اَلطَّاهِرُ (আত ত্বাহির) শব্দ মুবারকখানা আরবী ক্বাওয়াইদ وَاحِدٌ مُذَكَّرٌ اِسْمٌ فَاعِلٌ উনার ছীগাহ। উনার মাছদার বা ক্রিয়ামূল হচ্ছেন اَلطَّهَارَةُ (আত ত্বহারাত)। মূল বর্ণ হচ্ছেন ط-ه- ر। অর্থ:Ñ পূত-পবিত্র, মহাপবিত্র, পূত-পবিত্রতাদানকারী। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُـطَـهِّـرَكُمْ تَطْهِيْراً.
অর্থ: “হে সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ৩৩)
এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় সম্মানিত সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ قَسَّمَ الْـخَلْقَ قِسْمَيْنِ فَجَعَلَنِىْ فِىْ خَيْرِهِـمَا قِسْمًا ثُـمَّ جَعَلَ الْقِسْمَيْنِ اَثْلَاثًا فَجَعَلَنِىْ فِىْ خَيْرِهَا ثُلُثًا ثُـمَّ جَعَلَ الْاَثْلَاثَ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِىْ فِىْ خَيْرِهَا قَبِيْلَةً ثُـمَّ جَعَلَ الْقَبَائِلَ بُيُوْتًا فَجَعَلَنِىْ فِىْ خَيْرِهَا بَيْتًا فَذٰلِكَ قَوْلُهٗ تَعَالـٰى{اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُـطَـهِّـرَكُـمْ تَطْهِيْراً} فَاَنَا وَاَهْلُ بَيْتِىْ مُطَهَّرُوْنَ مِنَ الذُّنُوْبِ.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত সৃষ্টিকে দু’ভাগে বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম ভাগে রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উভয় ভাগকে তিন প্রকারে বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম প্রকারে রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! এরপর প্রত্যেক প্রকারকে গোত্রে গোত্রে বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম গোত্র মুবারক-এ রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! এরপর গোত্রকে সম্মানিত আহাল বা পরিবার মুবারক-এ বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম সম্মানিত আহাল বা পরিবার মুবারক-এ রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, হে সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।’ সুবহানাল্লাহ! আর আমি এবং আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম আমরা সকলেই যুনূব তথা সমস্ত প্রকার ছগীরা-কবীরা এবং যাবতীয় অপছন্দনীয় কাজ থেকে পূত-পবিত্র।” সুবহানাল্লাহ! (দালায়িলুন নুবুওওয়াহ লিল বায়হাক্বী, শিফা ১/৩২৫, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/৪২, আল মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ১/৪৯৮, খছাইছুল কুবরা ১/৬৬, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/২৩৫ ইত্যাদি)
দশম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে দুররে মানছূর শরীফ’ উনার মধ্যে একখানা সম্মানিত হাদীছ শরীফ উল্লেখ করেন,
حدث الضحاك بن مزاحم رضي الله عنه أن نبي الله صلى الله عليه وسلم كان يقول نحن أهل بيت طهرهم الله من شجرة النبوة وموضع الرسالة ومختلف الملائكة وبيت الرحمة ومعدن العلم.
অর্থ: “হযরত দ্বহ্হাক ইবনে মুযাহিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সম্মানিত হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেন। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (প্রায়) ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস উনাদেরকে (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর লিস সুয়ূত্বী ৬/৬০৬, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)
অর্থাৎ মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতা এতো অধিক যে, উনারা সম্মানিত নুবুওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক ইত্যাদি সমস্ত কিছু থেকেও পবিত্র। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ উনারা সমস্ত কিছু থেকে বেনিয়াজ। সুবহানাল্লাহ! উনাদের পবিত্রতা ও ফযীলত মুবারক সমস্ত কিছুর উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! উনাদের কারণেই সম্মানিত নুবুওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি ইত্যাদি সমস্ত কিছুই ফযীলতপ্রাপ্ত হয়েছেন, সম্মানিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত সম্মানিত আয়াত শরীফ ও সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনাদের পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদুল বাশার, মালিকুল জান্নাহ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার কারণেই সম্মানিত নুবুওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি ইত্যাদি সমস্ত বিষয় মুবারকগুলো ফযীলতপ্রাপ্ত হয়েছেন, সম্মানিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, এক মুহূর্তের তরেও উনার স্পর্শ মুবারক-এ যা কিছু এসেছেন তা এতো অধিক পবিত্রতা মুবারক হাছিল করেছে যে, তা আসমান-যমীন, সম্মানিত কা’বা শরীফ, সম্মানিত কুরসী শরীফ, মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে যা কিছু রয়েছে; এমনকি সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ-কোটিগুণ বেশি পবিত্র, ফযীলতপ্রাপ্ত, সম্মানিত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ।’ সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ উনাদের ধূলি-বালি মুবারক পেয়ে সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক যেমনিভাবে আরো পবিত্রতা হাছিল করেছেন, সম্মানিত ও বরকতময় হয়েছেন এবং সকলের উপর ফখর করেছেন, তেমনিভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ উনাদের সম্মানিত ধূলি-বালি মুবারক পেলেও সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক আরো অধিক পবিত্রতা হাছিল করবেন, সম্মানিত ও বরকতময় হয়ে যাবেন এবং সকলের উপর ফখর করবেন। সুবহানাল্লাহ! আর এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি বিষয়। কেননা সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন বিদ‘আতুম মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিস্ম মুবারক উনার গোশত মুবারক উনার একখানা টুকরো মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিস্ম মুবারক উনার যেই হুকুম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত জিসম মুবারক উনারও ঠিক একই হুকুম। সুবহানাল্লাহ! যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত পবিত্রতা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান কত বেশি তা আর বলার অপেক্ষাই রাখে না। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি শুধু পূত-পবিত্রই নন; বরং তিনি হচ্ছেন পূত-পবিত্রতাদানকারী। তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত লখতে জিগার মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক রেখেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে যাহিরী-বাতিনী সর্বদিক থেকে হাক্বীক্বী পবিত্রতা দান করুন। আমীন!
الأزكى (আল আযকা)Ñ সর্বাধিক পূত-পবিত্র: যেহেতু ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি কায়িনাতের মাঝে সর্বাধিক পূত-পবিত্র এবং পূত-পবিত্রতাদানকারী, তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আবনা’ (ছেলে) সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক রেখেছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ত্বাহির আলাইহিস সালাম নাম মুবারক উনার আরো একখানা অর্থ মুবারক হচ্ছেন, তাযকিয়াদানকারী, ইছলাহকারী:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
لَقَدْ مَنَّ اللهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈমানদারদের প্রতি দয়া-ইহসান করেছেন যে, তিনি তাদের মাঝে একজন রসূল তথা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রেরণ করেছেন যিনি তাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনিয়ে থাকেন। তাদেরকে তাযকিয়া তথা যাহিরী-বাতিনী ইসলাহ দান করেন, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। যদিও তারা ইতঃপূর্বে সম্মানিত হিদায়াত মুবারক উনার উপর, সরল-সঠিক পথের উপর ছিল না। তারা প্রকাশ্য গুমরাহীর মধ্যে নিমজ্জিত ছিল।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬৪)
এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদুল বাশার, মালিকুল জান্নাহ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানার্থে জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী তাযকিয়াহ হাছিল করে থাকে, ইছলাহ হাছিল করে থাকে। সুবহানাল্লাহ! উনাকে যারা বিন্দু থেকে বিন্দুতমও মুহব্বত মুবারক করবে, উনাকে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক উনার সাথে স্মরণ করবে, উনাকে সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করবে, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করবে তারা হাক্বীক্বী তাযকিয়াহ তথা পবিত্রতা হাছিল করবে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করবে। সুবহানাল্লাহ!
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীক্ব। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
0 comments:
Post a Comment