জবাব দেন, ‘হে আমার সম্মানিত পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তা বাস্তবায়িত করুন। ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতঃপর হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি যখন হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারক-এ ছুরি চালাতে থাকেন; মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত! যতই ছুরি চালানো হচ্ছে হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারক কিন্তু কাটছে না। সুবহানাল্লাহ! হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি ছুরির ধার পরীক্ষা করার জন্য ছুরিটি একটি পাথরে আঘাত করলেন। সাথে সাথে পাথরটি দ্বিখন্ডিত হয়ে গেলো। হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে ছুরি! তুমি পাথরকে দ্বিখন্ডিত করে দিলে অথচ হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারক কাটতে পারছো না? মহান আল্লাহ পাক তিনি ছুরির যবান খুলে দেন। ছুরি বললো, ‘হে আল্লাহ পাক উনার খলীল হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম! আপনি একবার কাটার জন্য আদেশ করেন আর আমার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে সত্তরবার কাটতে নিষেধ করছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাই হোক হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে যবেহ করার চেষ্টায় নিয়োজিত ছিলেন ঠিক এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে বেহেশত থেকে একটি দুম্বা এনে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার নিকট দেয়ার নির্দেশ দিলেন।
হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি যখন দুম্বা নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলেন দেখলেন, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার প্রাণাধিক প্রিয় সন্তান হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারক-এ ছুরি চালাচ্ছেন। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম আশ্চর্যান্বিত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার বড়ত্ব, মহত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে বলে উঠলেন, ‘আল্লাহ আকবার, আল্লাহু আকবার।’ একথা বলে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে সরিয়ে ছুরির নিচে দুম্বাটি দিয়ে দিলেন। হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে তখন তিনিও মহান আল্লাহ পাক উনার একত্ববাদের ঘোষণা দিয়ে বললেন, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’।
এদিকে হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনিও যখন বুঝতে পারলেন যে, তিনি যবেহ না হয়ে উনার পরিবর্তে একটি দুম্বা যবেহ হচ্ছে তিনিও তখন মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করে বললেন, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ শরীয়তে এটাই তাকবীরে তাশরীক নামে মশহুর।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা শরীয়তের নির্দেশ। পুরুষ হোক, মহিলা হোক, মুক্বীম হোক, মুসাফির হোক, একা হোক বা জামায়াতে হোক প্রত্যেকের জন্য প্রত্যেক অবস্থায় প্রতি ফরয নামাযের পর একবার তাকবীর পাঠ করা ওয়াজিব আর তিনবার পাঠ করা সুন্নত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কেউ কেউ বলে ‘তাকবীর’ একবার পাঠ করতে হবে; তিনবার পাঠ করা যাবে না- তাদের কথা সম্পূর্ণ অশুদ্ধ ও দলীলবিহীন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সর্বজনমান্য এবং স্বীকৃত ইমাম-মুজতাহিদ ও ফুক্বাহায়ে কিরামগণ উনাদের বিশ্ব বিখ্যাত ফতওয়ার কিতাবে একাধিকবার তাকবীরে তাশরীক বলা মুস্তাহাব বা ফযীলতের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, “দুররুল মুখতার” কিতাবে উল্লেখ আছে যে, “তাকবীরে তাশরীক একবার বলা ওয়াজিব, তবে যদি (কেউ) একাধিকবার বলে, তাহলে তা ফযীলতের কারণ হবে।” আর “ফতওয়ায়ে শামীতে” উল্লেখ আছে, “কেউ কেউ বলেছেন (তাকবীরে তাশরীক) তিনবার।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “গায়াতুল আওতার”, “শরহে দুররুল মুখতার” কিতাবে উল্লেখ আছে, “বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে (আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে) আদিষ্ট হওয়ার কারণে একবার তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। আর যদি একবারের চেয়ে অতিরিক্ত বলে তবে সওয়াবের অধিকারী হবে।” “মুলতাক্বাল আবহুর” কিতাবে উল্লেখ আছে, যদি “তাকবীরে তাশরীক” একাধিকবার বলে তাহলে তা নফল হবে। “মারাকিউল ফালাহ” কিতাবের ৩৫১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “সাধারণভাবে একাধিকবার “তাকবীরে তাশরীক পড়া মুস্তাহাব।” “শরহে নেকায়া” কিতাবের ৩০৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “তাকবীরে তাশরীক একবার পাঠ করা ওয়াজিব। আর একাধিকবার পাঠ করা মুস্তাহাব।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল ফতওয়া হলো- যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা শরীয়তের নির্দেশ। পুরুষ হোক, মহিলা হোক, মুক্বীম হোক, মুসাফির হোক, একা হোক বা জামায়াতে হোক প্রত্যেক অবস্থায় প্রতি ফরয নামাযের পর একবার তাকবীর পাঠ করা ওয়াজিব আর তিনবার পাঠ করা মুস্তাহাব-সুন্নত।
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
by Admin
|
posted: Sunday, September 25, 2011
|
২৫শে শাওওয়াল শরীফ পেল নতুন আখাছছুল খাছ মর্যাদা! ছিদ্দীক্বা শ্রেণীর প্রথম পর্যায়ের ওলীআল্লাহ
সাইয়্যিদাতুন নিসা, হাবীবাতুল্লাহ, কায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান বিছাল শরীফ-এর মর্যাদা এর সাথে সম্পৃক্ত হল।
উম্মাহর উচিত এ দিনের মা’রিফাত অর্জন ও হক্ব আদায়ে নিবেদিত হওয়া।
সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।
১লা শাওওয়াল শরীফ, ১৯শে শাওওয়াল শরীফ, ২১শে শাওওয়াল শরীফ, ২২শে শাওওয়াল শরীফ-এর পর এবার ২৫শে শাওওয়াল শরীফ আলাদাভাবে মর্যাদাবান ও ফযীলতযুক্ত হল। ২১শে শাওওয়াল শরীফ উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার আক্বদ মুবারক-এর দিন। এই শাওওয়াল মাসের সাথে সঙ্গতি রেখে ২৫শে শাওওয়াল আরেকজন ছিদ্দীক্বা শ্রেণীর ওলীআল্লাহ তথা আখাচ্ছুল খাছ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বিছাল শরীফ সাধিত হল। পূর্বপুরুষের দিক থেকে উনি একদিকে সাইয়্যিদে শুহাদায়ে কারবালা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার বংশধর; অপরদিকে উত্তরপুরুষে উনি, যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুহতারামা মাতা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ
প্রসঙ্গত, আমভাবে একটি মশহুর হাদীছ শরীফ-ই উনার ফাযায়িল-ফযীলত অনুধাবনের জন্য যথেষ্ট। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- “যিনি ইলম শিক্ষা করলেন, সে অনুযায়ী আমল করলেন উনার সম্মানার্থে উনার পিতামাতাকে হাশরের ময়দানে সম্মানস্বরূপ এমন এক টুপি প্রদান করা হবে যার উজ্জলতা সূর্যের আলোর চেয়েও বহুগুণ বেশি হবে।” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ উনারা শুধু জান্নাতীই হবেন না, মহা সম্মানিত জান্নাতীই হবেন।
তবে এটা যদি হয় সাধারণ আলিমের পিতা-মাতার ফযীলতের কথা; তাহলে যিনি মুজাদ্দিদে আ’যম, যিনি লুপ্তপ্রায় সব সুন্নতের জিন্দাকারী, যিনি ইসলামের জিন্দাকারী, যাঁর উসীলায় প্রতি মুহূর্তে শুধু লক্ষ-কোটি হক্ব আলিম নয়, বরং হক্কানী-রব্বানী আলা দরজার ওলীআল্লাহ তৈরি হন; তাহলে সেই মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি মুজাদ্দিদে আ’যম উনার পিতা-মাতা উনাদের তাহলে কী ফাযায়িল-ফযীলত থাকতে পারে। মূলত এটা অকল্পনীয়, অব্যক্ত ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য।
মূলত, উনারা শুধু মহাসম্মানিত জান্নাতীই নন, বরং উনারা এমন অযুদ মুবারক-এর অধিকারী, যাঁদের জন্য জান্নাত ব্যাকুল হয়ে অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করছে, যাঁদের তাশরীফে জান্নাত নিজেই সম্মানিত হয়ে যায়। বলাবাহুল্য, উনারা এ সম্মানের চেয়েও মহামর্যাদাবান। এ মর্যাদা উনাদের অর্জন। উনাদের শান। উনাদের বৈশিষ্ট্য। উনারা শরহে সুদূরের কারণে কখনও মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম, উনাকে শুধু সন্তান হিসেবে দেখেননি; সবসময়ই দেখেছেন মুজাদ্দিদে আ’যম হিসেবে। যে কারণে উনারা স্বয়ং পিতা-মাতা হয়েও সম্বোধন করতেন ‘হুযূর ক্বিবলা বা মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম বলে’। সুবহানাল্লাহ!
শুধু তাই নয়, উনারা উনাকে অনেক বেশি মুহব্বত করতেন। সাইয়্যিদাতুন নিসা, কুতুবুল আকতাব, কুতুবুল এরশাদ, হাবীবাতুল্লাহ, কায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম হযরত দাদী হুযুরাইন ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি এজন্য খাওয়ার পূর্বে সবসময় বলতেন- “আমার মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম খেয়েছেন?” মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি অকল্পনীয় পরিশ্রমের সাথে তা’লীম-তালকীন দিতে ব্যস্ত থাকলে উনি প্রায় উৎকণ্ঠা প্রকাশ করতেন, আমার মুজাদ্দিদে আ’যম এসেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
২৫শে শাওওয়াল গোটা উম্মাহ তথা কায়িনাতের জন্য এক স্পর্শকাতর দিন যে, এদিন যে মহা মুহতারামা দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন। তিনি যেভাবে ‘আমার মুজাদ্দিদে আ’যম’ আলাইহিস সালাম উচ্চারণ করতেন- সে মুহব্বত, অধিকারের সাথে উচ্চারণের জন্য আর কেউই থাকলেন না। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুন্নত পালনে, ইলম অর্জনে, ইলমের পৃষ্ঠপোষকতায়, ইবাদত-বন্দেগীতে নিষ্ঠায় উনি ছিলেন বেমেছাল। সংক্ষেপ কথায়, উনি ছিলেন মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুহতারামা মাতা আলাইহাস সালাম। তাই কাশফ ও কারামতেও উনি ছিলেন অনন্যা।
গত পরশুর দিনটিতে উনি যেন নিজ থেকেই বিদায়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে নিচ্ছিলেন। পবিত্র শুক্রবারে নখ মুবারক সব কেটেছিলেন। রাত প্রায় ১০ : ৫৫ মিনিটে বিছাল শরীফ-এর আগ মুহূর্তে ওযূ করে নিয়ে বলেছিলেন, আমি এখন মাবুদে মাওলার কাছে চলে যাচ্ছি। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, “বিছাল হলো দুনিয়া হতে জান্নাতে যাওয়ার সেতু।”
আর আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, “বিছাল শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট যাওয়ার সেতু।” কাজেই আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের ইন্তিকাল হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মিলন সেতু বা মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র দীদার লাভের মাধ্যম। হাদীসে কুদসীতে বলা হয়েছে যে, “নিশ্চয় মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ মৃত্যুবরণ করেন না, বরং উনারা অস্থায়ী আবাস থেকে স্থায়ী আবাসের দিকে ইন্তিকাল করেন অর্থাৎ প্রত্যাবর্তন করেন।”
কাজেই নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের স্ব স্ব মাজার শরীফ-এর মধ্যে জীবিত রয়েছেন। মূলত আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের হাক্বীক্বী মর্যাদা সাধারণ লোকের পক্ষে কখনোই বোধগম্য নয়, যেটা আমরা গাউসুল আযম, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী হযরত বড় পীর আব্দুর কাদির জ্বিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মর্যাদাপূর্ণ জীবনী মুবারক হতে জানতে পারি। যেমন কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে, মাহ্বুবে সুবহানী, কুতুবে রাব্বানী, গাউসুল আ’যম শায়খ সাইয়্যিদ মুহীউদ্দীন আব্দুল ক্বাদির জ্বিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফ-এ একবার এক ব্যক্তি এসে বললো, “হুযূর” আপনি কি গাউসুল আ’যম? বড় পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হ্যাঁ। আপনি কি কুতুবুল আলম? উনি বললেন, হ্যাঁ। আপনি কি সুলত্বানুল আরেফিন? উনি বললেন, হ্যাঁ। আপনি কি মুজাদ্দিদুজ্জামান? উনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর প্রশ্নকারী চুপ হয়ে গেল। হযরত বড় পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হে ব্যক্তি তুমি কি আমার সম্পর্কে আর কিছুই জান না? সে ব্যক্তি বললো, হুযূর আমার আর কিছুই জানা নেই। তখন হযরত বড় পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, অরাউল অরা, অরাউল অরা অর্থাৎ তুমি যা জেনেছ তার চেয়েও উপরে আমার মাক্বাম, তার চেয়েও উপরে আমার মর্যাদা, যেটা তোমার মতো সাধারণ লোকের জ্ঞান ও সমঝের উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! (সীরতে গাউসুল আ’যম)
উপরোক্ত ঘটনা দ্বারা এটা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের শান-শওক্বত, মর্যাদা-মর্তবা, অভাবনীয় ও অপরিসীম, তা সাধারণ লোকের আক্বল ও দেমাগে বুঝে আসার মতো নয়। আর তাই হাদীছে কুদসী শরীফ-এ বলা হয়েছে যে, “নিশ্চয় আমার ওলীগণ আমার ক্বাবার নিচে অর্থাৎ আমার কুদরতের মধ্যে অবস্থান করেন, আমি ছাড়া উনাদেরকে কেউ হাক্বীক্বীভাবে চিনে না।”
অতএব, আল্লাহওয়ালাগণ উনারা হায়াতে দুনিয়ায় যেরূপ তা’যীম-তাক্রীম ও মর্যাদার পাত্র, তদ্রƒপ বিছাল শরীফ-এর পরও। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে ইন্তিকাল করেন। এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে, এক ওলীআল্লাহ উনাকে প্রশ্ন করা হলো- হুযূর! মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় কতল হয়েছেন (শহীদ হয়েছেন), উনাদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বরং উনারা জীবিত। কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারছ না।”
মূলত এ আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি শহীদদের মর্যাদা বর্ণনা করেছেন। তবে আল্লাহ ওয়ালাগণ উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত কতটুকু? তখন মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী বললেন, দেখ, যাঁরা শহীদ, উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ইন্তিকাল করেন। আর যাঁরা আল্লাহওয়ালা, উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে ইন্তিকাল করেন। যেমন- গরীবে নেওয়াজ, খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইন্তেকাল করার পর উনার কপাল মুবারক-এ নূরানী অক্ষরে লিখিত হয়েছিল, ইনি আল্লাহ পাক উনার হাবীব, মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতেই তিনি ইন্তিকাল করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
অতএব, প্রত্যেক ওলীআল্লাহ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মুহব্বতে বিছাল শরীফ লাভ করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি কারোটা প্রকাশ করেন, কারোটা প্রকাশ করেন না। সুতরাং যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে ইন্তিকাল করেন, উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত আরো অনেক বেশি, যা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়, অর্থাৎ বেমেছাল।
সঙ্গতকারণেই আজ উম্মাহর জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- সাইয়্যিদাতুন নিসা, কায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মা’রিফাত অর্জন করা, উনাকে মুহব্বত করা। তা’যীম-তাকরীম করা। উনার শান মান আলোচনা করা। উনার সম্মানার্থে নেক কাজ করা এবং সমূহ হক্ব আদায় করা।
মহান মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম ও সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের কবুল করুন ও কামিয়াব করুন এবং গায়েবী মদদ করুন। (আমীন)
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
by Admin
|
posted: Monday, September 19, 2011
|
‘হরতাল’ ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম হওয়া সম্পর্কে অনেক আয়াত শরীফ প্রয়োজ্য হয়। যেমন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা অনুসরণ করো আল্লাহ পাক তিনি যা নাযিল করেছেন।” (সূরা বাক্বারা/১৭০)
আরো ইরশাদ করেন, “তারা কি জাহিলী যুগের হুকুম-আহকাম তলব করে অথচ আল্লাহ পাক থেকে উত্তম হুকুমদাতা ঈমানদারদের জন্য কে রয়েছে?” (সূরা মায়িদা/৫০)
অর্থাৎ আল্লাহ পাক তিনি যা আদেশ-নির্দেশ, হুকুম-আহকাম নাযিল করেছেন বা দিয়েছেন হুবহু সেটাই মানতে হবে, পালন করতে হবে। তার খিলাফ যদি কেউ করে তার সম্পর্কে আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “আল্লাহ পাক তিনি যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা আদেশ-নির্দেশ করবেনা তারা কাফির।” (সূরা মায়িদা/৪৪)
আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন, “তারা যালিম এবং তারা ফাসিক।” (সূরা মায়িদা/৪৫, ৪৭) আল্লাহ পাক তিনি উনার আদেশ-নির্দেশের বাইরে আমল করলে কুফরী হবে। আর আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নির্দেশ পালন করতে হলে আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ কর যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক।” (সূরা আনফাল/১)
আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন, “(হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন! তোমরা একমাত্র আমাকে অনুসরণ কর।” (সূরা আলে ইমরান/৩১)
অর্থাৎ প্রত্যেক মু’মিন-মুসলমানকে প্রতি ক্ষেত্রে আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করতে হবে।
আর সেজন্যই আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র বলে দিয়েছেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহ পাক, উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই উত্তম আদর্শ রয়েছে।” (সূরা আহযাব/২১)
অর্থাৎ তিনিই অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং উনার তর্জ-তরীক্বা, নিয়ম-পদ্ধতি, অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে। উনার খিলাফ কোন কাজই করা যাবে না। তাই আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র আরো বলেন, “যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন (নিয়ম-নীতি, অন্য ধর্ম) তালাশ করে, তা কখনোই তার থেকে গ্রহণ করা হবেনা এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলে ইমরান/৮)
এর ব্যাখ্যায় হাদীছ শরীফ-এ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, একদিন হযরত উমর ইবনে খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, (ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমরা ইহুদীদের থেকে তাদের কিছু ধর্মীয় কথা শুনে থাকি, যাতে আমরা আশ্চর্যবোধ করি, ওটার কিছু আমরা লিখে রাখবো কি?
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমরাও কি দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছো? যে রকম ইহুদী-নাছারারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে?
অবশ্যই আমি তোমাদের নিকট পরিপূর্ণ, উজ্জ্বল ও পরিষ্কার দ্বীন নিয়ে এসেছি। হযরত মুসা আলাইহিস সালাম উনিও যদি দুনিয়ায় থাকতেন, তাহলে উনাকেও আমার অনুসরণ করতে হতো।” (মুসনদে আহমদ, বায়হাক্বী)
সুতরাং উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ হতে বুঝা গেল যে, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস ছাড়া অন্য কোন বিজাতীয় পন্থার অনুসরণ করা হারাম। অতএব, বিধর্মীদের দ্বারা তৈরিকৃত অস্ত্রপাতি, মাল-সামানা ব্যবহার করা হচ্ছে মুবাহ্ যা নিয়তের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এতে কাউকে অনুসরণ-অনুকরণ করতে হয়না।
আর হরতাল, লংমার্চ, কুশপুত্তলিকা দাহ, গণতন্ত্র, নির্বাচন, ব্লাসফেমী আইন ইত্যাদি বিধর্মীদের দ্বারা প্রবর্তিত পদ্ধতি, আইন-কানুন ও তর্জ-তরীক্বা অবলম্বন করার দ্বারা বিধর্মীদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা হয়, তাই তা আমল করা শরীয়তে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও হারাম। উল্লেখ্য, হরতাল শব্দের অর্থ বিশৃঙ্খলা, অত্যাচার, স্বেচ্ছাচার, অবাধ্যতা, অরাজকতা, প্রতিবন্ধকতা, প্রতিরোধ ইত্যাদি। হরতালের ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিক্ষোভ প্রকাশের জন্য যানবাহন, হাটবাজার, দোকানপাট, অফিস-আদালত ইত্যাদি বন্ধ করা। হরতাল গুজরাটি শব্দ। ‘হর’ অর্থ প্রত্যেক। ‘তাল’ অর্থ তালা। অর্থাৎ প্রতি দরজায় তালা।
কাজেই যার অর্থই বিশৃঙ্খলা, অত্যাচার, স্বেচ্ছাচারিত, অবাধ্যতা, বিক্ষোভ, প্রতিরোধ তা কি করে ইসলামের জন্য হতে পারে? কারণ মুসলমানের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “মুসলমান ওই ব্যক্তি যার যবান ও হাত থেকে অন্য মুসলমানগণ নিরাপদ থাকে।” (বুখারী) এরপরও বলতে হয়, হরতালের উদ্ভাবক ও প্রবর্তক হচ্ছে ভারত উপমহাদেশের বিখ্যাত মুসলিম বিদ্বেষী মুশরিক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, ব্রিটিশদের রাউলাট আইন বাতিল করার জন্য তার প্রতিবাদে যে পদ্ধতি অবলম্বন করে, তার নাম দেয়া হয় হরতাল। এই হরতাল পালিত হওয়ার কথা ছিল ১৯১৮ সালের ৩০শে মার্চ। পরে এই তারিখ পিছিয়ে ৬ই এপ্রিল করা হয়। ফলে কোন স্থানে ৩০ মার্চ আবার কোন স্থানে ৬ই এপ্রিল সর্বপ্রথম হরতাল পালিত হয়।
বলাবাহুল্য, হরতাল গুজরাটি শব্দ। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দু, সে দাবি আদায়ের পদ্ধতির নামকরণ করে হরতাল। এছাড়াও হরতাল হারাম হওয়ার উৎস ও কারণ হলো- (১) বিজাতীয়দের উদ্ভাবিত পন্থা। (২) জন-জীবনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি। (৩) জান-মালের ক্ষতি। (৪) একজনের অন্যায়ের শাস্তি অন্যকে দেয়া। (৫) হারাম পন্থায় ইসলাম কায়েমের চেষ্টা। অথচ আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ বলেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।” (সূরা আহযাব/২১)
তাহলে কি করে বলা যেতে পারে যে, মুসলমানদের জন্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিখ্যাত মুসলিম বিদ্বেষী মুশরিক মহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে অনুসরণ করে, তার উদ্ভাবিত ও প্রবর্তিত হরতাল করা জায়িয ও জরুরী? তাহলে কি গান্ধীর প্রবর্তিত হরতাল ব্যতীত ইসলাম অপূর্ণ? অথচ আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “আজকে আমি তোমাদের দ্বীনকে কামিল করলাম এবং তোমাদের উপর নিয়ামতকে পূর্ণ করলাম এবং আমি তোমাদের দ্বীন ইসলামের উপর সন্তুষ্ট রইলাম।” (সূরা মায়িদা/৩))
অতএব, হারাম হরতালকে জায়িয ও জরুরী বলা কাট্টা কুফরী। যদি কেউ বিধর্মী বা বিজাতীয়দের অনুসরণ ও অনুকরণ করে তবে তাদের পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ পাক উনার রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে।” (মিশকাত) যারা বলে, আল্লাহ পাক তিনি প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করার জন্য একক কোন পন্থা বা নিয়ম বলে দেননি।
এর জবাবে বলতে হয়, তাদের এ বক্তব্যও সম্পূর্ণ কুফরী। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, একদিন হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, আমরা ইহুদীদের অনেক ধর্মীয় কাহিনী, কথাবার্তা, নিয়ম-কানুন ইত্যাদি শ্রবণ করে থাকি যা আমাদের নিকট ভাল লাগে। আমরা এটার থেকে কিছু লিখে রাখতে পারবো কি?
তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমরাও কি তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে দ্বিধাগ্রস্ত বা বিভ্রান্ত রয়েছ? যেভাবে ইহুদী-নাছারারা বিভ্রান্ত রয়েছে? আল্লাহ পাক উনার কছম! আমি তোমাদের নিকট সম্পূর্ণ পরিষ্কার ও পরিপূর্ণ দ্বীন নিয়ে এসেছি। হযরত মুসা আলাইহিস সালাম তিনি যদি এখন থাকতেন, তাহলে উনাকেও আমার অনুসরণ করতে হতো।”
তাই আমরা দেখতে পাই, ইহুদী-খ্রিস্টান তথা বিধর্মীরা যে সকল আমল করত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও সে আমল করতেন না, তাদেরকে কোনরূপ অনুসরণও করতেন না; এবং তিনি আমাদেরকেও কঠোরভাবে বিধর্মীয় আমল ও অনুসরণ না করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। অথচ হরতাল হলো মুসলিম বিদ্বেষী কাট্টা মুশরিক গান্ধীর তর্জ-তরীক্বা যা করা মুসলমানদের জন্য শুধু হারামই নয় বরং তা করা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখ্য, শুধু এক্ষেত্রেই নিষেধ করা হয়নি বরং প্রতিক্ষেত্রেই নিষেধ করা হয়েছে। যেমন, ইহুদী-নাছারারা আশূরার একদিন রোযা রাখত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতে হাবীবীকে দু’দিন রোযা রাখতে বললেন। ইহুদী-নাছারারা দেরি করে ইফতার করত, এর পরিপ্রেক্ষিতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের তাড়াতাড়ি ইফতার করতে বলেন। আবার ইহুদীরা শুধুমাত্র পাগড়ী ব্যবহার করত, এর পরিপ্রেক্ষিতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি টুপি ছাড়া পাগড়ী পরতে নিষেধ করেছেন এবং টুপিসহ পাগড়ী ব্যবহার করতে বলেছেন। দাড়ী ও মোচের ব্যাপারে মজুসী (অগ্নি উপাসক) ও মুশরিকদের বিরোধিতা করতে বলেছেন।
যেমন, তারা দাড়ী কাটত ও মোচ বড় করত। তাই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘তোমরা দাড়ী বড় কর ও মোচ ছোট কর।’ ইত্যাদি প্রত্যেক বিষয়ে আল্লাহ্ পাক, উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুসলমানদের আস্তিক-নাস্তিক, ইহুদী-নাছারা, মজুসী-মুশরিক তথা বিজাতীয়, বিধর্মীদের অনুসরণ না করে খিলাফ করতে বলেছেন।
অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে। কেননা আল্লাহ পাক তিনি বলেন, তিনিই একমাত্র সর্বোত্তম আদর্শ, যা কুরআন শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে, “তোমাদের জন্য হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মধ্যে (চরিত্র মুবারক-এ) সর্বোত্তম আদর্শ রয়েছে।” (সূরা আহযাব/২১)
আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিই একমাত্র আদর্শ এবং এ আদর্শের খিলাফ কোন কাজ করা যাবেনা। তাই আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ অন্যত্র বলেন, “তোমাদের রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন তা আঁকড়ে ধর এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাক। এ বিষয়ে আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর। আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (সূরা হাশর/৭)
যার ব্যাখ্যায় হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত মালিক ইবনে আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “আমি তোমাদের মধ্যে দুটো জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত তোমরা সে দুটো জিনিস আঁকড়ে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত গোমরাহ হবে না। একটি হলো, আল্লাহ পাক উনার কিতাব ও অপরটি হলো, আমার সুন্নাহ শরীফ।” (বুখারী) তাহলে এরপরও কি করে বলা যেতে পারে যে, আল্লাহ পাক তিনি এককভাবে কোন পন্থা বা নিয়ম বলে দেননি?
প্রকৃতপক্ষে এরা ওই আয়াত শরীফ-এরই মিছদাক যে আয়াত শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তাদের অন্তর থাকা সত্ত্বেও তারা উপলব্ধি করতে পারেনা, তাদের চোখ থাকা সত্ত্বেও তারা দেখতে পায়না এবং তাদের কান থাকা সত্ত্বেও তারা শুনতে পায়না। তারা মূলত চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় বরং তার চাইতেও অধম এবং তারা গাফিল শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা আ’রাফ/১৭৯) হাদীস শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “সমস্ত আসমানী কিতাবে যা কিছু রয়েছে তা কুরআন শরীফ-এ রয়েছে। আর কুরআন শরীফ-এ যা রয়েছে তা সূরা ফাতিহাতে রয়েছে।”
আর আল্লাহ পাক তিনি সূরা ফাতিহাতে বলেন, তোমরা দোয়া করো- “(আল্লাহ পাক) আমাদের সরলপথ প্রদর্শন করুন।” সরলপথ কোনটি? এবং কাদের পথটা সরল পথ হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত? সে সম্পর্কে আল্লাহ পাক তিনি পরবর্তী আয়াত শরীফ-এ বলেন, “যাদেরকে নিয়ামত দেয়া হয়েছে উনাদের পথ।” অর্থাৎ আল্লাহ পাক তিনি যাঁদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন উনাদের পথকে সরলপথ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আল্লাহ পাক তিনি কাদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন? “আল্লাহ পাক তিনি নিয়ামত দিয়েছেন
যাঁরা নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ ও ছলেহ উনাদেরকে এবং উনারাই উত্তম বন্ধু বা সঙ্গী।” (সূরা নিসা/৬৯)
আল্লাহ পাক তিনি যাদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন উনারা হচ্ছেন দু’শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। প্রথম শ্রেণী হচ্ছেন নবী বা রসূল আলাইহিমুস সালামগণ। আর দ্বিতীয় শ্রেণী হচ্ছে ছিদ্দীক্ব, শহীদ, ছলেহ অর্থাৎ যারা বিলায়েতের হক্বদার অর্থাৎ আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। এক কথায় আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলে দিলেন, আমি নবী এবং আউলিয়া-কিরামগণকে যে পথ দিয়েছি সেটাই সরল পথ এবং সে পথই তোমরা তলব কর।
এর খিলাফ পথে চলতেও পারবেনা এবং তলবও করতে পারবে না। তাই আল্লাহ পাক তিনি সূরা ফাতিহার পরবর্তী আয়াত শরীফ-এ সেটা উল্লেখ করেছেন, তোমরা এ দোয়াও করবে, “আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তাদের পথ দিবেন না, যারা গযবপ্রাপ্ত ও পথহারা, (ইহুদী-নাছারা)।”
কুরআন শরীফ নাযিলের উছূল হচ্ছে, নুযূল খাছ হুকুম আম। অর্থাৎ আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে কোন উপলক্ষ নিয়ে কিন্তু তার হুকুম বলবৎ থাকবে ব্যাপকভাবে, ক্বিয়ামত পর্যন্ত।
অর্থাৎ সূরা ফাতিহাতে যদিও ইহুদী-নাছারাদের পথ থেকে পানাহ চাইতে বলা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে তা হচ্ছে ইহুদী-নাছারাদের সাথে সাথে হিন্দু, বৌদ্ধ, মজূসী, মুশরিক, বেদ্বীন, বদ দ্বীন, বিদয়াত, বেশরা, গোমরাহ ইত্যাদি সকল প্রকার লোকদের পথ থেকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি সত্যিই আমরা সূরা ফাতিহা মানি, স্বীকার করি এবং নামাযে প্রত্যেক রাকয়াতে তিলাওয়াত করে দোয়া করি তাহলে আমরা কি করে বিখ্যাত মুশরিক, মুসলিম বিদ্বেষী গান্ধী কর্তৃক উদ্ভাবিত ও প্রবর্তিত হরতাল জায়িয ও জরুরী বলে ফতওয়া দিতে পারি। প্রকৃতপক্ষে হরতালকে জায়িয ও জরুরী বলে ফতওয়া দেয়া কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, কোন মুসলমানদের জন্য কোন অবস্থাতেই বিধর্মীদের অনুসরণ-অনুকরণ করা জায়িয নেই।
যারা জায়িয ও জরুরী বলবে তাদের উপর কুফরীর ফতওয়া বর্তাবে। আর যে কুফরী করে সে মুরতাদ হয়ে যায়। আর মুরতাদের হুকুম হচ্ছে তওবা করার সময় তিনদিন; অন্যথায় শাস্তি মৃতুদণ্ড।
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
by Admin
|
posted: Friday, May 27, 2011
|
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মুহব্বতই হচ্ছে ঈমান।
আজ সুমহান ঐতিহাসিক ২২ জুমাদাল উখরা।
আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সুমহান ও পবিত্র বিছাল শরীফ-এর দিন
এ উপলক্ষে সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের পক্ষ থেকে পবিত্র মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও ওয়াজ শরীফ-এর মাহফিল করা সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব।
আর সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার জীবনী মুবারক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং সাথে সাথে উনার বিছাল শরীফ উপলক্ষে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী তিনিই ‘ছিদ্দীক্বে আকবর’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং এই ছিদ্দীক্বে আকবর লক্বব উনার একক বৈশিষ্ট্য। উনার মর্যাদা স^ল্প পরিসরে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। এমন কোন ভাষা নেই, যে ভাষায় উনার জীবনীগ্রন্থ রচিত হয়নি। তিনি ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ইসলামী জগতে এক নজিরবিহীন বিরল ব্যক্তিত্ব। নুবুওওয়াতের পর উনার ইমামত ও খিলাফত সকলেই বিনা দ্বিধায় মেনে নেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ‘তিরমিযী শরীফ’-এর হাদীছ শরীফ-এ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যেই জামায়াতে হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনি উপস্থিত থাকবেন সেখানে তিনি ব্যতীত অন্য কারো ইমামতি করা উচিত হবে না।
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমি আমার রব (আল্লাহ পাক উনাকে) ছাড়া যদি আর কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম তাহলে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকেই বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ২২শে জুমাদাল উখরা অর্থাৎ আজ শুক্রবার আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পবিত্র বিছাল শরীফ। যিনি আল্লাহ পাক উনার যমীনে হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের পর মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দা এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত। উনাকে মুহব্বত করা জুযে ঈমান। উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করলে হিদায়েত ও মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ করবে তাদের প্রতি সন্তুষ্ট আল্লাহ পাক স্বয়ং তিনি এবং তারাও আল্লাহ পাক উনার প্রতি সন্তুষ্ট।”
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আমার প্রত্যেক ছাহাবী তারকা সাদৃশ্য তাদের যে কাউকে যে কোন বিষয়ে যে কোন ব্যক্তি অনুসরণ করবে সে হিদায়েত পেয়ে যাবে।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযূর্গী সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণেই অনেকে উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই ফরয। কেননা যে বিষয়টা আমল করা ফরয সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোন আলোচনাই নেই। তাহলে মুসলমানগণ কি করে হাক্বীক্বী মুসলমান হবে? তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য অর্থাৎ ফরয হচ্ছে- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তকে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। উনার বিছাল শরীফ উপলক্ষে সরকারিভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সরকারের জন্য আরো দায়িত্ব-কর্তব্য অর্থাৎ ফরয হচ্ছে- উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা। কেননা পহেলা মে, বুদ্ধ পূর্ণিমা, দুর্গাপূজাসহ অন্যান্য দিনে মুসলিম বিশ্বে ছুটি দেয়া হয়; যার সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের কোন সম্পর্ক নেই এবং যা মুসলমানদের কোন প্রয়োজনও নেই। শুধু তাই নয়, বরং বিধর্মীদের বিশেষ দিনগুলি মুসলমানগণের জন্য পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়েয ও হারাম এবং ঈমান নষ্ট হওয়ারও কারণ। প্রকৃতপক্ষে মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিত ছিল মুসলিম ঐতিহ্য ও ইসলামী ফযীলতযুক্ত দিন যেমন, উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিননাস সালাম, আহলে বাইত শরীফ, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ সম্পর্কে অবগত থাকা। তার চেতনাবোধে ও মর্যাদা-মর্তবা অনুধাবনে অনুপ্রাণিত থাকা। এসব দিনের মর্যাদা-মর্তবা পালন এবং আমভাবে অনুধাবনের জন্যই দৈনিক আল ইহসান বন্ধ রাখা হয় এবং আজও বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও উনারই ফাযায়িল-ফযীলত ও ছানা-ছিফত প্রকাশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনায় দৈনিক আল ইহসান প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন অতি শীঘ্রই সবাই একই আদর্শ অনুসরণে এগিয়ে আসবেন ইনশাল্লাহ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ সুমহান ২২ জুমাদাল উখরা। আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সুমহান ও পবিত্র বিছাল শরীফ-এর দিন। এ উপলক্ষে সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের পক্ষ থেকে পবিত্র মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও ওয়াজ শরীফ-এর মাহফিলের আয়োজন করে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বেশি বেশি আলোচনা করা সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার জীবনী মুবারক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং সাথে সাথে উনার বিছাল শরীফ উপলক্ষে সরকারি ছুটির ঘোষণা করা।
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান
by Admin
|
posted: Wednesday, May 25, 2011
|
হযরত ফাতিমাতুয-যাহরা আলাইহাস সালাম, তিনি বিশ্বের সকল মহিলার সাইয়্যিদাহ, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার লখতে জিগার, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম, উনাদের সম্মানিতা মাতা, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার অত্যন্ত স্নেহময়ী কন্যা এবং উনার সর্বপ্রথম আহলিয়া হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম, উনার চার কন্যার একজন। রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সর্ব কনিষ্ঠা কন্যা ছিলেন। উনার পবিত্র মুখ মণ্ডল মুবারকের পবিত্রতম দীপ্তি ও লাবণ্যের কারণে উনাকে ‘‘আয-যাহরা’’ বলা হত।
অনেকের মতে তিনি নুবুওওয়াত প্রকাশের ৩ বৎসর পূর্বে ২০ জুমাদাল উখরা বিলাদত শরীফ লাভ করেন। যেমনিভাবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার কোন পুত্র সন্তানই জীবিত থাকেননি, তদ্রূপ উনার অপরাপর কন্যাদের থেকে উনার বংশীয় ধারা জারি না হয়ে। কেবল সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বংশধারা চালু হয়েছে। মূলত তিনি আহলে বাইত উনাদের অন্যতম।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলে বাইত সম্পর্কে ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট নুবুওওয়াতের দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাইনা। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইতগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা/২৩) এ আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় বিশ্বখ্যাত তাফসীর “তাফসীরে মাযহারী” ৮ম জিলদ ৩২০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “আমি তোমাদের নিকট প্রতিদান চাইনা তবে তোমরা আমার নিকটাত্মীয়, আহলে বাইত ও বংশধরগণ উনাদের (যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক) হক্ব আদায় করবে। কেননা, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন শেষ নবী। উনার পরে কোন নবী নেই।”
আহলে বাইত উনাদের ফযীলত সম্পর্কে “হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, একদা ভোরবেলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একখানা কাল বর্ণের পশমী নকশী কম্বল শরীর মুবারকে দিয়ে বের হলেন। এমন সময় হযরত ইমাম হাসান আলাইহাস সালাম তিনি সেখানে আসলেন, তিনি উনাকে কম্বলের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। তারপর হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আসলেন, উনাকেও ইমাম হাসান আলাইহাস সালাম উনার সাথে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম তিনি আসলেন উনাকেও তাতে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। তারপর হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আসলেন, উনাকেও তার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরআন শরীফ-এর এই আয়াত শরীফখানা পড়লেন, হে আমার আহলে বাইত! আল্লাহ তায়ালা আপনাদেরকে সকল প্রকার অপবিত্রতা থেকে মুক্ত রেখে পবিত্র করার মত পবিত্র করবেন।” (মুসলিম শরীফ)
হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে “হযরত সা’দ ইবনে আবূ ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, যখন (আস আমরা আহবান করি আমাদের সন্তানগণকে ও তোমাদের সন্তানগণকে) এ আয়াত শরীফ নাযিল হলো, তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম তিনি ও হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে ডাকলেন এবং বললেন, আয় আল্লাহ পাক! এরা সকলে আমার আহলে বাইত।” (মুসলিম শরীফ)
হাদীছ শরীফ-এ আরো উল্লেখ আছে “হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম তিনি আমার (দেহ মুবারকেরই) একটি টুকরা। যে উনাকে রাগান্বিত করবে, সে আমাকেই রাগান্বিত করলো।”(বুখারী, মুসলিম)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে “হযরত যায়িদ ইবনে আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ-এর মধ্যবর্তী ‘খোম’ নামক পানির নালার নিকট দাঁড়িয়ে আমাদেরকে খুৎবা দান করলেন। প্রথমে আল্লাহ পাক উনার হামদ ও ছানা বর্ণনা করলেন, এরপর ওয়াজ ও নছীহত করলেন, অতঃপর তিনি বললেন, সাবধান! হে লোক সকল! নিশ্চয়ই আমি একজন বাশার, অচিরেই আমার নিকট আল্লাহ পাক উনার দূত (হযরত মালাকুল মউত আলাইহিস সালাম) আসবে, তখন আমি আমার রব তায়ালা উনার আহবানে সাড়া দিব। আমি তোমাদের মাঝে দুটি মূল্যবান সম্পদ রেখে যাচ্ছি। তন্মধ্যে প্রথমটি হল, আল্লাহ পাক-উনার কিতাব, এর মধ্যে রয়েছে হিদায়েত ও নূর। অতএব, তোমরা আল্লাহ পাক-উনার কিতাবকে খুব মজবুতভাবে আঁকড়ে ধর এবং দৃঢ়তার সাথে তার বিধি-বিধান মেনে চল। (বর্ণনাকারী বলেন,) আল্লাহ পাক-উনার কিতাবের নিদের্শাবলী কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য তিনি খুব বেশি উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করলেন। অতঃপর বললেন, আর দ্বিতীয়টি হলো; আমার আহলে বাইত। আমি তোমাদেরকে আমার আহলে বাইত সম্পর্কে আল্লাহ পাক-উনার তরফ থেকে বিশেষ নছীহত করছি। আমি তোমাদেরকে আমার আহলে বাইত উনাদের সম্পর্কে আল্লাহ পাক-উনার তরফ থেকে বিশেষ নছীহত করছি।” (মুসলিম শরীফ)
মূলকথা হলো- সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম আহলে বাইত উনাদের অন্যতম। যিনি এই জুমাদাল উখরা মাসের ২০ তারিখ পবিত্র বিলাদত শরীফ লাভ করেন। শরীয়তের দৃষ্টিতে আহলে বাইত উনাদেরকে মুহব্বত করা ফরয। আর উনাদের প্রতি বিন্দু থেকে বিন্দুতম বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী। তাই সকলের জন্য বিশেষ করে মহিলাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও পরিপূর্ণ অনুসরণ অনুকরণ করা এবং মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের সন্তুষ্টি হাছিল করা।
by Admin
|
posted: Friday, May 06, 2011
|
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উনার নিকট সৃষ্টির নিকৃষ্ট প্রাণী হচ্ছে যারা কাফির তারা।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ফাসিকের প্রশংসা করলেই আল্লাহ পাক তিনি এত অসন্তুষ্ট হন যে, যার ফলে আরশে আযীম পর্যন্ত ভয়ে থরথর করে কেঁপে উঠে।
তাহলে অসংখ্য খোদাদ্রোহী লেখার জনক, কাট্টা ইসলাম বিরোধী, মুশরিক রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে-
বাংলাদেশের সরকারের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয় করে তিনদিন ব্যাপী রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা কতটুকু অসন্তুষ্টি ও গুনাহর কারণ তা চিন্তা করতে হবে।
অতএব, ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে কাট্টা ইসলাম বিরোধীদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠান করা অবিলম্বে পরিহার করতে হবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আশ্চর্যের বিষয় রবীন্দ্রনাথ কাট্টা ইসলাম বিরোধী এবং ইসলাম ধর্মের অবমাননাকারী ব্যক্তিদের একজন। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ তার ‘বীর গুরু’ প্রবন্ধে কালিমা শরীফ-এ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক থাকা নিয়ে কটাক্ষ করেছে। সে বলেছে, “দেব-দৈত্য সকলেই নিজের উপাসনা প্রচলিত করিতে চায়; গোরখনাথ রামানন্দ প্রভৃতি ধর্মমতের প্রবর্তকেরা নিজে নিজে এক-একটা পন্থা বাহির করিয়া গিয়াছেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিবার সময়ে মুহম্মদ নিজের নাম উচ্চারণ করিতে আদেশ করিয়া গিয়াছেন।” এছাড়াও তার রচিত ‘গোরা’ অপন্যাসে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে চরম আপত্তিজনক মন্তব্য করেছে। সে বলেছে, “ভালো মানুষী ধর্ম নয়; তাতে দুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে তোলে। তোমাদের ‘মুহম্মদ’ সে কথা বুঝতেন, তাই তিনি ভালো মানুষ সেজে ধর্মপ্রচার করেননি।” নাঊযুবিল্লাহ! এ ধরনের বক্তব্য যে দেয়, একজন মুসলমান তাকে কি করে শ্রদ্ধা করতে পারে? আর এই ইসলাম অবমাননাকারী রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার কিভাবে রাষ্ট্রীয় খরচে তিনদিন ব্যাপী রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে?
আসন্ন ৭ই মে রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৯৭ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে বিভিন্ন হারাম উৎসবের আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা ব্যক্ত করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত স্থান শিলাইদহ, শাহজাদপুর, পতিসর দক্ষিণ ডিহিতে বাংলাদেশের শিল্পীদের উদ্যোগে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সকল জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের আয়োজিতব্য অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সরকারের উপর মহল থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি বেতার, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মুশরিক রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ দেশের অসংখ্য লোক তিন বেলা ডাল-ভাত খেতে পারে না। এদেশের অসংখ্য লোক মোটা কাপড়ও ঠিকমতো পরিধান করতে পারে না। তাহলে এদেশেরই জনগণের অর্থ দিয়ে কাট্টা ইসলাম বিরোধী রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মোৎসব অনুষ্ঠানে সরকার কি করে এত টাকা খরচ করতে পারে?
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ ফরমান, “হারাম থেকে হারামের সৃষ্টি হয়ে থাকে।” রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীর হারাম অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে সরকারকে অসংখ্য হারাম কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে, যা সরকারের জন্য পরকালে কাল হয়ে দাঁড়াবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “প্রত্যেকেই রক্ষক তার রক্ষিত বিষয়ে সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতে হবে।” তাই সরকার ক্ষমতাবলে হারাম কাজের আয়োজন করলেও তার মনে রাখা প্রয়োজন, আখিরাতে এজন্য তাকে কঠিন জবাবদিহি করতে হবে, আযাব-গযবে গ্রেফতার হতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সরকারের উচিত হবে রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীতে সরকারি উদ্যোগ সম্পূর্ণ বাতিল করে আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অসন্তুষ্টি থেকে নিজে বাঁচা ও ৯৭ ভাগ মুসলমানদের বাঁচানো।
by Admin
|
posted: Tuesday, April 26, 2011
|
আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা নামায আদায়ে যত্নবান হও।
আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদের জন্য যেসব বিষয় ফরযে আইন করে দিয়েছেন নামায হলো তারমধ্যে অন্যতম।
ঈমানের পরেই নামাযের স্থান। অর্থাৎ নামায দ্বীনের দ্বিতীয় স্তম্ভ বা খুঁটি।
যে ব্যক্তি নামায আদায় করলো সে তার দ্বীনকে রক্ষা করলো।
আর যে ব্যক্তি নামায ছেড়ে দিল সে তার দ্বীনকে ধ্বংস করে ফেললো।
তাই প্রত্যেক মুসলমান নর-নারী যাদের উপর নামায ফরয, তাদের জন্য ফরয হচ্ছে যথাযথভাবে নামায আদায় করা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন- “তোমরা নামায আদায়ে যত্নবান হও।” (সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ২৩৮)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদিন নামাযের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি যথাযথভাবে নামায আদায় করবে ক্বিয়ামতের দিন তা তার জন্য নূর, দলীল ও নাজাতের কারণ হবে। আর যে ব্যক্তি নামায আদায়ের ব্যাপারে যতœবান হবে না, তার জন্য নামায নূর, দলীল ও নাজাতের কারণ হবে না। বরং সে ব্যক্তি ক্বিয়ামতের দিন কারূন, ফিরআউন, হামান ও উবাই বিন খলফের (যারা ছিল কাট্টা কাফির ও মুনাফিক) সঙ্গী হবে। অর্থাৎ সে জাহান্নামী হবে।” (আহমদ, দারিমী, বায়হাক্বী, মিশকাত) এ আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারাই নামায আদায়ের গুরুত্ব যে কত বেশি তা অনুধাবন করা যায়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, দৈহিক ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত হলো নামায। ইসলামে সব আমলের পূর্বে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুষ্ঠানিক নুবুওওয়াত ঘোষণার একাদশতম বছরে নামায ফরয হয়। অন্যান্য সব ইবাদতের বিধান ফেরেশতাদের মাধ্যমে পৃথিবীত পাঠিয়ে জারি করা হয়েছে। কিন্তু নামায আল্লাহ পাক তিনি উনার পেয়ারা হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আরশে আযীমের বহু ঊর্ধ্বে, কা’বা ক্বাওসাইন-এর বর্ণনাতীত, অচিন্তনীয় মাক্বামে আহবান করে হাদিয়াস্বরূপ দিয়েছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, একদল ফেরেশতা রুকু করেন। একদল করেন সিজদা। একদল করেন ক্বিয়াম। কোনো দল পাঠ করেন ক্বিরাত। কোনো দল তাশাহহুদ পড়ার জন্য বসার ন্যায় বসে আছেন। উনাদের একদল অপরদলের আমল করতে পারেন না। আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের কৃত বিভিন্ন আমলকে এ উম্মতের এক রাকায়াত নামাযের মধ্যেই সন্নিবেশিত করে দিয়েছেন। তাই নামায একটি সমন্বিত আমল, পূর্ণাঙ্গ ইবাদত। এর মধ্যে রয়েছে পবিত্রতা, বিশুদ্ধতা ক্বিবলামুখী হওয়া, তাকবীরে তাহরীমা, অন্যান্য তাকবীরসমূহ, ক্বিরাত, রুকু, সিজদা, তাসবীহ, দোয়া, দুরূদ শরীফ, একাগ্রচিত্ততা, বিনয়-নম্রতা এগুলোর প্রত্যেকটি একেকটি ইবাদত। এগুলোকে আল্লাহ পাক তিনি কতইনা সুন্দররূপে নামাযের ভিতরে সন্নিবেশিত করে দিয়েছেন। আর এই নামাযের অভ্যন্তরে রয়েছে শিফা, বরকত ও কামালিয়াত। তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নামাযকে বলেছেন কুররাতুল আইন অর্থাৎ চোখের শীতলতা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন- “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম এবং অনুসারীদেরকে নামাযের জন্য নির্দেশ করুন এবং তার উপর ধৈর্যধারণ বা অটল থাকতে বলুন।” (সূরা ত্বা-হা : আয়াত শরীফ ১৩২)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ফরয, নামাযের গুরুত্ব ও ফযীলত অনুধাবন করে তা নিজে আদায় করার সাথে সাথে তার পরিবারবর্গ বা অধীনস্থদেরকে আদায় করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কেননা আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, জাহান্নামের আগুন থেকে তোমরা নিজে বাঁচো এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনদেরকে বাঁচাও। (সূরা আত তাহরীম : আয়াত শরীফ ৬)
অতএব প্রত্যেক মু’মিন-মুসলমান নর-নারীর উচিত নামায সম্পর্কে জরুরত আন্দাজ ইলম অর্জন করে সঠিকভাবে নামায আদায় করার মাধ্যমে আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি হাছিলের কোশেশ করা।
তথ্য সূত্র: আল ইহসান
by Admin
|
posted: Monday, March 14, 2011
|
রবীউছ ছানী মাস অত্যন্ত বরকত ও ফযীলতপূর্ণ মাস। এই মাসেই মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত শায়খ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন।
গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত শায়খ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিলাদত শরীফ থেকে বিছাল শরীফ পর্যন্ত আমরা যে ওয়াকিয়া বা ইতিহাস দেখতে পাই; তার মধ্যে হাজারো নছীহত বা ইবরত রয়ে গেছে। আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “সাবধান! নিশ্চয় যাঁরা আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোনো ভয় নেই এবং চিন্তা-পেরেশানীও নেই।”
গাউছুল আ’যম, বড়পীর ছাহেব হযরত শায়খ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে পূর্ববর্তী আউলিয়ায়ে কিরামগণ ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। আওলাদে রসূল এবং আহলে বাইত উনাদের অন্তর্ভুক্ত হযরত ইমাম জাফর সাদিক আলাইহিস সালাম (যিনি হযরত ইমাম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পীর সাহেব বা শায়খ বা মুর্শিদ ছিলেন) উনি উনার ‘কাশফূল গুয়ুব’ নামক কিতাবে লিপিবদ্ধ করেন যে, এক বিশেষ রূহানী মজলিসে আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আগমনের সংবাদ দান করেন। আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলেন যে, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের শাহাদাতের পর আমি আমার উম্মতের কথা ভেবে চিন্তিত হলে আল্লাহ পাক তিনি উনার দুই মাহবুব বান্দা দ্বারা আমাকে সুসংবাদ দান করেন। সেই দুই মাহবুব বান্দার অন্যতম একজন মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি। সুবহানাল্লাহ!
হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে, “প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের ইছলাহর জন্য এমন লোক প্রেরণ করবেন, যিনি দ্বীনের সংস্কার করবেন।” অর্থাৎ বিদয়াত, বেশরা এবং শরীয়ত বিগর্হীত কাজগুলোর সংশোধন করবেন।
সেই রকম একজন খাছ ও বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ হলেন- গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ৪৭১ হিজরীতে পহেলা রমাদ্বান শরীফ, সোমবার শরীফ-এ পবিত্র জিলান নগরে বিলাদত শরীফ লাভ করেন। জিলান নগরীটি তৎকালে ইরানে অবস্থিত ছিলো। বিখ্যাত ওলীআল্লাহ, সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্বন্ধে জানা যায় যে, তিনি একদিন মুরাকাবার হালতে ছিলেন, হঠাৎ বলে উঠলেন, “উনার ক্বদম মুবারক আমার গর্দানের উপর।” এই বলে তিনি ঘাড় নত করলেন। লোকেরা কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ৫০০ হিজরীতে হযরত আব্দুল কাদির রহমতুল্লাহি আলাইহি নামে একজন বিখ্যাত ওলীআল্লাহ বিলাদত শরীফ লাভ করবেন। উনার উপাধি হবে মুহিউদ্দীন। আল্লাহ পাক উনার হুকুমে তিনি বলবেন, “সকল ওলীগণ উনাদের গর্দানের উপর আমার ক্বদম।”
গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পিতার দিক থেকে হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং মাতার দিক থেকে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের বংশধর অর্থাৎ আওলাদে রসূল। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতার নাম মুবারক হযরত সাইয়্যিদ আবু ছালেহ মুসা জঙ্গী দোসত রহমতুল্লাহি আলাইহি। যেহেতু তিনি যুদ্ধ প্রিয় ছিলেন সেহেতু উনাকে জঙ্গী দোসত বলা হয়। আর উনার মাতার নাম মুবারক হযরত উম্মুল খায়ের আমাতুল জাব্বার ফাতিমা রহমতুল্লাহি আলাইহা।
একবার কিছু লোক এসে গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞেস করলো, হুযূর! আমরা শুনেছি, আপনি নাকি মুজাদ্দিদুয যামান? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর জিজ্ঞেস করলো, আপনি নাকি সুলত্বানুল আরিফীন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আবার জিজ্ঞেস করলো, আপনি নাকি কুতুবুল আলম? তিনি বললেন হ্যাঁ। অতঃপর জিজ্ঞেস করলো, আপনি নাকি গাউছুল আ’যম? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর সকলেই নিশ্চুপ হয়ে গেলো।
তখন গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তোমরা কি আমার সম্পর্কে আর কিছুই শুনোনি? জেনে রাখো, তোমরা আমার সম্পর্কে যা শুনেছো তারও উপরে, তারও উপরে, তারও উপরে আমার মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ!
‘বাহজাতুল আসরার’ নামক কিতাবে হযরত শায়খ শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৫৬০ হিজরীর রবীউল আউয়াল শরীফ মাস হতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন।
‘তাওয়ারিখে আউলিয়া’ নামক কিতাবে হযরত শায়খ আব্দুল ফতেহ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, রোববার দিবাগত রাত্রে অর্থাৎ সোমবার রাত্রে গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গোসল করেন। গোসলান্তে ইশার নামায আদায় করে তিনি উম্মতে হাবীবীগণের গুনাহখাতা মাফের জন্য ও তাদের উপর খাছ রহমতের জন্য দোয়া করলেন। এরপর গায়েব হতে আওয়াজ আসলো, “হে প্রশান্ত নফস, আপনি সন্তুষ্টচিত্তে, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত হয়ে নিজ প্রতিপালক উনার দিকে প্রত্যাবর্তন করুন। আপনি আমার নেককার বান্দার মধ্যে শামিল হয়ে যান এবং বেহেশতে প্রবেশ করুন।” এরপর তিনি কালিমা শরীফ পাঠ করে তাআজ্জাজা (অর্থ বিজয়ী হওয়া) উচ্চারণ করতে লাগলেন এবং তিনি আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ বললেন। এরপর জিহ্বা মুবারক তালু মুবারক-এর সাথে লেগে গেলো। এভাবে ৫৬১ হিজরীর ১১ই রবীউছ ছানী মাসের সোমবার শরীফ-এ গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি আল্লাহ পাক উনার মহান দরবারে প্রত্যাবর্তন করলেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) আর এ দিনটিই সারাবিশ্বে ‘পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াজদাহম’ নামে মশহুর। ১৪৩২ হিজরীর জন্য আগামী ১৭ই মার্চ বৃহস্পতিবার পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াজদাহম।
গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী মুবারক-এ অনেক নছীহত ও ইবরত রয়ে গেছে। আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এর ‘সূরা ইউসূফ’ বর্ণনা করার পর বলেন, “নিশ্চয় এই ঘটনার মধ্যে জ্ঞানীগণের জন্য রয়েছে নছীহত।” এ আয়াত শরীফ থেকে ছাবিত করা হয় যে, পরবর্তী লোকদের জন্য পূর্ববর্তী লোকদের ঘটনাগুলি ইবরতস্বরূপ। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জেনে উনাকে মুহব্বত ও অনুসরণ করে আল্লাহওয়ালা হওয়ার কোশেশ করা এবং পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াজদাহম উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারসহ পৃথিবীর সকল দেশের সরকারের উচিত- যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে এ দিনটি পালন করা এবং এ দিনের সম্মানার্থে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা
by Admin
|
posted: Tuesday, February 15, 2011
|
মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার যিকিরকে বুলন্দ করেছি।” (সূরা আলাম নাশরাহ ৪)
কাজেই মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন। সেখানে তাঁর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করা উম্মতের জন্য যে কতটুকু জরুরী, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কেননা আল্লাহ পাক আদেশ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার হাবীব-এর প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ কর।”
আল্লাহ পাক-এর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করার ফযিলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার ছলাত-সালাম পাঠ করেব, আল্লাহ পাক তার প্রতি দশটি রহমত নাযিল করবেন।” (মুসলিম শরীফ)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আল্লাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার ছলাত (দরূদ শরীফ) পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন এবং তার দশটি গুনাহ্ ক্ষমা করবেন এবং তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।” (নাসাঈ শরীফ)
ছলাত-সালাম পাঠ করার ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ঐ ব্যক্তিই ক্বিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যে আমার প্রতি বেশী বেশী ছলাত (দরূদ শরীফ) পাঠ করবে।” (তিরমিযী শরীফ)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নিশ্চয়ই দোয়া আকাশ ও যমীনের মধ্যখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। তোমরা রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ না করা পর্যন্ত দোয়া মোটেও উপরে উঠবে না।” (তিরমিযী শরীফ)
আর ইমাম, মুজতাহিদগণ বলেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি জীবনে একবার ছলাত-সালাম পাঠ করা ওয়াজিব। এরপর প্রতিবার হযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক শুনে ছলাত-সালাম পাঠ করা মুস্তাহাব।” (তাফসীরে রহুল বয়ান)
কাজেই শুধুমাত্র ছলাত বা সালাম পাঠ করা মাকরূহ অর্থাৎ ছলাত ও সালাম উভয়টাই পাঠ করতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদেরকে প্রতিটি মুহুর্তে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করার তৌফিক দান করুন। আমিন
by Admin
|
posted: Monday, February 14, 2011
|
মুসলমানদের দ্বীন ‘ইসলাম’। ইসলাম এসেছে ‘সলম’ ধাতু থেকে। যার অর্থ শান্তি। কাজেই মুসলমানদের উপর শান্তির সব নিয়ামতই বিরাজমান। মুসলমান স্বামী-স্ত্রী যে অভাবিত শান্তিতে থাকে ও ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকে তা ইহুদী-খ্রিস্টান তথা পাশ্চাত্য বিশ্ব কল্পনাও করতে পারে না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি রহমানুর রহিম। আর রেহেম শব্দের এক অর্থ হলো বন্ধন। অর্থাৎ মুসলমান স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রহমানুর রহিম উনার রহমতে যে রেহেম বা বন্ধন তৈরি হয় তা বিধর্মীদের জীবনে বিরল। কারণ, এটা খোদায়ী নিয়ামত আর মুসলমান স্বামী-স্ত্রীই কেবল সে নিয়ামত পেয়ে থাকে।
ইসলাম প্রতিটি দিনে প্রতিটি মুহূর্তেই স্বামী-স্ত্রীর প্রতি অগাধ ভালবাসার প্রেরণা দেয়। হাদীছ শরীফ-এ স্ত্রীর প্রতি ভালবাসার চেতনা ও প্রেরণা দিয়ে বলা হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।” আবার স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালবাসা ও শ্রদ্ধার নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, “আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া যদি অন্য কাউকে সিজদা করা জায়িয হতো তবে আমি স্ত্রীদের বলতাম তারা যেনো স্বামীদের সিজদা করে।”
হাদীছ শরীফ-এ সব সময়ই স্ত্রীদের সাথে হাসিমুখে কথা বলা, স্ত্রীর দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকানোর জন্য, স্ত্রীর কাজে সাহায্য করার জন্য, স্ত্রীকে ক্ষমা করার জন্য, স্ত্রীকে সম্মান দেয়ার জন্য বিশেষভাবে বলা হয়েছে। অপরদিকে স্বামীর খিদমত, সম্মান, কথানুযায়ী চলার জন্য স্ত্রীদেরকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মুসলমান স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ইসলামী আদর্শের কারণে যে অগাধ মুহব্বত থাকে তা ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মী অর্থাৎ পশ্চিমা বিশ্ব ও এদেশীয় পশ্চিমা এজেন্টরা কল্পনাই করতে পারে না ও পারবে না। বরং তারা তার বিপরীত আযাব-গযব তথা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া-ফাসাদ ও ভালবাসাহীনতায় ভুগে। তাদের সে ভালবাসাহীন যন্ত্রণাকাতর দগ্ধ জীবনে একটু ভালবাসার চেতনার জন্যই মুলত তারা তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের উদ্ভব ঘটিয়েছে।
তথাকথিত ভালবাসা দিবস পালন মূলত অভালবাসা তথা নোংরামীর বিস্তার ঘটায়। পাশ্চাত্যে ভালবাসা দিবস প্রচলনের পেছনে ছিলো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ। পাশাপাশি এদেশে তা প্রবর্তনের পেছনে আছে পাশ্চাত্য গোলাম শফিক রেহমান ও ইহুদী খ্রিস্টানদের সুদূর প্রসারী ইসলাম বিরোধী স্বার্থ। এটা এদেশে মুসলমানিত্ব নির্মূলের গভীর ষড়যন্ত্র।
পশ্চিমাদের খাছ গোলাম শফিক রেহমান পশ্চিমাদের কাছে আরো প্রিয় এবং এদেশের হুজুগে মাতা বাঙালিদের কাছে একটি তথাকথিত সংস্কৃতির প্রচলনের প্রবক্তা সাজার উদ্দেশ্যে ও তার কাঙ্খিত বাহবা ক-ড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে তার সাপ্তাহিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার মাধ্যমে তথাকথিত ভালবাসা দিবসের প্রবর্তন ঘটিয়েছে। তবে শুধু শফিক রেহমানই নয় এর পেছনে সুযোগ-সন্ধানী ইসলামবিদ্বেষী মহলের বিবিধ স্বার্থ কাজ করেছে, করছে।
ভালবাসা দিবস-এর ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে এনসাইক্লোপিডিয়া সহ আরো বহু রেফারেন্স থেকে জানা যায়, “রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। চিকিৎসা বিদ্যায় সে ছিলো অভিজ্ঞ। খ্রিস্টধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। সে যখন বন্দি ছিলো তখন তরুণ-তরুণীরা তাকে ভালবাসা জানিয়ে জেলখানায় জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিতো। বন্দি অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করে। মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে সে লিখে যে, “ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন।” অনেকের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।
বর্ণিত ইতিহাস দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, তথাকথিত ভালবাসা দিবস কখনোই এদেশীয় অর্থাৎ বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিলো না। আর মুসলমানদের সংস্কৃতিতো নয়ই। বরং তা সম্পূর্ণরূপেই বিজাতীয়, বিধর্মীয় তথা, পশ্চিমা ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত নিয়মনীতি, তর্জ-তরীক্বা যা অনুসরণ করা মুসলমানদের জন্য কাট্টা হারাম ও শক্ত কবীরা গুনাহ। এছাড়া তথাকথিত ভালবাসা দিবসের নামে মূলত চলে বেপর্দা-বেহায়াপনার নির্লজ্জ উৎসব। যাতে ইবলিস শয়তানের ওয়াসওয়াসা থাকে ও নফস বা প্রবৃত্তির উদ্দামতা যুক্ত হয়। যা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ মুতাবিক শক্ত কবীরাহ গুনাহ এবং পরকালে এসব কাজের জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে তথা জাহান্নামে যেতে হবে। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” অর্থাৎ যারা কথিত ভালোবাসা দিবস পালন করবে তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
মূলকথা হলো- যারা ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ পালন করবে তারা কুফরী করবে। কারণ ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস সম্পূর্ণরূপেই ইহুদী-নাছারা, মজুসী-মুশরিক তথা কাফিরদের প্রবর্তিত নিয়মনীতি বা তর্জ-তরীক্বা। যা মুসলমানদের মুসলমানিত্ব নির্মূলের গভীর ষড়যন্ত্রও বটে। তাই মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ভ্যালেন্টাইন ডে’সহ সর্বপ্রকার কুফরী প্রথা থেকে বিরত থাকা ।
by Admin
|
posted: Monday, February 07, 2011
|
সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন কোনো দিন আসেনি এবং আসবে না যে দিনটি ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ-এর চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ।
সেই মহান দিন এবং মহান মাসের সম্মানার্থে সে দিনের এবং সে মাসের নিয়ামত, রহমত, সাকীনা হাছিলের লক্ষ্যে সকল মুসলিমবিশ্ব তো অবশ্যই, সকল কায়িনাতের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা উচিত। অথচ সউদী আরবসহ অনেক মুসলিম দেশে শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস সঠিক তারিখে শুরু হওয়া নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ‘সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন কোনো দিন আসেনি এবং আসবে না, যে দিনটি ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ-এর চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ। সেই মহান দিন এবং মহান মাসের সম্মানার্থে সে দিনের এবং সে মাসের নিয়ামত, রহমত, সাকীনা হাছিলের লক্ষ্যে সকল মুসলিমবিশ্ব তো অবশ্যই, সকল কায়িনাতের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা উচিত। অথচ সউদী আরবসহ অনেক মুসলিম দেশে শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস সঠিক তারিখে শুরু হওয়া নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে শুরু করার বিষয়ে বিশ্বের সব মুসলিম দেশের যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত বলে নছীহত প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা সকল মুসলমান, জিন-ইনসান তো অবশ্যই, কুল-কায়িনাতের জন্য ফরয। যে বিষয়টি ফরয তার আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ইলম হাছিল করাও ফরয। শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল মাস অতি সন্নিকটে। অথচ মুসলিম বিশ্ব যেনো এখনো ঘুমের ঘোরে আচ্ছন্ন। আজকে মুসলমানগণের অবস্থান পিছনে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে মুসলমানগণ ইসলাম থেকে সরে এসেছে। সর্বোপরি যিনি নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল উনার অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর সুমহান দিন, সুমহান তারিখ, সুমহান মাসের এবং সর্বোপরি সুন্নাহ শরীফ অনুসরণের ব্যাপারে যতোটা গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন ছিলো, সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। মুসলমানগণ যদি ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল দিন ফিরে পেতে চায়, তবে অবশ্যই সাইয়্যিদুল আই’য়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথেষ্ট মর্যাদার সাথে, মুহব্বতের সাথে, আগ্রহের সাথে, আদবের সাথে পালন করতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সউদী আরবের ওহাবী সরকার ইসলামের কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে তাদের মধ্যে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ব্যাপারে যথেষ্ট উদাসীনতা ও অনীহা রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সউদী আরবের ওহাবী সরকার ১৪৩২ হিজরী সনের ছফর মাস শুরু করেছিলো বাংলাদেশের ২ দিন পূর্বে চাঁদ না দেখেই। অর্থাৎ বাংলাদেশে সঠিক গণনা অনুযায়ী ছফর মাস শুরু হয়েছিলো ৭ জানুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, শুক্রবার থেকে। আর সউদী আরবের ওহাবী সরকার মনগড়াভাবে শুরু করেছিলো ৫ জানুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, বুধবার থেকে। সউদী আরবের ওহাবী সরকার ১৪৩২ হিজরীর পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করবে আজ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, বুধবার অর্থাৎ চাঁদ অমাবস্যায় যাওয়ারও ১ দিন পূর্বে। ২ ফেব্রুয়ারি নতুন চাঁদ দেখা তো যাবেই না বরং ছফর মাসের চাঁদ সকালে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সউদী প্রেস এজেন্সির ওয়েব সাইটের আরবী ভার্সনে ২০১১ ঈসায়ী সনের ৩১ জানুয়ারি তারিখকে দেখানো হয়েছে ২৭ ছফর। অথচ ইংরেজি ভার্সনে ৩১ জানুয়ারি তারিখকে দেখানো হয়েছে ২৫ ছফর।
শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস মনগড়াভাবে গণনা শুরু করে মহাপবিত্র ১২ রবীউল আউয়াল শরীফ অর্থাৎ সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিয়ামত, বারাকাত, ফুয়ূজাত, সাকীনা হতে মুসলমানদেরকে মাহরূম করার উদ্দেশ্যে সউদী আরবের ওহাবী সরকার এরূপ জালিয়াতি করেছে।
সউদী প্রেস এজেন্সির ওয়েব সাইটের ইংরেজি ভার্সনে উল্লিখিত তারিখ সঠিক; সে অনুযায়ী চাঁদ তালাশ করে মাস শুরু করলে সঠিকভাবে শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস শুরু হতো। কিন্তু সউদী ওহাবী সরকার তা করবে না। আর আরবী ভার্সনে উল্লিখিত তারিখটি মনগড়া। তবে সউদী সরকার তাদের অফিসিয়াল তারিখ হিসেবে আরবী ভার্সনের তারিখকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকে; তাই সে জালিয়াতি হিসাব অনুযায়ী সউদী আরব চাঁদ তালাশ করবে আজ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, বুধবার। কিন্তু ২ ফেব্রুয়ারি চাঁদ দেখা যাওয়া তো দূরের কথা, অমাবস্যাই সংঘটিত হবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাংলাদেশে পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, শুক্রবার দিবাগত সন্ধ্যায়। সেদিন (৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, শুক্রবার) চাঁদের বয়স হবে ৩৬ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট। দিগন্ত রেখার প্রায় ১৫ ডিগ্রি উপরে থাকবে চাঁদের অবস্থান এবং কৌণিক দূরত্ব হবে ১৭ ডিগ্রির বেশি। সূর্যাস্ত যাওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা ১৪ মিনিট পর চাঁদ অস্ত যাবে। সুতরাং আকাশ পরিষ্কার থাকলে চাঁদ দেখা যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, বুধবার হবে মহাপবিত্র ১২ রবীউল আউয়াল শরীফ অর্থাৎ সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
by Admin
|
posted: Wednesday, February 02, 2011
|
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ উপলক্ষে প্রকাশিত
পোষ্টার, স্ক্রিনসেভার, ওয়ালপেপার সমুহ ডাউনলোড করুনwww.uswatun-hasanah.net
by Admin
|
posted: Monday, January 31, 2011
|
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ উপলক্ষে প্রকাশিত
পোষ্টার, স্ক্রিনসেভার, ওয়ালপেপার সমুহ ডাউনলোড করুনwww.uswatun-hasanah.net
by Admin
|
posted: Monday, January 24, 2011
|
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ করে; আল্লাহ পাক তিনি তাদের প্রতি সন্তুষ্ট।
‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ পালন করা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সুন্নত-এর অন্তর্ভুক্ত। এটাকে বিদয়াত বলা গুমরাহী বৈ কিছুই নয়।
এ বছর ২রা ফেব্রুয়ারী ‘বুধবার দিন’ হচ্ছে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ তাই বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের উচিত এ দিনের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা করা এবং যথাযথ মর্যাদার সাথে এ মুবারক দিনটি পালনের সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণসহ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে সমস্ত মুসলমানদেরকেসহ সরকারকে- মুসলমানদের ঈমানের মূল এবং সমস্ত কায়িনাতের রহমত ও নাজাতের মূল আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অকল্পনীয় ও বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা এবং ফাযায়িল-ফযীলতই শুধু নয় পাশাপাশি উনার সাথে সম্পৃক্ত বিশেষ দিন ও ঘটনা সম্পর্কেও বিশেষভাবে অবগত হতে হবে এবং অত্যন্ত আদব ও মুহব্বতের সাথে উনার হক্বও বিশেষভাবে পালন করতে হবে।
আসন্ন পবিত্র ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ উপলক্ষে এক আলোচনা মজলিসে রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যথাযথ তা’যীম-তাকরীমের মাঝেই মাখলুকাতের কামিয়াবী নিহিত। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যারা উনার প্রতি ঈমান আনবে, উনাকে তা’যীম করবে এবং উনার উপর অবতীর্ণ কুরআন শরীফ-এর অনুসরণ করবে উনারাই হবে সফলকাম।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ইজমা হয়েছে যে, “যমীনের যে মাটি মুবারক আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বদম মুবারক স্পর্শ করেছে তার মর্যাদা আরশে আযীমের চেয়েও লক্ষ-কোটি গুন বেশি।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শ পাওয়ার কারণে মাটি মুবারক-এর যদি এতো মর্যাদা-মর্তবা হয়ে থাকে; তাহলে যে তারিখে, যে দিবসে, যে মাসে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সে তারিখ, সে দিবস ও সে মাসের মর্যাদা-মর্তবা কতটুকু হবে সেটা খুব সহজেই অনুধাবনীয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পূর্বে আখিরী চাহার শোম্বাহ বিশেষ তাৎপর্যমণ্ডিত ও ফযীলতপূর্ণ ঘটনা। তাই সব মুসলমানেরই উচিত এ দিনের ফযীলত হাছিল করা ও আমল করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ‘আখির’ শব্দটি আরবী। এর অর্থ- শেষ। আর ‘চাহার শোম্বাহ’ হচ্ছে ফারসী শব্দ। এর অর্থ- বুধবার। আরবী ও ফারসী শব্দের সংমিশ্রণে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ বলতে ছফর মাসের শেষ বুধবারকে বুঝানো হয়ে থাকে। মূলত এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর জন্য মহা খুশির দিন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ মুবারক দিনটির ফযীলত সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পূর্ববর্তী মাসের অর্থাৎ ছফর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তিনি ভীষণভাবে অসুস্থতা অনুভব করেন। দিন দিন উনার অসুস্থতা বাড়তেই থাকে। কিন' ছফর মাসের ২৯ তারিখ বুধবার দিন ভোর বেলা ঘুম থেকে জেগে তিনি বললেন, ‘আমার নিকট কে আছেন?’ এ কথা শুনামাত্রই উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ছুটে আসলেন এবং বললেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আমি হাযির আছি।’ তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘হে আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আমার মাথা মুবারক-এর ব্যথা দূর হয়ে গেছে এবং শরীর মুবারকও বেশ হালকা মনে হচ্ছে। আমি আজ বেশ সুস্থতা বোধ করছি।’ সুবহানাল্লাহ! এ কথা শুনে হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হলেন এবং তাড়াতাড়ি পানি আনয়ন করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাথা মুবারক ধুয়ে দিলেন এবং সমস্ত শরীর মুবারক-এ পানি ঢেলে ভালোভাবে গোসল করিয়ে দিলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এই গোসলের ফলে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম উনার শরীর মুবারক হতে বহু দিনের অসুস্থতাজনিত অবসাদ অনেকাংশে দূর হয়ে গেলো। তারপর উনি বললেন, ‘হে আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! ঘরে কোনো খাবার আছে কি?’ তিনি জবাব দিলেন, ‘জী-হ্যাঁ, কিছু রুটি পাকানো আছে।’ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘আমার জন্য তা নিয়ে আসুন আর হযরত মা ফাতিমা আলাইহাস সালাম উনাকে খবর দিন, তিনি যেনো উনার আওলাদগণ উনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে তাড়াতাড়ি আমার নিকট চলে আসেন।’ হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম উনাকে সংবাদ দিলেন এবং ঘরে যে খাবার তৈরি ছিলো তা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পরিবেশন করলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম উনার আওলাদগণ উনাদেরকে নিয়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটে হাযির হলেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত মা ফাতিমা আলাইহাস সালাম উনাকে নিজের গলা মুবারক-এর সাথে জড়িয়ে স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিলেন, নাতিগণ উনাদের কপাল মুবারক-এ চুমো খেলেন এবং উনাদেরকে সাথে নিয়ে আহারে বসলেন। কয়েক লোকমা খাবার গ্রহণ করার পর অন্যান্য উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা খিদমতে এসে হাযির হলেন। অতঃপর পর্যায়ক্রমে বিশিষ্ট ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারাও বাইরে এসে হাযির হন। কিছুক্ষণ পর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বাইরে এসে উনাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘হে ছাহাবীগণ! আমার বিদায়ের পর আপনাদের অবস্থা কিরূপ হবে?’ এ কথা শুনে ছাহাবীগণ উনারা ব্যাকুলচিত্তে কান্না শুরু করলেন। উনাদের এ অবস্থা দেখে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদেরকে সান্ত্বনা দান করলেন। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মসজিদে নববী শরীফ-এ ওয়াক্তিয়া নামাযের ইমামতি করলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীর্ঘদিন অসুস্থতা অনুভবের পর সুস্থ দেহ মুবারক-এ মসজিদে নববী শরীফ-এ আগমন করেন এবং নামাযের ইমামতি করেন এই অপার আনন্দে ছাহাবীগণ উনারা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে অনেক কিছু দান-খয়রাত করেন। কোনো কোনো বর্ণনায় জানা যায় যে, খুশিতে বাগবাগ হয়ে হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাত হাজার দীনার, হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পাঁচ হাজার দীনার, হযরত উসমান যুন নূরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি দশ হাজার দীনার, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তিন হাজার দীনার, হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একশত উট ও একশত ঘোড়া আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করতঃ আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত ও সন্তুষ্টি লাভ করেন। মহান আল্লাহ পাক উনার মারিফত-মুহব্বতে দগ্ধিভূত ব্যক্তিগণ উনারা সে দিনটিকে মারিফত-মুহব্বত লাভের উসীলা সাব্যস্ত করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, উক্ত দিনের শেষ প্রান্তে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুনরায় অসুস্থতা বোধ করেন অতঃপর ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ-এ রফীকে আ’লা উনার পরম দীদারে মিলিত হন।
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের নীতি অনুসরণে মুসলমানগণ যুগ যুগ ধরে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ পালন করে আসছেন। কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যারা ছাহাবীগণ উনাদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ করে আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট।” (সূরা তওবা : আয়াত শরীফ ১০০)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অনেকে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ উদযাপন করাকে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে আখ্যায়িত করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! যা সম্পূর্ণ অশুদ্ধ ও ভুল। বরং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের অনুসরণে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ উপলক্ষে সাধ্যমত গরিব-মিসকীনদেরকে দান-সদকা করা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অধিক পরিমাণে ছলাত-সালাম, মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করা অত্যন্ত ফযীলত ও মর্যাদা লাভের কারণ। অতএব, বাংলাদেশসহ ও সমস্ত মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের উচিত আখিরী চাহার শোম্বাহ- এ দিনের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা করা এবং যথাযথ মর্যাদার সাথে এ দিন পালনের ব্যবস্থা গ্রহণসহ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান (২২ জানুয়ারী, ২০১১)
by Admin
|
posted: Monday, January 17, 2011
|
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমরা আল্লাহ পাক-এর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না।” (সূরা লুকমান ১৩)
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, অশুভ বা কুলক্ষণ বলতে কিছু রয়েছে, ছোঁয়াচে রোগ বলতে কোন রোগ রয়েছে, পেঁচা ও ছফর মাসের মধ্যে অশুভ ও খারাবী রয়েছে- বিশ্বাস করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। এরূপ কুফরী, শিরকী আক্বীদা থেকে বেঁচে থাকা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
যে কোন বিষয়ে অশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করা ঈমান নষ্ট হওয়ার কারণ। যেমন, অশুভ বা কুলক্ষণ বলতে কিছু রয়েছে, ছোঁয়াচে রোগ বলতে কোন রোগ রয়েছে, পেঁচার মধ্যে ও ছফর মাসের মধ্যে অশুভ ও খারাবী রয়েছে বলে বিশ্বাস করা ঈমান নষ্ট হওয়ার কারণ।
আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরূপ ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাসের মূলোৎপাটন করেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই। পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণের কিছুই নেই। তারকার (উদয় বা অস্ত যাওয়ার) কারণে বৃষ্টি হওয়াও ভিত্তিহীন এবং ছফর মাসে অশুভ বলতে কিছু নেই।” (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ/৩৯১, শরহুস সুন্নাহ-৬/২৭১)
উল্লেখ্য, জাহিলী যুগ হতে এখন পর্যন্ত কিছু লোকের এরূপ ধারণা বদ্ধমূল রয়েছে যে, ঘুম থেকে উঠে পেঁচা দেখা কিংবা রাতে পেঁচার ডাক শোনা কুলক্ষণ বা অমঙ্গলের পূর্বাভাস। আবার বিশেষ তারকা বা গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়। অথচ এরূপ ভ্রান্ত আক্বীদা পোষণ করা সম্পূর্ণ কুফরী ও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
খাছ করে ছফর মাসের মধ্যে কোন প্রকার অশুভ ও খারাবী নেই। আর আমভাবে কোন মাস ও দিনের মধ্যেই খারাবী বা অশুভ বলতে কিছু নেই। মাস-দিন-সময়কে খারাপ বলার অর্থ হলো, মহান আল্লাহ পাককে খারাপ বলা। কেননা, মাস-দিন-সময় এগুলো আল্লাহ পাকই সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “আদম সন্তান মাস-দিন-সময়কে গালি দিয়ে সমালোচনা করে, খারাপ বলে আমাকে কষ্ট দেয়। অথচ আমিই সৃষ্টিকর্তা এবং আমার নির্দেশেই এরা পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ আমিই এগুলো নিয়ন্ত্রণ করি।” তাই ছফর মাসসহ কোন মাস-দিন-সময়কেই খারাপ ও অশুভ বলা বা মনে করা যাবে না। যদি কেউ তা বলে বা মনে করে তবে সে কুফরী-শিরকী করার গুনাহে গুনাহগার হবে।
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “যে কোন বিষয়কেই অশুভ ও কুলক্ষণে মনে করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। তিনি এ বাক্যটি তিনবার উল্লেখ করেন।” (তিরমিযী শরীফ, মাওয়ারিদ, মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বল-১/৪৩৮, শরহুস সুন্নাহ-৬/২৭৪, মিশকাত শরীফ/৩৯২, শরহুত ত্বীবী-৮/৩২)
কোন রোগই সংক্রামক নয়। কাজেই রোগ-ব্যাধিকে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে মনে করা কুফরী-শিরকীর অন্তর্ভুক্ত। হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “কোন রোগই সংক্রামক নয়। পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণের কিছুই নেই এবং ছফর মাসের মধ্যেও অশুভ কিছু নেই। তখন এক ব্যক্তি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে উটের এ অবস্থা হলো কেন? যে উটগুলো ছিল জংলী হরিণের মত তরু-তজা, যেগুলো ময়দানে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতো। এমতাবস্থায় কোথা হতে এক চর্মরোগাক্রান্ত উট এসে সে উটের পালে মিলিত হলো এবং উটগুলোকে চর্মরোগী বানিয়ে দিলো। ফলে এ উটগুলোও খুজলীযুক্ত হয়ে গেল। তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আচ্ছা তাহলে প্রথম উটটির চর্মরোগ কোথা থেকে হলো?” অর্থাৎ প্রথম উটটি যেভাবে খুজলীযুক্ত হয়েছিল ঠিক পরবর্তী উটগুলোও সেভাবে খুজলীযুক্ত হয়েছে। (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ/৩৯১, শরহুস সুন্নাহ-৬/২৬৫)
স্মর্তব্য যে, চিকিৎসা শাস্ত্রের পাঠ্যসূচিতে অদ্যাবধি ইসলামী আক্বীদা সংক্রান্ত কোন ইলম সূচিভুক্ত না থাকার কারণে অনেক সময় কোন কোন চিকিৎসক কিছু কিছু রোগ সম্পর্কে যেমন- চর্মরোগ, খুজলী-পাঁচড়া, কুষ্ঠ, কলেরা-বসন্ত ইত্যাদিকে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে বলে অভিমত ব্যক্ত করে থাকে। যা সম্পূর্ণ কুফরী শিরকীর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এরূপ ভ্রান্ত আক্বীদা হতে বিরত থাকা ফরয-ওয়াজিব।
তবে ভাল লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা করার অবকাশ আছে তথা মুস্তাহাব।
আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কোন বিষয়কে অশুভ কুলক্ষণে মনে করোনা, তবে শুভ লক্ষণ আছে। ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! শুভ লক্ষণ কি? তখন তিনি বললেন, উত্তম কথা, যা তোমাদের মধ্য হতে কেউ শুনতে পায়।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ /৩৯১, শরহুত্ ত্বীবী-৮/৩১৩, শরহুস সুন্নাহ-৬/২৭২)
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামী আক্বীদা সংক্রান্ত ইলম না থাকার কারণে অনেকে এরূপ কুফরী আক্বীদা পোষণ করে থাকে। মূলকথা হলো- অশুভ বা কুলক্ষণ বলতে কিছু রয়েছে, ছোঁয়াচে রোগ বলতে কোন রোগ রয়েছে, পেঁচা ও ছফর মাসের মধ্যে অশুভ ও খারাবী রয়েছে বলে বিশ্বাস করা শিরক-এর অন্তর্ভুক্ত। এরূপ কুফরী-শিরকী আক্বীদা থেকে বেঁচে থাকা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
by Admin
|
posted: Monday, January 10, 2011
|
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমার আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য।
আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ-এর মাস হচ্ছে ছফর মাস। অর্থাৎ তিনি ২৮শে ছফর শাহাদাত বরণ করেন।
তাই সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এ মাসে আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের বেশি বেশি মুহব্বত প্রকাশ করা এবং বেশি বেশি ছানা-সিফত করা। যা ইহকালে মর্যাদা হাছিল ও পরকালে জান্নাত লাভ করার কারণ।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্যাদা সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, (হে বিশ্ববাসী)! আমি তোমাদের নিকট নুবুওওয়াতের দায়িত্ব পালনের কোনো প্রতিদান চাই না। তবে আমার আত্মীয়-স্বজন উনাদের তথা বংশধর উনাদের সাথে সদাচরণ করবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি ‘তাফসীরে ইবনে হাতেম, ইবনে কাছির, মাযহারী, ইত্যাদি কিতাবের বরাত দিয়ে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধারা হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম উনি ও উনার আওলাদদ্বয় হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের মাধ্যমে বিশ্বময় জারি রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন বেহেশতের যুবকদের সাইয়্যিদ।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যারা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের বংশধর বা আওলাদ উনারাই আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম বা আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে তা’যীম-তাকরীম করা এবং উনাদের খিদমত করা, উনাদের সাওয়ানেহ উমরী জানা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত ইমাম হাসান বিন আলী বিন আবী তালিব আলাইহিস সালাম তিনি কুরাইশ বংশের হাশেমী শাখায় বিলাদত শরীফ লাভ করেন। হিজরী ৩য় সনে রমাদ্বান মাসের ১৫ তারিখে, অন্য বর্ণনায় শা’বান মাসের ১৫ তারিখ হযরত হাসান আলাইহিস সালাম তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত আলী ইবনে আবী তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন: যখন হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেন তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে তাশরীফ আনেন এবং ইরশাদ করেন: আমার সন্তানকে আমাকে দেখাও, উনার কী নাম রেখেছো? আমি বললাম: আমি উনার নাম রেখেছি- হারব (যুদ্ধ)। তিনি ইরশাদ করলেন: বরং সে হাসান। অর্থাৎ উনার নাম মুবারক হযরত হাসান আলাইহিস সালাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, উনার জিসিম মুবারক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সর্বাপেক্ষা বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি অপেক্ষা অপর কেউ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অধিকতর সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অনেক সময় আখিরী নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে সওয়ারী হয়ে হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদেরকে পিঠ মুবারক-এ চড়াতেন এবং বলতেন, ইনারা আল্লাহ পাক উনার নিকট শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি। উনাদের সাথে মুহব্বত রাখা পরকালে নাজাতের কারণ এবং উনাদের সাথে শত্রুতা করা পথভ্রষ্টতা ও গুমরাহীর কারণ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত আদী বিন ছাবিত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি হযরত বারা’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে শুনেছি, তিনি বলেন: আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র কাঁধ মুবারক-এর উপর হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনাকে দেখেছি। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করে, সে যেনো ইনাকে (হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনাকে) মুহব্বত করে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হিজরী ৪০ সনের রমাদ্বান মাসে হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি খলীফা মনোনীত হলেন। চল্লিশ হাজার লোক উনার হাত মুবারক-এ বাইয়াত হন। তিনি খিলাফতের দায়িত্ব ৬ মাস পর্যন্ত পালন করেন। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমার পরে খিলাফত ৩০ বৎসর।’ তন্মধ্যে ২৯ বৎসর ৬ মাস পূর্ববর্তী খলীফাগণ উনাদের সময়ে অতিবাহিত হয়। বাকি ৬ মাস হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি পূর্ণ করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মারাত্মক বিষক্রিয়ার কারণে ৪৯ হিজরী সনের ২৮শে ছফর প্রায় ৪৬ বৎসর বয়স মুবারক-এ তিনি শাহাদাত বরণ করেন বা বিছাল শরীফ লাভ করেন। হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনাকে পবিত্র জান্নাতুল বাক্বীতে সমাহিত করা হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম তথা খাছ আওলাদ হচ্ছেন- হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম। যারাই উনার মুবারক শাহাদাতের সাথে জড়িত ছিলো শরীয়তের দৃষ্টিতে তারা সকলেই কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী।
কাজেই, আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ-এর মাস হচ্ছে ছফর মাস। তাই সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, এ মাসে বেশি বেশি আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা এবং উনাদের বেশি বেশি ছানা-সিফত করা এবং এর মাধ্যমে ইহকালে মর্যাদা-মর্তবা ও পরকালে জান্নাত লাভ করা। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দী হাছিল করা।
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান (৯ জানুয়ারী, ২০১১)
by Admin
|
posted: Monday, January 03, 2011
|
উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মানহানি করার জন্য আন্তর্জাতিক ইসলাম বিদ্বেষী চক্র ‘জুয়েল অব মদিনা’ অপন্যাসের অপপ্রয়াস চালিয়েছে।
আর উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মানহানি করার প্রেক্ষাপট তারা এদেশেই রচনার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে।
ইসলাম বিদ্বেষীরা ‘ঘরজামাই’ সুন্নতী চেতনার মানহানি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ!
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
সময়টা সামপ্রতিক! কিন্থ ঘটনা তালিকা শুধু দীর্ঘই নয় বরং বীভৎস ন্যক্কারজনক। অব্যক্ত আপত্তিকর।
* ইন্টারনেট (Cnet networks & ydnet.com) সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী নিউইয়র্কের বাণিজ্যিক এলাকা ম্যানহ্যাটনে মুসলমানদের শ্রেষ্ঠ শেয়ারুল ইসলাম KAA'BA MAKKAH -র অনুরূপ APPLE MECCA নামে বার খোলা,
নেদারল্যান্ডে কুরআন শরীফ-এর নামে ফ্যাসিবাদী চরিত্র নিয়ে সিনেমা, স্যাটানিক ভার্সেস নিয়ে বিবিসি’র সিনেমা এবং ভারতের মসজিদে সানিয়া মির্জার শুটিং
এএফপি পরিবেশিত নেদারল্যান্ডের এমপি গিয়ার্ট ওয়াইল্ডার্সের কুরআন শরীফ পুড়ে বা ছিঁড়ে ফেলার দৃশ্য সম্বলিত খবর প্রকাশ জার্মানি থেকে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার প্রতি অপবাদ লেপন করে ‘জুয়েল অব মদিনা’ নামক অপন্যাস বাজারজাত করে উনার মানহানি করার অপপ্রয়াসে উদ্যত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে এ অপন্যাস লিখেছে সাংবাদিক মেরি জোন্স। অপন্যাসটি তখনই বাজারে ছাড়ার কথা ছিলো। কিন্থ মুসলমানদের প্রতিক্রিয়ার কথা আশঙ্কা করে মার্কিন প্রকাশনী সংস্থা র্যানডম হাউস বইটি বাজারজাত বন্ধ রাখে।
বলাবাহুল্য, আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মানহানি করার জন্যই ইহুদী-খ্রিস্টানরা একের পর এক এরূপ ইসলাম অবমাননাকর কাজ করে আসছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
কিন্থ গোটা মুসলিম বিশ্বে এর তীব্র প্রতিবাদ উঠলে ইহুদী-খ্রিস্টানরা অতঃপর তাদের চিরাচরিত কু-পন্থার আশ্রয় নেয়।
তারা নিজেরা না করে মুসলমান দেশেই মুসলমান নামধারীদের মাঝেই তাদের এজেন্ট নিয়োগ করে দেয়। বাংলাদেশে রাতারাতি এবং ধারাবাহিক, তার প্রকাশ পায়।
ইসলামের নামে ধর্মব্যবসায়ী জামাত শিবিরের কিশোরকণ্ঠেই প্রথমে কদুর সাথে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক সংযুক্ত করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
এরপর ‘প্রথম আলো’ পত্রিকা বিড়ালের সাথে এবং বগুড়ার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ম্যাগাজিনে কৈ মাছের সাথে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক-এর অবমাননা করা হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
এরপর ঢাকায় ফুটবলে কালিমা শরীফ খচিত হওয়ার খবর প্রকাশ পায়।
অবিশ্বাস্যভাবে এভাবে এদেশেই কুরআন শরীফ অবমাননার ঘটনা ঘটেই চলছে। নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক ইত্যাদি কাফির রাষ্ট্রের ইসলাম অবমাননাকে সহনশীল করার জন্য রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশ বাংলাদেশেই এখন উদ্দেশ্যমূলকভাবে কুরআন শরীফ-এর অবমাননা করা হয়। সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কুরআন শরীফ -এর পাতায় ছবি অঙ্কনের পর চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কুরআন শরীফ-এর পাতা দিয়ে ঠোঙ্গা বানানো হয়েছে।
এরপর বগুড়ার গাবতলীতে এক লম্পট ভণ্ড যুবকের চুরির অপরাধ প্রমাণ করতে গিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় পবিত্র গ্রন্থ কুরআন শরীফ-এর উপর দু’পা রেখে ৩ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনা ঘটানো হয়।
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশের মতো ধর্মপ্রাণ মুসলমান দেশে যদি কুরআন শরীফ-এর পাতা ছিঁড়ে ঠোঙ্গা বানানো হয় এমনকি কুরআন শরীফ-এর উপর দাঁড়ানোর ঘটনা ঘটানো হয়; তাহলে আর নেদারল্যান্ডে কুরআন শরীফ-এর পাতা ছিঁড়ে সিনেমা বানানো খুব বেশি দোষ কোথায়? এই দুষ্ট অনুভূতি তৈরির জন্য দুরভিসন্ধিমূলকভাবে এসব করা হয়।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত ঘটনাবলী ইহুদী-খ্রিস্টানদের এজেন্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের।
তবে ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারের সময় এত সাহস না পেলেও এত স্পর্ধা দেখাতে না পারলেও আন্তর্জাতিক ইসলাম বিদ্বেষী চক্রের এদেশীয় দোসররা যে বসে নেই তা সমপ্রতি ‘দৈনিক আল ইহসান্থ-এ প্রকাশিত ‘ঘরজামাই’ শীর্ষক একটি খবরে পরিষ্কার প্রতিভাত হয়।
খবরের প্রথমাংশে বলা হয়,
“সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোঁড়া গ্রামে ঘরজামাইদের এলাকা থেকে অপসারণ ও অত্যাচার বন্ধের দাবিতে তিনদফা ঝাড়- মিছিল হয়েছে। এলাকার শত শত নারী-পুরুষ এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে।”
খবরের শেষাংশে বলা হয়,
“এলাকাবাসীর দাবি, ঘরজামাইরা এলাকা ছেড়ে যাতে দ্রুত চলে যায় এবং তাদের অত্যাচার হতে এলাকাবাসী যাতে রেহাই পায় এজন্য এলাকার চেয়ারম্যান এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে। প্রকাশ থাকে যে, ইতোপূর্বেও আরো দুইবার ঘরজামাইদের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন মিছিল করেছিল।”
উল্লিখিত খবরটি যে সাধারণ নয় বরং খবরের অন্তরালে অনেক কিছু আছে তা শুধু বিচক্ষণ বিবেকেই উপলব্ধি সহজ।
প্রথমত ঘটনাটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সাতক্ষীরার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অজপাড়া গ্রামের নাম ‘কোঁড়া’।
একটি গ্রামে লোকসংখ্যা কত থাকে?
আর বিয়ে দেয়া মেয়ের সংখ্যাইবা কত থাকে?
একটি গ্রাম হিসেবে যে এ সংখ্যা সীমিত তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
কিন্থ খবরে বলা হয়েছে, এলাকার শত শত নারী-পুরুষ এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে।
বলাবাহুল্য, পুরো গ্রামবাসীই যদি কোন মিছিলে অংশগ্রহণ করে তাহলেও সে কথিত শত শত নারী পুরুষের মিছিল হবে না তা সাধারণ সত্য।
প্রশ্ন হলো সব গ্রামবাসীই যদি এভাবে চলে আসে তাহলে যারা ঘরজামাই তারা গেলেন কই?
এবং যাদের জামাই বা বিবাহ দেয়া মেয়েই নেই তারাইবা গেলেন কই?
স্পষ্ট প্রতিভাত হচ্ছে, সে সংখ্যা নিয়ে এখানে বিশেষ কারচুপি করা হয়েছে।
শুধু তাই নয় ‘ঘরজামাই’ একটা নিতান্ত পারিবারিক বিষয়। তা নিয়ে মিছিল করা হবে, চেয়ারম্যান এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সাহায্য চাওয়া হবে বিষয়টি কত অস্বাভাবিক এবং রহস্যজনক তা গভীর চিন্তার বিষয়।
কারণ, ঘরজামাইদের বিরুদ্ধে মিছিলে শ্বশুর-শাশুড়ীর কথা উল্লেখ নেই। বর্ণনা রয়েছে এলাকাবাসীর।
খবরে বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে আরো দুইবার ঘরজামাইদের বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছিল।
প্রশ্ন হলো- দেশের আর কোনো স্থানে কোনোদিন খবর হলোনা।
কিন্থ প্রত্যন্ত অঞ্চল ওই সাতক্ষীরার অজগ্রাম কোঁড়াতেই এ পর্যন্ত তিনবার মিছিল হয়ে গেলো।
এই অঘটন ঘটন পটীয়সীটা কে বা কারা?
বলাবাহুল্য, এর পেছনে যে কথিত এনজিও এবং তারও নেপথ্যে আন্তর্জাতিক ইসলাম বিদ্বেষী মহল রয়ে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
উল্লেখ্য, এ লেখার প্রথমে বলা হয়েছিল যে হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মানহানি করার জন্য ‘জুয়েল অব মদিনা’ অপন্যাস লেখা হয়েছিল।
সে ধারাবাহিকতায় এখন উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মানহানি তথা স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানি করার অপচেষ্টা চলছে।
কারণ, খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি নিজেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। সমুদয় অর্থ-সম্পদ সমর্পণ করেছিলেন এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম উনার গৃহেই অবস্থান করতেন।
অপরদিকে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘ঘরজামাই’ হিসেবে রেখেছিলেন। অর্থাৎ আক্ষরিক অর্থে ‘ঘরজামাই’ বলতে যা বোঝায় তা মূলত খাছ সুন্নত।
কিন্থ বাল্যবিবাহের মতই ইহুদী-খ্রিস্টানরা ঘরজামাই শব্দটাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিন্দনীয় ও দূষণীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে চালাবার অপচেষ্টা করছে। তার একটি বিশেষ প্রমাণ হলো উক্ত মিছিলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘরজামাইদের বিরুদ্ধে অনেক অবমাননাকর বক্তব্য দেয়া হয়েছে।
এমনকি এটাও বলা হয়েছে, “এলাকাবাসী আরো জানায়, কোন ভালো ঘরের সন্তান কখনো ঘরজামাই থাকে না।” নাঊযুবিল্লাহ!
উল্লেখ্য, ‘ঘরজামাই’ তো এমনিতেই ‘ঘরজামাই’ হয়নি।
এলাকাবাসী করেছে বলেই ‘ঘরজামাই’। তা হলে তো প্রথমে এলাকাবাসীকেই দায়ী করতে হয়।
তাছাড়া শুধু ‘ঘরজামাই’ কেন?
জামাইরা কী স্ত্রীদের উপর অত্যাচার করেনা?
হাজার হাজার নারীরা যৌতুকের বলি হয় না?
কই তাদের বিরুদ্ধে তো আজ পর্যন্ত কোন মিছিল হয়নি। আর শুধুই কী ঘরজামাই-ই খারাপ হয়?
নিজের সন্তানরা কী খারাপ হয়না?
মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসীরা কী কারো সন্তান নয়?
তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তো আজ
পর্যন্ত কোনো মিছিল হলো না কেনো?
সেক্ষেত্রে সর্বাগ্রে এ মিছিল হওয়া দরকার
সন্ত্রাসী মাদকাসক্ত দুর্নীতিবাজ সন্তানদের বিরুদ্ধে।
বলাবাহুল্য, সাতক্ষীরার কোঁড়া গ্রামের এ খবর আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে।
এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আন্তর্জাতিক ইসলাম বিদ্বেষী চক্র তাদের নিয়োগকৃত এজেন্টের মাধ্যমে কলকাঠি নাড়ছে তা পরিষ্কারভাবে প্রমাণ করেছে।
এবং এরা খুবই উদ্দেশ্যমূলক ও দুরভিসন্ধিজনিত প্রক্রিয়ায় ‘বাল্যবিবাহ’ ‘ঘরজামাই’ এসব সুন্নতী চেতনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইহুদীরা তাদের গোপন বই ‘প্রটোকলে’ মুসলমানদের ক্ষতি ও ইসলামের অবমাননা করার একশ বছরের পরিকল্পনা এঁটেছিলো। মুসলমানদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে তাদের সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা পূর্ণ কোশেশ করে যাচ্ছে।
ইহুদী-খ্রিস্টানরা তাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যখন দেখেছে যে, মুসলমানদের মনে আর ঈমানী অনুভূতি প্রবল নেই,
মুসলমানদের ঈমানী জযবার ত্রুটি রয়েছে,
মুসলমান কাফিরদের কালচারে, রীতিতে, অনুভবে,
অনুভূতিতে একাকার হয়ে গিয়েছে- তখনই তারা একের পর এক ইসলাম অবমাননাকর চরম পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইহুদী-খ্রিস্টানরা চায় পৃথিবীতে ইসলামের কোন নিদর্শন না থাকুক। মুসলমানদের কোনো অস্তিত্ব না থাকুক। নাঊযুবিল্লাহ!
অথচ পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় সোয়া তিনশ কোটি মুসলমান। অর্ধশতেরও বেশি মুসলিম দেশ। পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি সম্পদ মুসলিম দেশসমূহের। মুসলিম দেশে মহান আল্লাহ পাক তিনি যে তেল-গ্যাস তথা খনিজ সম্পদ দিয়েছেন তার মুখাপেক্ষী ইউরোপ-আমেরিকাসহ গোটা বিধর্মী বিশ্ব। কাজেই মুসলিম বিশ্ব যদি ঈমানী চেতনায় বলীয়ান হয় তবে তাদের কোনো মতেই কাফির বিশ্বের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। বরং কাফির বিশ্বই মুসলিম বিশ্বের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে।
তাই প্রত্যেক মুসলমানদের উচিত হবে- তাদের ঈমানী কর্তব্য হিসেবে ইহুদী-খ্রিস্টানদের ইসলাম বিদ্বেষী সব অপতৎপরতা বন্ধ করা। ইসলামের অবমাননা প্রতিহত করা এবং তার মূল উলামায়ে ছূ’দের চিহ্নিত ও নিশ্চিহ্ন করা। এর অন্যথা হলে কেউ নাজাত পাবে না
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান
Recent Comments