যারা পহেলা বৈশাখ পালন করবে তারা কুফরী করবে।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে সম্মানিত ইসলাম।’
যারা পহেলা বৈশাখ পালন করবে তারা কুফরী করবে।
কারণ প্রকৃতপক্ষে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হচ্ছে মজুসী, মুশরিক, হিন্দু ও বৌদ্ধদের।
এতে তারা পান্তা খায়, গান-বাজনা করে, র‌্যালী করে, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরে, মিছিল করে, শরীরের নানা অঙ্গ-প্রতঙ্গে উল্কি আঁকে, ডুগডুগি বাজিয়ে নেচে নেচে হৈহুল্লোড় করে, পুরুষরা ধুতি ও কোণাকাটা পাঞ্জাবী যা হিন্দুদের জাতীয় পোশাক তা পরে, মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়িসহ হাতে রাখি বাঁধে, শাঁখা পরে, কপালে লাল টিপ ও চন্দন এবং সিথিতে সিঁদুর দেয়, বেপর্দা, বেহায়া হয়- যা সম্মমানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কুফরী।

৯৭ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। অতএব বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব হলো পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী পহেলা বৈশাখসহ সমস্ত প্রকার ইসলামবিরোধী কাজ বন্ধ করে দেয়া এবং তা থেকে মুসলমানদের বিরত রাখা।

যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ওহী মুবারক উনার মাধ্যমে নাযিলকৃত, একমাত্র পরিপূর্ণ, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত, নিয়ামতপূর্ণ, অপরিবর্তনীয় ও মনোনীত দ্বীন; যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি “পবিত্র সূরা আলে ইমরান” শরীফ উনার ১৯ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই সম্মানিত ইসলামই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন।” তাহলে ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে কী করে বিজাতীয় সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখসহ সর্বপ্রকার ইসলামবিরোধী কাজ গ্রহণযোগ্য হতে পারে? উল্লেখ্য, প্রকৃতপক্ষে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হচ্ছে মজুসীদের নওরোজ পালনের অনুষ্ঠান। সাথে সাথে হিন্দু-মুশরিকদের ঘটপূজা, বৌদ্ধদের উল্কি অঙ্কন। ফলে তারা নওরোজ বা নববর্ষ পালন উপলক্ষে পান্তা খায়, গানবাজনা করে, র‌্যালী করে, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরে, মিছিল করে, শরীরের নানা অঙ্গ-প্রতঙ্গে উল্কি আঁকে, ডুগডুগি বাজিয়ে নেচে নেচে হৈহুল্লোড় করে, পুরুষরা ধুতি ও কোণাকাটা পাঞ্জাবী যা হিন্দুদের জাতীয় পোশাক তা পরে, মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়িসহ হাতে রাখি বাঁধে, শাঁখা পরে, কপালে লাল টিপ ও চন্দন এবং সিথিতে সিঁদুর দেয়, বেপর্দা, বেহায়া হয়- যা সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
বিজাতীয় ও বেদ্বীনি সংস্কৃতি আসন্ন পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নির্দেশনা ও সংবিধানের ২নং ধারা সম্পর্কে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সংবিধানের ৩নং ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা ‘বাংলা’। সে প্রেক্ষিতে দেশে ইংরেজি ভাষাসহ বিভিন্ন উপজাতীয় ভাষার ঊর্ধ্বে যেমন রাষ্ট্রভাষা ‘বাংলা’র মর্যাদা ও প্রাধান্য; তেমনি ৯৭ ভাগ মুসলমান হওয়ার কারণে সংবিধানের ২নং ধারায় বর্ণিত রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীর উপরে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমান উনাদের মর্যাদা ও প্রাধান্য স্বীকৃত হতে হবে এবং ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাও অনেক বেশি হতে হবে। যা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের নির্দেশ। আর সংবিধানেও সেটা স্বীকার করে নেয়া হয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ মানুষের দ্বীন হচ্ছে সম্মানিত ইসলাম; তাই বাংলাদেশ সংবিধানের ২নং ধারায় বর্ণিত রাষ্ট্রদ্বীন হচ্ছে সম্মানিত ইসলাম। তাহলে বাংলাদেশে কী করে বিজাতীয় সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখসহ সর্বপ্রকার ইসলামবিরোধী কাজ গ্রহণযোগ্য হতে পারে? স্মরণীয় যে, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী পহেলা বৈশাখ পালন করা কাট্টা হারাম, নাজায়িয ও কুফরী। কারণ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মুসলমান উনাদের জন্য বিধর্মীদের অনুসরণ করা সম্পূর্ণ হারাম। উল্লেখ্য, প্রকৃতপক্ষে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হচ্ছে মজুসীদের নওরোজ পালনের অনুষ্ঠান। সাথে সাথে হিন্দু-মুশরিকদের ঘটপূজা, বৌদ্ধদের উল্কি অঙ্কন। তাহলে মুসলমানগণ কী করে পহেলা বৈশাখ পালন করতে পারে। অতএব, ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সরকারিভাবে পহেলা বৈশাখসহ সমস্ত ইসলামবিরোধী কাজ বন্ধ করে দেয়া এবং সরকারিভাবেই পহেলা বৈশাখসহ সমস্ত ইসলামবিরোধী কাজ থেকে মুসলমানদের বিরত রাখা। অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- মুসলমানদেরকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পালনে ও ঈমান হিফাযতে অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার উপর ইস্তিক্বামত থাকার ব্যাপারে সর্বোতভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করা।
-০-

█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Uswatun Hasanah

Saieedul Aaiyad

0 comments:

Post a Comment

Pages (105)123456789 Next