কাট্টা ইসলাম বিরোধী ঠাকুরদের জন্মবার্ষিকী পালন করলে আল্লাহ পাক অসন্তুষ্ট হন:


মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উনার নিকট সৃষ্টির নিকৃষ্ট প্রাণী হচ্ছে যারা কাফির তারা।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ফাসিকের প্রশংসা করলেই আল্লাহ পাক তিনি এত অসন্তুষ্ট হন যে, যার ফলে আরশে আযীম পর্যন্ত ভয়ে থরথর করে কেঁপে উঠে।
তাহলে অসংখ্য খোদাদ্রোহী লেখার জনক, কাট্টা ইসলাম বিরোধী, মুশরিক রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে-
বাংলাদেশের সরকারের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয় করে তিনদিন ব্যাপী রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা কতটুকু অসন্তুষ্টি ও গুনাহর কারণ তা চিন্তা করতে হবে।
অতএব, ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে কাট্টা ইসলাম বিরোধীদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠান করা অবিলম্বে পরিহার করতে হবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আশ্চর্যের বিষয় রবীন্দ্রনাথ কাট্টা ইসলাম বিরোধী এবং ইসলাম ধর্মের অবমাননাকারী ব্যক্তিদের একজন। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ তার ‘বীর গুরু’ প্রবন্ধে কালিমা শরীফ-এ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক থাকা নিয়ে কটাক্ষ করেছে। সে বলেছে, “দেব-দৈত্য সকলেই নিজের উপাসনা প্রচলিত করিতে চায়; গোরখনাথ রামানন্দ প্রভৃতি ধর্মমতের প্রবর্তকেরা নিজে নিজে এক-একটা পন্থা বাহির করিয়া গিয়াছেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিবার সময়ে মুহম্মদ নিজের নাম উচ্চারণ করিতে আদেশ করিয়া গিয়াছেন।” এছাড়াও তার রচিত ‘গোরা’ অপন্যাসে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে চরম আপত্তিজনক মন্তব্য করেছে। সে বলেছে, “ভালো মানুষী ধর্ম নয়; তাতে দুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে তোলে। তোমাদের ‘মুহম্মদ’ সে কথা বুঝতেন, তাই তিনি ভালো মানুষ সেজে ধর্মপ্রচার করেননি।” নাঊযুবিল্লাহ! এ ধরনের বক্তব্য যে দেয়, একজন মুসলমান তাকে কি করে শ্রদ্ধা করতে পারে? আর এই ইসলাম অবমাননাকারী রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার কিভাবে রাষ্ট্রীয় খরচে তিনদিন ব্যাপী রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে?

আসন্ন ৭ই মে রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৯৭ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে বিভিন্ন হারাম উৎসবের আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা ব্যক্ত করেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত স্থান শিলাইদহ, শাহজাদপুর, পতিসর দক্ষিণ ডিহিতে বাংলাদেশের শিল্পীদের উদ্যোগে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সকল জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের আয়োজিতব্য অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সরকারের উপর মহল থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি বেতার, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মুশরিক রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে। নাঊযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ দেশের অসংখ্য লোক তিন বেলা ডাল-ভাত খেতে পারে না। এদেশের অসংখ্য লোক মোটা কাপড়ও ঠিকমতো পরিধান করতে পারে না। তাহলে এদেশেরই জনগণের অর্থ দিয়ে কাট্টা ইসলাম বিরোধী রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মোৎসব অনুষ্ঠানে সরকার কি করে এত টাকা খরচ করতে পারে?

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ ফরমান, “হারাম থেকে হারামের সৃষ্টি হয়ে থাকে।” রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীর হারাম অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে সরকারকে অসংখ্য হারাম কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে, যা সরকারের জন্য পরকালে কাল হয়ে দাঁড়াবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “প্রত্যেকেই রক্ষক তার রক্ষিত বিষয়ে সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতে হবে।” তাই সরকার ক্ষমতাবলে হারাম কাজের আয়োজন করলেও তার মনে রাখা প্রয়োজন, আখিরাতে এজন্য তাকে কঠিন জবাবদিহি করতে হবে, আযাব-গযবে গ্রেফতার হতে হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সরকারের উচিত হবে রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীতে সরকারি উদ্যোগ সম্পূর্ণ বাতিল করে আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অসন্তুষ্টি থেকে নিজে বাঁচা ও ৯৭ ভাগ মুসলমানদের বাঁচানো।

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment