সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত (২)

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
يَااَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مّـِنْ رَّبّـِكُمْ وَشِفَاء لّـِمَا فِى الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لّـِلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّـِمَّا يَـجْمَعُوْنَ.
অর্থ: “হে মানুষেরা! হে সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসী! অবশ্যই তোমাদের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সর্বপ্রকার ব্যাধিসমূহের সর্বশ্রেষ্ঠ আরোগ্যদানকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়াত দানকারী এবং সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য, খাছ করে ঈমানদারদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ রহমতস্বরূপ আমার যিনি হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক এনেছেন। (সুবহানাল্লাহ) হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে, ফযল, করম ও রহমত মুবারক হিসেবে উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে, ঈদ পালন করে তথা মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা, ঈদ পালন করাটা, মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাটা সবকিছু থেকে উত্তম; যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা ইউনূস শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ৫৮)
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অজুদ মুবারক উনার সম্মানার্থে খুশি প্রকাশ করা, ঈদ পালন করা কায়িনাতবাসীর সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মর্যাদা, ফাযায়েল-ফযীলতের দিক থেকে যেমনিভাবে কায়িনাত মাঝে একক অজুদ মুবারক, তেমনিভাবে উনার জন্য খুশি প্রকাশ করাটাও মাখলুকাতের সমস্ত আমল ও ইবাদত হতে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম। (সুবহানাল্লাহ) এ জন্যই আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
من أنفق درهما على قراءة مولد النبى صلى الله عليه وسلم فكانـما شهد غزوة بدر وحنين.
অর্থ: যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ পাঠ অর্থাৎ সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম খরচ করলো, সে যেন বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক থাকলো।” সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা, এ জন্য খুশি প্রকাশ করা, মহাসম্মানিত বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক থাকার নামান্তর। আর বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক থাকার গুরুত্ব সম্পর্কে খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّـهُ بِبَدْرٍ
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে বদর প্রান্তরে সাহায্য করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা আল ইমরান শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ১৩২)
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন,
لَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّـهُ فِي مَوَاطِنَ كَثِيرَةٍ ۙ وَيَوْمَ حُنَيْنٍ
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে অনেক প্রান্তরে এবং হুনাইন জিহাদের দিন সাহায্য করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা তওবা শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ২৫)
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে সমস্ত জিহাদেই সরাসরি খোদায়ী গাইবী মদদ নাযিল হয়েছে। তবে বদর ও হুনাইন জিহাদে সরাসরি খোদায়ী গাইবী মদদ নাযিল হওয়ার ব্যাপারে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বিশেষভাবে বলা হয়েছে। আর মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা, এজন্য খুশি প্রকাশ করা, মহাসম্মানিত বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক থাকার হলো সেই ব্যক্তি দায়েমীভাবে গাইবী মদদ লাভ করতে থাকবে। দুনিয়া ও আখিরাতে সার্বিকভাবে মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মদদ, রহমত, বরকত, সাকীনা, দয়া, দান, ইহসান দায়িমীভাবে লাভ করবে এবং উনাদের দায়িমী নিসবতে সে সম্পৃক্ত থাকবে। সুবহানাল্লাহ
মূলকথা হলো, সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের মাধ্যমে যাবতীয় নিয়ামত মুবারক লাভ হয়। আর এজন্যই সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাকে কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসেবে ঘোষণা মুবারক দেয়া হয়েছে।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-মুহম্মদ যায়েদ।© আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment