আজ সুমহান ঐতিহাসিক ২০শে জুমাদাল উখরা-সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবিহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ-এর দিন।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি মহিলাগণ উনাদের সাইয়্যিদাহ।’ সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে মাসব্যাপী উনার আলোচনা অর্থাৎ ওয়াজ শরীফ, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা।যাতে মুসলমান উনার সম্পর্কে জেনে উনাকে মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও অনুসরণ-অনুকরণ করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি হাছিল করে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করতে পারে।
আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- মাহফিল সমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার জিবনী মুবারক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার বিলাদত শরীফ দিবসে সরকারী ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি বিশ্বের সকল মহিলাগণ উনাদের সাইয়্যিদাহ, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের সম্মানিতা মাতা, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অত্যন্ত স্নেহময়ী কন্যা এবং উনার সর্বপ্রথম আহলিয়া উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম উনার চার কন্যার একজন। মূলত তিনি আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতমা। তাই সকল মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- উনাকে মুহব্বত করা, উনার জীবনী মুবারক জানা, উনাকে প্রতি ক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলে বাইত শরীফ সম্পর্কে ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাইনা। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইতগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা : আয়াত শরীফ ২৩) আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে যে নিয়ামত দান করেন তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। আর আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভ করার জন্য। আর আমার আহলে বাইত উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য।”
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবিহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাসসালাম উনার সুমহান ও পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবসের গুরুত্ব ও মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে “হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার (দেহ মুবারকেরই) একটি টুকরা মুবারক। যে উনাকে রাগান্বিত করবে, সে আমাকেই রাগান্বিত করলো।” (বুখারী, মুসলিম)
অন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি মহিলাগণ উনাদের সাইয়্যিদাহ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা উনাকে বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত ও শান-মান হাদিয়া করেছেন। উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযূর্গী সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণেই অনেকে উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই ফরয। কেননা যে বিষয়টা আমল করা ফরয সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোন আলোচনাই নেই। তাহলে মুসলমানগণ কি করে হাক্বীক্বী মুসলমান হবে? প্রকৃতপক্ষে মুসলমানগণের প্রত্যেকের উচিত ছিলো মুসলিম ঐতিহ্য ও ইসলামী ফযীলতযুক্ত দিনসমূহ সম্পর্কে জানা বা জ্ঞান অর্জন করা। তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য অর্থাৎ ফরয হচ্ছে- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে বা পাঠ্যপুস্তকে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। আর মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং বিলাদত শরীফ-এর দিবসে সরকারী ছুটি ঘোষণা করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পহেলা মে, বুদ্ধ পূর্ণিমা, দুর্গাপূজাসহ অন্যান্য দিনে মুসলিম বিশ্বে ছুটি দেয়া হয়; যার সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের কোন সম্পর্ক নেই এবং যা মুসলমানদের কোন প্রয়োজনও নেই। শুধু তাই নয়, বরং বিধর্মীদের বিশেষ দিনগুলি মুসলমানগণের জন্য পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়েয ও হারাম এবং ঈমান নষ্ট হওয়ারও কারণ। অথচ মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ ও ফযীলতপূর্ণ দিনগুলোতে কোনো ছুটি নেই। প্রকৃতপক্ষে উচিত ছিল মুসলিম ঐতিহ্য ও ইসলামী ফযীলতযুক্ত দিন যেমন, উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিননাস সালাম, আহলে বাইত শরীফ, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ দিবস সমূহে ছুটি দেয়া। উল্লেখ্য, এসব দিনের মর্যাদা-মর্তবা অনুধাবনের জন্যই দৈনিক আল ইহসান বন্ধ রাখা হয় এবং আজও বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে উনারই ফাযায়িল-ফযীলত ও ছানা-ছিফত প্রকাশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনায় দৈনিক আল ইহসান প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন অতি শীঘ্রই সবাই একই আদর্শ অনুসরণে এগিয়ে আসবেন ইনশাল্লাহ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ সুমহান ঐতিহাসিক ২০শে জুমাদাল উখরা সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবিহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ-এর দিন। সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে মাসব্যাপি উনার আলোচনা অর্থাৎ ওয়াজ শরীফ, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা। যাতে মুসলমান উনার সম্পর্কে জেনে উনাকে মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও অনুসরণ-অনুকরণ করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি হাছিল করে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করতে পারে।
আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- মাহফিল সমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার জিবনী মুবারক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার বিলাদত শরীফ দিবসে সরকারী ছুটি ঘোষণা করা।

Uswatun Hasanah

Saieedul Aaiyad

0 comments:

Post a Comment

Pages (105)123456789 Next