by Admin
|
posted: Monday, May 10, 2010
|
ওহাবীদের একটি আক্বীদা হলো “শরীয়তে দু‘ঈদ ছাড়া আর কোন ঈদ নেই।” অথচ তাদের এ আক্বীদা ও বক্তব্য সম্পূর্ণ কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কারণ তারা উক্ত বক্তব্য দ্বারা ওহীয়ে গায়রে মাতলু হাদীছ শরীফকেই মুলতঃ অস্বীকার করেছে। কেননা অসংখ্য হাদীছ শরীফকেই দু’ঈদ ছাড়া আরো ঈদের কথা ঊল্লেখ রয়েছে।
যেমন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ওবায়েদ বিন সাব্বাক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জুমুয়ার দিনে ইরশাদ করেন, হে মুসলমান সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন, যাকে আল্লাহ পাক ঈদস্বরূপ নির্ধারণ করেছেন।” (ইবনে মাযাহ, মিশকাত)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম’- এ আয়াত শরীফটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন। তখন উনার নিকট এক ইহুদী ছিল সে বলে উঠলো, ‘যদি এই আয়াত শরীফ আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো আমরা আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে “ঈদ” বলে ঘোষণা করতাম।’ এটা শুনে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, এ আয়াত শরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিন এক সাথে দু’ঈদ ছিল- (১) জুমুয়ার দিন এবং (২) আরাফার দিন।” (তিরমিযী)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘হযরত তারিক বিন শিহাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, ইহুদীরা হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বললো যে, আপনারা এমন একটি আয়াত শরীফ পাঠ করেন, যদি তা আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো আমরা অবশ্যই উক্ত আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করতাম। তখন হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, আমি নিশ্চিতরূপে জানি যে উক্ত আয়াত শরীফ কখন নাযিল হয়েছে, কোথায় নাযিল হয়েছে এবং এ আয়াত শরীফ যখন নাযিল হয় তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেথায় অবস্থান করছিলেন আল্লাহ পাক-এর কছম! নিশ্চয় সেদিনটি ছিল আরাফার দিন।’ (ইবনে মাযাহ্)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনা শরীফ-এ তাশরীফ আনলেন তখন তিনি ইহুদীদেরকে আশুরার রোযা রাখতে দেখলেন। তখন তিনি ইহুদীদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তোমরা এই দিন কেন রোযা রাখ? তারা বললো, এটা একটি মহান দিন, যেদিন আল্লাহ পাক হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও উনার ক্বাওমকে নাযাত দিয়েছিলেন, আর ফিরআউন এবং তার সম্প্রদায়কে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মেরেছেলেন। সেজন্য হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম শুকরিয়াস্বরূপ রোযা রাখেন তাই আমরাও রোযা রাখি। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও রোযা রাখলেন এবং অন্যান্যদেরকেও রোযা রাখতে আদেশ করলেন।” (বুখারী, মুসলিম)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফসমূহ দ্বারা জানা গেল যে, শুক্রবার দিনটি এবং আরাফার দিনটি হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈদ তথা খুশির দিন। অর্থাৎ ঈদুল আদ্বহা ও ঈদুল ফিত্র এ দুই ঈদ যেভাবে হাদীছ শরীফ-এর দ্বারা প্রমাণিত ঠিক সেভাবেই তৃতীয় ঈদ হিসেবে জুমুয়ার দিন এবং চতুর্থ ঈদ হিসেবে আরাফার দিন হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।
অতএব, যারা বলে শরীয়তে দুই ইদ ব্যতীত তৃতীয় ঈদের কোন অস্তিত্ব নেই তাদের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কুরআন সুন্নাহর খিলাফ বলে প্রমাণিত হয়।
স্মরণীয়, ‘সূরা মায়িদার ৩ নম্বর আয়াত শরীফ’ নাযিল হওয়ার কারণে আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার দিনটি যদি ঈদের দিন হিসেবে গ্রহণীয় হয়, আর হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও উনার ক্বওম যদি ফিরআউনের কবল থেকে নাযাত পাওয়ার কারণে আশুরার দশ তারিখ শুকরিয়া আদায় ও সম্মানিত দিন হিসেবে গ্রহণীয় হতে পারে, তাহলে যিনি সুরা মায়িদা অর্থাৎ কুরআন শরীফ নাযিল হওয়ার কারণ ও হযরত মূসা আলাইহিস সালাম-এর আগমনের কারণ, উনার আগমনের দিনটি কি সম্মানের দিন এবং খুশির দিন হবে না? অবশ্যই হবে। শরীয়তের কোথাও সেদিনকে দুঃখের দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি বরং সর্বশ্রেষ্ঠ খুশির দিন হিসেবেই গ্রহণ করা হয়েছে ও করতে বলা হয়েছে।
কাজেই আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমনের দিনই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন যা সর্বোত্তম ঈদ আর প্রকৃতপক্ষে এটাই প্রথম ঈদ।
অতএব, কুরআন-সুন্নাহর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, দু’টি ঈদ ছাড়া আরো একাধিক ঈদের অস্তিত্ব শরীয়তে বিদ্যমান তা বিদ্য়াত কিংবা অন্য কিছু নয়। যারা বলে দু’টি ছাড়া তৃতীয় কোন ঈদের অস্তিত্ব শরীয়তে নেই তারা মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য একথা বলে থাকে। অথচ দু’টি ঈদ ছাড়াও আরো একাধিক ঈদের অস্তিত্ব কুরআন-সুন্নাহ তথা শরীয়ত কর্তৃক স্বীকৃত। তাই যারা সেই ঈদকে বিদয়াত বলবে তারা কুরআন-সুন্নাহ তথা ওহী অস্বীকারকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবে। আর যারা কুরআন-সুন্নাহ বা ওহী অস্বীকার করে তারা মুসলমান বা ঈমানদার নয়।ওহাবীদের একটি আক্বীদা হলো “শরীয়তে দু‘ঈদ ছাড়া আর কোন ঈদ নেই।” অথচ তাদের এ আক্বীদা ও বক্তব্য সম্পূর্ণ কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কারণ তারা উক্ত বক্তব্য দ্বারা ওহীয়ে গায়রে মাতলু হাদীছ শরীফকেই মুলতঃ অস্বীকার করেছে। কেননা অসংখ্য হাদীছ শরীফকেই দু’ঈদ ছাড়া আরো ঈদের কথা ঊল্লেখ রয়েছে।
যেমন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ওবায়েদ বিন সাব্বাক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জুমুয়ার দিনে ইরশাদ করেন, হে মুসলমান সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন, যাকে আল্লাহ পাক ঈদস্বরূপ নির্ধারণ করেছেন।” (ইবনে মাযাহ, মিশকাত)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম’- এ আয়াত শরীফটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন। তখন উনার নিকট এক ইহুদী ছিল সে বলে উঠলো, ‘যদি এই আয়াত শরীফ আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো আমরা আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে “ঈদ” বলে ঘোষণা করতাম।’ এটা শুনে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, এ আয়াত শরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিন এক সাথে দু’ঈদ ছিল- (১) জুমুয়ার দিন এবং (২) আরাফার দিন।” (তিরমিযী)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘হযরত তারিক বিন শিহাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, ইহুদীরা হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বললো যে, আপনারা এমন একটি আয়াত শরীফ পাঠ করেন, যদি তা আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো আমরা অবশ্যই উক্ত আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করতাম। তখন হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, আমি নিশ্চিতরূপে জানি যে উক্ত আয়াত শরীফ কখন নাযিল হয়েছে, কোথায় নাযিল হয়েছে এবং এ আয়াত শরীফ যখন নাযিল হয় তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেথায় অবস্থান করছিলেন আল্লাহ পাক-এর কছম! নিশ্চয় সেদিনটি ছিল আরাফার দিন।’ (ইবনে মাযাহ্)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনা শরীফ-এ তাশরীফ আনলেন তখন তিনি ইহুদীদেরকে আশুরার রোযা রাখতে দেখলেন। তখন তিনি ইহুদীদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তোমরা এই দিন কেন রোযা রাখ? তারা বললো, এটা একটি মহান দিন, যেদিন আল্লাহ পাক হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও উনার ক্বাওমকে নাযাত দিয়েছিলেন, আর ফিরআউন এবং তার সম্প্রদায়কে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মেরেছেলেন। সেজন্য হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম শুকরিয়াস্বরূপ রোযা রাখেন তাই আমরাও রোযা রাখি। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও রোযা রাখলেন এবং অন্যান্যদেরকেও রোযা রাখতে আদেশ করলেন।” (বুখারী, মুসলিম)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফসমূহ দ্বারা জানা গেল যে, শুক্রবার দিনটি এবং আরাফার দিনটি হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈদ তথা খুশির দিন। অর্থাৎ ঈদুল আদ্বহা ও ঈদুল ফিত্র এ দুই ঈদ যেভাবে হাদীছ শরীফ-এর দ্বারা প্রমাণিত ঠিক সেভাবেই তৃতীয় ঈদ হিসেবে জুমুয়ার দিন এবং চতুর্থ ঈদ হিসেবে আরাফার দিন হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।
অতএব, যারা বলে শরীয়তে দুই ইদ ব্যতীত তৃতীয় ঈদের কোন অস্তিত্ব নেই তাদের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কুরআন সুন্নাহর খিলাফ বলে প্রমাণিত হয়।
স্মরণীয়, ‘সূরা মায়িদার ৩ নম্বর আয়াত শরীফ’ নাযিল হওয়ার কারণে আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার দিনটি যদি ঈদের দিন হিসেবে গ্রহণীয় হয়, আর হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও উনার ক্বওম যদি ফিরআউনের কবল থেকে নাযাত পাওয়ার কারণে আশুরার দশ তারিখ শুকরিয়া আদায় ও সম্মানিত দিন হিসেবে গ্রহণীয় হতে পারে, তাহলে যিনি সুরা মায়িদা অর্থাৎ কুরআন শরীফ নাযিল হওয়ার কারণ ও হযরত মূসা আলাইহিস সালাম-এর আগমনের কারণ, উনার আগমনের দিনটি কি সম্মানের দিন এবং খুশির দিন হবে না? অবশ্যই হবে। শরীয়তের কোথাও সেদিনকে দুঃখের দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি বরং সর্বশ্রেষ্ঠ খুশির দিন হিসেবেই গ্রহণ করা হয়েছে ও করতে বলা হয়েছে।
কাজেই আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমনের দিনই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন যা সর্বোত্তম ঈদ আর প্রকৃতপক্ষে এটাই প্রথম ঈদ।
অতএব, কুরআন-সুন্নাহর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, দু’টি ঈদ ছাড়া আরো একাধিক ঈদের অস্তিত্ব শরীয়তে বিদ্যমান তা বিদ্য়াত কিংবা অন্য কিছু নয়। যারা বলে দু’টি ছাড়া তৃতীয় কোন ঈদের অস্তিত্ব শরীয়তে নেই তারা মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য একথা বলে থাকে। অথচ দু’টি ঈদ ছাড়াও আরো একাধিক ঈদের অস্তিত্ব কুরআন-সুন্নাহ তথা শরীয়ত কর্তৃক স্বীকৃত। তাই যারা সেই ঈদকে বিদয়াত বলবে তারা কুরআন-সুন্নাহ তথা ওহী অস্বীকারকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবে। আর যারা কুরআন-সুন্নাহ বা ওহী অস্বীকার করে তারা মুসলমান বা ঈমানদার নয়।
‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ পত্রিকার মূলনীতি-
“যে ব্যক্তি মুহব্বত করে আল্লাহ পাক-উনার জন্য, বিদ্বেষ পোষণ করে আল্লাহ পাক-উনার জন্য, আদেশ (দান) করে আল্লাহ পাক-উনার জন্য, নিষেধ করে আল্লাহ পাক-উনার জন্য, সে ঈমানে পরিপূর্ণ।” (আবূ দাউদ, তিরমিযী, মিশকাত)
here and connect with CHATRO ANJUMAN ( DINAJPUR ) community in
Twitter,
Facebook,and
Google+
0 comments:
Post a Comment