সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনে কোনো ঈমানদার মুসলমান বাধা দিতে পারে না-১


একমাত্র গুমরাহ বিদয়াতী ওহাবী খারেজী সম্প্রদায়ের অনুসারীরাই বাধা দিয়ে থাকে! নাউযুবিল্লাহ!
কুল-কায়িনাতে মাঝে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল ইজ্জত উনার সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম পবিত্র ইবাদত- সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনে বহুদিন যাবৎ বহু প্রকার গুমরাহ বিদয়াতী ওহাবী খারেজী সম্প্রদায়ের অনুসারী গং বাধা দিয়ে আসছে। তারা নানা প্রকার মিথ্যা তোহমত, মিথ্যা বানোয়াট ইতিহাস, মনগড়া তথ্য-উপাত্ত এবং পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের অপব্যাখ্যা করে ধর্মপ্রাণ ঈমানদার মুসলমানগণ উনাদের মাঝে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করে আসছে। বিশেষ করে প্রতিবছর মহাপবিত্র সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম মাহে রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস আসলেই এসব গুমরাহ বিদয়াতী ওহাবী খারেজী সম্প্রদায়ের অনুসারীরা বিভিন্নভাবে তাদের অপতৎপরতা শুরু করে দেয়। নাউযুবিল্লাহ! এসব ক্ষেত্রে তারা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা ভাঙ্গা রেকর্ডের ন্যায় শুনাতে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! আলোচ্য প্রবন্ধে আমরা ওইসব গুমরাহ বিদয়াতী ওহাবী খারেজীদের ভাঙ্গা রেকর্ডের দাঁতভাঙ্গা জবাব তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ। যাতে করে সারাবিশ্বের তামাম ধর্মপ্রাণ ঈমানদার মুসলমান উনাদের ঈমান আরো মজবুত এবং সুদৃঢ় হয়।
-কাট্টা গুমরাহ বিদয়াতী ওহাবী খারেজীরা বলে- প্রথমতঃ এটি রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কিংবা উনার খলীফা উনাদের সুন্নাত ছিল না। ফলে এটি একটি নিষিদ্ধ নব উদ্ভাবন তথা বিদয়াত; তাই এটি পরিত্যাজ্য। নাউযুবিল্লাহ!
প্রিয় পাঠক! কত বড় মিথ্যাবাদী মুনাফিক হলে এমন মিথ্যা তোহমত তারা দিতে পারে তা কল্পনা করলেও গাঁ শিউরে উঠে। কারণ সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা, উদযাপন করাতো খোদ ইলাহী পাক উনারই নির্দেশ মুবারক। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক করেন,
قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون
অর্র্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় অনুগ্রহ ও রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সে কারণে তারা যেন খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসবকিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক হুকুম বা নির্দেশের কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে তা পালন করেন অর্থাৎ উদযাপন করেন সর্বপ্রথম হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই। খুশি প্রকাশ করে উনারা তাবারুকের ব্যবস্থাসহ আযীমুশ শান মাহফিলের আয়োজন করেন এবং স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই মুবারক মাহফিলে উপস্থিত হয়ে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াতের সুসংবাদ প্রদান করেন। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك
অর্র্থ: “বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি আযীমুশ শান বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে উনার সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে সমবেত করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র বিলাদত শরীফ উনার কুদরতী এবং মু’জিযা শরীফ সমৃদ্ধ ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস মুবারক, এই দিবস মুবারক অর্র্থাৎ এই দিবস মুবারকে নূরে মুজাসসাম হাবীল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন অর্থাৎ তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন। এমন সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন তখন সমবেত সবাই দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ আহলান সাহলান জানিয়ে পবিত্র আসন মুবারকে বসালেন।) মহাপবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এমন আযীমুশ শান মাহফিল করতে দেখে তিনি উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আপনাদের জন্য রহমতের দরজা উš§ুক্ত করে দিয়েছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনাদের মতো এরূপ আমল করবে অর্থাৎ সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন করবে, আপনাদের মতো উনারাও রহমত ও মাগফিরাত এবং নাজাত লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
প্রিয় পাঠক! মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ এবং উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো- সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা খোদ মহান আল্লাহ পাক উনারই নির্দেশ মুবারক; যা মান্য করা জিন-ইনসানসহ কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই ফরয। আর এই পবিত্র ফরয সর্বোত্তম আমল ইবাদত আনুষ্ঠানিকভাবে আমলে বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই। উনাদের এই মুবারক ফরয আমল ইবাদতে খুশি প্রকাশ করে রহমত মাগফিরাত এবং নাজাতের সুসংবাদ দিয়েছেন স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা সম্পর্কে কাট্টা গুমরাহ বিদয়াতী ওহাবী খারেজীদের প্রথম প্রলাপ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং খোঁড়া য্ুিক্ত হিসেবে প্রমাণিত হলো।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-মুহম্মদ মুনতাসীর রহমান। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment