বিশেষ প্রতিবেদন


উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মানহানি করার জন্য আন্তর্জাতিক ইসলাম বিদ্বেষী চক্র ‘জুয়েল অব মদিনা’ অপন্যাসের অপপ্রয়াস চালিয়েছে।
আর উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মানহানি করার প্রেক্ষাপট তারা এদেশেই রচনার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে।
ইসলাম বিদ্বেষীরা ‘ঘরজামাই’ সুন্নতী চেতনার মানহানি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ!
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।

সময়টা সামপ্রতিক! কিন্থ ঘটনা তালিকা শুধু দীর্ঘই নয় বরং বীভৎস ন্যক্কারজনক। অব্যক্ত আপত্তিকর।
* ইন্টারনেট (Cnet networks & ydnet.com) সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী নিউইয়র্কের বাণিজ্যিক এলাকা ম্যানহ্যাটনে মুসলমানদের শ্রেষ্ঠ শেয়ারুল ইসলাম KAA'BA MAKKAH -র অনুরূপ APPLE MECCA নামে বার খোলা,
নেদারল্যান্ডে কুরআন শরীফ-এর নামে ফ্যাসিবাদী চরিত্র নিয়ে সিনেমা, স্যাটানিক ভার্সেস নিয়ে বিবিসি’র সিনেমা এবং ভারতের মসজিদে সানিয়া মির্জার শুটিং
এএফপি পরিবেশিত নেদারল্যান্ডের এমপি গিয়ার্ট ওয়াইল্ডার্সের কুরআন শরীফ পুড়ে বা ছিঁড়ে ফেলার দৃশ্য সম্বলিত খবর প্রকাশ জার্মানি থেকে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার প্রতি অপবাদ লেপন করে ‘জুয়েল অব মদিনা’ নামক অপন্যাস বাজারজাত করে উনার মানহানি করার অপপ্রয়াসে উদ্যত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে এ অপন্যাস লিখেছে সাংবাদিক মেরি জোন্স। অপন্যাসটি তখনই বাজারে ছাড়ার কথা ছিলো। কিন্থ মুসলমানদের প্রতিক্রিয়ার কথা আশঙ্কা করে মার্কিন প্রকাশনী সংস্থা র‌্যানডম হাউস বইটি বাজারজাত বন্ধ রাখে।
বলাবাহুল্য, আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মানহানি করার জন্যই ইহুদী-খ্রিস্টানরা একের পর এক এরূপ ইসলাম অবমাননাকর কাজ করে আসছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
কিন্থ গোটা মুসলিম বিশ্বে এর তীব্র প্রতিবাদ উঠলে ইহুদী-খ্রিস্টানরা অতঃপর তাদের চিরাচরিত কু-পন্থার আশ্রয় নেয়।
তারা নিজেরা না করে মুসলমান দেশেই মুসলমান নামধারীদের মাঝেই তাদের এজেন্ট নিয়োগ করে দেয়। বাংলাদেশে রাতারাতি এবং ধারাবাহিক, তার প্রকাশ পায়।
ইসলামের নামে ধর্মব্যবসায়ী জামাত শিবিরের কিশোরকণ্ঠেই প্রথমে কদুর সাথে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক সংযুক্ত করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
এরপর ‘প্রথম আলো’ পত্রিকা বিড়ালের সাথে এবং বগুড়ার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ম্যাগাজিনে কৈ মাছের সাথে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক-এর অবমাননা করা হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
এরপর ঢাকায় ফুটবলে কালিমা শরীফ খচিত হওয়ার খবর প্রকাশ পায়।
অবিশ্বাস্যভাবে এভাবে এদেশেই কুরআন শরীফ অবমাননার ঘটনা ঘটেই চলছে। নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক ইত্যাদি কাফির রাষ্ট্রের ইসলাম অবমাননাকে সহনশীল করার জন্য রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশ বাংলাদেশেই এখন উদ্দেশ্যমূলকভাবে কুরআন শরীফ-এর অবমাননা করা হয়। সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কুরআন শরীফ -এর পাতায় ছবি অঙ্কনের পর চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কুরআন শরীফ-এর পাতা দিয়ে ঠোঙ্গা বানানো হয়েছে।
এরপর বগুড়ার গাবতলীতে এক লম্পট ভণ্ড যুবকের চুরির অপরাধ প্রমাণ করতে গিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় পবিত্র গ্রন্থ কুরআন শরীফ-এর উপর দু’পা রেখে ৩ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনা ঘটানো হয়।
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশের মতো ধর্মপ্রাণ মুসলমান দেশে যদি কুরআন শরীফ-এর পাতা ছিঁড়ে ঠোঙ্গা বানানো হয় এমনকি কুরআন শরীফ-এর উপর দাঁড়ানোর ঘটনা ঘটানো হয়; তাহলে আর নেদারল্যান্ডে কুরআন শরীফ-এর পাতা ছিঁড়ে সিনেমা বানানো খুব বেশি দোষ কোথায়? এই দুষ্ট অনুভূতি তৈরির জন্য দুরভিসন্ধিমূলকভাবে এসব করা হয়।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত ঘটনাবলী ইহুদী-খ্রিস্টানদের এজেন্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের।
তবে ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারের সময় এত সাহস না পেলেও এত স্পর্ধা দেখাতে না পারলেও আন্তর্জাতিক ইসলাম বিদ্বেষী চক্রের এদেশীয় দোসররা যে বসে নেই তা সমপ্রতি ‘দৈনিক আল ইহসান্থ-এ প্রকাশিত ‘ঘরজামাই’ শীর্ষক একটি খবরে পরিষ্কার প্রতিভাত হয়।
খবরের প্রথমাংশে বলা হয়,
“সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোঁড়া গ্রামে ঘরজামাইদের এলাকা থেকে অপসারণ ও অত্যাচার বন্ধের দাবিতে তিনদফা ঝাড়- মিছিল হয়েছে। এলাকার শত শত নারী-পুরুষ এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে।”
খবরের শেষাংশে বলা হয়,
“এলাকাবাসীর দাবি, ঘরজামাইরা এলাকা ছেড়ে যাতে দ্রুত চলে যায় এবং তাদের অত্যাচার হতে এলাকাবাসী যাতে রেহাই পায় এজন্য এলাকার চেয়ারম্যান এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে। প্রকাশ থাকে যে, ইতোপূর্বেও আরো দুইবার ঘরজামাইদের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন মিছিল করেছিল।”
উল্লিখিত খবরটি যে সাধারণ নয় বরং খবরের অন্তরালে অনেক কিছু আছে তা শুধু বিচক্ষণ বিবেকেই উপলব্ধি সহজ।
প্রথমত ঘটনাটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সাতক্ষীরার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অজপাড়া গ্রামের নাম ‘কোঁড়া’।
একটি গ্রামে লোকসংখ্যা কত থাকে?
আর বিয়ে দেয়া মেয়ের সংখ্যাইবা কত থাকে?
একটি গ্রাম হিসেবে যে এ সংখ্যা সীমিত তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
কিন্থ খবরে বলা হয়েছে, এলাকার শত শত নারী-পুরুষ এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে।
বলাবাহুল্য, পুরো গ্রামবাসীই যদি কোন মিছিলে অংশগ্রহণ করে তাহলেও সে কথিত শত শত নারী পুরুষের মিছিল হবে না তা সাধারণ সত্য।
প্রশ্ন হলো সব গ্রামবাসীই যদি এভাবে চলে আসে তাহলে যারা ঘরজামাই তারা গেলেন কই?
এবং যাদের জামাই বা বিবাহ দেয়া মেয়েই নেই তারাইবা গেলেন কই?
স্পষ্ট প্রতিভাত হচ্ছে, সে সংখ্যা নিয়ে এখানে বিশেষ কারচুপি করা হয়েছে।
শুধু তাই নয় ‘ঘরজামাই’ একটা নিতান্ত পারিবারিক বিষয়। তা নিয়ে মিছিল করা হবে, চেয়ারম্যান এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সাহায্য চাওয়া হবে বিষয়টি কত অস্বাভাবিক এবং রহস্যজনক তা গভীর চিন্তার বিষয়।
কারণ, ঘরজামাইদের বিরুদ্ধে মিছিলে শ্বশুর-শাশুড়ীর কথা উল্লেখ নেই। বর্ণনা রয়েছে এলাকাবাসীর।
খবরে বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে আরো দুইবার ঘরজামাইদের বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছিল।
প্রশ্ন হলো- দেশের আর কোনো স্থানে কোনোদিন খবর হলোনা।
কিন্থ প্রত্যন্ত অঞ্চল ওই সাতক্ষীরার অজগ্রাম কোঁড়াতেই এ পর্যন্ত তিনবার মিছিল হয়ে গেলো।
এই অঘটন ঘটন পটীয়সীটা কে বা কারা?
বলাবাহুল্য, এর পেছনে যে কথিত এনজিও এবং তারও নেপথ্যে আন্তর্জাতিক ইসলাম বিদ্বেষী মহল রয়ে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
উল্লেখ্য, এ লেখার প্রথমে বলা হয়েছিল যে হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মানহানি করার জন্য ‘জুয়েল অব মদিনা’ অপন্যাস লেখা হয়েছিল।
সে ধারাবাহিকতায় এখন উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মানহানি তথা স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানি করার অপচেষ্টা চলছে।
কারণ, খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি নিজেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। সমুদয় অর্থ-সম্পদ সমর্পণ করেছিলেন এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম উনার গৃহেই অবস্থান করতেন।
অপরদিকে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘ঘরজামাই’ হিসেবে রেখেছিলেন। অর্থাৎ আক্ষরিক অর্থে ‘ঘরজামাই’ বলতে যা বোঝায় তা মূলত খাছ সুন্নত।
কিন্থ বাল্যবিবাহের মতই ইহুদী-খ্রিস্টানরা ঘরজামাই শব্দটাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিন্দনীয় ও দূষণীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে চালাবার অপচেষ্টা করছে। তার একটি বিশেষ প্রমাণ হলো উক্ত মিছিলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘরজামাইদের বিরুদ্ধে অনেক অবমাননাকর বক্তব্য দেয়া হয়েছে।
এমনকি এটাও বলা হয়েছে, “এলাকাবাসী আরো জানায়, কোন ভালো ঘরের সন্তান কখনো ঘরজামাই থাকে না।” নাঊযুবিল্লাহ!
উল্লেখ্য, ‘ঘরজামাই’ তো এমনিতেই ‘ঘরজামাই’ হয়নি।
এলাকাবাসী করেছে বলেই ‘ঘরজামাই’। তা হলে তো প্রথমে এলাকাবাসীকেই দায়ী করতে হয়।
তাছাড়া শুধু ‘ঘরজামাই’ কেন?
জামাইরা কী স্ত্রীদের উপর অত্যাচার করেনা?
হাজার হাজার নারীরা যৌতুকের বলি হয় না?
কই তাদের বিরুদ্ধে তো আজ পর্যন্ত কোন মিছিল হয়নি। আর শুধুই কী ঘরজামাই-ই খারাপ হয়?
নিজের সন্তানরা কী খারাপ হয়না?
মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসীরা কী কারো সন্তান নয়?
তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তো আজ
পর্যন্ত কোনো মিছিল হলো না কেনো?
সেক্ষেত্রে সর্বাগ্রে এ মিছিল হওয়া দরকার
সন্ত্রাসী মাদকাসক্ত দুর্নীতিবাজ সন্তানদের বিরুদ্ধে।
বলাবাহুল্য, সাতক্ষীরার কোঁড়া গ্রামের এ খবর আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে।
এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আন্তর্জাতিক ইসলাম বিদ্বেষী চক্র তাদের নিয়োগকৃত এজেন্টের মাধ্যমে কলকাঠি নাড়ছে তা পরিষ্কারভাবে প্রমাণ করেছে।
এবং এরা খুবই উদ্দেশ্যমূলক ও দুরভিসন্ধিজনিত প্রক্রিয়ায় ‘বাল্যবিবাহ’ ‘ঘরজামাই’ এসব সুন্নতী চেতনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইহুদীরা তাদের গোপন বই ‘প্রটোকলে’ মুসলমানদের ক্ষতি ও ইসলামের অবমাননা করার একশ বছরের পরিকল্পনা এঁটেছিলো। মুসলমানদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে তাদের সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা পূর্ণ কোশেশ করে যাচ্ছে।
ইহুদী-খ্রিস্টানরা তাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যখন দেখেছে যে, মুসলমানদের মনে আর ঈমানী অনুভূতি প্রবল নেই,
মুসলমানদের ঈমানী জযবার ত্রুটি রয়েছে,
মুসলমান কাফিরদের কালচারে, রীতিতে, অনুভবে,
অনুভূতিতে একাকার হয়ে গিয়েছে- তখনই তারা একের পর এক ইসলাম অবমাননাকর চরম পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইহুদী-খ্রিস্টানরা চায় পৃথিবীতে ইসলামের কোন নিদর্শন না থাকুক। মুসলমানদের কোনো অস্তিত্ব না থাকুক। নাঊযুবিল্লাহ!
অথচ পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় সোয়া তিনশ কোটি মুসলমান। অর্ধশতেরও বেশি মুসলিম দেশ। পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি সম্পদ মুসলিম দেশসমূহের। মুসলিম দেশে মহান আল্লাহ পাক তিনি যে তেল-গ্যাস তথা খনিজ সম্পদ দিয়েছেন তার মুখাপেক্ষী ইউরোপ-আমেরিকাসহ গোটা বিধর্মী বিশ্ব। কাজেই মুসলিম বিশ্ব যদি ঈমানী চেতনায় বলীয়ান হয় তবে তাদের কোনো মতেই কাফির বিশ্বের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। বরং কাফির বিশ্বই মুসলিম বিশ্বের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে।
তাই প্রত্যেক মুসলমানদের উচিত হবে- তাদের ঈমানী কর্তব্য হিসেবে ইহুদী-খ্রিস্টানদের ইসলাম বিদ্বেষী সব অপতৎপরতা বন্ধ করা। ইসলামের অবমাননা প্রতিহত করা এবং তার মূল উলামায়ে ছূ’দের চিহ্নিত ও নিশ্চিহ্ন করা। এর অন্যথা হলে কেউ নাজাত পাবে না

সূত্র: দৈনিক আল ইহসান

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment