নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এ উম্মতের হিদায়েতের জন্য প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ পাঠাবেন। যিনি দ্বীনের তাজদীদ করবেন।’
গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন উনার যামানার মুজাদ্দিদ এবং ‘মুহিউদ্দীন’ বা দ্বীন জিন্দাকারী।
তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জানা ও উনাকে মুহব্বত, অনুসরণ, অনুকরণ করা।
আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “মু’মিনদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার ইহসান যে, তাদের (হিদায়েতের জন্য) একজন রসূল পাঠানো হয়েছে। যিনি তাদেরকে (মু’মিনদেরকে) তিলাওয়াত করে শুনাবেন। তাদেরকে তাযকিয়া (পরিশুদ্ধ) করবেন, কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন।” আর আবূ দাউদ শরীফ-এর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করবেন যিনি দ্বীনের তাজদীদ করবেন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে যে, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি একদিন সফর থেকে বাগদাদ শহরে প্রবেশ করবেন তখন শহরের দ্বারপ্রান্তে দেখলেন একজন জীর্ণ-শীর্ণ দুর্বল ও কুৎসিত ব্যক্তি রাস্তার পাশে এক প্রকার অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সে গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনাকে দেখে বললো: আমাকে ধরুন এবং সাহায্য করুন। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি যখনই তার হাত ধরে তাকে উঠালেন তখনই সে সম্পূর্ণ সুস্থ, সবল ও সুঠাম দেহের অধিকারী একজন খুবছুরত যুবক হয়ে গেল। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হে ব্যক্তি একটু আগে আপনি ছিলেন দুর্বল ও জীর্ণ-শীর্ণ দেহের অধিকারী মৃতপ্রায় আর আমি আপনাকে স্পর্শ করা মাত্রই আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ সবল ও খুবছুরত যুবক হয়ে গেলেন তার কি কারণ? সে বললো: হে গাউছুল আ’যম! আমি কোনো জিন, ইনসান বা ফেরেশতা নই। আমি হলাম “দ্বীন ইসলাম” এ যামানার উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীরা ইসলাম সম্পর্কে মনগড়া কথা বলে মনগড়া আমল করে এবং ইসলামের অপব্যাখ্যা করে ও ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করে আমাকে দুর্বল করে দিয়েছে। মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনাকে পাঠিয়ে আপনার উসীলায় আমাকে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিবেন। অর্থাৎ পুনর্জীবিত করবেন, তাই আজ থেকে আপনার লক্বব বা উপাধি হচ্ছে ‘মুহিউদ্দীন’ বা দ্বীন জিন্দাকারী। তখন থেকেই তিনি ‘মুহিউদ্দীন’ নামে মশহুর হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- খলীফাতুল্লাহ ও খলীফাতু রসূলিল্লাহ হিসেবে মানুষকে তাযকিয়া বা পরিশুদ্ধ করার জন্য এবং উলামায়ে ছূ’দের বদ আক্বীদা, বা আমল ও মনগড়া কুফরী ফতওয়ার কারণে দ্বীনের ভিতর প্রবেশকৃত সকল কুফর, শিরক ও বিদয়াত বেশরা দূর করে দ্বীন ইসলামকে তাজদীদ বা পুনর্জীবিত করার জন্য যমীনে পাঠিয়েছেন। তিনি যমীনে তাশরীফ এনে মানুষকে তাযকিয়া বা পরিশুদ্ধ করেছেন এবং দ্বীনকে যিন্দা করেছেন। তাই মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাদের পক্ষ থেকে উনাকে ‘মুহিউদ্দীন’ বা দ্বীন যিন্দাকারী লক্বব দেয়া হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “পথভ্রষ্ট আলিম বা উলামায়ে ‘ছূ’দের কারণে ইসলামের ক্ষতি হয়ে থাকে।” অর্থাৎ যুগে যুগে উলামায়ে ছূ’রাই ইসলাম সম্পর্কে মনগড়া ফতওয়া দিয়ে তথা হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম বলে এবং হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে ইসলামের ক্ষতি সাধন করার অপচেষ্টা করে। বর্তমানেও উলামায়ে ছূ’রা হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম ফতওয়া দেয়, দুনিয়াবী ফায়দা হাছিলের উদ্দেশ্যে আমীর-উমরা, রাজা-বাদশাহ, মন্ত্রী-মিনিস্টার এমনকি মহিলাদের সাথে একত্রে চলাফেরা করে, উঠাবসা করে, যাওয়া-আসা করে, মিটিং-মিছিল করে, তাদের ছানা-ছিফত ও গুণ বর্ণনা করে প্রকাশ্যে বেপর্দা হয়, ছবি তোলে, ভিডিও করে, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে, ইসলামের নামে গণতন্ত্র তথা ভোট-নির্বাচন করে, হরতাল করে, লংমার্চ করে, মৌলবাদী দাবি করে, কুশপুত্তলিকা দাহ করে, ব্লাসফেমী আইন চায়। এদের প্রসঙ্গেই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই (সৃষ্টির মধ্যে) সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট জীব হচ্ছে উলামায়ে ছূ’ তথা দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন উনার যামানার মুজাদ্দিদ ও ‘মুহিউদ্দীন’ বা দ্বীন জিন্দাকারী। তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জেনে ও উনাকে মুহব্বত, অনুসরণ, অনুকরণ করে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাদের উভয়ের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি হাছিল করা।
-০-
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
0 comments:
Post a Comment