নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে; সে ব্যক্তি সে সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।’
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মুসলমান উনাদের জন্য কোনো অবস্থাতেই এবং কোনো বিষয়েই মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের অনুসরণ-অনুকরণ করা জায়িয নেই; বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী।
অতএব, সকল মুসলমান পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে,
মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীকা যেমন- চৈত্রসংক্রান্তি, পহেলা বৈশাখ, থার্টিফার্স্টনাইট, ভেলেন্টাইন ডে, পহেলা এপ্রিল, পহেলা মে ইত্যাদি পালন করা থেকে বিরত থাকা।
নচেৎ মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের ন্যায় জাহান্নামী হওয়া ব্যতীত কোনোই গত্যন্তর থাকবে না।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের মধ্যে যারা কাফির-মুশরিক তথা বিধর্মীদের সাথে মিল মুহব্বত রাখবে, তারা সেই সমস্ত কাফির-মুশরিক তথা বিধর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে হিন্দুস্তানের একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। “হিন্দুস্তানে একজন জবরদস্ত ওলীআল্লাহ ছিলেন। যিনি ইন্তিকালের পর অন্য একজন বুযূর্গ ব্যক্তি উনাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কেমন আছেন? তখন সেই ওলীআল্লাহ তিনি জাওয়াবে বললেন, আপাতত আমি ভালই আছি; কিন্তু আমার উপর দিয়ে এক কঠিন সময় অতিবাহিত হয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। তখন স্বপ্নদ্রষ্টা ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি আমাকে আপনার সেই কঠিন অবস্থা সম্পর্কে বলবেন? তিনি জবাব দিলেন, অবশ্যই বলবো। কারণ, এতে যমীনবাসীদের জন্য শক্ত ইবরত ও নছীহত রয়েছে। এরপর বলা শুরু করলেন, আমার ইন্তিকালের পর আমাকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মুখে পেশ করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের বললেন, হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ! তোমরা কেন তাকে এখানে নিয়ে এসেছো? হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা বললেন, আয় আল্লাহ পাক! আমরা উনাকে আপনার খাছ বান্দা হিসেবে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য নিয়ে এসেছি। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, তার হাশর-নশর তো হিন্দুদের সাথে হওয়ার কথা। বিছালপ্রাপ্ত ওলীআল্লাহ তিনি বলেন, একথা শুনে আমি ভয়ে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বললাম, আয় বারে ইলাহী! আমার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে কেনো? আমি তো মুসলমান ছিলাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, যেহেতু আপনি পূজা করেছেন তাই আপনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথেই হবে। আমি বললাম, আয় আল্লাহ পাক, আপনার কসম! পূজা করা তো দূরের কথা আমি জীবনে কোনো দিন মন্দিরের আশপাশ দিয়েও হাঁটিনি। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনি সেদিনের কথা স্মরণ করুন, যেদিন হিন্দুস্তানে হোলি পূজা হচ্ছিলো। আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। আপনার সামনে-পিছনে, ডানে-বামে, উপরে-নিচে, আশে-পাশে সমস্ত গাছপালা, পশুপাখি, কীট-পতঙ্গ, বাড়ি-ঘর, সবকিছুতেই রঙ দেয়া হয়েছিলো। এমতাবস্থায় আপনার সামনে দিয়ে একটি গর্দভ (গাধা) হেঁটে যাচ্ছিলো যাকে রঙ দেয়া হয়নি। তখন আপনি পান চিবাচ্ছিলেন, আপনি সেই গর্দভের গায়ে এক চিপটি পানের রঙিন রস নিক্ষেপ করে বলেছিলেন, হে গর্দভ! তোমাকে তো এই হোলি পূজার দিনে কেউ রঙ দেয়নি তাই আমি তোমাকে রঙ দিয়ে দিলাম। এতে কি আপনার পূজা করা হয়নি? আপনি কি জানেন না যে, আমার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে। সুতরাং আপনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হওয়ারই কথা। এটা শুনে বিছালপ্রাপ্ত ওলীআল্লাহ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট অনেক কান্না-কাটি, রোনাজারি করে বললেন, বারে ইলাহী! আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। কেউ আমাকে বিষয়টি বুঝায়েও দেয়নি। আর এ বিষয়ে আমার অন্তরও সাড়া দেয়নি। তাই আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি বারে ইলাহী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, ঠিক আছে, আপনার অন্যান্য আমলের কারণে আপনাকে ক্ষমা করা হলো।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ ঘটনা থেকে সমস্ত মুসলমানদের নছীহত হাছিল করা উচিত যে, একজন বুযূর্গ ও ওলীআল্লাহ হওয়ার পরও তিনি হিন্দুদের হোলি পূজায় সরাসরি শরীক না হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র সাধারণভাবে পানের পিক দিয়ে একটা পশুকে রঙ দেয়ার কারণে যদি মৃত্যুর পর পূজারী হিসেবে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে যারা হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী তথা কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদদ্বীনদেরকে অনুসরণ করে পহেলা বৈশাখ পালনের নামে হিন্দুদের ঘটপূজায় শরীক হবে, বৌদ্ধ ও হিন্দুদের মতো শরীরে উল্কি অঙ্কন করবে, মজুসীদের মতো নওরোজ বা নববর্ষ পালন করবে এবং নওরোজ বা নববর্ষ পালন উপলক্ষে পান্তা-গান্ধা খাবে, গান-বাজনা করবে, র্যালী করবে, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরবে, নববর্ষ পালনার্থে মিছিল করবে, কদুর খোলের তৈরি একতারা ডুগডুগি বাজিয়ে নেচে নেচে হৈহুল্লোড় করবে, কপালে চন্দন গুঁড়ার ত্রিশালী ছাপ দিবে, পুরুষরা হিন্দুদের ন্যায় ধুতি ও কোণাকাটা পোশাক পরবে, মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়িসহ হাতে রাখি বাঁধবে, শাঁখা পরবে, কপালে লাল টিপ ও সিথিতে সিঁদুর দিবে, বেপর্দা, বেহায়া হবে তাদের মৃত্যুর পর কি অবস্থা হবে তা সত্যিই চিন্তার বিষয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মুসলমান উনাদের জন্য কোনো অবস্থাতেই এবং কোনো বিষয়েই মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের অনুসরণ-অনুকরণ করা জায়িয নেই; বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী। অতএব, সকল মুসলমান পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীকা যেমন- চৈত্রসংক্রান্তি, পহেলা বৈশাখ, থার্টিফার্স্টনাইট, ভেলেন্টাইন ডে, পহেলা এপ্রিল, পহেলা মে ইত্যাদি পালন করা থেকে বিরত থাকা। নচেৎ মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের ন্যায় জাহান্নামী হওয়া ব্যতীত কোনোই গত্যন্তর থাকবে না।
-০-
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
CHATRO ANJUMAN ( DINAJPUR )
The world wide Student reader forum of The monthly Al-Baiyinaat.
.
Link's
আল বাইয়্যিনাত শারীফ থেকে
Worldwide Anjumaan
ইসলামের বিশেষ দিবস সমূহের পঞ্জিকা
Blog Archive
-
►
2021
(1)
- ► 06/20 - 06/27 (1)
-
►
2016
(3)
- ► 03/13 - 03/20 (1)
- ► 02/07 - 02/14 (2)
-
►
2015
(34)
- ► 12/27 - 01/03 (3)
- ► 12/20 - 12/27 (2)
- ► 12/13 - 12/20 (12)
- ► 11/29 - 12/06 (6)
- ► 11/22 - 11/29 (4)
- ► 11/15 - 11/22 (4)
- ► 11/08 - 11/15 (3)
-
►
2014
(18)
- ► 11/02 - 11/09 (1)
- ► 10/26 - 11/02 (2)
- ► 08/31 - 09/07 (1)
- ► 07/13 - 07/20 (1)
- ► 06/29 - 07/06 (3)
- ► 06/22 - 06/29 (1)
- ► 06/08 - 06/15 (1)
- ► 05/25 - 06/01 (2)
- ► 05/18 - 05/25 (1)
- ► 05/11 - 05/18 (3)
- ► 04/06 - 04/13 (1)
- ► 03/30 - 04/06 (1)
-
▼
2013
(6)
- ► 03/31 - 04/07 (1)
- ► 02/17 - 02/24 (1)
- ► 01/20 - 01/27 (1)
- ► 01/13 - 01/20 (1)
- ► 01/06 - 01/13 (1)
-
►
2012
(65)
- ► 12/16 - 12/23 (1)
- ► 11/25 - 12/02 (2)
- ► 11/11 - 11/18 (1)
- ► 10/14 - 10/21 (3)
- ► 10/07 - 10/14 (1)
- ► 09/23 - 09/30 (1)
- ► 09/16 - 09/23 (1)
- ► 09/09 - 09/16 (2)
- ► 09/02 - 09/09 (1)
- ► 08/05 - 08/12 (1)
- ► 07/08 - 07/15 (2)
- ► 06/24 - 07/01 (1)
- ► 06/17 - 06/24 (1)
- ► 06/10 - 06/17 (1)
- ► 05/20 - 05/27 (1)
- ► 05/13 - 05/20 (2)
- ► 05/06 - 05/13 (1)
- ► 04/22 - 04/29 (1)
- ► 04/08 - 04/15 (1)
- ► 04/01 - 04/08 (1)
- ► 03/25 - 04/01 (2)
- ► 03/18 - 03/25 (2)
- ► 03/11 - 03/18 (3)
- ► 03/04 - 03/11 (2)
- ► 02/26 - 03/04 (2)
- ► 02/19 - 02/26 (3)
- ► 02/12 - 02/19 (3)
- ► 02/05 - 02/12 (4)
- ► 01/29 - 02/05 (5)
- ► 01/22 - 01/29 (4)
- ► 01/15 - 01/22 (5)
- ► 01/08 - 01/15 (4)
-
►
2011
(24)
- ► 12/18 - 12/25 (4)
- ► 12/11 - 12/18 (2)
- ► 12/04 - 12/11 (1)
- ► 10/23 - 10/30 (1)
- ► 09/25 - 10/02 (1)
- ► 09/18 - 09/25 (1)
- ► 05/22 - 05/29 (2)
- ► 05/01 - 05/08 (1)
- ► 04/24 - 05/01 (1)
- ► 03/13 - 03/20 (1)
- ► 02/13 - 02/20 (2)
- ► 02/06 - 02/13 (1)
- ► 01/30 - 02/06 (2)
- ► 01/23 - 01/30 (1)
- ► 01/16 - 01/23 (1)
- ► 01/09 - 01/16 (1)
- ► 01/02 - 01/09 (1)
-
►
2010
(23)
- ► 12/26 - 01/02 (1)
- ► 12/12 - 12/19 (1)
- ► 12/05 - 12/12 (1)
- ► 11/21 - 11/28 (1)
- ► 10/24 - 10/31 (1)
- ► 10/17 - 10/24 (2)
- ► 09/26 - 10/03 (1)
- ► 08/15 - 08/22 (1)
- ► 07/25 - 08/01 (1)
- ► 06/06 - 06/13 (1)
- ► 05/30 - 06/06 (2)
- ► 05/09 - 05/16 (4)
- ► 03/14 - 03/21 (5)
- ► 03/07 - 03/14 (1)
0 comments:
Post a Comment