আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা নামায আদায়ে যত্নবান হও।


আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা নামায আদায়ে যত্নবান হও।
আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদের জন্য যেসব বিষয় ফরযে আইন করে দিয়েছেন নামায হলো তারমধ্যে অন্যতম।
ঈমানের পরেই নামাযের স্থান। অর্থাৎ নামায দ্বীনের দ্বিতীয় স্তম্ভ বা খুঁটি।
যে ব্যক্তি নামায আদায় করলো সে তার দ্বীনকে রক্ষা করলো।
আর যে ব্যক্তি নামায ছেড়ে দিল সে তার দ্বীনকে ধ্বংস করে ফেললো।
তাই প্রত্যেক মুসলমান নর-নারী যাদের উপর নামায ফরয, তাদের জন্য ফরয হচ্ছে যথাযথভাবে নামায আদায় করা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন- “তোমরা নামায আদায়ে যত্নবান হও।” (সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ২৩৮)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদিন নামাযের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি যথাযথভাবে নামায আদায় করবে ক্বিয়ামতের দিন তা তার জন্য নূর, দলীল ও নাজাতের কারণ হবে। আর যে ব্যক্তি নামায আদায়ের ব্যাপারে যতœবান হবে না, তার জন্য নামায নূর, দলীল ও নাজাতের কারণ হবে না। বরং সে ব্যক্তি ক্বিয়ামতের দিন কারূন, ফিরআউন, হামান ও উবাই বিন খলফের (যারা ছিল কাট্টা কাফির ও মুনাফিক) সঙ্গী হবে। অর্থাৎ সে জাহান্নামী হবে।” (আহমদ, দারিমী, বায়হাক্বী, মিশকাত) এ আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারাই নামায আদায়ের গুরুত্ব যে কত বেশি তা অনুধাবন করা যায়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, দৈহিক ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত হলো নামায। ইসলামে সব আমলের পূর্বে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুষ্ঠানিক নুবুওওয়াত ঘোষণার একাদশতম বছরে নামায ফরয হয়। অন্যান্য সব ইবাদতের বিধান ফেরেশতাদের মাধ্যমে পৃথিবীত পাঠিয়ে জারি করা হয়েছে। কিন্তু নামায আল্লাহ পাক তিনি উনার পেয়ারা হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আরশে আযীমের বহু ঊর্ধ্বে, কা’বা ক্বাওসাইন-এর বর্ণনাতীত, অচিন্তনীয় মাক্বামে আহবান করে হাদিয়াস্বরূপ দিয়েছেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, একদল ফেরেশতা রুকু করেন। একদল করেন সিজদা। একদল করেন ক্বিয়াম। কোনো দল পাঠ করেন ক্বিরাত। কোনো দল তাশাহহুদ পড়ার জন্য বসার ন্যায় বসে আছেন। উনাদের একদল অপরদলের আমল করতে পারেন না। আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের কৃত বিভিন্ন আমলকে এ উম্মতের এক রাকায়াত নামাযের মধ্যেই সন্নিবেশিত করে দিয়েছেন। তাই নামায একটি সমন্বিত আমল, পূর্ণাঙ্গ ইবাদত। এর মধ্যে রয়েছে পবিত্রতা, বিশুদ্ধতা ক্বিবলামুখী হওয়া, তাকবীরে তাহরীমা, অন্যান্য তাকবীরসমূহ, ক্বিরাত, রুকু, সিজদা, তাসবীহ, দোয়া, দুরূদ শরীফ, একাগ্রচিত্ততা, বিনয়-নম্রতা এগুলোর প্রত্যেকটি একেকটি ইবাদত। এগুলোকে আল্লাহ পাক তিনি কতইনা সুন্দররূপে নামাযের ভিতরে সন্নিবেশিত করে দিয়েছেন। আর এই নামাযের অভ্যন্তরে রয়েছে শিফা, বরকত ও কামালিয়াত। তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নামাযকে বলেছেন কুররাতুল আইন অর্থাৎ চোখের শীতলতা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন- “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম এবং অনুসারীদেরকে নামাযের জন্য নির্দেশ করুন এবং তার উপর ধৈর্যধারণ বা অটল থাকতে বলুন।” (সূরা ত্বা-হা : আয়াত শরীফ ১৩২)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ফরয, নামাযের গুরুত্ব ও ফযীলত অনুধাবন করে তা নিজে আদায় করার সাথে সাথে তার পরিবারবর্গ বা অধীনস্থদেরকে আদায় করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কেননা আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, জাহান্নামের আগুন থেকে তোমরা নিজে বাঁচো এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনদেরকে বাঁচাও। (সূরা আত তাহরীম : আয়াত শরীফ ৬)
অতএব প্রত্যেক মু’মিন-মুসলমান নর-নারীর উচিত নামায সম্পর্কে জরুরত আন্দাজ ইলম অর্জন করে সঠিকভাবে নামায আদায় করার মাধ্যমে আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি হাছিলের কোশেশ করা।

তথ্য সূত্র: আল ইহসান

Uswatun Hasanah

Saieedul Aaiyad

0 comments:

Post a Comment

Pages (105)123456789 Next