by Admin
|
posted: Friday, November 27, 2015
|
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّا اَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সম্মানিত কাউছার বা সমস্ত ভালাই অর্থাৎ সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ বিষয়গুলো হাদিয়া মুবারক করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা কাওছার শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ: ১)
এই সম্মানিত কাওছার শরীফ উনার লক্ষ-কোটি ব্যাখ্যা মুবারক। তার মধ্যে একখানা ব্যাখ্যা মুবারক হচ্ছেন, ‘খইরে কাছীর’ তথা সমস্ত প্রকার ভালাই। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত ভালাই তথা সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ বিষয়গুলো হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! অন্যদিক থেকে উনার সাথে যে বিষয় মুবারকগুলো সম্পৃক্ত হয়েছেন, সে বিষয় মুবারকগুলো সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ হয়ে গেছেন। সুবহানাল্লাহ!
যার কারণে এই ব্যাপারে সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ইজমা করেছেন যে,
اِنَّ التُّرْبَةَ الَّتِىْ اِتَّصَلَتْ اِلٰى اَعْظُمِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَفْضَلُ مِنَ الْاَرْضِ وَالسَّمَاءِ حَتَّى الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ.
অর্থ: ‘নিশ্চয়ই নূরে মুজসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিসম মুবারক উনার সাথে এক মুহূর্তের তরেও স্পর্শ মুবারক করেছেন, যেই মাটি, ধূলি-বালি তথা পদার্থ-বস্তু যা কিছুই হোক না কেন, তাই মহাসম্মানিত ও বরকতময় এবং ফযীলতপূর্ণ হয়ে গিয়েছেন। আসমান-যমীন; এমন কি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ কোটিগুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ!
অন্য ইজমা মুবারক-এ বলা হয়েছে,
فَاِنَّهٗ اَفْضَلُ مُطْلَقًا مِنَ الْكَعْبَةِ وَالْكُرْسِىّ حَتّٰى الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ.
অর্থ: ‘নিশ্চয়ই নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শ মুবারক-এ যা কিছু এসেছেন তা অবশ্যই সম্মানিত কা’বা শরীফ, সম্মানিত কুর্সী শরীফ; এমনকি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ-কোটিগুণ বেশি ফযীলতপ্রাপ্ত, সম্মানিত, শ্রেষ্ঠ।’ সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শ মুবারক-এ যা কিছু এসেছেন তা আসমান-যমীন, সম্মানিত কা’বা শরীফ, সম্মানিত কুর্সী শরীফ, মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে যা কিছু রয়েছে; এমনকি সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ-কোটিগুণ বেশি পবিত্র, ফযীলতপ্রাপ্ত, সম্মানিত এবং শ্রেষ্ঠ।’ সুবহানাল্লাহ!
সেই বিষয়টি সম্মানিত মি’রাজ শরীফ উনার রজনীতে স্পষ্ট হয়ে গেছে। যেটা সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا اُسْرِىَ بِهٖ لَيْلَةَ الْمِعْرَاجِ اِلَى السَّمَوَاتِ الْعُلٰى وَوَصَلَ اِلَى الْعَرْشِ الْمُعَلّٰى اَرَادَ خَلْعَ نَعْلَيْهِ اَخْذًا مّـِنْ قَوْلِهٖ تَعَالٰى لِسَيّـِدِنَا حَضْرَتْ مُوسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ حِيْنَ كَلَّمَهٗ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ اِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى. فَنُوْدِىَ مِنَ الْعَلِىِّ الْاَعْلٰى يَا حَضْرَتْ مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! لَا تَـخْلَعْ نَعْلَيْكَ فَاِنَّ الْعَرْشَ يَتَشَرَّفُ بِقُدُوْمِكَ مُتَنَعّـِلًا وَّيَفْتَخِرُ عَلٰى غَيْرِهٖ مُتَبَرِّكًا فَصَعِدَ النَّبِىُّ اِلَى الْعَرْشِ وَفِىْ قَدَمَيْهِ النَّعْلَانِ وَحَصَلَ لَهٗ بِذٰلِكَ عِزٌّ وَّشَأْنٌ.
অর্থ: ‘যখন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত মি’রাজ শরীফ উনার রাতে সুউচ্চ সপ্ত আসমান অতিক্রম করে সম্মানিত আরশে মুয়াল্লা তথা সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক উনার নিকটবর্তী হলেন, তখন তিনি উনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ খুলে সম্মানিত আরশে আযীম তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করবেন কিনা সেই বিষয়টি চিন্তা মুবারক করলেন। মহান আল্লাহ পাক উনার ওই বাণী মুবারক ফিকির করে, যেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি (যখন সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি তুর পাহাড়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা বলার জন্য তাশরীফ মুবারক রাখবেন, তখন) হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছিলেন,
فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ اِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى.
‘আপনি আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ মুবারক খুলুন। কেননা আপনি সম্মানিত পবিত্র তুয়া উপত্যকায় তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। (সেখানে আমার সম্মানিত আরশে আযীম থেকে ৭০ হাজার ভাগের এক ভাগ সম্মানিত নূর মুবারক পতিত হয়েছে। যার কারণে সেই স্থানটি সম্মানিত ও পবিত্র হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ! তাই আপনি সম্মানিত না’লাইন শরীফ খুলে আসুন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই বিষয়টি ফিকির করে উনার
সম্মানিত না’লাইন শরীফ খুলার ফিকির করেছিলেন।) তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি ওহী মুবারক করলেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনি আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ খুলবেন না। অর্থাৎ আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফসহ আমার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করুন। কেননা আমার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ উনাদের পরশে, আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ উনাদের ধুলি মুবারক উনার স্পর্শ মুবারক-এ ধন্য হবেন, শান-মান, ফাযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক হাছিল করবেন। (শুধু তাই নয়,) আমার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ উনাদের স্পর্শ মুবারক পাওয়ার কারণে বরকতময় হয়ে আরো পবিত্রতা হাছিল করবেন এবং অন্য সবার উপর ফখর করবেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত না’লাইন শরীফ পরিধান মুবারক করা অবস্থাতেই সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক উনার উপর সম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন। আর সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ মুবারক উনাদের পরশ মুবারক পেয়ে, স্পর্শ মুবারক পেয়ে, উনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ মুবারক উনাদের ধুলি মুবারক পেয়ে ইয্যত-সম্মান, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক হাছিল করলেন। সুবাহানাল্লাহ!’ (শরহুয যারক্বানী আলাল মাওয়াহিবিল লাদুননিয়্যাহ শরীফ, ফাতহুল মুত‘য়াল ফী মাদহি খইরিন নি‘য়াল শরীফ)
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-আল্লামা মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীক্ব। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
by Admin
|
posted: Thursday, November 26, 2015
|
পবিত্রতম হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ৫টি কারণে জুমুয়ার দিনকে দিনের সাইয়্যিদ ও মহান দিন, এমনকি কুরবানীর ঈদ ও রোযার ঈদের চেয়েও বেশি মূল্যবান ও মহান। কারণগুলো হলো-
১. জুমুয়ার দিন আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
২. জুমুয়ার দিন আবুল বাশার হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি জান্নাত হতে যমীনে আসেন।
৩. জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস সালাম ইলাহী দীদারে গমন করেন তথা পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
৪. জুমুয়ার দিন আসর হতে মাগরিবের মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যখন খাছভাবে দোয়া কবুল করা হয়।
৫. জুমুয়ার দিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে।
উপরোক্ত ৫টি বিশেষ কারণের দুটি বিশেষ কারণ হলো- হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত দিবস ও বিছাল শরীফ দিবস। আরো একটি বিষয় হলো এই দিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে।
তাহলে জুমুয়ার দিন সাইয়্যিদুনা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস হওয়ার পরও দেখা যাচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ দিনকে ঈদের দিন এমনকি দুই ঈদের চেয়েও বেশি মহান দিন বলে ঘোষণা করেছেন; কিন্তু শোকের দিন বলেননি। মূলতঃ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট যেকোনো দিনই, হোক সেটা বিছাল শরীফ দিবস, সে দিনটিও রহমত-বরকত সাকীনার কারণ।
তাই যারা পবিত্র ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ উনাকে শোকের দিন বলতে চায় তাদের এহেন বক্তব্য, হয় তাদের অজ্ঞতা, মূর্খতা; আর না হয় মুসলিম উম্মাহর মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোই তাদের উদ্দেশ্য।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-মুহম্মদ রিয়াসাত পারভেজ। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
by Admin
|
posted: Thursday, November 26, 2015
|
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূল হলেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। এই সত্যটি অনেক মুসলমান না বুঝলেও কাফির, মুশরিকরা খুব ভালো করে বুঝেছে। আর তাই তো ওরা মুসলমানগণের মাঝ থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দূরে সরানোর অশেষ ভাবনা ও অপচেষ্টা করে আসছে।
ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকরা তাদের স্থানীয় দোসরদের মাধ্যমে আমাদের সমাজ থেকে পবিত্র মীলাদ শরীফ উঠিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। অত্যন্ত রহমত ও বরকতপূর্ণ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন করার ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্তিতে ফেলেছে এবং প্রচার করছে ‘ঈদ মাত্র ২টি’। নাউযুবিল্লাহ!
তাই তো রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অনন্তকালব্যাপী সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারী করে দিয়েছেন। যার মাধ্যমে ঘরে ঘরে পবিত্র মীলাদ শরীফ জারি করে দিয়েছেন; যাতে মুসলমানগণ ফয়েজ, বরকত পেয়ে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সম্মানিত ১২ই শরীফ উনার শান মুবারক প্রকাশার্থে ৬৩ দিনব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার আয়োজন করে এই দিনটি পালনের সচেতনতা সৃষ্টি করছেন। এভাবেই ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শত্রুদের সমস্ত প্রকার চক্রান্ত।
তাই আসুন, রাজারবাগ দরবার শরীফ গিয়ে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার রহমত, বরকত, সাকীনা, ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক অর্জন করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করি।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-লে. কর্নেল মুহম্মদ আনোয়ার হুসাইন খান পিএসসি (অব.), ঢাকা।© আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
by Admin
|
posted: Wednesday, November 25, 2015
|
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে ফদ্বল, করম ও রহমত মুবারক হিসেবে উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে, নিশ্চয়ই এই খুশি প্রকাশ করাটা হবে সবকিছু থেকে উত্তম যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করেছে।” (পবিত্র সূরা ইউনূস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
দেখতে দেখতে আবারো আমাদের মাঝে পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস চলে এসেছেন যে মাসের মহাপবিত্র ১২ তারিখে রয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদতী শান মুবারক উনার প্রকাশের তারিখ। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, মহাপবিত্র ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করাটাই হবে দুনিয়া ও আখিরাতের শ্রেষ্ঠ সঞ্চয়। সুবহানাল্লাহ!
সারা ক্বায়িনাতের উচিত পবিত্র এ দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং সর্বাধিক খুশি প্রকাশের চেষ্টা করা। মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম মহাপবিত্র ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে সবাইকে খুশি প্রকাশ করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-মুহম্মদ সাইফুল হাসান। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Recent Comments