যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য, মালউন, অসভ্য সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটো ছিল জাতিগতভাবে ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী। মুসলমানরা বুঝতে পারেনি, না বুঝেই করেছে মহা ভুল দিতে হচ্ছে তার মাশুল!


মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কাফিররাই সবেচেয় নিকৃষ্ট যারা ঈমান আনেনি। (পবিত্র সূরা আনফাল: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)।
সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটো ছিল বিচ্ছিন্ন সমাজ ইহুদী ধর্মের অন্তর্ভুক্ত। ইহুদীদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মুসলমানরা তোমাদের সবেচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)
এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন ইহুদীরা মুসলমান উনাদের প্রধান শত্রু। তাহলে মুসলমানরা কি করে এই সমস্ত যবন, মেøচ্ছ, অস্পৃশ্য নিকৃষ্ট সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটোর জীবনী পড়তে পারে। এদেরকে অনুসরণ করতে পারে। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, যে যাকে অনুসরণ করবে তার সাথে তার হাশর-নশর হবে। এখন কাট্টা কাফির চিরজাহান্নামী সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটোকে যারা অনুসরণ করবে, তাদের তর্জ-তরীক্বা গ্রহণ করবে তাদের হাশর নশর তাদের সাথেই হবে। নাউযুবিল্লাহ!
কাজেই এসব যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য, মালউন, সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটো এদের জীবনী পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিতে হবে।
এর আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-মুহম্মদ আতিকুর রহমান। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Read more ...

‘ভিটামিন-এ’ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্রেফ গুজব নয়


ভিটামিন-‘এ’ সব বয়সের মানুষের জন্য প্রয়োজন। বিশেষ করে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ, বেড়ে উঠা, চোখের দৃষ্টিসহ আরো অনেক প্রয়োজনে, উদ্ভিদ উৎস হতে হোক কিম্বা প্রাণিজ উৎস থেকে হোক, এটা আমাদের প্রতিদিন গ্রহণ করতে হয়। এর অভাবে যেমন নানাবিধ সমস্যা হয় তেমনি অতিরিক্ত গ্রহণেও মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়, যা আমরা অনেকেই জানি না। ভিটামিন-এ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে সরকার প্রতিবছর বাচ্চাদের বিনামূল্যে প্রদান করে থাকে। একটি দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটা ভালো খবর। কিন্তু এই ভিটামিন খাওয়ানোর পূর্বে কি আমরা চিন্তা করে দেখেছি এর ক্ষতিকর দিকগুলো? দেখিনি বলেই প্রতিবছর ভিটামিন-এ খাওয়ানোর পর দেখা যায় নানাবিধ সমস্যা হয়। যা আমরা বিগত বছরগুলোতে দেখেছি।
* এখন আমরা দেখবো, একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন কতটুকু ভিটামিন-এ দরকার-
০-৬ মাস বয়সী- ৪শ’ মাইক্রোগ্রাম (১৩৩৩ আইইউ)
৭-১২ মাস বয়সী- ৫শ’ মাইক্রোগ্রাম (১৬৬৭ আইইউ)
১-৩ বছর বয়সী- ৩শ’ মাইক্রোগ্রাম (১০০০ আইইউ)
৪-৮ বছর বয়সী- ৪শ’ মাইক্রোগ্রাম (১৩৩৩ আইইউ)
৯-১৩ বছর বয়সী- ৬শ’ মাইক্রোগ্রাম (২০০০ আইইউ)
১৪-১৮ বছর বয়সী- ৯শ’ মাইক্রোগ্রাম (৩০০০ আইইউ)-ছেলে, ৭শ’ মাইক্রোগ্রাম (২৩৩৩ আইইউ)-মেয়ে > ১৯ বছর বয়সী - ৯শ’ মাইক্রোগ্রাম (৩০০০ আইইউ)
আমেরিকার খাদ্য ও পুষ্টি বোর্ড (এফএনবি) জানুয়ারী ২০০১ সালে ভিটামিন-এ গ্রহণের এই সীমা নির্ধারণ করে।
* একজন মানুষের প্রতিদিন ভিটামিন-এ গ্রহণ সর্বোচ্চ কতটুকু হতে পারে তা এখন জানবো-
০-১২ মাস বয়সী- ৬শ’ মাইক্রোগ্রাম (২০০০ আইইউ)
১-৩ বছর- ৬শ’ মাইক্রোগ্রাম (২০০০ আইইউ)
৪-৮ বছর- ৯শ’ মাইক্রোগ্রাম (৩০০০ আইইউ)
৯-১৩ বছর- ১৭শ’ মাইক্রোগ্রাম (৫৬৬৭ আইইউ)
১৪-১৮ বছর- ২৮শ’ মাইক্রোগ্রাম (৯৩৩৩ আইইউ)
>১৯ বছর- ৩ হাজার মাইক্রোগ্রাম (১০০০০ আইইউ)
* এখন জানবো সরকারিভাবে কতটুকু খাওয়ানো হচ্ছে?
৬ মাস- ১১ মাস= ১ লক্ষ আইইউ
১২ মাস- ৫ বছর= ২ লক্ষ আইইউ
* কখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে?
১) ভিটামিন-এ এর মাত্রা যদি ২৫ হাজার আইইউ বা তার উপরে চলে যায় তাহলে বিষক্রিয়া হতে পারে।
২) যদি মানসম্মত না হয়।
৩) সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা হলে।
৪) লম্বা সময় ধরে খেলে।
উপরের হিসেবে দেখা গেলো একটা বাচ্চার একদিনে যতটুকু ভিটামিন-এ দরকার তার থেকে অনেক বেশি তার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। যার ফলে হাইপারভিটামিনোসিস-এ অর্থাৎ ভিটামিন-এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত ভিটামিন শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যা মারাত্মক আকার ধারণ করার কথা চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা আছে। ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-ডি এর বিষক্রিয়া অনেক মারাত্মক।
উপরের আলোচনায় বুঝা গেল যে, ভিটামিন-এ অতিরিক্ত গ্রহণের যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তা আমাদের স্রেফ গুজব বলে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-ডা. মুহম্মদ মারূফ, এমবিবিএস। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Read more ...