ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য শরয়ী তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক যেমন কুরআন শরীফ খতম, মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ পাঠ এবং ইস্তিগফার করে দোয়া-মুনাজাতে




মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি প্রত্যেক হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ক্বওমের ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি।’
প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রেরণ করা হয়েছে।
তাই মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।

ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য শরয়ী তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক যেমন কুরআন শরীফ খতম, মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ পাঠ এবং ইস্তিগফার করে দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে তাদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আর শরীয়তের খিলাফ তর্জ-তরীক্বায় যেমন গান-বাজনা, বেপর্দা-বেহায়াপনার মাধ্যমে নয়।
কারণ, এ সমস্ত কাজগুলি ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণরূপে হারাম। তাই মুসলমানগণের জন্য করা নিষিদ্ধ।


যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি প্রত্যেক হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ক্বওমের ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি।’ প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রেরণ করা হয়েছে। তাই মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য শরয়ী তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক যেমন কুরআন শরীফ খতম, মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ পাঠ এবং ইস্তিগফার করে দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে তাদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর শরীয়তের খিলাফ তর্জ-তরীক্বায় যেমন গান-বাজনা, বেপর্দা-বেহায়াপনার মাধ্যমে নয়। কারণ, এ সমস্ত কাজগুলি ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণরূপে হারাম। তাই মুসলমানগণের জন্য করা নিষিদ্ধ।”
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদগণ তাঁদের জন্য মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এক আলোচনা মজলিসে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “আমি সব হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে উনাদেরই স্বজাতির ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি। যাতে তাদেরকে স্পষ্ট করে বোঝানো যায়।” (সূরা ইব্রাহীম-৪)। এ আয়াত শরীফ দ্বারা প্রতিভাত হয়, নিজ নিজ জাতির ভাষায় কথা বলাই আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আল্লাহ পাক উনার নিজস্ব ভাষায় প্রেরণ করেছিলেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আমি উনাকে আরবী ভাষায় প্রেরণ করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।” (সূরা ইউছূফ-২)। অর্থাৎ নিজস্ব মাতৃভাষায় কথা বলা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “মাতৃভূমিকে মুহব্বত করা ঈমানের অঙ্গ।” এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, মাতৃভাষাকে মুহব্বত করাও ঈমানের অঙ্গ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দেওবন্দী ওহাবী খারিজী উলামায়ে ‘ছূ’ গংয়ের প্ররোচনায় যালিম সম্প্রদায় এদেশের মুসলমানদেরকে সে সুন্নত পালন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলো। কাজেই যাঁরা প্রকৃতপক্ষে মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন তাঁরা শহীদী দরজা অর্জন করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এদেশবাসীর মুসলমানের উচিত- ভাষার জন্য যাঁরা প্রকৃতপক্ষে প্রাণ দিয়েছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা, তাঁদের উপকার করার চেষ্টা করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমরা মুসলমান। ইসলাম আমাদের দ্বীন। আর দ্বীন ইসলাম মোতাবেক মৃত্যুর পর প্রত্যেক বান্দা- ‘হয় কবরে আযাবে থাকে’ অথবা ‘সুখে থাকে।’ সেক্ষেত্রে জীবিতরা যদি মৃতের জন্য দোয়া করে ও মাগফিরাত কামনা করে তবে সে দোয়ার উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি কবরের আযাব ক্ষমা করে দেন। আর আযাব না থাকলে তার নিয়ামত আরো বাড়িয়ে দেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত- ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে তাঁদের উপকারার্থে তাঁদের জন্য ইস্তিগফার পাঠ করে, মাগফিরাত কামনা করে, কুরআন শরীফ খতম করে তাঁদের জন্য মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে দোয়া করা অর্থাৎ তাঁদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘বায়হাক্বী শরীফে’ বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যখন মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খীরা মৃত ব্যক্তির জন্য কুরআন শরীফ খতম, দোয়া-ইস্তিগফার ও মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে মৃত ব্যক্তির নামে ছওয়াব রেসানী করে বা বখশায়ে দেয় তখন ফেরেশতাগণ উনারা উক্ত নেকীগুলো মখমলের রুমালে জড়িয়ে মৃত ব্যক্তির নিকট পেশ করেন। মৃত ব্যক্তিরা তা দেখে খুশি হয়।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালি পায়ে চলা, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া, গান-বাজনা করা, বেপর্দা-বেহায়াপনাজনিত অনুষ্ঠান দ্বারা যারা জীবিত তারা কঠিন গুনাহে গুনাহগার হয় অর্থাৎ কবীরা ও কুফরী গুনাহে গুনাহগার হয়। আর যাঁরা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে কবরে আছেন তাঁদের কোনই উপকার হয় না। বরং তাঁরা এসব কাজের জন্য ভীষণ লজ্জিত হন ও কষ্ট পান। কারণ, তাঁরা সবই দেখতে পান। কেবলমাত্র তাঁরা নির্বাক বলেই কিছু বলতে পারেন না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে আমাদের সবারই সেভাবে আমল করা উচিত যেভাবে আমল করলে ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের উপকার হবে। অর্থাৎ ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য দোয়া-ইস্তিগফার, কুরআন শরীফ খতম ও মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে তাঁদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া। পাশাপাশি গান-বাজনাসহ সর্বপ্রকার হারাম, কুফরী ও শরীয়ত বিরোধী আমল ও বদ রসম থেকে বিরত থাকা সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য।
-০-


তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
Read more ...

“নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রূহ মুবারক মুসলমানদের ঘরে ঘরে হাযির আছেন।” সুবহানাল্লাহ!




মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদ প্রদানকারী ও ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির।
আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন।

এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর বিশুদ্ধ আক্বীদা। এর খিলাফ আক্বীদা পোষণ করা গুমরাহীর অন্তর্ভুক্ত।


যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ পাক) সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন।”
আসন্ন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে এক আলোচনা মজলিশে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আক্বাইদের কিতাবে উল্লেখ আছে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর ফতওয়া হলো, আল্লাহ পাক তিনি ইলম ও কুদরতের দ্বারা হাযির-নাযির; জাত হিসেবে নন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘আহকামুল কুরআন লিল আরাবী’তে উল্লেখ আছে, “নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ পাক) উনার ইলম ও কুদরতের দ্বারা সমস্ত স্থানে রয়েছেন।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাযির ও নাযির জানার এটাই অর্থ যে, মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি জগতের প্রত্যেক সৃষ্টির কার্যসমূহ পূর্ণরূপেই দেখেন এবং উনার ইলম সর্বত্র বিরাজমান।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর ফতওয়া হলো, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাযির-নাযির হওয়া সম্পর্কে হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আপনি যখন মসজিদে প্রবেশ করবেন তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সশ্রদ্ধ সালাম দিবেন। কারণ তিনি মসজিদসমূহে হাযির আছেন।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আল্লামা হযরত শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “নামাযে আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন করা হয়েছে। এটা যেনো এ কথারই ইঙ্গিতবহ যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতদের মধ্যে নামাযীদের অবস্থা উনার কাছে এমনভাবে উদ্ভাসিত করেছেন, যেন তিনি তাদের মধ্যে হাযির বা উপস্থিত থেকেই দেখতে পাচ্ছেন, তাদের আমলসমূহ অনুধাবন করছেন। এ সম্বোধনের আরো একটি কারণ হচ্ছে উনার এ হাযির হওয়ার (উপস্থিতির) ধারণা অন্তরে অতিমাত্রায় বিনয় ও নম্রতার সৃষ্টি করে।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আল্লামা হযরত ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘শরহে শিফা’ কিতাবে উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রূহ মুবারক মুসলমানদের ঘরে ঘরে হাযির আছেন।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত ইমাম ইবনুল হাজ্জ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘মাদখাল’ গ্রন্থ ও হযরত ইমাম কুসতুলানী রহমতুল্লাহি উনার ‘মাওয়াহেব’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, “আমাদের সুবিখ্যাত উলামায়ে কিরাম, উনারা বলেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হায়াত ও বিছাল মুবারক-এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি নিজ উম্মতকে দেখেন, তাদের অবস্থা, নিয়ত, ইচ্ছা ও মনের কথা জানেন। এগুলো উনার কাছে সম্পূর্ণরূপে সুস্পষ্ট; কোনোরূপ অস্পষ্টতা বা পুশিদা থাকে না।” সুবহানাল্লাহ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে তিনি হাযির-নাযির হতে পারেন; যা উনার সীমাহীন বৈশিষ্টের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট্য। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর বিশুদ্ধ আক্বীদা। এর খিলাফ আক্বীদা পোষণ করা গুমরাহীর অন্তর্ভুক্ত।
-০-


তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
Read more ...