কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে মানুষ ভুলে গেলো কী করে?

আমরা ছোটবেলায় দেখেছি অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে মুসলমানগণ উনাদের শ্রেষ্ঠ ঈদ, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালিত হতো। স্কুল, কলেজে পবিত্র মীলাদ মাহফিলের জন্য বার্ষিক হাদিয়া নেয়া হতো এবং অনেক উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি পালন হতো।
কিন্তু হঠাৎ করে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে এসে দেখি কেউ আর আগের মতো দিনটি পালন করে না।
নতুন প্রজন্ম তো এমনিতেই দ্বীনী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। উপরন্তু তাবলীগী, রাজাকার, জামাতী, দেওবন্দী ও খারিজীদের প্রভাব সমাজে বাড়তে থাকে, যারা পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধী। ফলে যা হবার তাই হয়েছে; ধীরে ধীরে সমাজ থেকে পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঠে গেছে। নাউযুবিল্লাহ!
পঞ্চদশ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি পুনরায় সমাজে পবিত্র মীলাদ শরীফ ও মুসলমানগণ উনাদের শ্রেষ্ঠ ঈদ, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেতনা সমাজে ফিরিয়ে আনছেন। তাই তো আজ পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি ঘরে, মহল্লায় পালন করা শুরু হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, কুল-কায়িনাতের সবার জন্যই পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ ও পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-লে. কর্নেল মুহম্মদ আনোয়ার হুসাইন খান, পিএসসি (অব), ঢাকা। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment