যাদের পথ ও ঈমান-আমলের নিরাপত্তা ও আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে তাদের উপর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য হজ্জ করা ফরয।

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই হজ্জ ও উমরাহ আদায় করো।’
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ওই সকল আমল কবুল করেন না, যা খালিছভাবে উনার জন্য করা হয় না।’
হজ্জ, উমরাহ ও রওজা শরীফ যিয়ারত প্রত্যেকটাই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করতে হবে।
কেননা গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে করলে কোনো আমলই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে কবুল হয় না।
ছবি তুলে ও বেপর্দা হয়ে হজ্জ করা গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ করারই নামান্তর।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাদের উপর হজ্জ ফরয তাদেরকে অবশ্যই হজ্জ করতে হবে। হজ্জ ফরয হওয়ার পরও যদি কেউ গাফলতি করে হজ্জ না করে, তবে সে ঈমানহারা হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যাদের পথ ও ঈমান-আমল-এর নিরাপত্তা ও আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে তাদের উপর আল্লাহ পাক উনার জন্য হজ্জ করা ফরয।”
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুতবায় আমাদেরকে বলেন, “হে মানুষেরা! তোমাদের উপর হজ্জকে ফরয করা হয়েছে। সুতরাং তোমরা হজ্জ আদায় কর।” (মুসলিম শরীফ)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আখিরী যামানার অনেকেই গাইরুল্লাহর জন্য হজ্জ করবে। যেমন কেউ হজ্জ করবে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে, কেউ হজ্জ করবে তিজারত বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে আবার কেউ হজ্জ করবে খয়রাত বা চাঁদা তোলার উদ্দেশ্যে। আবার কেউবা হজ্জ করবে নাম-ধাম বা খ্যাতি লাভ করার উদ্দেশ্যে। অথচ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ-এ শুধুমাত্র খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে হজ্জ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই হজ্জ ও উমরাহ আদায় করো।”
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেন, “যাদের পথ ও ঈমান-আমলের নিরাপত্তা ও আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে তাদের উপর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য হজ্জ করা ফরয।”
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন: “যে ব্যক্তি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে হজ্জ করবে এবং হজ্জের সময় কোনো প্রকার অশ্লীল-অশালীন ও ফাসিকী বা নাফরমানীমূলক কাজ করবে না; সে গুনাহ থেকে এরূপ পবিত্র হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে যেন সে সদ্যপ্রসূত সন্তান।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলতঃ খুলুছিয়ত বা ইখলাছ না থাকার কারণে বা গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ করার কারণেই অনেকে শরীয়তসম্মতভাবে হজ্জ করতে পারে না অর্থাৎ হজ্জের সময়ও তারা শরীয়তবিরোধী কাজে মশগুল হয়ে থাকে। যেমন প্রথমতঃ ছবি তোলা, অথচ হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ক্বিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তি সবচেয়ে কঠিন শাস্তি পাবে যে ব্যক্তি ছবি তোলে বা তোলায়।
শরীয়তের ফতওয়া হচ্ছে যে, প্রাণীর ছবি তোলা, তোলানো, আঁকা, আঁকানো ইত্যাদি সবই হারাম ও কবীরা গুনাহ। যারা তোলে বা তোলায় তারা চরম ফাসিক। অর্থাৎ ছবি তোলা হচ্ছে ফাসিকী কাজ। যারা হজ্জে ফাসিকী কাজ করে তাহলে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফদ্বয়ের নির্দেশ মুতাবেক তাদের হজ্জ কি করে হজ্জে মাবরুর বা কবুল হজ্জ হতে পারে এবং তা কি করে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য হতে পারে?

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দ্বিতীয়তঃ বেপর্দা হওয়া, অথচ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ পর্দা করার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেমন হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যে দেখে ও দেখায় উভয়ের প্রতি খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “দাইয়্যূছ অর্থাৎ যে নিজে পর্দা করে না এবং অধীনস্থদেরকে পর্দায় রাখে না; সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” তাই এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, বেপর্দা হওয়া কঠিন কবীরা গুনাহ ও ফাসিকী কাজ। আর ফাসিক ব্যক্তির হজ্জ কি করে মকবুল হজ্জ হতে পারে?

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যদি খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই হজ্জ করতে হয়, তবে হজ্জের সময় কোনো প্রকার হারাম কাজ করা যাবে না বা হারাম কাজ করে হজ্জ করা যাবে না। এটা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনারই নির্দেশ। এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “যাদের উপর হজ্জ ফরয হবে বা যারা হজ্জ করবে তারা হজ্জের সময় কোনো প্রকার অশ্লীল-অশালীন ফাসিকী বা নাফরমানীমূলক কোনো কাজ করবে না এবং কোনো প্রকার ঝগড়া-ফ্যাসাদ করবে না।” এ আয়াত শরীফ দ্বারা মূলত এটাই বুঝানো হয়েছে যে, যারা হজ্জ করবে তারা হজ্জের সময় বেপর্দা ও ছবি তোলাসহ সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বিরত থাকবে। আরো বুঝানো হয়েছে যে, যদি কেউ হজ্জের সময় বেপর্দা হওয়া ও ছবি তোলাসহ অন্যান্য হারাম কাজে মশগুল হয় তবে তার হজ্জ হজ্জে মাবরুর হবে না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- হজ্জ, উমরাহ ও রওজা শরীফ যিয়ারত প্রত্যেকটাই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এবং শরীয়তসম্মতভাবে করতে হবে। গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে করলে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে তা কবুল হয় না।
-০-
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment