মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমার হাবীব, তোমাদের রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন তা তোমরা আঁকড়িয়ে ধরো আর যা থেকে বিরত থাকতে




মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমার হাবীব, তোমাদের রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন তা তোমরা আঁকড়িয়ে ধরো আর যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। কেননা, তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।’
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ছবি তুলনেওয়ালা ও ছবি তোলানেওয়ালা জাহান্নামী।’
কাজেই ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, দেশে দলীল নথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি চালু করা এবং ছবির ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বাদ দেয়া।


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, দেশে দলীল নথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি চালু করা এবং ছবির ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বাদ দেয়া।”
‘সরকার দেশের রেজিস্টার অফিসগুলোতে দলীলের জন্য ছবির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলাগণ যে কবীরাহ গুনাহে গুনাহগার হবে; তা থেকে বেঁচে থাকা সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব’ সে বিষয় নছীহত প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমাদের দেশে দলীল নথীভুক্তকরণ অফিসে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে ছবি দেয়ার নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। পূর্বে দলীলে ছবির কোনো প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, সেই ব্রিটিশ সময় আঙ্গুলে কালি লাগিয়ে দলীলে ছাপ দেয়ার যেই প্রচলন ছিলো আজ অবধি সেই নিয়মের কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) দেয়ার বিষয়টি অতি প্রয়োজনীয় বলে এখনো টিকে থাকলেও এর আধুনিকরণে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্বের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়েছে। কালির ছাপের পরিবর্তে এখন ডিজিটাল ইমেজ পদ্ধতি চালু হয়েছে। এছাড়া কম্পিউটার থেকে কোনো ব্যক্তিবিশেষের তথ্য অনুসন্ধান করতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতিও কাজে লাগানো হচ্ছে কিন্তু আমাদের দেশে দলীলে আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) নেয়ার পর তা ফাইলবন্দি হয়ে থাকছে। সহজেই কোনো তথ্য অনুসন্ধানে আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি কোনো কাজে আসছে না। আমাদের দেশের সরকার এই বিষয়ে মনোযোগী না হয়ে দলীল নথীভুক্তকরণে শরীয়তে নিষিদ্ধ হারাম ছবি অন্তর্ভুক্ত করেছে। যাতে পুরুষ-মহিলা সবাইকেই কবীরাহ গুনাহে গুনাহগার হতে হচ্ছে। এছাড়া পর্দানশীন মহিলাগণও পর্দা রক্ষা করতে পারছে না। কারণ পর্দানশীন মহিলাদেরও কোনো সম্পত্তি বেচাকেনার ক্ষেত্রে ছবি তুলে জমা দিতে হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন’ এবং ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’ এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারের দলীল নথীভুক্তকরণে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত এবং ছবির ব্যবহার বাদ দেয়ার আইন চালু করা উচিত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পৃথিবীতে কোনো শাসক চিরকালের জন্য আসে না। তাদেরকে মৃত্যুর পর কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, যারা দেশে শরীয়তবিরোধী আইন চালু করছে। তাই মৃত্যুর পূর্বেই তাদেরক্লে¬ অবশ্যই খালিছ তওবা করতে হবে। নতুবা অপেক্ষা করছে চরম লাঞ্ছনা এবং গঞ্জনা।

তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment