মুবারক হো-
লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, ত্বাহিরাহ, তাইয়্যিবাহ, মাহবুবাহ, ফাক্বীহা, মাশুকাহ, গফীরাহ, নাছিবাহ, রহীমাহ, রফীক্বাহ, হাবীবাহ, নূরিয়্যাহ, ফখরিয়্যাহ, ফারীদাহ, ক্বারীনাহ, ক্বারীবাহ, কাবীরাহ, কাছিত্বাহ, ছামীনাহ, ছা’ইমাহ, ছালিহাহ, ছুফিয়্যাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল, সাইয়্য্যিদাতুনা শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার মহা মুবারক বিলাদত শরীফ তথা ঈদে আ’যমে বিলাদতে নিবরাসাতুল উমাম হযরত শাহযাদী ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
আজ বেমেছাল মহিমান্বিত, রহমত-বরকত, ফযীলতপূর্ণ, সাকিনাযুক্ত ১৯শে রবীউছ ছানী। লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বায়িম-মাক্বামে যাহরা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল, হযরত শাহযাদী ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মহা মুবারক বিলাদত শরীফ।
যিনি তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকিয়্যাহ। ত্বয়্যিবাহ, ত্বহিরাহ, নাজিয়াহ, নাছীবাহ, ক্বারীনাহ, ক্বারীবাহ, কাবীরাহ, কাছিত্বাহ, ছামীনাহ, ছা’ইমাহ, ছালিহাহ, ছুফিয়্যাহ, উম্মুল ওয়ারা, মাহবুবাহ, মাশুক্বাহ, ফাক্বীহা।
মহান আল্লাহ পাক উনার শানে বলেছেন, “উনার সমকক্ষ কোনো পুরুষও নন।” (সূরা আলে ইমরান)
উনার মুবারক ছায়াও কখনো কোনো পরপুরুষ দেখেনি। এমনকি কোনো পর্দাহীন মহিলারাও উনাকে পর্যন্ত দেখতে পায়নি। উনার মুবারক কণ্ঠস্বর কোনো পরপুরুষ কখনো শুনেনি। বলতে গেলে সূর্যের আলোও উনাদের স্পর্শ করেনি। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গতঃ ‘সূরা কাহাফ-এর ১০৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যক্ত করেছেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, আমার রব মহান আল্লাহ পাক উনার শান-মান লিখার জন্য যদি সমুদ্রের পানিকে কালি বানানো হয় তবুও মহান আল্লাহ পাক উনার শান মান, ফাযায়িল-ফযীলত শেষ হওয়ার পূর্বেই সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে। আরো অনুরূপ যোগ করা হলেও।’
বলাবাহুল্য, এটা যেমন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার শান মুবারক-এ তেমনি উনার হাবীব আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানেও এবং সাথে সাথে উনাদের রঙে রঞ্জিত মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদাতুন নিসা, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, আফদ্বালুন নিসা বা’দাল আম্বিয়ায়ি ওয়া উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শানেও যথাযোগ্যভাবে প্রযোজ্য।
সঙ্গতকারণেই এই সুমহান বিলাদত শরীফ-এর তাৎপর্য, গুরুত্ব, মহত্ত্ব, শান-শওকত লেখার জন্য কোনো ভাষার শুরু এবং শেষ যেমন নেই তেমনি বিলাদত শরীফ পালনের ব্যাপকতার, ঘনঘটার, শান-শওকতেরও তথা সমন্বিত আয়োজনেরও কোনো পরিশেষ নাই। সবকিছুই এখানে ব্যর্থ। সস্পৃক্ত শুধুই অক্ষমতা প্রকাশ। অনিবার্য এখানে ক্ষমা প্রার্থনা।
বলার অপেক্ষা না রেখে আমরাও তাই এই সুমহান বিলাদত শরীফ প্রসঙ্গে আমাদের সব অক্ষমতার ভারে প্রথমেই করছি শেষ স্তরের ক্ষমা প্রার্থনা। নিবেদন করছি সমগ্র সত্তার নিংড়ানো নিবেদিত মুহব্বত ও শেষ স্তরের আত্মসমর্পণ।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাইনা। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইতগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা/২৩)
সঙ্গতকারণেই বলতে হয়, এক্ষেত্রে বর্তমান যামানায় হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে যিনি মধ্যমণি যিনি- ত্বাহিরাহ, তাইয়্যিবাহ, মাহবুবাহ, ফাক্বীহা, মাশুক্বাহ, তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকীয়্যাহ, নূরে হাবীবা, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, নাক্বীবাতুল উমাম, হাদীয়াতুল মাদানী, হাদীয়ে মাদারজাত, ক্বায়িম-মক্বামে ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম, ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদাতুন নিসা ফিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানী শাহযাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাথে খাছ তায়াল্লুক নিছবত হাছিলের মাধ্যমে সম্ভব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি হাছিল করা। সুবহানাল্লাহ!
বলাবাহুল্য, হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার ছানা-ছিফত করার সাধ্য যেমন কারো নেই- এ কথা যেমন সত্য তেমনি উনাদের ছানা-ছিফত করতে গেলে লাখো-কোটি বেমেছাল ছিফত অনিবার্যভাবে চলে আসে সে কথাও তেমনি নিদারুণ সত্য।
তবে একটি মূল কথা হচ্ছে যে, উনারা এমন এক মহিমান্বিত বেমেছাল অজুদ মুবারক যা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাদের গুণে গুণান্বিত এবং উনাদের তরফ থেকে যমীনবাসীর জন্য রহমত-বরকত, রিযিকসহ সব নিয়ামতের আধার। বণ্টনের উছীলা, মালিকা।
উনাদের মূলত কোনো কাজ করার প্রয়োজন হয় না। উনাদের আগমন, আবির্ভাব, বিলাদত শরীফই যমীনবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় রহমত, বরকত তথা ঈদ বা সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম-এর শামিল। কাজেই আজ শুধু হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম উনার বিলাদত শরীফ নয়, বরং গোটা কায়িনাতের জন্য আজ সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম স্বরূপ।
সঙ্গতকারণেই বলতে হয় আজকের এ ঈদে আ’যম-এর, ঈদে বিলাদতে শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক পরিসর কেবল রাজারবাগ শরীফ অথবা রাজারবাগ শরীফ-এর সিলসিলাভুক্ত পরিম-লেই পরিশেষ হবার নয়।
বরং অনিবার্য কারণেই তথা নিজস্ব প্রয়োজনেই গোটা বিশ্ব পরিসরেই এর পর্যালোচনা করতে হবে। গোটা বিশ্বব্যাপীই এই সুমহান বিলাদত শরীফ ব্যাপক শান-শওকত ও জওক-শওক তথা যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য এবং সর্বশেষ প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটায়ে পালন করতে ইবে। এবং দিন দিন উত্তরোত্তর এটার ব্যাপকতা বিস্তর বিস্তার ঘটাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
মূলতঃ এর উপরই নির্ভর করবে ভক্ত মুরীদ-মুতাক্বিদ, আশিকীন-মুহিব্বীন বিশেষতঃ আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত তথা আন্তর্জাতিক আল বাইয়্যিনাত-এর মূল্যায়ন অথবা অর্জিত সফলতা বা ব্যর্থতা।
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি মহান ত্বাহিরাহ, তাইয়্যিবাহ, মাহবুবাহ, ফাক্বীহা, মাশুক্বাহ, তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকীয়্যাহ, ত্বহিরাহ, ত্বয়্যিবাহ, নূরে হাবীবা, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, নাক্বীবাতুল উমাম, হাদীয়াতুল মাদানী, হাদীয়ে মাদারজাত, ক্বায়িম-মাক্বামে ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম, ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদাতুন নিসা ফিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উছীলায় এ ঈদে বিলাদত শরীফ যথাযথভাবে ও পরিপূর্ণ খুলুছিয়তের সাথে করার তাওফিক দান করুন। (আমীন)
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
0 comments:
Post a Comment