নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘রিযিক মানুষকে এমনভাবে তালাশ করে; যেমন মৃত্যু মানুষকে তালাশ করে।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যমীনে যেসব প্রাণী রয়েছে, তাদের সকলের রিযিকের একমাত্র মালিক হলেন মহান আল্লাহ পাক তিনি।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘রিযিক মানুষকে এমনভাবে তালাশ করে; যেমন মৃত্যু মানুষকে তালাশ করে।’
তাই রিযিকের অভাব হবে মনে করে ফ্যামিলি প্ল্যানিং বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করা কাট্টা কুফরী
কারণ এর দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে একমাত্র রিযিকদাতা হিসেবে অস্বীকার করা হয়!

আর সাধারণভাবে ফ্যামিলি প্ল্যানিং বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করা মাকরূহ। কারণ তা অপচয়ের শামিল।
স্মরণীয় যে, পবিত্র ঈমান-আক্বীদা ও আমল হিফাযতের উদ্দেশ্যে ফ্যামিলি প্ল্যানিং বা জন্মনিয়ন্ত্রণ হতে মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলকে বিরত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে কিছু উলামায়ে ‘সূ’ (দুনিয়াদার মাওলানা) জন্মনিয়ন্ত্রণের পক্ষে ফতওয়া দেয়। যারা জন্মনিয়ন্ত্রণের পক্ষে বলে থাকে তারা গুমরাহ ও মূর্খ ড. ম্যালথাসের একটি মনগড়া, বিভ্রান্তিকর বিবৃতির উল্লেখ করে বলে যে, বর্তমানে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। নাউযুবিল্লাহ! মূলত, গুমরাহ ও মুর্খ ড. ম্যালথাস ১৭৯৮ সালে বিবৃতি দিয়েছিল- একশত বছর পরে পৃথিবীতে লোকের জায়গা ধরবে না। কিন্তু বর্তমানে একশত বছর অতিক্রম করে দু’শত বছর পার হয়ে গেছে। তারপরও দেখা গেছে জনসংখ্যা অনুযায়ী পৃথিবীর অনেক জায়গাই খালি রয়েছে। অতএব, সাব্যস্ত হলো যে, গুমরাহ ও মূর্খ ড. ম্যালথাসের বিবৃতি সম্পূর্ণ ভুল, অশুদ্ধ ও বিভ্রান্তিমূলক।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী মৌলবীরা গুমরাহ ও মূর্খ ড. ম্যালথাস-এর বক্তব্যের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে ‘পবিত্র সূরা তাগাবুন শরীফ’ উনার ১৫ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ দলীল স্বরূপ পেশ করে যার অর্থ তারা করে থাকে, “অধিক সম্পদ এবং অধিক সন্তান বিপদের কারণ।” মূলত, তাদের অনুবাদ করা এ অর্থটি সঠিক নয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উলামায়ে ‘সূ’দের অনুবাদ করা অর্থ মুতাবিক ‘অধিক সন্তান ও অধিক সম্পদ বিপদের কারণ।’ এ বিপদ থেকে বাঁচার জন্য তারা সন্তান কমানোর জন্য পরামর্শ দিচ্ছে এবং সাথে সাথে ব্যবস্থাও নিচ্ছে। এখন কথা হলো- বিপদ থেকে বাঁচার জন্য যদি সন্তান কমানো হয়, তাহলে অনুরূপভাবে বিপদ থেকে বাঁচার জন্য সম্পদও তো কমিয়ে দিতে হবে। কাজেই যারা চাকরি করে থাকে, তারা বছর বছর ইনক্রিমেন্ট নিতে পারবে না। যারা ব্যবসা করে থাকে, তারা পুঁজি ও দোকান-পাট বাড়াতে পারবে না এবং যারা চাষাবাদ করে থাকে, তারা জায়গা-জমি, বাড়ি-ঘর ইত্যাদি বাড়াতে পারবে না। বরং সবকিছু কমিয়ে দিতে হবে। কমাতে কমাতে একদিন দেখা যাবে যে, তারা সকলেই শূন্য অর্থাৎ নিঃশেষ হয়ে গেছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উলামায়ে ‘সূ’রা পবিত্র সূরা তাগাবুন শরীফ উনার ১৫ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার যে অর্থ করেছে সে অর্থ সম্পূর্ণ ভুল। সঠিক অর্থ হবে- “সম্পদসমূহ এবং সন্তানসমূহ বিপদের কারণ অর্থাৎ পরীক্ষা স্বরূপ।” তা অল্প সম্পদও হতে পারে, বেশিও হতে পারে। আর সন্তান একটাও হতে পারে, দশটিও হতে পারে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যারা জন্মনিয়ন্ত্রণের পক্ষে বলে থাকে, তারা একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলে থাকে যে, “মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘যাহাদুল বালা’ অর্থাৎ অধিক সন্তান ও অল্প সম্পদ থেকে পানাহ চেয়েছেন।” মূলত, এর সহীহ বা সঠিক ব্যাখ্যা হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই দোয়া করেছেন এবং দোয়ার তরতীব শিক্ষা দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সন্তান কমানোর কথা বলা হয় নাই। বরং যদি কারো সন্তান বেশি হয়, আর সম্পদ কম হয়, তাহলে সে যেন দোয়া করে- সম্পদ বেশি হওয়ার জন্য। অর্থাৎ উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অর্থ জন্মনিয়ন্ত্রণ নয়। উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অর্থ হচ্ছে- ‘সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করা ও মহান আল্লাহ পাক উনার মুখাপেক্ষী থাকা এবং সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ ও নির্দেশ মুবারক উনাদের প্রতি দৃঢ়চিত্ত ও রুজু থাকা।’ যেমন অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে যে, “তোমরা একটা জুতার ফিতার দরকার হলেও তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে চাও।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি রোজ আযলে (সৃষ্টির শুরুতে) সকল রূহ সম্প্রদায়কে একসাথে সৃষ্টি করে সম্বোধন করে বলেছিলেন, “আমি কি তোমাদের রব নই?” তারা জবাব দিয়েছিলেন, “হ্যাঁ, আপনি আমাদের রব।” অর্থাৎ সমস্ত রূহ একসাথে সৃষ্টি হয়েছে। রূহ আগে বা পরে সৃষ্টি হয়নি বা হয় না। কাজেই যাদের রূহ সৃষ্টি হয়েছে, তারা তো দুনিয়াতে আসবেই। আর যাদের রূহ সৃষ্টি হয়নি, তাদের তো আসার প্রশ্নই উঠে না। উল্লেখ্য, মানুষ পৃথিবীতে আগে পরে এসে থাকে অর্থাৎ মানুষ পর্যায়ক্রমে জন্মগ্রহণ করে থাকে। অতএব, রূহ যদি সব একসাথে সৃষ্টিই হয়ে থাকে, আর নতুন করে সৃষ্টি না হয়, তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করে কি হবে?

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ হচ্ছে- একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত, যার মাধ্যমে প্রথমত তারা মুসলমানগণের ঈমান ও আক্বীদা নষ্ট করতে চায়। দ্বিতীয়তঃ মুসলানদের সংখ্যা কমানোর গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তৃতীয়তঃ এর মাধ্যম দিয়ে মুসলমানগণের চরিত্র নষ্ট করার সূক্ষ্ম পথ অবলম্বন করা হয়েছে। কারণ মায়েদের চরিত্র হনন করতে পারলে সন্তানদের চরিত্রও সহজেই নষ্ট করা যাবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- রিযিকের অভাব হবে মনে করে ফ্যামিলি প্ল্যানিং বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করা কাট্টা কুফরী। কারণ এর দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে একমাত্র রিযিকদাতা হিসেবে অস্বীকার করা হয়! আর সাধারণভাবে ফ্যামিলি প্ল্যানিং বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করা মাকরূহ। কারণ তা অপচয়ের শামিল। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অপচয়কারী শয়তানের ভাই।”
-০-
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment