বোরকা তথা পর্দা মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার এবং পর্দা পালন করা প্রত্যেক মহিলাদের জন্য ফরয। যা সম্মান ও ব্যক্তিত্বের প্রতীকও।


মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হে মহিলারা! তোমরা (পর্দার সাথে) নিজ ঘরে অবস্থান কর, জাহিলিয়াত যুগের মহিলাদের মত বেপর্দা হয়ে ঘুরে বেড়াবে না। বোরকা তথা পর্দা মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার এবং পর্দা পালন করা প্রত্যেক মহিলাদের জন্য ফরয। যা সম্মান ও ব্যক্তিত্বের প্রতীকও। বোরকা তথা পর্দার সমালোচনা করা ও পর্দা করতে বাধ্য করা যাবে না বলা প্রকৃতপক্ষে একমাত্র মনোনীত দ্বীন ‘ইসলাম’-এর সমালোচনা করার শামিল। অতএব, প্রত্যেক পর্দা বিদ্বেষীদের উচিত তাদের পর্দা বিরোধী বক্তব্য প্রত্যাহার করে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। অন্যথায় তাদেরকে কঠিন আযাব গযবের সম্মুখীন হতে হবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বোরকা তথা পর্দা মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার অর্থাৎ ফরয। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বোরকা তথা পর্দা মুসলমানদের বানানো বা মনগড়া কোন আমল নয় বরং তা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পক্ষ থেকে নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয আমল। কেননা কুরআন শরীফ-এ “সূরা নিসা, সূরা নূর ও সূরা আহযাব” সূরাসমূহে পর্দা করার ব্যাপারে কঠোর আদেশ-নির্দেশ করা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা নূর-এর ৩০, ৩১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “(হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি মু’মিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণ। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি তারা যা করে তার খবর রাখেন। আর আপনি মু’মিনাদেরকে বলুন, তারাও যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে ও তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।” মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি মুসনাদে আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, দারিমী, মিশকাত শরীফ-এর বরাত দিয়ে বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! দৃষ্টিকে অনুসরণ করবেন না। প্রথম দৃষ্টি (যা অনিচ্ছা সত্ত্বে পতিত হয় তা) ক্ষমা করা হবে; কিন' পরবর্তী দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না।” অর্থাৎ প্রতি দৃষ্টিতে একটি কবীরা গুনাহ লেখা হয়ে থাকে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বাইহাক্বী ও মিশকাত শরীফ-এর বরাত দিয়ে বলেন, হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, “যে দেখে এবং দেখায় উভয়ের প্রতি আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার কালাম পাক এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ দ্বারা সরাসরি পর্দাকে ফরয করে দিয়েছেন। অতএব প্রত্যেক মুসলমান মহিলাদের জন্য ফরয হচ্ছে- কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ অনুযায়ী খাছ শরয়ী পর্দা পালন করে আর যারা পর্দা করেনা তাদের পর্দা পালন করায়ে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলের কোশেশ করা। যা তাদের ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবীর কারণ। কাজেই যারা বলে পর্দা করতে বাধ্য করা যাবেনা তাদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে ইসলাম বিরোধী বক্তব্য। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘সূরা বাক্বারা’-এর ১০৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোন রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।” মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিধর্মীরা যেহেতু ইসলাম ও মুসলমানদের চরম শত্রু তাই তারা হিংসার বশবর্তী হয়েই বোরকা তথা পর্দার সমালোচনা করছে বা পর্দার বিরোধিতা করছে এবং পর্দা করতে বাধ্য করা যাবে না এটাও বলেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমানদেরকে বেপর্দা করে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের রেযামন্দি বা সন'ষ্টি থেকে মাহরুম করে দাইয়্যুছ বানিয়ে লা’নতগ্রস্ত করে জাহান্নামী করে দেয়া। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কিন' প্রশ্ন হচ্ছে- মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয আমল বোরকা বা পর্দা সম্পর্কে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার মত দুঃসাহস কাফির মুশরিক, ইহুদী, নাছারা তথা বিধর্মীরা পেল কোথায়? মূলত মুসলমানদের ঈমানী ও আমলী দুর্বলতার কারণেই তারা আজ একের পর এক ইসলাম বিদ্বেষী কথা বলার সাহস পাচ্ছে। মুসলমানরা যদি কফিরদের পূবের্র ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যগুলোর শক্ত প্রতিবাদ জানাতো, তবে তারা পরবর্তীতে আর কখনো এরূপ দুঃসাহস দেখাতে পারতো না। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূল কথা হলো- বোরকা তথা পর্দা মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার অর্থাৎ ফরয আমল। যা মহিলাদের সম্মান ও ব্যক্তিত্বের প্রতীক। বিধর্মী তথা বেদ্বীনগুলো বোরকা তথা পর্দার সমালোচনা করে একমাত্র মনোনীত দ্বীন ‘ইসলাম’-এর সমালোচনা করেছে, করছে। তাই বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল মুসলিম সরকারসহ পৃথিবীর প্রায় ৩০০ কোটি মুসলমানের জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে সমস্ত পর্দা বিদ্বেষীদের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করা। আর সমস্ত পর্দা বিদ্বেষীদের উচিত তারা যেন তাদের ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য প্রত্যাহার করে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চায়। অন্যথায় তাদেরকে সীমাহীন কঠিন আযাব গযবের সম্মুখীন হতে হবে।

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment