‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ এ বছরের জন্য ১৪৩৩ হিজরী সনের ২৩শে ছফর, শামসী সনের ২০শে ছামিন, ঈসায়ী সনের ১৮ই জানুয়ারি, বুধবার।


মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, (হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিনগুলো তাদেরকে অর্থাৎ ঈমানদার বান্দাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এতে ধৈর্যশীল, শোকরগোযার বান্দাদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ এ বছরের জন্য ১৪৩৩ হিজরী সনের ২৩শে ছফর, শামসী সনের ২০শে ছামিন, ঈসায়ী সনের ১৮ই জানুয়ারি, বুধবার।
যা পালন করা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।
‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ পালন উপলক্ষে সাধ্যমত হাদিয়া পেশ করা এবং দান-ছদক্বা করা, গোসল করা, ভালো খাওয়া, অধিক পরিমাণে মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক।
বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিনটি পালনের সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণসহ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে সমস্ত মুসলমানসহ সরকারকে- যিনি ঈমানের মূল এবং সমস্ত মাখলুক্বাতের জন্য রহমত ও নাজাতের মূল আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অকল্পনীয় ও বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা এবং ফাযায়িল-ফযীলতই শুধু নয়; বরং উনার সাথে সম্পৃক্ত বিশেষ দিন ও ঘটনা সম্পর্কেও বিশেষভাবে অবগত হতে হবে এবং অত্যন্ত আদব ও মুহব্বতের সাথে উনার হক্বও বিশেষভাবে আদায়ের কোশেশ করতে হবে।
আসন্ন পবিত্র ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ উপলক্ষে এক আলোচনা মজলিসে রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সকল ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ইজমা হয়েছে যে, “যে মাটি মুবারক আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বদম মুবারক স্পর্শ করেছে তার মর্যাদা আরশে আযীমের চেয়েও লক্ষ-কোটি গুণ বেশি।” সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, তায়াল্লুক-নিছবত থাকার কারণে মাটি মুবারক যদি এত মর্যাদা-মর্তবার অধিকারী হয়ে থাকে; তাহলে যে তারিখে, যে দিবসে, যে মাসে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকে তার মর্যাদা-মর্তবা কত বেশি হতে পারে সেটা খুব সহজেই অনুধাবনীয়।
তাহলে আখিরী চাহার শোম্বাহ-এর কত ফযীলত তা ফিকির করতে হবে। অতএব, সকল মুসলমানেরই উচিত- এদিনকে যথাযথ তা’যীম-তাকরীম করা এবং এ দিনের ফযীলত হাছিলের লক্ষ্যে আমল করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার মা’রিফাত-মুহব্বতে দগ্ধিভূত ব্যক্তি তথা মুসলমানগণ উনারা সে দিনটিকে মা’রিফাত-মুহব্বত লাভের উসীলা সাব্যস্ত করে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে যুগ যুগ ধরে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ হিসেবে পালন করে আসছেন। কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে যারা উত্তমভাবে অনুসরণ করে আল্লাহ পাক উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট।” (সূরা তওবা : আয়াত শরীফ-১০০)
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “তোমাদের জন্য আমার সুন্নত এবং খুলাফায়ে রাশিদীন তথা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম উনাদের সুন্নত অবশ্য পালনীয়।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ এ বছরের জন্য ১৪৩৩ হিজরী সনের ২৩শে ছফর, শামসী সনের ২০শে ছামিন, ঈসায়ী সনের ১৮ই জানুয়ারি, বুধবার। অনেকে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ উদযাপন করাকে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে আখ্যায়িত করে থাকে। যা সম্পূর্ণ অশুদ্ধ ও ভুল। বরং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ উপলক্ষে সাধ্যমতো হাদিয়া করা এবং দান-ছদক্বা করা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অধিক পরিমাণে ছলাত-সালাম, মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক। অতএব, বাংলাদেশসহ ও সমস্ত মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের উচিত আখিরী চাহার শোম্বাহর দিনের ভাবগাম্ভীর্যতা রক্ষা করা এবং যথাযথ মর্যাদার সাথে এ দিন পালনের ব্যবস্থা গ্রহণসহ সরকারি ছুটি নির্ধারণ করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হিন্দু ও মজূসীদের পহেলা বৈশাখ, ইহুদী-খ্রিস্টানদের পহেলা মে, বৌদ্ধদের বুদ্ধ পূর্ণিমা, খ্রিস্টানদের বড়দিন ২৫শে ডিসেম্বর ও হিন্দুদের দুর্গাপূজাসহ অনেক ছুটি আমাদের মুসলিম দেশে পালন করা হয়, যার সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের কোনো সম্পর্ক নেই এবং যা মুসলমানদের প্রয়োজনও নেই। সরকার যদি এরূপ অপ্রয়োজনীয় দিনে ছুটি দিতে পারে, তবে আখিরী চাহার শোম্বাহ-এর ন্যায় এত ফযীলতপূর্ণ দিন উপলক্ষে ছুটি দিতে পারবে না কেন?

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র এ দিনগুলোর মর্যাদা-মর্তবা আমভাবে অনুধাবন এবং পালনের জন্যেই এসব দিনে ‘দৈনিক আল ইহসান’ প্রকাশ বন্ধ রাখা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অতিশীঘ্রই সবাই এই আদর্শ অনুসরণে এগিয়ে আসবেন ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকেই পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ-এর ফযীলত ও গুরুত্ব হাক্বীক্বীভাবে উপলব্ধি করার এবং এর আমলগুলো করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
-০-


তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment