সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন কোনো দিন আসেনি এবং আসবে না যে দিনটি ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ-এর চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ।


সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন কোনো দিন আসেনি এবং আসবে না যে দিনটি ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ-এর চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ।
সেই মহান দিন এবং মহান মাসের সম্মানার্থে সে দিনের এবং সে মাসের নিয়ামত, রহমত, সাকীনা হাছিলের লক্ষ্যে সকল মুসলিমবিশ্ব তো অবশ্যই, সকল কায়িনাতের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা উচিত। অথচ সউদী আরবসহ অনেক মুসলিম দেশে শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস সঠিক তারিখে শুরু হওয়া নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ‘সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন কোনো দিন আসেনি এবং আসবে না, যে দিনটি ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ-এর চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ। সেই মহান দিন এবং মহান মাসের সম্মানার্থে সে দিনের এবং সে মাসের নিয়ামত, রহমত, সাকীনা হাছিলের লক্ষ্যে সকল মুসলিমবিশ্ব তো অবশ্যই, সকল কায়িনাতের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা উচিত। অথচ সউদী আরবসহ অনেক মুসলিম দেশে শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস সঠিক তারিখে শুরু হওয়া নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে শুরু করার বিষয়ে বিশ্বের সব মুসলিম দেশের যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত বলে নছীহত প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা সকল মুসলমান, জিন-ইনসান তো অবশ্যই, কুল-কায়িনাতের জন্য ফরয। যে বিষয়টি ফরয তার আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ইলম হাছিল করাও ফরয। শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল মাস অতি সন্নিকটে। অথচ মুসলিম বিশ্ব যেনো এখনো ঘুমের ঘোরে আচ্ছন্ন। আজকে মুসলমানগণের অবস্থান পিছনে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে মুসলমানগণ ইসলাম থেকে সরে এসেছে। সর্বোপরি যিনি নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল উনার অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর সুমহান দিন, সুমহান তারিখ, সুমহান মাসের এবং সর্বোপরি সুন্নাহ শরীফ অনুসরণের ব্যাপারে যতোটা গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন ছিলো, সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। মুসলমানগণ যদি ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল দিন ফিরে পেতে চায়, তবে অবশ্যই সাইয়্যিদুল আই’য়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথেষ্ট মর্যাদার সাথে, মুহব্বতের সাথে, আগ্রহের সাথে, আদবের সাথে পালন করতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সউদী আরবের ওহাবী সরকার ইসলামের কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে তাদের মধ্যে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ব্যাপারে যথেষ্ট উদাসীনতা ও অনীহা রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সউদী আরবের ওহাবী সরকার ১৪৩২ হিজরী সনের ছফর মাস শুরু করেছিলো বাংলাদেশের ২ দিন পূর্বে চাঁদ না দেখেই। অর্থাৎ বাংলাদেশে সঠিক গণনা অনুযায়ী ছফর মাস শুরু হয়েছিলো ৭ জানুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, শুক্রবার থেকে। আর সউদী আরবের ওহাবী সরকার মনগড়াভাবে শুরু করেছিলো ৫ জানুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, বুধবার থেকে। সউদী আরবের ওহাবী সরকার ১৪৩২ হিজরীর পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করবে আজ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, বুধবার অর্থাৎ চাঁদ অমাবস্যায় যাওয়ারও ১ দিন পূর্বে। ২ ফেব্রুয়ারি নতুন চাঁদ দেখা তো যাবেই না বরং ছফর মাসের চাঁদ সকালে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সউদী প্রেস এজেন্সির ওয়েব সাইটের আরবী ভার্সনে ২০১১ ঈসায়ী সনের ৩১ জানুয়ারি তারিখকে দেখানো হয়েছে ২৭ ছফর। অথচ ইংরেজি ভার্সনে ৩১ জানুয়ারি তারিখকে দেখানো হয়েছে ২৫ ছফর।
শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস মনগড়াভাবে গণনা শুরু করে মহাপবিত্র ১২ রবীউল আউয়াল শরীফ অর্থাৎ সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিয়ামত, বারাকাত, ফুয়ূজাত, সাকীনা হতে মুসলমানদেরকে মাহরূম করার উদ্দেশ্যে সউদী আরবের ওহাবী সরকার এরূপ জালিয়াতি করেছে।
সউদী প্রেস এজেন্সির ওয়েব সাইটের ইংরেজি ভার্সনে উল্লিখিত তারিখ সঠিক; সে অনুযায়ী চাঁদ তালাশ করে মাস শুরু করলে সঠিকভাবে শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস শুরু হতো। কিন্তু সউদী ওহাবী সরকার তা করবে না। আর আরবী ভার্সনে উল্লিখিত তারিখটি মনগড়া। তবে সউদী সরকার তাদের অফিসিয়াল তারিখ হিসেবে আরবী ভার্সনের তারিখকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকে; তাই সে জালিয়াতি হিসাব অনুযায়ী সউদী আরব চাঁদ তালাশ করবে আজ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, বুধবার। কিন্তু ২ ফেব্রুয়ারি চাঁদ দেখা যাওয়া তো দূরের কথা, অমাবস্যাই সংঘটিত হবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাংলাদেশে পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, শুক্রবার দিবাগত সন্ধ্যায়। সেদিন (৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, শুক্রবার) চাঁদের বয়স হবে ৩৬ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট। দিগন্ত রেখার প্রায় ১৫ ডিগ্রি উপরে থাকবে চাঁদের অবস্থান এবং কৌণিক দূরত্ব হবে ১৭ ডিগ্রির বেশি। সূর্যাস্ত যাওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা ১৪ মিনিট পর চাঁদ অস্ত যাবে। সুতরাং আকাশ পরিষ্কার থাকলে চাঁদ দেখা যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঈসায়ী, বুধবার হবে মহাপবিত্র ১২ রবীউল আউয়াল শরীফ অর্থাৎ সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment