নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ করেন, হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ
মর্যাদার অধিকারী হচ্ছেন- হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি।
তিনি পবিত্র জুমাদাল উখরা মাসের ২২ তারিখে বিছাল শরীফ লাভ করেন।
তাই সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও পরিপূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা।
আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের পাঠ্যপুস্তকে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা।
পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং ২২শে জুমাদাল উখরা তারিখে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গীও ফযীলত বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। কুরআন শরীফ-এ স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি একাধিক স্থানে উনার ছানা-ছিফত করেছেন। উনার প্রশংসায় অসংখ্য হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী তিনিই ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম এবং এই “ছিদ্দীক্বে আকবর” লক্বব মুবারক উনার একক বৈশিষ্ট্য। উনার মর্যাদা স্বল্প পরিসরে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। এমন কোনো ভাষা নেই, যে ভাষায় উনার জীবনীগ্রন্থ রচিত হয়নি। তিনি ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন, প্রথম কুরআন শরীফ সংগ্রহকারী অর্থাৎ জামিউল কুরআন এবং নাম দিলেন মুছহাফ এবং উনাকেই প্রথম ‘খলীফাতু রসূলিল্লাহ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি ইসলাম জগতে এক নজিরবিহীন বিরল ব্যক্তিত্ব। নুবুওওয়াতের পর উনার ইমামত ও খিলাফত সকলেই বিনা দ্বিধায় মেনে নেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাওর গুহার সঙ্গী হওয়ার বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাকে উল্লেখ করেছেন। এর ফযীলত বর্ণনা প্রসঙ্গে স্বয়ং হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমার সারা জীবনের আমল যদি হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার সেই তিন রাত্রির আমলের সমান হতো! সেই তিন রাত্রি হলো, যেই তিন রাত্রিতে তিনি (হিজরতের সফরে) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে খিদমতে ছিলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পূর্বে উনার অসুস্থ অবস্থায় হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি ১৭ ওয়াক্ত নামাযে ইমামতি করেছিলেন। আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সকলেই হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব¡ আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মেনে নেন। অর্থাৎ তিনি সমগ্র মুসলিম জাহানের খলীফা মনোনীত হন এবং যোগ্যতা ও সুনামের সাথে সর্বমোট দু’বছর তিন মাস দশ দিন খিলাফত পরিচালনা করেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে সকল প্রকার বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্র সাফল্যের সাথে দমন করে তিনি সমগ্র মুসলিম জাহানে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। অর্থাৎ তিনি বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত ও মর্যাদা-মর্তবার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযূর্গী সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণেই অনেকে উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই ফরয। কেননা যে বিষয়টা আমল করা ফরয সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো- ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো আলোচনাই নেই। তাহলে মুসলমানগণ কি করে হাক্বীক্বী মুসলমান হবে? তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস বা পাঠ্যপুস্তকে উনার বরকতময় জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার বিছাল শরীফ-এর দিন হচ্ছে ‘২২শে জুমাদাল উখরা’। (অর্থাৎ এ বছরের জন্য ২২শে জুমাদাল উখরা হচ্ছে- ১৫ মে, ইয়াওমুছ ছুলাছায়ি বা মঙ্গলবার)। তাই প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ মুবারক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পহেলা মে, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, খ্রিস্টানদের কথিত বড় দিন, দুর্গাপূজাসহ অন্যান্য দিনে মুসলিম বিশ্ব¦ ছুটি দেয়া হয়; যার সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের কোনো সম্পর্ক নেই এবং যা মুসলমানদের প্রয়োজনও নেই। অথচ মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিত ছিল- পহেলা রজবের রাত, শবে বরাত, শবে ক্বদর এবং দু’ঈদের দু’রাতের সাথে সাথে ইসলামের বিশেষ বিশেষ দিন ও রাতগুলিতে মুসলিম দেশের সরকাররা ছুটি ঘোষণা করা। তাহলে সাধারণ মুসলমান সহজেই সেসব দিনের মর্যাদা-মর্তবা অনুধাবন করে তার ফযীলত, রহমত অন্বেষণে উদ্যোগী হতো। তাদের মধ্যে জযবা মুহব্বত তৈরি হতো। তারা ফযীলত হাছিল করতে পারতো। তাদের বর্তমান দুরবস্থা সহজেই কাটতো।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও পরিপূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের পাঠ্যপুস্তকে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং ২২শে জুমাদাল উখরা তারখে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা।
-০-
তিনি পবিত্র জুমাদাল উখরা মাসের ২২ তারিখে বিছাল শরীফ লাভ করেন।
তাই সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও পরিপূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা।
আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের পাঠ্যপুস্তকে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা।
পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং ২২শে জুমাদাল উখরা তারিখে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গীও ফযীলত বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। কুরআন শরীফ-এ স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি একাধিক স্থানে উনার ছানা-ছিফত করেছেন। উনার প্রশংসায় অসংখ্য হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী তিনিই ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম এবং এই “ছিদ্দীক্বে আকবর” লক্বব মুবারক উনার একক বৈশিষ্ট্য। উনার মর্যাদা স্বল্প পরিসরে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। এমন কোনো ভাষা নেই, যে ভাষায় উনার জীবনীগ্রন্থ রচিত হয়নি। তিনি ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন, প্রথম কুরআন শরীফ সংগ্রহকারী অর্থাৎ জামিউল কুরআন এবং নাম দিলেন মুছহাফ এবং উনাকেই প্রথম ‘খলীফাতু রসূলিল্লাহ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি ইসলাম জগতে এক নজিরবিহীন বিরল ব্যক্তিত্ব। নুবুওওয়াতের পর উনার ইমামত ও খিলাফত সকলেই বিনা দ্বিধায় মেনে নেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাওর গুহার সঙ্গী হওয়ার বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাকে উল্লেখ করেছেন। এর ফযীলত বর্ণনা প্রসঙ্গে স্বয়ং হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমার সারা জীবনের আমল যদি হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার সেই তিন রাত্রির আমলের সমান হতো! সেই তিন রাত্রি হলো, যেই তিন রাত্রিতে তিনি (হিজরতের সফরে) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে খিদমতে ছিলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পূর্বে উনার অসুস্থ অবস্থায় হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি ১৭ ওয়াক্ত নামাযে ইমামতি করেছিলেন। আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সকলেই হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব¡ আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মেনে নেন। অর্থাৎ তিনি সমগ্র মুসলিম জাহানের খলীফা মনোনীত হন এবং যোগ্যতা ও সুনামের সাথে সর্বমোট দু’বছর তিন মাস দশ দিন খিলাফত পরিচালনা করেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে সকল প্রকার বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্র সাফল্যের সাথে দমন করে তিনি সমগ্র মুসলিম জাহানে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। অর্থাৎ তিনি বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত ও মর্যাদা-মর্তবার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযূর্গী সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণেই অনেকে উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই ফরয। কেননা যে বিষয়টা আমল করা ফরয সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো- ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো আলোচনাই নেই। তাহলে মুসলমানগণ কি করে হাক্বীক্বী মুসলমান হবে? তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস বা পাঠ্যপুস্তকে উনার বরকতময় জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার বিছাল শরীফ-এর দিন হচ্ছে ‘২২শে জুমাদাল উখরা’। (অর্থাৎ এ বছরের জন্য ২২শে জুমাদাল উখরা হচ্ছে- ১৫ মে, ইয়াওমুছ ছুলাছায়ি বা মঙ্গলবার)। তাই প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ মুবারক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পহেলা মে, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, খ্রিস্টানদের কথিত বড় দিন, দুর্গাপূজাসহ অন্যান্য দিনে মুসলিম বিশ্ব¦ ছুটি দেয়া হয়; যার সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের কোনো সম্পর্ক নেই এবং যা মুসলমানদের প্রয়োজনও নেই। অথচ মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিত ছিল- পহেলা রজবের রাত, শবে বরাত, শবে ক্বদর এবং দু’ঈদের দু’রাতের সাথে সাথে ইসলামের বিশেষ বিশেষ দিন ও রাতগুলিতে মুসলিম দেশের সরকাররা ছুটি ঘোষণা করা। তাহলে সাধারণ মুসলমান সহজেই সেসব দিনের মর্যাদা-মর্তবা অনুধাবন করে তার ফযীলত, রহমত অন্বেষণে উদ্যোগী হতো। তাদের মধ্যে জযবা মুহব্বত তৈরি হতো। তারা ফযীলত হাছিল করতে পারতো। তাদের বর্তমান দুরবস্থা সহজেই কাটতো।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও পরিপূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের পাঠ্যপুস্তকে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং ২২শে জুমাদাল উখরা তারখে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা।
-০-
0 comments:
Post a Comment