হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকেই পবিত্র কুরবানী করার জন্য যমীনে শোয়ানো হয়েছিলো এবং উনারই পরিবর্তে একটি দুম্বা কুরবানী করা হয়েছিলো।’
এটাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বর্ণনা।

খালিক্ব মালিক রব মহান মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হযরত ইবরাহীম খলীল আলাইহিস সালাম তিনি উনার ছেলে (হযরত ইসমাঈল জবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম) উনাকে বলেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম আপনাকে যবেহ করতেছি, আপনি কি বলেন? তখন হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হে আমার সম্মানিত পিতা! আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন তা করুন অর্থাৎ যবেহ করুন। অবশ্যই আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।’
আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি দুই যবেহ অর্থাৎ হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম ও হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাদের আওলাদ।’
হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকেই পবিত্র কুরবানী করার জন্য যমীনে শোয়ানো হয়েছিলো এবং উনারই পরিবর্তে একটি দুম্বা কুরবানী করা হয়েছিলো।’
এটাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বর্ণনা।

আর হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কিত বর্ণনাটি ইসরাইলী তথা ইহুদীদের বর্ণনা, যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও পরিত্যাজ্য।

যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিশুদ্ধ কিতাব ‘মুসতাদরাক লিল হাকিম’ উনার বরাত দিয়ে বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমরা একদা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে উপস্থিত ছিলাম। তখন এক গ্রাম্য আরবী লোক এসে বললেন, হে দুই যবীহ উনাদের সন্তান! এ সম্বোধন শুনে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুচকি হাসলেন। হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করার পর উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, যবীহদ্বয় উনারা কে কে? হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, এক যবীহ হলেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পিতা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আর দ্বিতীয়জন হলেন উনার পূর্ব পিতা হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনি।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘তাফসীরে জালালাইন শরীফ’ উনার বরাত দিয়ে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি দুই যবীহ উনাদের আওলাদ’। এ পবিত্র হাদীছ শরীফখানা উনার তাৎপর্য হচ্ছে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আপন পিতা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে উনার পিতা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনি কুরবানীর জন্য মানত করেছিলেন। অতঃপর তৎকালীন জ্ঞানী-গুণীগণের পরামর্শক্রমে উনার প্রাণ মুবারক উনার বিনিময়ে একশত উট ছদকা (কুরবানী) করেছিলেন। সুতরাং এক যবীহ পাওয়া গেল। আর অনিবার্যভাবেই অপর যবীহ হলেন হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনি। কেননা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার বংশের অন্তর্ভুক্ত। ‘আমি দুই যবীহ উনাদের আওলাদ’ পবিত্র হাদীছ শরীফখানা উনাকে হযরত ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহীহ তথা বিশুদ্ধ বলেছেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই পবিত্র কুরবানী করা হয়েছিলেন হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে।’ অনুরূপ রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে। যেমনটি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিশুদ্ধ কিতাব ‘আল মুসতাদরাক লিল হাকিম’ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে। একইভাবে বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এতে কোন সন্দেহ নেই যে, নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকেই পবিত্র কুরবানী করতে নির্দেশ করেছিলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হযরত ইবরাহীম খলীল আলাইহিস সালাম তিনি উনার ছেলে (হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম) উনাকে বলেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম আপনাকে যবেহ করতেছি, আপনি কি বলেন? তখন হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে আমার সম্মানিত পিতা! আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন তা করুন অর্থাৎ যবেহ করুন। অবশ্যই আমাকে ধৈর্য্যশীল পাবেন। এ প্রসঙ্গে ‘তাফসীরে মাযহারী’ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “এ কথা সুনিশ্চিত যে, ‘পবিত্র সূরা ছফফাত শরীফ’ উনার ১০১ নম্বর আয়াত শরীফ উনার উদ্ধৃত ‘ধৈর্যশীল পুত্র’ বলে বুঝানো হয়েছে- হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে। আর উনাকেই পবিত্র কুরবানী করার নির্দেশ পেয়েছিলেন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি। অর্থাৎ তিনিই ছিলেন ‘যবীহ’ (উৎসর্গকৃত)। কিন্তু ইহুদী, খ্রিস্টানরা বলে, ‘যবীহ’ ছিলেন হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম। তাদের এ উক্তি যে অসত্য, তা বলাই বাহুল্য।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কিত যে বর্ণনা রয়েছে তা ইসরাইলী বা ইহুদীদের বর্ণনা। ইহুদীরা হিংসার বশবর্তী হয়েই এরূপ মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে ও করছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘তাফসীরে মাযহারী’ কিতাব উনার বরাত দিয়ে আরো বলেন, হযরত ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেছেন, খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একবার এক পুণ্যবান নব মুসলমানকে (যিনি পূর্বে ছিলেন ইহুদী) জিজ্ঞেস করলেন, বলুন তো, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস তিনি উনার কোন পুত্রকে পবিত্র কুরবানী করার জন্য আদিষ্ট হয়েছিলেন? তিনি বললেন, হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে। তিনি আরো বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! ইহুদীরা এ কথা জানে। কিন্তু হিংসাবশত তারা স্বীকার করতে চায় না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘তাফসীরে মাযহারী’ কিতাব উনার বরাত দিয়ে বলেন, হযরত আসমায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি একবার হযরত আবু আমর ইবনে আ’লা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, বলুন তো, ‘যবীহুল্লাহ’ ছিলেন কে- হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম, না হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম? তিনি বললেন, তোমার কি জ্ঞান-বুদ্ধি আছে? হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম তিনি আবার মক্কা শরীফ ছিলেন কবে? (হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম তিনি তো সিরিয়াতে বসবাস করতেন)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘তাফসীরে মাযহারী’ উনার বরাত দিয়ে আরো বলেন, এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, কুরবানীর উক্ত ঘটনাটি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার পাশে পবিত্র মিনায় সংঘটিত হয়েছে। আর এটা তো জানা কথা যে, হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনিই পবিত্র মক্কা শরীফ উনাতে বসবাসরত ছিলেন। হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম তিনি নন। (কারণ তিনি তো সিরিয়াতে বসবাস করতেন।) সুতরাং হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনিই ‘যবীহ’ ছিলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের অকাট্য দলীল দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, ‘হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি উনার ছেলে হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম উনাকেই কুরবানী করার জন্য যমীনে শোয়ায়ে ছিলেন। যা বিশ্বখ্যাত, সুপ্রসিদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য সমস্ত তাফসীর, হাদীছ শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ, ফিক্বাহ ও ফতওয়ার কিতাবসমূহে বর্ণিত রয়েছে। যেমন-
তাফসীর উনার কিতাব: (১) কুরতুবী, (২) বাইযাবী, (৩) রুহুল মায়ানী, (৪) খাযিন, (৫) ইবনে কাছীর, (৬) বাগবী, (৭) মাদারিক, (৮) ফতহুল ক্বাদীর, (৯) রুহুল বয়ান, (১০) মাযহারী, (১১) কবীর, (১২) দুররে মানছূর, (১৩) তাবারী, (১৪) আবী সউদ, (১৫) ছফওয়াতুত তাফাসীর, (১৬) জালালাইন, (১৭) কামালাইন, (১৮) গরায়িব, (১৯) যাদুল মাছীর, (২০) আল মুহাররারুল ওয়াজিয, (২১) মাওয়াহিব, (২২) হাশিয়ায়ে শিহাব, (২৩) ইবনে আব্বাস, (২৪) দুররে মাছুন, (২৫) কাশশাফ, (২৬) তাফসীরে হক্কানী, (২৭) দ্বিয়াউল কুরআন, (২৮) আহকামুল কুরআন, (২৯) লুবাব, (৩০) নাজমুদ দুরার, (৩১) কাসিমী, (৩২) মীযান, (৩৩) মাওয়ারদী, (৩৪) নূরুল ইরফান, (৩৫) তাফহীমুল কুরআন, (৩৬) মা’আরিফুল কুরআন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব: (৩৭) বুখারী শরীফ, (৩৮) মুসলিম শরীফ, (৩৯) মিশকাত শরীফ।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যাগ্রন্থ: (৪০) উমদাতুল ক্বারী, (৪১) ফতহুল বারী, (৪২) ইরশাদুস সারী, (৪৩) তাইযীরুল ক্বারী, (৪৪) ফয়জুল বারী, (৪৫) শরহে নববী, (৪৬) ফতহুল মুলহিম, (৪৭) মিরকাত, (৪৮) লুময়াত, (৪৯) আশয়াতুল লুময়াত, (৫০) মুযাহিরে হক, (৫১) মিরআতুল মানাজীহ, (৫২) তা’লীকুছ ছবীহ।
ফতওয়া ও ফিক্বাহর কিতাব: (৫৩) ফতওয়ায়ে আলমগীরী, (৫৪) ফতওয়ায়ে শামী, (৫৫) ফতওয়ায়ে কাযীখান, (৫৬) ফতওয়ায়ে তাতারখানিয়া, (৫৭) ফতওয়ায়ে সিরাজিয়া, (৫৮) বাদায়ে, (৫৯) বাহরুর রায়েক, (৬০) মারাকিউল ফালাহ, (৬১) ফতহুল ক্বাদির, (৬২) শরহে বিক্বায়া, (৬৩) হেদায়া, (৬৪) দেরায়া ইত্যাদি।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ছহীহ এবং গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হচ্ছে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি উনার ছেলে হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম উনাকেই পবিত্র কুরবানী করার জন্য যমীনে শোয়ায়ে ছিলেন। আর হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কিত বর্ণনাটি মূলত ইসরাইলী তথা ইহুদীদের বর্ণনা, যা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য। তাই যারা ইসরাইলী বর্ণনায় বিশ্বাসী তাদের প্রতি প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করে তিনি বলেন, যদি তাদের হিম্মত থাকে তাহলে যেনো বাহাছের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে।
-০-

তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Read more ...

সারা পৃথিবীতে একদিনে পবিত্র ঈদ পালন করা সম্ভব নয়।
যারা একদিনে পবিত্র ঈদ পালনের পক্ষে বলে থাকে তাদের পবিত্র শরীয়ত উনার সম্পর্কে ইলম এবং ভৌগোলিক জ্ঞান উভয়টিরই যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘চাঁদ দেখে মাস শুরু করো, ঊনত্রিশ তারিখে চাঁদ দেখা না গেলে মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করো।’
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার এই নির্দেশ মুবারক স্পষ্ট প্রমাণ করে- সারা পৃথিবীতে একদিনে পবিত্র ঈদ পালন করা সম্ভব নয়।
যারা একদিনে পবিত্র ঈদ পালনের পক্ষে বলে থাকে তাদের পবিত্র শরীয়ত উনার সম্পর্কে ইলম এবং ভৌগোলিক জ্ঞান উভয়টিরই যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

তাদের উচিত খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী উনাদের হাতে বাইয়াত গ্রহণ করে যিকির ফিকির উনাদের মাধ্যমে তাদের সমঝের তীব্রতা বৃদ্ধি করা।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যারা সমগ্র বিশ্বে একদিনে পবিত্র ঈদ পালন করার দাবি তুলছে বা তুলে তারা আসলে ন্যূনতম ভূগোলের জ্ঞান এবং পবিত্র শরীয়ত উনার সম্পর্কিত ইলম বিবর্জিত মানুষ। হয় তারা আবেগ তাড়িত, যার কোনো মূল্য পবিত্র শরীয়ত উনাতে নেই। অথবা নিছক ফিতনা এবং মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে একটি অপকৌশল ব্যবহার করতে চাচ্ছে। যার মূলে রয়েছে, তাদের ইহুদী ও খ্রিস্টান মনীব।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র শরীয়ত উনার সীমালঙ্ঘন করে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের কথা বলে একদিনে রহমতপূর্ণ ঈদ পালন করতে চাইলে ভ্রাতৃত্ববোধ যেমনি গড়ে উঠবে না, তেমনি রহমতপূর্ণ ঈদ পালনও হবে না। তারা একদিনে পবিত্র ঈদ পালনের কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। দিন বলতে আমরা দু’রকম বুঝতে পারি, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের সময়কে দিন বলে আবার দিবা রাত্রি মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টাকে দিন বলে। সৌরমাস এবং চন্দ্রমাস হিসেবেও দিন আবার দু’রকম। সৌরমাসের দিন শুরু হয় রাত ১২টা থেকে এবং তা থাকে পরবর্তী রাত ১২টা পর্যন্ত আবার চন্দ্রমাসে দিন শুরু হয় সূর্যাস্তের পর থেকে এবং তা থাকে পরবর্তী সন্ধ্যা পর্যন্ত। আবার একদিন বলতে একই তারিখ বা বার বোঝানো যেতে পারে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অনেকে আবার সউদী আরবে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে সারা পৃথিবীতে একদিনে পবিত্র ঈদ পালন করতে চায়। কিন্তু বাস্তবে এই একদিনে পবিত্র ঈদ পালন করা বা সউদী আরবের চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে সারা পৃথিবীতে একদিনে পবিত্র ঈদ করা সবই অজ্ঞতা, মূর্খতা ও হাস্যকর; যা অবাস্তব ও অবান্তর।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। সউদী আরবে চাঁদ দেখা গেলে সেই চাঁদ দেখা অনুযায়ী যারা সারা পৃথিবীতে একদিনে পবিত্র ঈদ পালন করতে চায় তাদের জন্য স্মরণীয়:
১৪১৯ হিজরীর শাওয়াল মাসের চাঁদ সউদী আরবে দেখা গিয়েছিলো সোমবার, ১৮ই জানুয়ারি। সেদিন অর্থাৎ ১৮ই জানুয়ারি, নিউজিল্যান্ডে সূর্য অস্ত যাওয়ার ১৩ মিনিট পর চাঁদ অস্ত যায় এবং চাঁদের বয়স ছিল মাত্র ১৭ ঘণ্টা। নিউজিল্যান্ডে সেদিন চাঁদ দেখা যায়নি এবং দেখা যাওয়া ছিল অসম্ভব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এখন আমাদের প্রশ্ন যদি সউদী আরবের চাঁদ দেখা অনুযায়ী নিউজিল্যান্ডবাসীকে পবিত্র ঈদ করতে হয় তবে তারা কখন পবিত্র ঈদ পালন করবে?
যেদিন সউদী আরবে চাঁদ দেখা যায় তখন
স্থানীয় সময়: ৬টা ৩০ মিনিট
বার: ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ
তারিখ: ১৮ই জানুয়ারি, ১৯৯৯ ঈসায়ী।
সেদিন নিউজিল্যান্ডে-
সময়: ভোর ৪টা ৩০মিনিট
বার: ইয়াওমুছ ছুলাছায়ি বা মঙ্গলবার
তারিখ: ১৯শে জানুয়ারি, ১৯৯৯ ঈসায়ী।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যদি সউদী আরবের সাথে পবিত্র ঈদ পালনকারীরা বলেন নিউজিল্যান্ডবাসীরা ভোর ৭টায় ঈদের নামায পড়বে তাহলে দেখা যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডবাসীর পবিত্র ঈদ সউদী আরবের তারিখে হচ্ছে না। কেননা সউদী আরবে সেদিন ১৮ই জানুয়ারি আর নিউজিল্যান্ডে ১৯শে জানুয়ারি।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, একদিনে পবিত্র ঈদ পালনকারীদের যুক্তি অনুযায়ী ১৮ই জানুয়ারির রাতে নিউজিল্যান্ডবাসী মুসলমানরা তারাবীহর নামায পড়লেও, সাহরী খেলেও এসব আমল নষ্ট করে ৭টায় নামায পড়তে হবে যেহেতু সউদী আরবে সে সময় চাঁদ দেখা গেছে অথবা ১৯শে জানুয়ারির ভোরে যেহেতু সউদী আরব পবিত্র ঈদ পালন করবে সেই তারিখের সমতা রক্ষার জন্যেই কি চাঁদ দেখতে না পেলেও রোযার সব আমল নষ্ট করে নিউজিল্যান্ডবাসীকে পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে?

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার নির্দেশ রয়েছে ২৯তম দিনে চাঁদ দেখা না গেলে মাস ৩০ দিনে পূর্ণ করতে হবে। অথচ নিউজিল্যান্ডবাসী পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার নির্দেশ অমান্য করে ৩০ দিনে পূর্ণ না করে সকালে নামায পড়লে তা কিসের অনুসরণ হবে? আর যদি বলা হয়, সউদী আরবের পবিত্র ঈদের দিন নামাযের পর নিউজিল্যান্ডবাসীকে পবিত্র ঈদের নামায পড়তে হবে তবে সউদী আরবে পবিত্র ঈদের দিনে যখন নামায অনুষ্ঠিত হয়েছে তখন নিউজিল্যান্ডে সময় ছিল বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট। সে সময় পবিত্র ঈদের নামায পড়া সম্ভব নয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে সউদী আরবের সাথে সমগ্র পৃথিবীতে একই দিনে পবিত্র ঈদ পালন করার যুক্তিটি অজ্ঞতা, মূর্খতা ও হাস্যকর।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত যারা একদিনে পবিত্র ঈদ পালনের পক্ষে তাদের পবিত্র শরীয়ত উনার ইলম এবং ভৌগোলিক জ্ঞান উভয়টিরই যথেষ্ট অভাব রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী উনাদের হাতে বাইয়াত গ্রহণ করে যিকির ফিকির উনাদের মাধ্যমে তাদের সমঝের তীব্রতা বৃদ্ধি করা উচিত। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ কর। শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।” কাজেই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, পবিত্র রোযা ও পবিত্র ঈদসহ দ্বীন ইসলাম উনার প্রতিটি ইবাদত খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নির্দেশ মুতাবিক পালন করা।
-০-
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Read more ...