‘আত তাক্বউইমুশ শামসি’ আগামী পৃথিবীর জন্য রচিত একটি আদর্শ সৌর ক্যালেন্ডার -২


‘আত তাক্বউইমুশ শামসি’ সৌর ক্যালেন্ডার পৃথিবীর কোনো ক্যালেন্ডারের অনুকরণে তৈরি না করে বরং খাছ খোদায়ী মদদে ইলহাম, ইলকার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই সৌর ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন এবং নামকরণ করেছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।
আজকের প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার এসেছে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে। আর জুলিয়ান ক্যালেন্ডার এসেছে রোমান ক্যালেন্ডার থেকে। রোমানদের জীবন ছিল কুসংস্কারে ভরা। তারা দেব-দেবীর উপাসনা করতো, ফলে তাদের ক্যালেন্ডারে অনেক মাসের নাম; অনেক দিনের নাম রেখেছিলো দেব-দেবীর নামে যা আজো চলে আসছে। তারা জোড় সংখ্যাকে অশুভ মনে করতো ফলে মাস গণনা করতো ২৯ দিনে অথবা ৩১ দিনে। সেই রোমান ক্যালেন্ডারকে কিছুটা সংশোধন করে রোমান স¤্রাট জুলিয়াস সিজারের স্মরণে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার নাম রাখা হয়েছিলো। পরবর্তীতে এই ক্যালেন্ডারের ত্রুটির কারণে আবারো সংশোধন করা হয়।
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের নামকরণ করা হয়েছিলো চরিত্রহীন খ্রিস্টান যাজক পোপ গ্রেগরির নামে। অথচ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসি’ কালেন্ডার রচনা করা হয়েছে মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্মরণে। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্মরণ মূলত মহান আল্লাহ পাক উনারই স্মরণ।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বিছাল শরীফ-এর তারিখ ১১ হিজরী, ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ, সোমবার শরীফ।
জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ তারিখ ৮ই জুন, ৬৩২ ঈসায়ী এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১১ই জুন ৬৩২ ঈসায়ী। কিন্তু ‘আত তাক্বউমুশ শামসি’ ক্যালেন্ডার শুরু হয়েছে ১১ হিজরী সনের রবীউল আউয়াল মাসের পহেলা তারিখ থেকে (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ৩১ মে, ৬৩২ ঈসায়ী) যা কিনা এই ক্যালেন্ডারের ০ বছর ১ মাস ১ম দিন। ফলে ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসি ক্যালেন্ডারের ০ বছরের ১ম মাসের ১২ তারিখ হচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর তারিখ। (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১১ই জুন ৬৩২)
সুতরাং যে ক্যালেন্ডার রচনার উদ্দেশ্য মূলত মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের স্মরণ সেই ক্যালেন্ডারই ব্যবহার করতে হবে আর কাফিরদের স্মরণে রচিত বাকি সব ক্যালেন্ডারের ব্যবহার বর্জন করা অপরিহার্য হয়ে পড়বে। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment