by Admin
|
posted: Thursday, December 30, 2010
|
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ মানুষের দ্বীন হলো ইসলাম এছাড়া রাষ্ট্রধর্মও ইসলাম।
অতএব, ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- বিজাতীয় সংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইটসহ সকল প্রকার ইসলাম বিরোধী হারাম কাজ বন্ধ করে দিয়ে মুসলমানদেরকে ইসলাম পালনে অর্থাৎ ইসলামের উপর ইস্তিক্বামত থাকার ব্যাপারে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক তিনি “সূরা আলে ইমরানের” ১৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ বলেন, “নিশ্চয়ই ইসলামই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে একমাত্র দ্বীন।” অর্থাৎ ইসলাম হচ্ছে আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ওহীর মাধ্যমে নাযিলকৃত, একমাত্র পরিপূর্ণ, সন্থষ্টিপ্রাপ্ত, নিয়ামতপূর্ণ, অপরিবর্তনীয় ও মনোনীত দ্বীন। যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত বলবত থাকবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক তিনি “সূরা মায়িদার” ৩ নম্বর আয়াত শরীফ-এ আরো ইরশাদ করেন, “আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে (দ্বীন ইসলামকে) কামিল বা পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত তামাম বা পূর্ণ করে দিলাম এবং আমি তোমাদের দ্বীন ইসলামের প্রতি সন্তুষ্ট রইলাম।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক তিনি দ্বীন ইসলামকে শুধুমাত্র পরিপূর্ণ সন্থষ্টিপ্রাপ্ত ও নিয়ামতপূর্ণ করেই নাযিল করেননি সাথে সাথে দ্বীন ইসলামকে মনোনীতও করেছেন। তাই দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য সমস্ত ধর্ম যা ওহী দ্বারা নাযিল করা হয়েছিলো যেমন, তাওরাত শরীফ, যাবূর শরীফ, ইনজীল শরীফ ও ১০০ খানা ছহীফা এবং মানব রচিত মতবাদ যা পূর্বে ছিলো এবং বর্তমানে যা রয়েছে ও ভবিষ্যতে যা হবে সেগুলোকে তিনি বাতিল ঘোষণা করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, একদিন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা ইহুদীদের কাছ থেকে তাদের কিছু ধর্মীয় কথা শুনে থাকি, যাতে আমরা আশ্চর্যবোধ করি, এর কিছু আমরা লিখে রাখবো কি? হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমরাও কি দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছো? যে রকম ইহুদী-নাছারারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে? অবশ্যই আমি তোমাদের নিকট পরিপূর্ণ, উজ্জ্বল ও পরিষ্কার দ্বীন নিয়ে এসেছি। হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিও যদি দুনিয়ায় থাকতেন, তাহলে উনাকেও আমার অনুসরণ করতে হতো।” (মুসনাদে আহমদ, বাইহাক্বী, মিশকাত, মিরকাত, আশয়াতুল লুময়াত, লুময়াত, শরহুত ত্বীবী, তা’লীকুছ ছবীহ ইত্যাদি)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট বা ১লা জানুয়ারি পালনের ইতিহাস ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এটা পালন মুসলমানদের কাজ নয়। ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ বা থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসবের প্রচলন করে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পহেলা জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হচ্ছে। ইরানে নববর্ষ বা নওরোজ শুরু হয় পুরনো বছরের শেষ বুধবার এবং উৎসব চলতে থাকে নতুন বছরের ১৩ তারিখ পর্যন্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাদশাহ আকবরের ফরমান অনুযায়ী আমীর ফতেহ উল্লাহ শিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলী সাল চালু হয় ১০ মার্চ ১৫৬৩। ইংরেজ আমলে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হলেও রাজস্ব আদায়ে ও অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলা সাল বেশি ব্যবহার করা হতো। অর্থাৎ ইতিহাস এটাই প্রমাণ করে যে, সব নববর্ষের প্রবর্তকই বিধর্মীরা। ইসলাম নববর্ষ পালনকে কখনোই স্বীকৃতি দেয় না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সংবিধানের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। সে প্রেক্ষিতে দেশে ইংরেজি ভাষাসহ বিভিন্ন উপজাতীয় ভাষার ঊর্ধ্বে যেমন রাষ্ট্রভাষা বাংলার মর্যাদা ও প্রাধান্য তেমনি সংবিধানের ২ নম্বর ধারায় বর্ণিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের কথা স্বীকারের প্রেক্ষিতে অন্যান্য ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীর উপরে ইসলাম ও মুসলমানের মর্যাদা ও প্রাধান্য স্বীকৃত হওয়া উচিত এবং ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাও অনেক বেশি হওয়া উচিত। যা মূলত প্রচলিত সংবিধানেরই ব্যাখ্যা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সংবিধানের ২ নম্বর ধারায় বর্ণিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম-এর স্বীকারের প্রেক্ষিতে বিজাতীয় সংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইটসহ কোনো ইসলাম বিরোধী কাজ গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- সরকারিভাবে থার্টি ফার্স্ট নাইটসহ সকল প্রকার ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া এবং সরকারিভাবে থার্টি ফার্স্ট নাইটসহ সকল প্রকার ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে মুসলমানদের বিরত রাখা অর্থাৎ মুসলমানদেরকে ইসলাম পালনে বা ইসলামের উপর ইস্তিক্বামত থাকার ব্যাপারে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করা।
by Admin
|
posted: Friday, December 17, 2010
|
আরবী (হিজরী) বছরের প্রথম মাস হচ্ছে মুহর্রম মাস। এই মুহর্রম মাসের ১০ তারিখ হচ্ছে আশূরা। আশূরার নামকরণের ব্যাপারে উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ বিভিন্ন মত পোষণ করেন। তবে অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম রহ্মতুল্লাহি আলাইহিম বলেন যে, এ দিনটি মুহর্রম মাসের ১০ তারিখ বলেই এটার নাম ‘আশূরা’ হয়েছে। কোন কোন আলিম বলেন যে, আল্লাহ পাক উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে দশটি বুযূর্গ দিন উপহার দিয়েছেন, তন্মধ্যে আশূরার দিনটি ১০ম স্থানীয়। এ কারণেই এটার নাম ‘আশূরা’ রাখা হয়েছে। আবার কারো মত এই যে, এই দিনটিতে যেহেতু আল্লাহ পাক স্বীয় দশজন নবীকে ১০টি ভিন্ন ভিন্ন রহমত বর্ষণ করেছেন তাই এটার নাম আশূরা হয়েছে। আবার কারো মত এই যে, দিনটিতে যেহেতু আল্লাহ পাক স্বীয় ১০ জন নবীকে দশটি ভিন্ন ভিন্ন রহমত দান করেছিলেন, তাই এটার নাম হয় ‘আশূরা’। এ আশূরার দিন- (১) হযরত আদম আলাইহিস সালাম-এর দোয়া কবুল হয়েছে। (২) হযরত ইদ্রীস আলাইহিস সালামকে সম্মানিত উচ্চস্থানে উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল। (৩) হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম-এর নৌকা জুদী পাহাড়ের সাথে গিয়ে ঠেকেছিল। (৪) হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর বিলাদত শরীফ, খলীল উপাধি লাভ এবং নমরূদের অগ্নিকুণ্ড থেকে মুক্তিলাভ করেছিলেন। (৫) হযরত দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর দুয়া কবুল এবং উনার পুত্র হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম-এর বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ব প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। (৬) হযরত আউয়ুব আলাইহিস সালাম-এর রোগ নিরাময় হয়েছিল। (৭) আল্লাহ পাক ফিরাউনকে সদলবলে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মেরেছিলেন এবং হযরত মুসা আলাইহিস সালাম সহজেই লোহিত সাগর পার হয়েছিলেন। (৮) হযরত ইউনূছ আলাইহিস্ সালাম মাছের পেট হতে মুক্তি লাভ করেছিলেন। (৯) হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে এবং (১০) আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম-এর ইছমত ঘোষণা করা হয়েছিল।
এছাড়াও এই আশূরার সাথে হযরত হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত-এর ঘটনা জড়িত। অথচ এই আশূরা আসলেই আমাদের দেশে কিছু নিম মোল্লা তাদের কিল্লতে ইল্ম কিল্লতে ফাহম অর্থাৎ কম জ্ঞান কম বুঝের কারণে মুসলমানদের মাঝে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর বিপরীত, কুফরী আক্বীদা ছড়িয়ে থাকে। তারা নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণকে দোষারোপ করে বলে থাকে অমুক নবী অমুক ভূল করেছে, অমুক নবী তমুক ভূল করেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ্ মিন যালিক) অথচ আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর আক্বীদা হলো “সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালামগণ মাছুম বা নিষ্পাপ।” আবার তারা হযরত হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত-এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাতিবে ওহী হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে দোষারোপ করে থাকে, তাঁকে “রাজতন্ত্র ও রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা” বলে থাকে। (নাঊযুবিল্লাহ্ মিন যালিক) অথচ আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর আক্বীদা হলো “সমস্ত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ মাহফুজ বা সংরক্ষিত।”
এখানে উল্লেখ্য যে, আল্লাহ্ পাক-এর রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারীদেরকে “রাবী” বলা হয়। এই রাবীগণের মধ্যে যাঁরা প্রথম শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত, তাঁদেরকে বলা হয় “ছেক্বাহ্ রাবী।” হাদীছ শরীফ বিশারদগণ (রহ্মতুল্লাহি আলাইহিম) “ছেক্বাহ রাবী” হওয়ার জন্য যে মানদণ্ড নির্ধারণ করেছেন, তার মধ্যে মূল বিষয় হচ্ছে- (১) আদালত ও (২) জব্ত।
“জব্ত” হলো প্রখর স্মরণশক্তি যা একবার শুনলে আর কখনো ভুলে না। আর “আদালত”-এর মধ্যে চারটি শর্ত। তার মধ্যে প্রধান দু’টি হলো (ক) তাক্বওয়া, (খ) মুরুওওয়াত।
(ক) “তাক্বওয়া” হচ্ছে কুফরী, শেরেকী, বিদ্য়াতী, ফাসিকী কাজ থেকে বেঁচে থাকার সাথে সাথে কবীরা গুনাহ থেকে এমনকি ছগীরা গুনাহও বার বার করা থেকে বেঁচে থাকা।
(খ) “মুরুওওয়াত” হচ্ছে অশালীন, অশোভনীয়, অপছন্দনীয় এমনকি দৃষ্টিকটু কাজ থেকে বিরত থাকা। যেমন- রাস্তায় হেঁটে-হেঁটে খাদ্য খাওয়া, রাস্তায় অট্টহাস্য করা, চিৎকার করা ইত্যাদি।
আরো উল্লেখ্য যে, হাদীছ শরীফ বিশারদগণ (রহ্মতুল্লাহি আলাইহিম) তাদের বর্ণিত হাদীছকে “মওজূ” বা বানোয়াট বলে সাব্যস্ত করেছেন, যারা জীবনে একবার মাত্র ইচ্ছাকৃতভাবে হাদীছ শরীফ-এর ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। আর যারা জীবনে ব্যক্তিগতভাবে মিথ্যা বলেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে তাদের বর্ণিত হাদীছ শরীফকে “মতরুক” বা পরিত্যাজ্য বলে সাব্যস্ত করেছেন। (তাদরীবুর রাবী, মুকাদ্দামাতুশ শায়খ, মীযানুল আখবার)
এখন ফিকিরের বিষয় এই যে, হাদীছ শাস্ত্র বিশারদগণ (রহ্মতুল্লাহি আলাইহিম) আল্লাহ্ পাক-এর বান্দা ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উম্মত, এমনকি তাঁরা কোন দিন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের সমমর্যাদার অধিকারীও হতে পারবেনা, তা সত্ত্বেও তাঁদের মতে আল্লাহ্ পাক-এর রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করার ক্ষেত্রে রাবীগণকে “বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী বা ছেক্বাহ রাবী” হিসেবে মনোনীত বা চিহ্নিত করতে ছেক্বাহ রাবীর যদি এত শর্ত-শারায়েত ও যোগ্যতার প্রয়োজন হয়, অর্থাৎ যদি কেউ জীবনে একবার মিথ্যা বলে তাহলে ছেক্বাহ রাবী হওয়া তো দূরের কথা তার কোন হাদীছই গ্রহণযোগ্য নয় বলে শর্তারোপ করা হয়েছে। এরপর ছগীরা গুণাহ্ তো দূরের কথা যা সাধারণ মুরুওয়াতের খিলাফ, যেমন রাস্তায় হেঁটে হেঁটে যদি কেউ খাদ্য খায় সেও ছেক্বাহ্ রাবীর অন্তর্ভূক্ত হতে পারে না। তবে যিনি হাদীছ বিশারদগণ (রহ্মতুল্লাহি আলাইহিমগণ) সকলেরই রব ও খালিক, তিনি তাঁর পবিত্র কালাম বর্ণনা করা বা পৌঁছে দেয়া বা ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে যাঁদেরকে নবী ও রসূল (আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস্ সালাম) হিসেবে মনোনীত করেছেন, তাঁদের জন্য কি মানদন্ড নির্ধারণ করেছেন বা কতটুকু শর্তারোপ করেছেন? তাঁদেরকে কতটুকু যোগ্যতা দান করেছেন? আর তাঁরা কতটুকু মা’ছূম হওয়া শর্তারোপ করেছেন? আর ছেক্বাহ্ রাবীর তুলনায় তাঁদের কত বেশী যোগ্যতা, মা’ছূম ও নিষ্পাপ হওয়া প্রয়োজন? বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, আম্বিয়া আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস্ সালামগণ ছেক্বাহ্ রাবীগণের চেয়েও বহু বহু গুণে যোগ্যতা সম্পন্ন ও মা’ছূম। অতএব, তাঁদের দ্বারা ভুল-ত্রুটি, গুণাহ্ ইত্যাদি প্রকাশ পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। ঠিক একইভাবে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ, যাঁরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর নাযিলকৃত কুরআন শরীফ পরবর্তী উম্মতদের নিকট পৌঁছে দেয়ার জন্য আল্লাহ্ পাক কর্তৃক মনোনীত হয়েছেন, তাঁদের জন্য আল্লাহ্ পাক কি মানদন্ড নির্ধারণ করেছেন বা কতটুকু শর্তারোপ করেছেন? তাঁদেরকে কতটুকু যোগ্যতা দান করেছেন? আর তাঁরা কতটুকু মাহফুজ হওয়া শর্তারোপ করেছেন? আর ছেক্বাহ্ রাবীর তুলনায় তাঁদের কত বেশী যোগ্যতা, মাহফুজ ও সংরক্ষিত হওয়া প্রয়োজন? বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ছেক্বাহ্ রাবীগণের চেয়েও বহু গুণে যোগ্যতা সম্পন্ন ও মাহফুজ। অতএব, তাঁদের দোষারোপ করা করা কোন ভাবেই বৈধ নয়।
এখন নিম মোল্লারা প্রশ্ন করতে পারে যে, নবী ও রসূল আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস্ সালামগণ যদি মা’ছূম হয়ে থাকেন তাহলে কুরআন শরীফ-এর তাঁরা গুণাহ্-খতা করেছেন বা তওবা করেছেন বলে আয়াত শরীফ নাযিল হলো কেন? মূলতঃ তাদের আক্বল-সমঝের চরম ঘাটতির কারণে তারা এ ধরণের কথা বলতে পারে। কুরআন শরীফ-এ যে আয়াত শরীফগুলোতে গুণাহ্-খতা করেছেন বা তওবা করেছেন বলে উল্লেখ আছে যে সমস্ত আয়াত শরীফগুলোর সরাসরি অর্থ করা হারাম। যেমন আল্লাহ্ পাক সূরা আলে ইমরান-এর ৫৪তম আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন,
مَكَرُوْا وَمَكَرَ اَللهُ وَاَللهُ خَيْرُ الْمَاكِرِيْنَ٭
আয়াত শরীফ-এ ব্যবহৃত “মকর” (مَكَر) শব্দের অর্থ হচ্ছে ধোকা, যা সকল অভিধানে উল্লেখ আছে। সে হিসেবে উক্ত আয়াত শরীফ-এর অর্থ দাঁড়ায়- “তারা (কাফিররা) ধোকাবাজী করলো, আল্লাহ পাকও ধোকাবাজী করলেন, আল্লাহ পাক সর্বত্তোম ধোকাবাজ।” (নাঊযুবিল্লাহ্ মিন যালিক)
আল্লাহ্ পাক-এর শান-এ এই অর্থ করলে ঈমান থাকবে কি? থাকবে না। আর তাই এর অর্থ ঘুরিয়ে করতে হবে, যা আল্লাহ্ পাক-এর শান-মান সম্মত। সেজন্য আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর ইমাম-মুজতাহিদ রহ্মতুল্লাহি আলাইহি উক্ত আয়াত শরীফ-এর অর্থ করেছেন- “তারা (কাফিররা) ধোকাবাজী করলো, আল্লাহ পাক প্রজ্ঞা অবলম্বন করলেন, আল্লাহ পাক সর্বত্তোম প্রজ্ঞা অবলম্বনকারী।”
এখানে আল্লাহ পাক-এর শান-এ “মকর” (مَكَر) শব্দের শাব্দিক অর্থ গ্রহন করলে সুস্পষ্ট কুফরী হয় বিধায় তাঁর শান-এ “মকর” (مَكَر) শব্দের অর্থ গ্রহন করা হয়েছে সর্বত্তোম প্রজ্ঞা অবলম্বনকারী। ঠিক একইভাবে নবী-রসূল আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস্ সালামগণ-এর শান-এও এমন অর্থ গ্রহণ করতে হবে, যাতে তাঁদের শান-মান-এর খিলাফ না হয়। যেমন সূরা ত্ব-হা-এর ১২১তম আয়াত শরীফ-এ আল্লাহ্ পাক হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম সম্পর্কে ইরশাদ করেন,
وَعَصَى آدَمُ رَبَّهُ فَغَوَى
আবার, কুরআন শরীফ-এর অন্যত্র (সূরা নাযিয়াত ২১) আল্লাহ্ পাক ফিরাউন সম্পর্কে ইরশাদ করেন,
فَكَذَّبَ وَعَصَى
আয়াত শরীফদ্বয়ে ব্যবহৃত আ’ছা (عَصٰي) শব্দের অর্থ হচ্ছে নাফরমানী করা, যা সকল অভিধানে উল্লেখ আছে। সে হিসেবে ফিরাউন সম্পর্কে ইরশাদকৃত আয়াত শরীফ-এ ব্যবহৃত আ’ছা (عَصٰي) শব্দের যে অর্থ হবে হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম সম্পর্কে ইরশাদকৃত আয়াত শরীফ-এ ব্যবহৃত আ’ছা (عَصٰي) শব্দের একই অর্থ হয় কি করে? আল্লাহ্ পাক-এর খলীফা ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম ও আল্লাহ্ পাক-এর শত্রু ফিরাউন কি করে একই মর্যাদাসম্পন্ন হতে পারে? কোন দিনই পারে না। যে বা যারা একই অর্থ করবে তারা কোন দিনই মুসলমান হতে পারেনা, তারা কাট্টা কাফির।
এমনিভাবে নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম তওবা করেছেন বলে যেসব আয়াত শরীফ-এ উল্লেখ আছে, সেসব আয়াত শরীফ-এরও অর্থ ঘুরিয়ে তাঁদের শান-মান অনুযায়ী করতে হবে। যেমন আল্লাহ্ পাক সূরা আরাফ-এর ২৩তম আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম আল্লাহ্ পাক-এর দরবারে দু’য়া করলেন-
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
আবার, সূরা আম্বিয়া-এর ৮৭তম আয়াত শরীফ-এ আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন, হযরত ইউনূছ আলাইহিস্ সালাম মাছের পেটে থেকে আল্লাহ্ পাক-এর দরবারে দু’য়া করলেন-
لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
আল্লাহ্ পাক কাফিরদের সম্পর্কেও “জালিম” (ظَالِمْ) শব্দটি কুরআন শরীফ-এর বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করেছেন। এখন হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম এবং হযরত ইউনূছ আলাইহিস্ সালাম-এর শান-এ ব্যবহৃত “জালিম” (ظَالِمْ) শব্দটি এবং কাফিরদের সম্পর্কে ব্যবহৃত “জালিম” (ظَالِمْ) শব্দটির একই অর্থ হবে কি? কস্মিনকালেও নয়। অনুরূপভাবে কুরআন শরীফ-এ ব্যবহৃত যে শব্দগুলো আম্বিয়া আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস্ সালামগণের শান-এর খিলাফ হয়, সে শব্দগুলোর অর্থ তাঁদের শান-মান অনুযায়ী করতে হবে। অন্যথায় ঈমান থাকবে না, কাট্টা কাফির হতে হবে।
আবার এটাও বলতে হয় যে, আল্লাহ্ পাক-এর সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস্ সালামগণ যেখানে আল্লাহ্ পাক-এর পক্ষ থেকে প্রেরিত ওহী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, সেখানে তাঁদের ভূল হয় কি করে? বরং তাঁরা ভূল করেছেন বলার অর্থ হলো ওহীতে ভূল ছিল বলা, যার অর্থ দাঁড়ায় আল্লাহ্ পাক ভূল করেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ্ মিন যালিক)
সুতরাং সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হলো যে, নবী-রসূল আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস্ সালামগণের দ্বারা কখনই কোন প্রকার ভূল-ত্রুটি করা সম্ভবপর নয়। আর এটিও প্রমাণিত হলো যে, যে সমস্ত নামধারী মুফাস্সিরে কুরআন, মুহাদ্দিছ, শায়খুল হাদীছ, ইমাম, খতীব তথা আলিম দাবীদার যারা নবী-রসূল আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস্ সালামগণের শান-এর খিলাফ বক্তব্য প্রদান করে তারা কাট্টা কাফির।
কোন নবী-রসূল আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস্ সালামকে যেমন কোন ব্যাপারে দোষারোপ করা জায়িয নেই তদ্রুপ কোন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকেও কোন ব্যাপারে দোষারোপ করা জায়িয নেই। এ বিষয়ে আল্লাহ্ পাক তাঁর কালামে পাকে ইরশাদ করেন,
وَلا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى
অর্থঃ “একজনের পাপের বোঝা অপরজন বহন করবেনা।” (সূরা আনয়াম ১৬৪)
এ আয়াত শরীফ দ্বারা বুঝা যায় যে, সন্তানের অপরাধের জন্য পিতাকে এবং পিতার অপরাধের জন্য সন্তানকে দায়ী করা বৈধ নয়। যদি ইয়াযীদের অপরাধের জন্য হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে দায়ী বা দোষারোপ করা হয়, তাহলে কাবিলের জন্য হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম দোষী সাব্যস্ত হয়ে যান। (নাঊযুবিল্লাহ্ মিন যালিক) একইভাবে কিনানের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস্ সালামও দোষী সাব্যস্ত হয়ে যান। (নাঊযুবিল্লাহ্ মিন যালিক) মূলতঃ হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যখন তাঁর ছেলে ইয়াযীদকে খলীফা নিযুক্ত করেন তখন ইয়াযীদ ভাল ছিল। কিন্তু মুনাফিকদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে পরবর্তীতে ইয়াযীদ গুমরাহ্ হয়ে যায়।
ঠিক একইভাবে, হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর খিলাফতের পর তাঁর ছেলে খলীফা নিযুক্ত হওয়ায় যদি তাঁকে “রাজতন্ত্র ও রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা” বলা হয়। তাহলে আল্লাহ্ পাক-এর নবী ও রসূল হযরত দাউদ আলাইহিস্ সালাম যিনি ছিলেন খলীফাতুল্লাহ্ অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক-এর খলীফা, তাঁর পর তাঁর ছেলে হযরত সুলাইমান আলাইহিস্ সালামকে আল্লাহ্ পাক সারা পৃথিবীর খলীফা নিযুক্ত করায়, আল্লাহ্ পাকই তো রাজতন্ত্র ও রাজবংশের প্রতিষ্ঠাকারী সাব্যস্ত হন। (নাঊযুবিল্লাহ্ মিন যালিক) এছাড়া হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর পর তাঁর ছেলে হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও তো খলীফা নিযুক্ত হয়েছিলেন। তাই বলে কি, হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে রাজতন্ত্র ও রাজবংশ জারী হয়েছে? (নাঊযুবিল্লাহ্ মিন যালিক) মূলতঃ আল্লাহ্ পাক, হযরত নবী-রসূল আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস্ সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, আউলিয়ায়ে কিরাম রহ্মতুল্লাহি আলাইহিম কেউই রাজতন্ত্র ও রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নন। কেউ যদি তা বলে তবে সেটা হবে প্রকাশ্য তোহ্মত ও কুফরী।
আরো উল্লেখ্য যে, রাজতন্ত্র বা রাজবংশ ইসলামের অনেক পূর্বকাল থেকেই চলে আসছে। আর তাই আমরা হাদীছ শরীফ-এ দেখতে পাই যে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোম, পারস্য, আবিসিনিয়া, চীন, মালাবার, গুজরাট ইত্যাদির সম্রাট বা রাজাদের নিকট ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিয়ে দূত মারফত পত্র পাঠিয়েছেন।
অতএব, সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু রাজতন্ত্র বা রাজবংশ কোনটিরই প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না। এছাড়া হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর পরবর্তী খলীফাগণের তালিকায় দেখা যায় ইয়াযীদের সাড়ে তিন বছর খিলাফতের পর ইয়াযীদের ছেলে দ্বিতীয় মুয়াবিয়া শুধুমাত্র তিন মাস খিলাফত পরিচালনা করতঃ ইন্তিকাল করেন। তিনি ইন্তিকালের সময় খিলাফত পরিচালনার ব্যাপারে ওছীহত করেন যে, আপনারা যাকে উপযুক্ত মনে করবেন তাকেই খলীফা নিযুক্ত করবেন। অতঃপর যে খলীফাগণ খিলাফত পরিচালনা করেছেন তাদের কেউই হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর বংশধর ছিলেন না।
সুতরাং বুঝা গেল যে, হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণের কারণেই এরূপ বক্তব্য প্রদান করা হয়। আর আল্লাহ্ পাক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ সম্পর্কে ইরশাদ করেন,
لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ
অর্থঃ “কাফিররাই তাঁদের (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের) প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে।” (সূরা ফাতহ্ ২৯)
আর হাদীছ শরীফ-এও ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, সে কাফির।” (নাসীমুর রিয়ায)
এখানে একটি বিষয় মনে রাখা দরকার যে, আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদরের দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মর্মান্তিক শাহাদাত-এ মুসলিম উম্মাহ্র অন্তর ব্যাথাতুর হবে তা চরম সত্য কথা এবং এটা ঈমান মজবুতীর আলামতও বটে। কিন্তু এজন্য আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জলীলুল ক্বদর ছাহাবী হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে দোষারোপ করা কস্মিনকালেও শরীয়তসম্মত হতে পারে না। যারা হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে দোষারোপ করে তারা মূলতঃ তাঁর মহান মর্যাদা সম্পর্কে নিতান্তাই অজ্ঞ।
স্মরণযোগ্য যে, হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছাহাবীগণের (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) মধ্যে একজন বিশেষ শ্রেণীর ছাহাবী যাঁকে উলুল আ’যম বা জলীলুল ক্বদর ছাহাবী বলা হয়। তিনি ছিলেন আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, কাতিবীনে ওহীর সদস্য, হাদীছ শরীফ-এর রাবী, ফক্বীহ ইত্যাদি মর্যাদার অধিকারী। তাঁর ইল্মের পূর্ণতা, হিদায়েতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা, তাঁর দ্বারা লোকদের হিদায়েত লাভ, কিতাব শিক্ষাদান এবং জাহান্নাম থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্ পাক-এর নিকট দু’য়া করেছেন। এ প্রসঙ্গে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,“আমার উম্মতের প্রথম যে দল সমুদ্রের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে তাঁদের জন্য জান্নাত ওয়াজিব।” (বুখারী শরীফ)
হযরত ইমাম তারাবী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ২৮ হিজরীতে সর্বপ্রথম সমুদ্র যুদ্ধের মাধ্যমে কাবরাসের উপর আক্রমণ করেন এবং কাবরাস তিনিই বিজয় করেন।” (তাবারী)
হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মর্যাদা-মর্তবার মধ্যে অন্যতম মর্যাদা হলো, তিনি ছিলেন একজন আদিল বা ইন্সাফগার খলীফা। তাঁর ন্যায় বিচার ও ইন্সাফ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয় যে, জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবী হযরত সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, “আমার দৃষ্টিতে হযরত উছমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, এরপর হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর চেয়ে অধিক ন্যায় বিচারক কেউ নেই।” (বিদায়া)
এক ব্যক্তি মুয়াফা ইবনে ইমরানকে বললো, ন্যায় বিচারের দিক দিয়ে হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর মধ্যে কি সম্পর্ক রয়েছে? একথা শুনে তিনি রাগান্বিত হয়ে বললেন, “হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের প্রতি কোন প্রকার ক্বিয়াস করা যাবে না। হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ছাহাবী, বৈবাহিক সূত্রে আত্মীয়, কাতিবে ওহী ও আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আমীন (আমানতদার)।” (নাসীমুর রিয়ায)
হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ফযীলত সম্পর্কে আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুবারক রহ্মতুল্লাহি আলাইহিকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, “হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শ্রেষ্ঠ? না হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহ্মতুল্লাহি আলাইহি শ্রেষ্ঠ? তিনি বললেন, আল্লাহ্ পাক-এর কসম! হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে ঘোড়ায় চড়ে জিহাদে যেতেন, তখন ঘোড়ার নাকে যে ধুলাবালিগুলো প্রবেশ করতো সে ধুলাবালিগুলোও হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহ্মতুল্লাহি আলাইহি হতে বহুগুণে শ্রেষ্ঠ।” (ফতওয়ায়ে হাদীছিয়াহ্)
সুতরাং এত সকল মর্যাদা-মর্তবার পরও যারা হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, তাদের জন্য ইমাম শিহাবুদ্দীন খাফ্ফাযী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর কথাই অধিক প্রযোজ্য। তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, গালি দেয়, নাকিস বলে, সমালোচনা করে, সে হাবিয়া দোযখের কুকুরসমূহের মধ্য হতে একটি কুকুর।” (নাসীমুর রিয়ায)
অতএব স্পষ্ট প্রমাণিত হলো যে, হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শুধু ছাহাবীই ছিলেন না, বরং মর্যাদাপূর্ণ, জলীলুল ক্বদর, ন্যায়পরায়ণ একজন খলীফাও ছিলেন। আর আল্লাহ্ পাক হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুসহ সকল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম-এর প্রতি সন্তুষ্ট। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন,
رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ
অর্থঃ “আল্লাহ পাক তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট।” (সূরা মায়েদা ১১৯, সূরা তওবা ১০০, সূরা বাইয়্যিনাহ ৮)
কাজেই আশূরার দিনে সংঘটিত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ-এর বরকতময় ঘটনা ও হযরত হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত-এর ঘটনা থেকে আমাদেরকে ইবরত-নছীহত গ্রহণের পাশাপাশি, এই বিষয়ে আমাদের আক্বীদাকেও শুদ্ধ করে নিতে হবে। আর তথাকথিত আলিমদের বদ সংশ্রব থেকে বেঁচে থাকতে হবে। আল্লাহ্ পাক আমাদের সকলকে আক্বীদা শুদ্ধ করার এবং তথাকথিত আলিমদের বদ সংশ্রব থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। (আমিন)
by Admin
|
posted: Thursday, December 09, 2010
|
মুহর্রম মাস একটি হারাম বা পবিত্র মাস। মুহর্রম মাসের শ্রেষ্ঠতম দিনটি হচ্ছে আশূরা। ইহা আরবী “আশারুন” শব্দ হতে উদগত। অর্থাৎ মুহররম মাসের দশম দিনটি আশূরা হিসেবে পরিচিত।
এ প্রসঙ্গে “মিরকাত শরহে মিশকাত” কিতাবে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “তোমরা মুহর্রম মাসকে এবং এর মধ্যস্থিত আশূরার দিনকে সম্মান কর। যে ব্যক্তি মুহর্রম মাসকে তথা আশূরার দিনকে সম্মান করবে, আল্লাহ পাক তাঁকে জান্নাত দ্বারা সম্মানিত করবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন।”
এ মাসে বেশি বেশি তাওবাহ-ইস্তিগফার, যিকির-ফিকির, দোয়া-দুরূদ, তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করার মাধ্যমে পরিপূর্ণ বরকত অর্জন করা সকল মু’মিন-মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য।
এ মাসের ফাযায়িল-ফযিলত বর্ণনা করতে গিয়ে আরিফবিল্লাহ হযরত মাওলানা ইকবালুদ্দীন আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর “মু’মিনকে মাহ ওয়া সাল” কিতাবের ১৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, “ছাহাবী হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেছেন যে, মুহর্রম মাস হচ্ছে সমস্ত মাসের সরদার।” (দাইলামী শরীফ, মাসাবাতা বিস্ সুন্নাহ)
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা তারিখে যেমন- ১লা বৈশাখ, ১লা জানুয়ারি, পহেলা মুহর্রম ইত্যাদি তারিখে ভাল ভাল খাওয়ার জন্য উৎসাহ দেয়া হয়, ইহা আদৌ শরীয়তসম্মত নয়। শরীয়তের দৃষ্টিতে পহেলা বৈশাখ, পহেলা জানুয়ারি বা পহেলা মুহর্রম ভাল খাওয়ার জন্য আলাদাভাবে কোন তাগিদ করা হয়নি। বরং দশই মুহর্রমে অর্থাৎ পবিত্র আশূরা-এর দিনে প্রত্যেক পরিবারের প্রধান ব্যক্তিকে তার পরিবারের সদস্যদেরকে ভাল খাদ্য খাওয়ানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
১০ই মুহর্রম বা আশূরার দিনের বরকতময় ঘটনাসমূহঃ
কিতাবে উল্লেখ করা হয়, এই আশূরার দিনে অসংখ্য ঘটনা সংঘটিত হয়েছে- যা সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হলো
১. মহান আল্লাহ পাক এই মুহররমের ১০ তারিখে সৃষ্টির সূচনা করেন।
২. আশূরার দিন শুক্রবার ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে।
৩. এ দিনই আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র ওজুদ মুবারক সৃষ্টি করা হয় এবং মর্যাদা, সম্মান ও খুছূছিয়ত ও হাবীবুল্লাহ হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। (সুবহানাল্লাহ)
৪. এই দিনে হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম-এর দোয়া মুবারক কবুল করা হয়।
৫. এই দিনে হযরত ইদ্রিস আলাইহিস্ সালামকে আকাশে তুলে নেয়া হয়
৬. এই দিনে হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম এবং উনার সঙ্গী সাথী যারা ছিলেন, আল্লাহ পাক তাঁদের মহাপ্লাবন থেকে মুক্তি দেন।
৭. আল্লাহ পাক এদিনে হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম-এর সাথে কথা বলেন এবং তাওরাত শরীফ উনার উপর নাযিল করেন।
৭. এদিনে বণী ইস্রাঈল সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ পাক লোহিত সাগরের উপর দিয়ে রাস্তা করে দেন। যার উপর দিয়ে হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম এবং তার সম্প্রদায় পার হয়ে যান। আর ফেরাউনের দলবল ও সৈন্যসামন্তসহ পানিতে ডুবে মারা যায়।
৯. আল্লাহ পাক এদিনে হযরত ইউনূস আলাইহিস্ সালামকে মাছের পেট থেকে মুক্তি দেন।
১০. হযরত আউয়ুব আলাইহিস্ সালামকে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সুস্থতা দান করেন।
১১. এদিনে দীর্ঘ দিন বিচ্ছেদের পর হযরত ইউসূফ আলাইহিস্ সালামকে উনার পিতা হযরত ইয়াকুব আলাইহিস্ সালাম-এর কাছে ফিরিয়ে দেন।
১২. এদিনে হযরত দাউদ আলাইহিস্ সালাম-এর দোয়া আল্লাহ পাক কবুল করেন।
১৩. হযরত সোলায়মান আলাইহিস্ সালামকে উনার রাজত্ব বা কর্তৃত্ব দেয়ার ঘোষণা দেন।
১৪. আল্লাহ পাক এ দিনে হযরত ঈসা আলাইহিস্ সালামকে আসমানে তুলে নেন।
১৫. এই ১০ই মুহররম আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রিয়তম দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কারবালার প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদাত বরণ করেন, যে ঘটনা কায়িনাতবাসীকে ব্যথিত ও মর্মাহত করে তবে মুসলিম উম্মাহকে শিক্ষা দেয় ত্যাগের ও সত্যের। সুব্হানাল্লাহ!
আহ্লে বাইতগণ-এর আলোচনাঃ
মুহর্রম মাসের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে- আহ্লে বাইত তথা হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা-পর্যালোচনা করা। কেননা যার আলোচনা যত বেশী করা হয় তার মুহব্বত ততই বৃদ্ধি পায়। আর আহ্লে বাইতগণ-এর প্রতি গভীর মুহব্বত ভালবাসা, পরকালীন মুক্তি এবং আল্লাহ পাক ও উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুষ্টির কারণ। রহমত, বরকত ও সাকীনা লাভের শ্রেষ্ঠ উপায়।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই মর্মে দোয়া করেন যে, “হে আল্লাহ পাক! আমি হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে মুহব্বত করি। আপনিও উনাদেরকে মুহব্বত করুন এবং যে ব্যক্তি উনাদেরকে মুহব্বত করবে তাঁকেও আপনি মুহব্বত করুন।” (তিমমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ/৫৭০)
সাথে সাথে আশূরা থেকে আরেকটি ইবরত ও নছীহত হাছিল করতে হবে যে, হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কুখ্যাত ইয়াযিদের কুখ্যাত বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন কিন্তু তবুও অসত্যকে মেনে নেননি। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। কাজেই মুহর্রমের দশম তারিখে কুখ্যাত ইয়াযিদ কর্তৃক নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদরের নাতি সাইয়্যিদাতুন্ নিসা হযরত মা ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা তায়ালা আনহা-এর নয়নের মণি হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর নির্মম শাহাদতবরণ বাহ্যিক দৃষ্টিতে দুঃখজনক, কষ্টদায়ক এবং বেদনাদায়ক হলেও প্রকৃত পক্ষে এর মাঝেই মুসলমানদের জন্য এক বিরাট নছীহত ও ইবরত রয়েছে। আর তাহলো মাল-সম্পদ এমনকি জীবন দিয়েও হক্বের জন্য বাতিল শক্তির বিরুদ্ধে মুকাবিলা ও আমরণ কোশেশ করা।
আশুরার রোযার ফযীলতঃ
মহান আল্লাহ পাক-এর রহমত, বরকত ও সাকীনা এবং মাগফিরাত-ক্ষমা সম্বলিত মুহররম মাসের অন্যতম আমল হচ্ছে, আশূরার রোজা। রমাদ্বান শরীফের রোযা ফরয হওয়ার পূর্বে আশূরার রোযাই ফরয ছিল।
কাজেই রমাদ্বান শরীফ-এর রোযার পরই হচ্ছে, এ রোযার স্থান। হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “রমাদ্বান শরীফ-এর রোযার পর আল্লাহ পাক-এর মাস মুহর্রমের রোযাই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ তথা ফযীলতপূর্ণ।” (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ, তিরমিযী শরীফ ও রিয়াদুছ্ ছালেহীন)
হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, এক ব্যক্তি এসে আল্লাহ পাক-এর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন, হে আল্লাহ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! রমাদ্বান মাসের পর আর কোন্ কোন্ মাসের রোযা রাখতে মুবারক নির্দেশ দিয়ে থাকেন? তখন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “যদি তুমি রমাদ্বান মাসের পর আরো রোযা রাখতে চাও তবে মুহর্রম মাসে রোযা রাখ। কেননা এটা আল্লাহ পাক-এর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে যেদিন আল্লাহ পাক এক সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করেছেন এবং তিনি আর এক সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করবেন।” (তিরমিযী শরীফ, আহমাদ)
উক্ত হাদীছ শরীফ মুয়াফিক শাইখুল আলম, আরিফ বিল্লাহ্, আশেকে রসূল, আল্লামা হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “যে কোন কঠিন গুণাহ্গার ব্যক্তি যদি আশূরার দিন তওবা করে তাহলে আল্লাহ পাক অবশ্যই তার তওবা কবুল করবেন।” (মাছাবাতা বিস্ সুন্নাহ্, মু’মিন কে মাহ ওসাল)
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, “নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং আশূরা-এর দিন রোযা রেখেছেন এবং ঐ দিনে সকলকে রোযা রাখার হুকুম দিয়েছেন।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, রিয়াদুস্ সালেহীন)
হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত আছে, আখিরী রাসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আশূরার রোযার ফযীলত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এটা বিগত বৎসরের সমস্ত গুণাহর কাফ্ফারা স্বরূপ।” (মুসলিম শরীফ)
উল্লেখ্য যে, অন্যান্য মাসে একটি রোযা রাখতে কোন অসুবিধা নেই; কিন্তু আশূরার রোযা একটি রাখা মাকরূহ। কেননা ইহুদীরা আশূরার দিনে রোযা রেখে থাকে। আর আখিরী রাসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহুদী-নাছারাদের অনুসরণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। হাদীছ শরীফ-এ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আমাদের ভিন্ন অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে আমাদের দলভূক্ত নয়। কাজেই তোমরা ইহুদী এবং নাছারাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করোনা।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ-৩৯৯ পৃষ্ঠা)
কাজেই আশূরা উপলক্ষ্যে কমপক্ষে দু’টি রোযা রাখতে হবে। ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ এ দু’দিন রোযা রাখতে হবে। তবে ৯ ও ১০ তারিখে রোযা রাখাই উত্তম।
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশূরার দিন রোযা রাখলেন এবং অন্যদেরকে রোযা রাখার নির্দেশ দিলেন। তখন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহুমগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এদিনকে ইয়াহুদী ও নাছারারা সম্মান করে। তখন নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “যদি আমি আগামী বৎসর মহান আল্লাহ পাক-এর সাক্ষাতে না যাই অর্থাৎ বিছাল শরীফ যদি না হয় তাহলে অবশ্যই নবম তারিখেও রোযা রাখবো।” (মিশকাত শরীফ ১৭৮ পৃষ্ঠা)
ইফতারের ফযীলতঃ
আশূরার রোযার ইফতারীর ফযীলত সম্পর্কে আখিরী রাসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “আশুরার দিন যে ব্যক্তি কোন আশূরার রোযাদারকে ইফতার করাবে, সে যেন সমস্ত উম্মতী হাবীবীকে ইফতার করালো।” (রিয়াদুস্সালেহীন, মা সাবাতাবিস্ সুন্নাহ)
আশূরার দিন পরিবারবর্গকে ভাল খাওয়ানোঃ
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আশূরার দিন তার পরিবারবর্গকে ভাল খাওয়াবে-পরাবে আল্লাহ পাক সারা বৎসর তাকে স্বচ্ছলতা দান করবেন।” (তিবরানী শরীফ, শোয়াবুল ঈমান, মা-ছাবাতা-বিস্সুন্নাহ্)
আশূরার দিন চোখে সুরমা দেয়ার ফযীলতঃ
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, আখিরী রাসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আশূরার দিন মিশ্ক মিশ্রিত সুরমা চোখে দিবে সেদিন হতে পরবর্তী এক বৎসর তার চোখে কোন প্রকার রোগ হবেনা।” (শুয়াবুল ঈমান, দায়লামী, মাছাবাতা বিস্সুন্নাহ্, মুমিনকে মাহ ওসাল-২৩)
আশুরা উপলক্ষে গোসলের ফযীলতঃ
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আশূরার দিন গোসল করবে আল্লাহ পাক তাকে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন। মৃত্যু ব্যতীত তার কোন কঠিন রোগ হবেনা এবং অলসতা ও দুঃখ-কষ্ট হতে নিরাপদ থাকবে।”
আশূরার দিন গরীবদেরকে খাদ্য দানের ফযীলতঃ
মাওলানা ইকবালুদ্দীন আহমাদ সাহেব উনার “মু’মিনকে মাহ ওসাল” কিতাবের ২৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন, “আশূরার দিন যে ব্যক্তি আহ্লে বাইতের গরীব-মিসকীনগণকে পেট ভরায়ে খাদ্য খাওয়াবে সে ব্যক্তি বিদ্যুতের গতির ন্যায় পুলসিরাত পার হবে।”
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আশুরার দিন কোন মুসলমান যদি কোন ইয়াতিমের মাথায় হাত স্পর্শ করে এবং কোন ক্ষুধার্তকে খাদ্য খাওয়ায় এবং কোন পিপাসার্তকে পানি পান করায় তাহলে আল্লাহ পাক তাঁকে বেহেশতের দস্তর খানায় খাদ্য খাওয়াবেন ও জান্নাতের খালিস শরবত “সালসাবীল” ঝর্ণা থেকে পানি পান করাবেন।”
সুতরাং, বুঝা যাচ্ছে, মুহর্রম মাসকে সম্মান করা এবং আশূরা মিনাল মুহর্রমকে সম্মান করা ওয়াজিব। তাই মুহর্রমকে অসম্মানকারীরা জাহান্নামী তথা জান্নাত থেকে বঞ্চিত। মুহর্রম মাসে ও অন্য যে কোন মুহূর্তে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ-এর অসম্মানী করা, তা’জিয়া করা, মাতম করা, হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে গালমন্দ করা হারাম ও কুফরী। এগুলো আশূরাকে অসম্মান করার পরিচায়ক; যা লা’নতগ্রস্ত ও জাহান্নামী হওয়ার কার্যকলাপ। আয় আল্লাহ পাক! বিশ্ববাসীকে মুহর্রমুল হারামের যথাযথ তা’যীম করে বরকত, রহমত অর্জন করার তাওফিক দান করুন।
by Admin
|
posted: Sunday, November 21, 2010
|
কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, কাবা শরীফ মানব জাতির জন্য নির্মিত প্রথম ঘর। হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, কাবা শরীফ-এর নিচের অংশটুকু পৃথিবীর প্রথম যমীন। কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর অনুসরণ করতে হলে বিশ্বের সব দেশের মুসলমানদেরকে গ্রিনিচের পরিবর্তে কাবা শরীফ থেকেই প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করে নিয়ে সকল ‘টাইম জোন’ নির্ণয় করতে হবে ॥ সউদী সরকারের এ ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা রাখা অতীব জরুরী|
------------------------------------------------------
ইসলামের দৃষ্টিতে আসমান-যমীনের কেন্দ্র ‘পবিত্র কাবা শরীফ’ থেকে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করে সকল সময়-অঞ্চল নির্ধারণ করা এবং GMT পরিবর্তে KMT (Kaba Shareef Mean Time) বলা উচিত|
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, “মুসলমানদের একটি নিজস্ব সৌন্দর্য রয়েছে। ১৯২৮ সাল থেকে GMT বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবর্তিত হয়ে ১৯৭২ সাল থেকে UTC হলেও ব্রিটিশরা GMT বলতেই পছন্দ করে। আসমান-যমীনের কেন্দ্র ‘পবিত্র কাবা শরীফ’ থেকে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করে নিয়ে মুসলমানদের উচিত সময়-অঞ্চল নির্ধারণ করে KMT (Kaba Shareef Mean Time) বলা।”
পবিত্র কাবা শরীফ কেন্দ্রিক পৃথিবীর সকল সময়-অঞ্চল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে গতকাল রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, বর্তমানে স্থানীয় সময় নির্ধারণে যে আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারক রয়েছে তাকে বলা হয় UTC (Co-ordinated Universal Time)। আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারক হিসেবে GMT-এর এখন কোন অস্তিত্ব নেই। ১৯৭২ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকেই GMT (Greenwich Mean Time) এর পরিবর্তে UTC ব্যবহৃত হচ্ছে। যখন গ্রিনিচ মেরিডিয়ানের উপর সূর্য থাকে তখন দুপুর ১২টা ধরে পৃথিবীর সকল অঞ্চলের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিলো। কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন গতির কারণে সূর্য যখন পুনরায় মাথার উপর আসে তখন সর্বোচ্চ সময়ের পার্থক্য হয় ১৬ মিনিট। এ সকল অসুবিধা দূর করার লক্ষ্যে UTC ব্যবহৃত হতে থাকে। কিন্তু পৃথিবীর সকল সময়-অঞ্চল এখনো গ্রিনিচকে প্রাইম মেরিডিয়ান ধরে নির্ণয় করা আছে। গ্রিনিচকে দ্রাঘিমা ০ ডিগ্রি ধরে সেখান থেকে ১৫ ডিগ্রি অন্তর অন্তর ভাগ করে সমস্ত পৃথিবীকে ২৪টি সময় অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। ফলে আমরা যখন ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে দেখি দুপুর ১২টা তখন গ্রিনিচে সময় সকাল ৬টা। গ্রিনিচের পূর্বের দেশগুলোর সময় ভাগ করা হয়েছে গ্রিনিচের সাথে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা যোগ করে এবং গ্রিনিচের পশ্চিমের দেশগুলোর সময় ভাগ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা বিয়োগ করে। যদিও রাজনৈতিক কারণে এই সময়-অঞ্চল ২৪টি থেকে ৩৯টিতে উন্নীত হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মুসলমানদের উচিত কাবা শরীফকে কেন্দ্র ধরে পৃথিবীর ডানে ও বামের সকল সময়-অঞ্চল নির্ধারণ করা। কাবা শরীফ-এর উপর দিয়ে পৃথিবীর প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করা উচিত। গ্রিনিচের উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান কল্পনা করার কোন যৌক্তিক কারণ নেই।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, গ্রিনিচ মিন টাইম (GMT) শব্দটি ব্যবহৃত হতো মূলত লন্ডনের গ্রিনিচে অবস্থিত রয়েল অবজারভেটরি-এর উপর সূর্যের সময়কে ধরে। সঠিক সময় নির্ধারণের জন্য এটমিক ঘড়ি ব্যবহৃত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে UTC আন্তর্জাতিক সময় সূত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৯২৮ সালে GMT প্রথম পরিবর্তিত হয় UT (Universal Time) দ্বারা, পরে তা পরিবর্তিত হয়ে হয়- UT1 এবং পরে UT1-এর সঙ্গে সংশোধনী হিসেবে ০.৯ সেকেন্ড যোগ এবং বিয়োগ করে UTC করা হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, যদিও গ্রিনিচের উপর দিয়ে যাওয়া প্রাইম মেরিডিয়ানের বিষয়টির কোন বাস্তবিক অস্তিত্ব নেই। এটি একটি গাণিতিক সমাধানের জন্যই ব্যবহৃত হয়। গ্রিনিচে অবস্থিত রয়াল অবজারভেটরি’র বারান্দায় প্রাইম মেরিডিয়ান চিহ্নিত করার জন্য যে লাইন চিহ্নিত করা আছে, প্রাইম মেরিডিয়ান মূলত সেখানে নেই; সরে গেছে কয়েক মিটার দূরে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, একটি বিষয় বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করা যায়; সেটা হলো- প্রথম ১৯২৮ সালে GMT প্রথমে UT এবং পরে UT1 দ্বারা এবং ১৯৭২ সালের পহেলা জানুয়ারিতে UTC দ্বারা পরিবর্তিত হবার পরেও গ্রিনিচ মিন টাইমকে আইনগতভাবে স্বীকৃত দেয় হয় অনেক পরে। যেমন, ব্রিটেনে ১৯৭৮ সালের আইনের ৯ নম্বর ধারায় উল্লেখ করা হয়, ‘যখনই সময়ের কোন ব্যাখ্যা আসবে, তখন অন্য কোনভাবে অন্য বিষয় উল্লেখ না থাকলে GMT কেই বুঝাবে।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, এখন গ্রিনিচ টাইম সিগন্যাল মূলত UTC -এর অনুরূপ। ফলে ব্রিটেনে শীতকালীন সময় স্কেল যা UTC -এর অনুরূপ তাকে UTC না বলে GMT বলা হয়। এছাড়াও ব্রিটেনের সিভিল টাইম আইনগতভাবে GMT-এর উপর নির্ভরশীল; UTC -এর উপর নয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, এখান থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, ব্রিটিশরা তাদের GMT-র ধারণা থেকে সরে আসতে রাজি নয়। এর মূল কারণ, তারা তাদের আভিজাত্যকে হারাতে রাজি নয়। প্রয়োজনে সংশোধনী আনলেও তারা UTC না বলে GMT বলাই পছন্দ করে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, যদি তাই হয় তবে মুসলমানরা কেন এখনো ব্রিটিশদের GMT বলার মধ্যে আভিজাত্য খুঁজবে? স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাবা শরীফকে আসমান-যমীনের কেন্দ্র বলেছেন ফলে কাবা শরীফ থেকেই পৃথিবীর মূল মধ্যরেখা স্থির করে নিয়ে পৃথিবীর সময়-অঞ্চল নির্ধারণ করতে হবে। তখন GMT/ UTC না বলে KMT (Kaba Shareef Mean Time বলবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, পৃথিবীপৃষ্ঠের কোন স্থানে দাঁড়িয়ে কেউ যদি বলে আমি পৃথিবীর কেন্দ্রে আছি তার দাবি একদিক থেকে সত্য। কেননা, সেই স্থানের ডানদিক থেকে যে কয়টি দ্রাঘিমা পেরিয়ে সে তার অবস্থানে আসতে পারবে; একইভাবে বামদিক থেকে ঠিক সেই কয়টি দ্রাঘিমা পেরিয়ে আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসতে পারবে। সুতরাং পৃথিবীর যে কোন স্থানের উত্তর-দক্ষিণ মেরুর সংযোজক রেখাকে মূল মধ্যরেখা হিসেবে কল্পনা করা যায়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, কেউ যদি পৃথিবীর কোন একটি স্থানে মূল মধ্যরেখা কল্পনা করে নেয় এবং সেই কল্পিত রেখার দু’পাশে হাত প্রশস্ত করে দিয়ে ভাবে তার একটি হাত পূর্ব গোলার্ধে এবং অন্য একটি হাত পশ্চিম গোলার্ধে তবে তার এ ধারণাটিও সত্য। যদিও তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। কেননা, সে স্থানের কোন ধর্মীয়, ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই। সুতরাং পৃথিবীর এমন একটি স্থানের উপর দিয়ে মূল মধ্যরেখা স্থির করা উচিত, যে স্থানটির ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় গুরুত্ব আছে। আর তা হচ্ছে কাবা শরীফ। কাবা শরীফ এমন একটি স্থান যে স্থানটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীনতম। যে স্থানের পবিত্রতা অপরিসীম। যে স্থানটি পূর্ব-পশ্চিমে সবার কাছে পরিচিত এবং গুরুত্বসহকারে বিবেচিত। সকল আহলে কিতাবের কাছে যে স্থানের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। যে স্থানটি ছাড়া আর কোন স্থানের এতটা ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই। কাবা শরীফকে কেন্দ্র ধরে যখন পৃথিবীর সকল সময়-অঞ্চল নির্ধারণ করা হবে তখন যেকোন স্থানের স্থানীয় সময় হবে, KMT+ (স্থানীয় সময় অঞ্চল) অথবা KMT-স্থানীয় সময় অঞ্চল)।
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান/৩০ জানুয়ারী, ২০১০ ঈসায়ী সন
by Admin
|
posted: Sunday, October 24, 2010
|
৯৭ শতাংশ মুসলমানের দেশে ২ শতাংশের কম হিন্দুর জন্য তাদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়- একাডেমী হবে অথচ সমগ্র সৃষ্টির রসূল পাক উনার গবেষণার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা একাডেমী নেই কেন?
-মুহম্মদ সালাহুদ্দীন আইয়ুবী, ঢাকা।
বড়ই কায়দা করে সংশোধন করা হল সংবিধান! উঠিয়ে দেয়া হল রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। কোন অজুহাতে? নাটোরের সরকারি রাণী ভবানী কলেজের বোরকার ঘটনার নাটক মঞ্চস্থ করে। এসব পূর্বপরিকল্পিত সাজানো নাটকের মঞ্চায়ন মাত্র। দেব নারায়ণ ওরফে নরপশুর কুরবানীর বিরুদ্ধে রিট; উদ্দেশ্য কুরবানী বন্ধ করা। হোঁচট খেয়ে শুরু হল অ্যানথ্রাক্স- উদ্দেশ্য কুরবানীর ক্ষেত্রে ভীতি সৃষ্টি করা। গরু-ছাগল সঙ্কট তৈরি করা, মুসলমানদের কুরবানী বন্ধ করা, সেটাও হালে পানি পায়নি। এরপর শুরু হল- পশ্চিমা কাট্টা কাফির ফ্রান্স, ইতালি, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের মত বাংলাদেশে বোরকা বিরোধী ষড়যন্ত্র। আপাত বিদেশী গুরুদের খুশি করতে সরকার বোরকার বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধী রায় দিয়ে ইতোমধ্যেই প্রভুদের ঘুরিয়ে দেয়া পুরস্কার লাভে সমর্থ হয়েছে। এরপর র’ আর ভারত মাতাকে খুশি করতে আবারো নতুন আয়োজন। কাট্টা মুসলিম বিদ্বেষী, কাট্টা কাফির মালউন, কথিত বিশ্বকবির নামে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা এবং জন্মদিন জাঁকজমকের সাথে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এসব কাদের স্বার্থে? প্রায় ৯৭ শতাংশ মুসলমানের দেশে, মুসলমানদের নবী এবং রসূল উনার উপর গবেষণা এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, কোনো গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হবে এমন ঘোষণা উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ-এর দিনে দেয়া হয়নি কেন? সরকারি উদ্যোগে দেশব্যাপী উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস পালনের জন্য সরকারি মঞ্জুরির ঘোষণা দেয়া হলো না কেন? তবে কী সরকার ভিতরে ভিতরে হিন্দু হয়ে গেলো? নাকি এদেশীয় যৎসামান্য হিন্দু ও ভারতমাতাকে খুশি করতেই এ নির্লজ্জ ঘোষণা ও আয়োজন? আবার নাকি যৌথভাবে ভারত-বাংলাদেশ কথিত ওই কবির জন্মদিন পালন করবে?
শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে কখনোই কাট্টা মুসলিম বিদ্বেষী যবন, অস্পৃশ্য, ম্লেচ্ছ কবির নামে যেন কোন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা না হয়।
কথা হল ৯৭ শতাংশ মুসলমানের দাবি, সরকার মুসলমান হয়ে থাকলে আসন্ন পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফই যেন সরকারি উদ্যোগে, সরকারি অর্থায়নে দেশব্যাপী ব্যাপক আয়োজনে পালন করা হয় এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে উচ্চতর শিক্ষা লাভ ও গবেষণার জন্য যেন বিশ্বমানের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ও গবেষণাগার নির্মাণ করা হয়।
by Admin
|
posted: Saturday, October 23, 2010
|
তিন জায়গায় ও দুই সময়ে দুনিয়াবী আলাপ-আলোচনা করলে চল্লিশ বছরের ইবাদত নষ্ট হয়
-মাওলানা মুহম্মদ হাবীবুর রহমান, রাজশাহী।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ ফরমান, “আর এ যে মসজিদসমূহ আল্লাহ পাক উনারই জন্য। সুতরাং আল্লাহ পাক উনার সাথে তোমরা অন্য কাউকে ডেকো না।” (সূরা জ্বিন : আয়াত শরীফ ৭২)
এ আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে, তিন স্থান ও দুই সময়ে দুনিয়াবী আলাপ-আলোচনা করলে চল্লিশ বছরের ইবাদত নষ্ট হয়। যথা- ১. মসজিদে ২. কবরস্থানে ৩. হক্কানী-রব্বানী আলিমগণের মজলিসে।
দুই সময়: ১. কুরআন শরীফ তিলাওয়াতের সময় এবং ২. আযানের সময়ে। (আত্ তাফসীরাতুল আহমাদিইয়্যিহ: পৃষ্ঠা ৪৮৯)
আর এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, উপরোক্ত তিন জায়গা ও দুই সময়ে বেশির ভাগ মানুষ দুনিয়াবী আলাপ আলোচনায় মশগুল থাকে। এভাবে চোখের পলকে তারা চল্লিশ বছরের কৃত ইবাদত হতে বঞ্চিত হয়।
অতএব, মসজিদ, কবরস্থান ও আলিমের মজলিস এ তিনি স্থান এবং কুরআন শরীফ তিলাওয়াত ও আযানের সময়- এই দুই সময় দুনিয়াবী আলাপ-আলোচনা হতে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। আমীন!
by Admin
|
posted: Friday, October 22, 2010
|
a. add bangla unicode language files (required)
necessary changes to your system files
1. add unicode language support to your system:
- download and run icomplex 2.0.0 provided by omicronlab.
- click install complex scripts.
After a restart we hope, you will have no more problems with Bengali fonts.
2. Add bangla fonts to your system:
1. For Windows XP or earlier version
Download the font
2. Copy and paste it to your system’s “Fonts” directory. You can find this directory by two simple ways:
Start > Run > type “fonts” and click OK
Start > Control Panel > Fonts
b. browser configuration (optional)
adjust language settings in firefox, internet explorer and opera
note: this section is optional if you want to skip browser’s ability to detect bangla in websites and apply a default bangla font.
in this part you will be properly setup your browser: firefox, internet explorer or opera, for proper bangla support.
bangla setup on firefox version 1.5
- from menu click on tools and select options
- from this window click on contents
- click on advanced button for fonts & colors
- click on the drop down list for option fonts for. select bengali from this list
- complete all the option fields as show in the following image and then click on ok.
click ok again to complete your setup.
this completes your setup for firefox.
bangla setup on internet explorer:
- from menu click on tools and select internet options
- from this window click on fonts
- click on the drop down list for language scripts
- select bengali from this drop down list (you may have to scroll up to locate it)
- select likhan for web page font. then click ok and ok again.
this completes your setup for internet explorer.
bangla setup on opera version 9.10
- from menu click on tools and select preferences
- click on advanced tab, fonts from left menu and click international fonts
- choose writing system ‘bengali’ from drop-down list
- select likhan for normal font. click ok until you exit from preferences
this completes your setup for opera.
If you are using Windows Vista or later version, the contents of this site are compatible with the system fonts you already have in you computer.
For Windows XP or earlier version you have to install a Unicode font which supports Bengali. It’s a matter of few seconds to install the font by following the given instructions.
For Mac version
Download the font and configure it according to Mac OS.
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
Bangla Font Problem | banglafontproblem.blogspot.com
by Admin
|
posted: Sunday, September 26, 2010
|
Jihad(war) space, Uhud Pahar(Mountain), Masque, Sunnaty thing etc...Mubarak Objects which was used by the Prophet Noore Muzassam Habibullah Hazrat Muhammad Sallallahu Alaihe'Wasallam.Sunnaty thing (Dress, Sandle, Bed, Pillow etc...)If you want to collect Sunnaty- Korta (Dress), Tupi (Cap), Nalaeyn (Sandle), Khaat/Choki(Bed), Plate etc, these are availabe on Rajabag Shareef. Address:-
5, Outer Circular Road, Rajarbag,
Dhaka 1217, Bangladesh.
www.al-ihsan.net
by Admin
|
posted: Sunday, August 15, 2010
|
"আমার সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ তারকা সাদৃশ্য, তাঁদের যে কাউকে তোমরা অনুসরণ করবে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হবে।"
(এখানে তারকা সাদৃশ্য দ্বারা সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ যে আমাদের জন্য অনুসরণীয় অনুকরণীয় সেটাই বুঝানো হয়েছে)
এটা জাল হাদীস না। কারণ এর স্বপক্ষে কুরআন শরীফ-এ দলীল আছে।
সূরা তওবাতে আছে, আল্লাহ্ পাক হযরত সাহাবা-ই-কিরামগণের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহ্ পাকের প্রতি সন্তুষ্ট।
আরও আছে, আল্লাহ্ পাক ঐসকল বান্দাগণের প্রতিও সন্তুষ্ট যারা হযরত সাহাবা-ই-কিরামগণকে উত্তমরূপে অনুসরণ করেন।
তার মানে বুঝা গেলো, উনারা অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় অর্থাৎ তারকা সাদৃশ্য।
আর যেহেতু এই হাদীস শরীফ-এর স্বপক্ষে কুরআন শরীফ-এ দলীল আছে সুতরাং এটা অবশ্যই সঠিক হাদীস। এ হাদীস শরীফ হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকেও বর্ণিত আছে।
তাছাড়া,
যাদের উপর আল্লাহ্ পাক সন্তুষ্ট এবং তাঁদেরকে যারা অনুসরণ অনুকরণ করবে তাদের উপরও আল্লাহ্ পাক সন্তুষ্ট হবেন, তারা কিভাবে জাল হাদীস বর্ণনা করতে পারেন? অথবা তাদের বর্ণিত হাদীস কিভাবে জাল হতে পারে?
"আলোচনার উর্ধে্ব সাহাবারা নয়
বলে তারাই যাদের হৃদয় বাঁকা,
উম্মতের তরে রাসুল বলেন
সাহাবারা আকাশের তারকা।"
by Admin
|
posted: Wednesday, July 28, 2010
|
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হে মহিলারা! তোমরা (পর্দার সাথে) নিজ ঘরে অবস্থান কর, জাহিলিয়াত যুগের মহিলাদের মত বেপর্দা হয়ে ঘুরে বেড়াবে না। বোরকা তথা পর্দা মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার এবং পর্দা পালন করা প্রত্যেক মহিলাদের জন্য ফরয। যা সম্মান ও ব্যক্তিত্বের প্রতীকও। বোরকা তথা পর্দার সমালোচনা করা ও পর্দা করতে বাধ্য করা যাবে না বলা প্রকৃতপক্ষে একমাত্র মনোনীত দ্বীন ‘ইসলাম’-এর সমালোচনা করার শামিল। অতএব, প্রত্যেক পর্দা বিদ্বেষীদের উচিত তাদের পর্দা বিরোধী বক্তব্য প্রত্যাহার করে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। অন্যথায় তাদেরকে কঠিন আযাব গযবের সম্মুখীন হতে হবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বোরকা তথা পর্দা মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার অর্থাৎ ফরয। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বোরকা তথা পর্দা মুসলমানদের বানানো বা মনগড়া কোন আমল নয় বরং তা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পক্ষ থেকে নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয আমল। কেননা কুরআন শরীফ-এ “সূরা নিসা, সূরা নূর ও সূরা আহযাব” সূরাসমূহে পর্দা করার ব্যাপারে কঠোর আদেশ-নির্দেশ করা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা নূর-এর ৩০, ৩১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “(হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি মু’মিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণ। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি তারা যা করে তার খবর রাখেন। আর আপনি মু’মিনাদেরকে বলুন, তারাও যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে ও তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।” মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি মুসনাদে আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, দারিমী, মিশকাত শরীফ-এর বরাত দিয়ে বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! দৃষ্টিকে অনুসরণ করবেন না। প্রথম দৃষ্টি (যা অনিচ্ছা সত্ত্বে পতিত হয় তা) ক্ষমা করা হবে; কিন' পরবর্তী দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না।” অর্থাৎ প্রতি দৃষ্টিতে একটি কবীরা গুনাহ লেখা হয়ে থাকে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বাইহাক্বী ও মিশকাত শরীফ-এর বরাত দিয়ে বলেন, হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, “যে দেখে এবং দেখায় উভয়ের প্রতি আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার কালাম পাক এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ দ্বারা সরাসরি পর্দাকে ফরয করে দিয়েছেন। অতএব প্রত্যেক মুসলমান মহিলাদের জন্য ফরয হচ্ছে- কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ অনুযায়ী খাছ শরয়ী পর্দা পালন করে আর যারা পর্দা করেনা তাদের পর্দা পালন করায়ে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলের কোশেশ করা। যা তাদের ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবীর কারণ। কাজেই যারা বলে পর্দা করতে বাধ্য করা যাবেনা তাদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে ইসলাম বিরোধী বক্তব্য। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘সূরা বাক্বারা’-এর ১০৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোন রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।” মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিধর্মীরা যেহেতু ইসলাম ও মুসলমানদের চরম শত্রু তাই তারা হিংসার বশবর্তী হয়েই বোরকা তথা পর্দার সমালোচনা করছে বা পর্দার বিরোধিতা করছে এবং পর্দা করতে বাধ্য করা যাবে না এটাও বলেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমানদেরকে বেপর্দা করে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের রেযামন্দি বা সন'ষ্টি থেকে মাহরুম করে দাইয়্যুছ বানিয়ে লা’নতগ্রস্ত করে জাহান্নামী করে দেয়া। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কিন' প্রশ্ন হচ্ছে- মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয আমল বোরকা বা পর্দা সম্পর্কে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার মত দুঃসাহস কাফির মুশরিক, ইহুদী, নাছারা তথা বিধর্মীরা পেল কোথায়? মূলত মুসলমানদের ঈমানী ও আমলী দুর্বলতার কারণেই তারা আজ একের পর এক ইসলাম বিদ্বেষী কথা বলার সাহস পাচ্ছে। মুসলমানরা যদি কফিরদের পূবের্র ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যগুলোর শক্ত প্রতিবাদ জানাতো, তবে তারা পরবর্তীতে আর কখনো এরূপ দুঃসাহস দেখাতে পারতো না। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূল কথা হলো- বোরকা তথা পর্দা মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার অর্থাৎ ফরয আমল। যা মহিলাদের সম্মান ও ব্যক্তিত্বের প্রতীক। বিধর্মী তথা বেদ্বীনগুলো বোরকা তথা পর্দার সমালোচনা করে একমাত্র মনোনীত দ্বীন ‘ইসলাম’-এর সমালোচনা করেছে, করছে। তাই বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল মুসলিম সরকারসহ পৃথিবীর প্রায় ৩০০ কোটি মুসলমানের জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে সমস্ত পর্দা বিদ্বেষীদের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করা। আর সমস্ত পর্দা বিদ্বেষীদের উচিত তারা যেন তাদের ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য প্রত্যাহার করে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চায়। অন্যথায় তাদেরকে সীমাহীন কঠিন আযাব গযবের সম্মুখীন হতে হবে।
by Admin
|
posted: Sunday, June 06, 2010
|
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন- সর্বপ্রকার খেলাধুলা হারাম। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবলসহ সমস্ত খেলাধুলাই হারাম। এছাড়া মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কুফরীতে নিমজ্জিত করার ক্ষেত্রে ইহুদী-খ্রিস্টানদের প্রবর্তিত বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা এক ধরনের কূটকৌশল তাই সকল মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- বিশ্বকাপ ফুটবলসহ সকল প্রকার খেলাধুলা থেকে বিরত থাকা।
- মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী -
- Mujaddidu A'zam Hazrat Murshid Qibla Mudda Zilluhul 'Aalee -
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, শরীয়ত সর্বপ্রকার খেলাধুলাকে হারাম ঘোষণা করেছে। যেমন কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আমি আসমান ও যমীন এবং এতদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।” (সূরা আম্বিয়া-১৬)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “সমস্ত খেলাধুলা হারাম।” (মুস্তাদরেকে হাকিম)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবলসহ ক্রিকেট, অলিম্পিক ইত্যাদি সমস্ত খেলাধুলাই হারাম। কারণ তা বিধর্মী কর্তৃক প্রবর্তিত। বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাস দ্বারাই তা সুস্পষ্ট প্রমাণিত। যেমন ইতিহাসে উল্লেখ আছে- বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য ২টি ট্রফি নির্মিত হয়, জুলেরিমে ও ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি। বর্তমান বিশ্বকাপ ট্রফির নাম ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, জুলেরিমে ট্রফি নামকরণ করা হয় ফিফা’র কথিত স্বপ্নদ্রষ্টা জুলেরিমের নামানুসারে। এর নির্মাণ শৈলী ভাস্কর্যের প্রতীক মাথার উপর দু’হাত উচিয়ে বিজয় গৌরবে উল্লসিত বিজয়ের দেবী এক পরী। ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপ থেকে শুরু হয়। এই কাপের ডিজাইনার হচ্ছে ইতালির ভাস্কর শিল্পী সিলভিও গাজ্জানিগা। ১৮ ক্যারেটের ৪.৯৭ কেজি ওজনের স্বর্ণের কাপটি ৩৬ সে.মি. লম্বা, যাতে দু’জন অ্যথেলেট পিঠাপিঠি করে ধরে আছে তাদের উপর গোটা বিশ্বকে। অর্থাৎ বিশ্বকাপ উচ্চারণ হচ্ছে ‘দু’টো মূর্তির হাতের উপর বিশ্ব’- এরকম ধারণাকে আওড়ানো যা কিনা মূর্তি সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দেয়ার নামান্তর। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়। টেলিভিশনে ১৯৫৪ সালে প্রথম বিশ্বকাপ দেখানো হয়। ১৯৩০ থেকে নিয়ে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ১৮টি বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়েছে। এবার হলো ১৯তম পর্ব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফুটবলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হয় যে, ফুটবল বা এ জাতীয় সকল খেলাধুলার উদ্ভাবক হচ্ছে বিধর্মীরা। অর্থাৎ বর্তমানে প্রচলিত সমস্ত খেলাধুলাই বিধর্মীদের প্রবর্তিত নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা। যদি তাই হয়ে থাকে, তবে মুসলমানদের জন্য তা অনুসরণ ও সমর্থন করা কি করে জায়িয হতে পারে?
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কুফরীতে নিমজ্জিত করার ক্ষেত্রে ইহুদী-খ্রিস্টানদের প্রবর্তিত কথিত বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা এক ধরনের কূটকৌশল। তাদের এ কূটকৌশলের মধুমাখা শ্লোগান হলো ‘বিশ্বায়ন।’ এ বিশ্বায়নের নামে তারা কথিত বিশ্বকাপ ফুটবল, ক্রিকেট, অলিম্পিক ইত্যাদি হুজুগ দ্বারা মুসলমানদের হারাম আনন্দে ভুলিয়ে তাদের ঈমান-আমল ধ্বংস করে দিচ্ছে। মূলত যারা ইহুদী-খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী ও মুশরিক তারা সদাসর্বদা চেষ্টা করে থাকে, মুসলমানদেরকে কি করে ঈমান-আমল নষ্ট করে কাফিরে পরিণত করা যায়। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের যে কোন রকমে কাফিরে পরিণত করতে।” (সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ১০৯)
আরো ইরশাদ হয়েছে, “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে। অতঃপর যারা মুশরিক তাদেরকে।” (সূরা মায়িদা : আয়াত শরীফ ৮২)
তাই তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে থাকে, মুসলমানদেরকে ঈমানহারা করার জন্য। যেমন একদিকে খেলার সাথে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে চেষ্টা করছে, অপরদিকে টেলিভিশনে খেলা ও হাজারো অশ্লীলতা দেখিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি নষ্ট করছে তথা চরম পাপাচারে মত্ত করছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইসলাম বহির্ভূত বিজাতীয় তর্জ-তরীক্বা, নিয়মনীতি গ্রহণ করা কোন মুসলমানের জন্য জায়িয নেই বরং তা গ্রহণ করা কাট্টা কুফরী। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন (নিয়মনীতি, অন্য ধর্ম) তালাশ করে, তা কখনোই তার থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলে ইমরান : আয়াত শরীফ ৮৫)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কোন আমলের ক্ষেত্রেই বিধর্মী ও বিজাতীয় কোন পন্তুা অনুসরণ করা যাবে না বা তাদের থেকে কোন নিয়মনীতি গ্রহণ করা যাবে না। শুধুমাত্র দ্বীন ইসলামের দলীল- কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস অনুযায়ী আমল করতে হবে। কেননা, বিধর্মীরা মূলতঃ মুসলমানদের ঈমান-আমল বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে নিত্য নতুন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যার একটি হলো, কথিত বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা। যা মূলত বিধর্মীদেরই আবিষ্কার বা তাদের উদ্ভাবিত নিয়ম-নীতি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মাঠে গিয়ে হোক আর টিভিতে হোক সর্বাবস্থায়ই খেলা দেখা হারাম ও কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত। তবে টিভিতে খেলা দেখা বা অন্যান্য অনুষ্ঠান দেখা আরো কঠিন ও অধিক গুনাহর কারণ। কেননা, শরীয়তের দৃষ্টিতে টিভি তথা ছবি দেখা, রাখা ইত্যাদি সবই হারাম। খেলা সম্পর্কিত কোন দেশকে, দলকে বা ব্যক্তিকে সমর্থন করা, প্রশংসা করা, পতাকা উড়ানো, দেশের, দলের, ব্যক্তির জয় কামনা করে দোয়া করা, রোযা রাখা, দেশের, দলের, ব্যক্তির জয়ে খুশি প্রকাশ করা, হাতে তালি দেয়া, রং ছিটানো ও শুকরিয়া আদায় করা সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী। কারণ আক্বাইদের কিতাবে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, ‘হারামকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী।’ আর যে কুফরী করে সে মুরতাদ হয়ে যায়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইহুদী-খ্রিস্টানরা মুসলমানদের আমল নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ধর্মব্যবসায়ী বা উলামায়ে ‘ছূ’দেরকে ব্যবহার করছে। তাই তাদের সবার ষড়যন্ত্র ও ধোঁকা থেকে প্রত্যেক মুসলমানদের ঈমান আমল হিফাযত করা ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ইসলামের দৃষ্টিতে কথিত বিশ্বকাপ ফুটবলসহ সমস্ত খেলাধুলাই হারাম। এছাড়া মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কুফরীতে নিমজ্জিত করার ক্ষেত্রে ইহুদী-খ্রিস্টানদের প্রবর্তিত বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা এক ধরনের কূটকৌশল তাই সকল মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- কথিত বিশ্বকাপ ফুটবলসহ সকল প্রকার খেলাধুলা থেকে বিরত থাকা।
by Admin
|
posted: Wednesday, June 02, 2010
|
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করার কারণেই ফেসবুক চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে। হ্যাঁ- ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, পরকীয়া, লিভ টুগেদার, পারিবারিক বন্ধন ভঙ্গ, আত্মহত্যার প্রবণতা, মাদকাসক্তি ইত্যাদি ঈমানী ও সামাজিক অবক্ষয়ের পেছনের প্ররোচনাকারী উৎস- ফেসবুকের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য। এক ফেসবুক বন্ধ মানেই ডিজিটাল কমিউনিকেশন বন্ধ নয়। বরং ফেসবুক যে অশ্লীলতার জন্যই এত প্রিয় সে কথা ওপেন সিক্রেট। এছাড়া ইসলাম বিদ্বেষীরাও ইসলাম অবমাননার সুযোগ নিচ্ছে সে কথাও কারো অজানা নয়। মাত্র ৯ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী সবাই ফেসবুকের সমর্থনকারী নয়; কথিত ৯ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর সমর্থনে সরকার ক্ষমতায় আসেনি- বরং ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ সমর্থন দিয়েছেন এজন্য যে, ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না’। অতএব, এ বিষয়টি সরকারকে স্মরণ রাখতে হবে।
- মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী -
- Mujaddidu A'zam Hazrat Murshid Qibla Mudda Zilluhul 'Aalee -'Aalee -
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, রাষ্ট্র একটা বির্মূত ধারণা। বাংলাদেশ সংবিধানের ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা করবেন। অথচ ইদানীং কথিত ফেসবুকের প্রভাবে বর্তমান সমাজে লিভ টুগেদার, ইভটিজিং, পরকীয়া, বিবাহ বিচ্ছেদ, মাদকাসক্তি, আত্মহত্যার প্রবণতা ইত্যাদি বেড়েই চলছে। যা সাংবিধানে বর্ণিত, আমাদের ঐতিহ্যগত সংস্কৃতিকে ক্ষতবিক্ষত করছে। সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় স্বীকৃত রিপোর্ট মোতাবেকই অনেক পরিবারের জন্য ফেসবুক একটি যন্ত্রণা। স্বামী-স্ত্রী, মাতা-পিতা-সন্তান ইত্যাদি সম্পর্কগুলোতে এই ফেসবুকের কারণে ঢুকে যাচ্ছে অবিশ্বাস, ভাঙছে পারিবারিক বন্ধন, বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা পৃথিবীতেই একই অবস্থা। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ম্যাট্রিমনিয়ালস ল’ইয়ারস যুক্তরাষ্ট্রে সম্পৃত্তি এ নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে। এই অ্যাকাডেমির শতকরা ৮১ ভাগ সদস্য ৫ বছরের কেস স্টাডি করে দেখেছে যে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর কারণে ডিভোর্সের হার বেড়ে গেছে। কারণ, এসবে থেকে গেছে সম্পর্ক ভেঙে দেয়ার মতো অনেক প্রমাণ। তারা জানিয়েছে, ডিভোর্স বিষয়ে তারা সচেয়ে বেশি অভিযোগ পেয়েছে ফেসবুকের বিপক্ষেই। শতকরা ৬৬ জনই প্রাথমিক সোর্স হিসেবে ফেসবুকে ব্যবহার করা অশ্লীল বাক্য বিনিময়কেই সন্দেহ করছেন। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, একথা এখন সর্বজনবিদিত যে, ইন্টারনেটে ব্যবহারকারী অধিকাংশ তরুণ-তরুণী দিনের বেশিরভাব সময় খরচ করে ফেসবুকের অশ্লীল জগতে। ফেসবুক ব্যবহার যে সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, তা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের নীতিমালায় স্বীকার করেছে। ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবহারকারী ছবি আপলোডের মাধ্যমে ছবির স্বত্ব ফেসবুককে দিয়ে দিচ্ছে। ফেসবুক দাবি করে, তাদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রয়েছে। কিন' এমআইটি (ম্যাসাটুসেটিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) দুজন ছাত্র স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ৭০ হাজারেরও বেশি ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করে ফেলেছিলো। এ থেকে প্রমাণ হয়, ফেসবুকের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ফেসবুক বলতে গেলো পর্নো ক্রাইমের প্রসূতি। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিশাল অর্থও জালিয়াতি হয়। শেয়ারবাজার কারসাজির অভিযোগে গত ৩ মার্চ প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্রোকারেজ হাউসের এক কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়। তার কর্মকাণ্ডের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক বেছে নিয়েছিলো। ফেসবুকে সে একটি বিশেষ গ্রুপ তৈরি করে। গ্রুপে তিন হাজারের মতো সদস্য রয়েছে। সে এসব সদস্যকে কোন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে হবে, কোনটা বিক্রি করতে হবে, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছিলো। বিনিময়ে লাভের ২০ শতাংশ করে পেতো। আবার যখন সদস্যদের শেয়ার বিক্রি করতে বলতো, তখন এক দিনেই সব শেয়ার ছেড়ে দিত। এতে করে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়েছিলো। সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুক ব্যবহার করে এক কিশোরীকে প্রতারণা, অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে পিটার চ্যাপম্যান নামের ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গত ৮ মার্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ব্রিটিশ আদালত। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুক ব্যবহারকারী তার অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করলেই সেগুলো মুছে যায় না। ফেসবুক ওই ব্যবহারকারীর তথ্যগুলো রেখে দেয়। নতুন প্রাইভেসি সেটিংস কার্যকর করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল ও যাবতীয় তথ্য সবার সামনে উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিল, ব্যবহারকারীকে যা পরে নিজ হাতে পরিবর্তন করতে হয়েছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের পক্ষ থেকেও স্বীকার করা হয়েছে যে, স্বামী কিংবা স্ত্রীরা ফেসবুকের মাধ্যমে পরনারী কিংবা পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে উৎসাহিত হয়। এগুলো স্পষ্টভাবেই ইসলামী আইনবিরোধী। তাই মুসলিমদের ফেসবুক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুক শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা তৈরি করে এবং এটি ব্রাউজ করা এক ধরনের নেশায় পরিণত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ফেসবুক প্রাপ্তবয়স্কদের মেধাকে দুর্বল করে দেয়। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রায় ৮ লাখ ৭৬ হাজার ২০ জন। এর মধ্যে প্রায় ছয় লাখ ৪২ হাজার ৯২০ জন পুরুষ ও দুই লাখ ২২ হাজার ৪৪০ জন নারী ব্যবহারকারী। অর্থাৎ দেশের ১৪ কোটি মুসলমানের মধ্যে ১%-এর কম যে ৮ লক্ষ লোক ফেসবুক বন্ধের বিরোধিতা করেছে তাদেরও ১% এর কম লোকও এ বিরোধিতা বন্ধে তীব্র কোন আন্দোলন করেনি। কিন' মিডিয়া তথা কিছু প্রগতিবাদী এটাকেই ফুলিয়ে-ফাপিয়ে প্রচার করছে। ভাবখানা এই যে, ফেসবুক বন্ধ করে সরকার এখনই গদি হারাচ্ছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মিডিয়া সরকারকে সব সময়ই আরেকটি ভুল তথ্য দিয়ে আসছে যে, দেশের কথিত নতুন প্রজন্মই এ সরকারকে এনেছে। কিন' হিসাবে নতুন প্রজন্মের তুলনায় বিগত প্রজন্মের সংখ্যা অনেক বেশি। আর তারা কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না, এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেই প্রীত হয়ে তাদের ভোটদানের ধারা বদল করেছে। এটাই প্রকৃত সত্য। এটা দিন বদলের সরকারকে বুঝতে হবে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধিদলীয় মন্ত্রীর বিকৃত ছবি প্রকাশের সুযোগ থাকার কারণে ফেসবুক বন্ধ করা হতে পারে; তবে সবারই জানা আছে যে, ‘এভরিবডি ড্র মোহাম্মদ ডে’ নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০ মে তারিখের মধ্যে নূরে মুজাসাসম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছবি পোস্ট দিতে বলা হয়েছিলো। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, জ্বলন্ত প্রশ্ন দাঁড়ায় যে, এ ধরনের কুকর্ম যে ফেসবুক করেছে এবং এখনও তাতে করার সুযোগ রয়েছে; সে ফেসবুক অবশ্যই চিরতরে বন্ধ রাখতে হবে। এবং সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার স্বার্থই তা আবশ্যকীয় ভাবে করতে হবে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইসলাম কমিনী-নিজামীদের মত রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের কাছে ইজারা দেয়া নয়। ইসলাম এদেশের ১৪ কোটি মুসলমানদের ধর্ম, ১৪ কোটি মুসলমানদের ঈমান। কাজেই জামাতী-কমিনীরাই চাইলে বা বললেই ইসলাম তাদের হয়ে গেলো না। তাদের ধর্মব্যবসায়িক আবেদনের প্রেক্ষিতে নয়; বরং ১৪ কোটি মুসলমানের ঈমান, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সর্বোপরি সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই ফেসবুক বন্ধ রাখতে হবে। একবার বন্ধ করে পুনরায় তা আবার চালু করলে ষড়যন্ত্রকারীরা আরো সুযোগ পাবে এবং আরো বেপরোয়া হবে। সেক্ষেত্রে তার ভার সরকারকেই নিতে হবে।
by Admin
|
posted: Tuesday, June 01, 2010
|
by Admin
|
posted: Monday, May 10, 2010
|
ওহাবীদের একটি আক্বীদা হলো “শরীয়তে দু‘ঈদ ছাড়া আর কোন ঈদ নেই।” অথচ তাদের এ আক্বীদা ও বক্তব্য সম্পূর্ণ কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কারণ তারা উক্ত বক্তব্য দ্বারা ওহীয়ে গায়রে মাতলু হাদীছ শরীফকেই মুলতঃ অস্বীকার করেছে। কেননা অসংখ্য হাদীছ শরীফকেই দু’ঈদ ছাড়া আরো ঈদের কথা ঊল্লেখ রয়েছে।
যেমন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ওবায়েদ বিন সাব্বাক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জুমুয়ার দিনে ইরশাদ করেন, হে মুসলমান সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন, যাকে আল্লাহ পাক ঈদস্বরূপ নির্ধারণ করেছেন।” (ইবনে মাযাহ, মিশকাত)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম’- এ আয়াত শরীফটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন। তখন উনার নিকট এক ইহুদী ছিল সে বলে উঠলো, ‘যদি এই আয়াত শরীফ আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো আমরা আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে “ঈদ” বলে ঘোষণা করতাম।’ এটা শুনে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, এ আয়াত শরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিন এক সাথে দু’ঈদ ছিল- (১) জুমুয়ার দিন এবং (২) আরাফার দিন।” (তিরমিযী)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘হযরত তারিক বিন শিহাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, ইহুদীরা হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বললো যে, আপনারা এমন একটি আয়াত শরীফ পাঠ করেন, যদি তা আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো আমরা অবশ্যই উক্ত আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করতাম। তখন হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, আমি নিশ্চিতরূপে জানি যে উক্ত আয়াত শরীফ কখন নাযিল হয়েছে, কোথায় নাযিল হয়েছে এবং এ আয়াত শরীফ যখন নাযিল হয় তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেথায় অবস্থান করছিলেন আল্লাহ পাক-এর কছম! নিশ্চয় সেদিনটি ছিল আরাফার দিন।’ (ইবনে মাযাহ্)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনা শরীফ-এ তাশরীফ আনলেন তখন তিনি ইহুদীদেরকে আশুরার রোযা রাখতে দেখলেন। তখন তিনি ইহুদীদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তোমরা এই দিন কেন রোযা রাখ? তারা বললো, এটা একটি মহান দিন, যেদিন আল্লাহ পাক হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও উনার ক্বাওমকে নাযাত দিয়েছিলেন, আর ফিরআউন এবং তার সম্প্রদায়কে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মেরেছেলেন। সেজন্য হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম শুকরিয়াস্বরূপ রোযা রাখেন তাই আমরাও রোযা রাখি। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও রোযা রাখলেন এবং অন্যান্যদেরকেও রোযা রাখতে আদেশ করলেন।” (বুখারী, মুসলিম)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফসমূহ দ্বারা জানা গেল যে, শুক্রবার দিনটি এবং আরাফার দিনটি হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈদ তথা খুশির দিন। অর্থাৎ ঈদুল আদ্বহা ও ঈদুল ফিত্র এ দুই ঈদ যেভাবে হাদীছ শরীফ-এর দ্বারা প্রমাণিত ঠিক সেভাবেই তৃতীয় ঈদ হিসেবে জুমুয়ার দিন এবং চতুর্থ ঈদ হিসেবে আরাফার দিন হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।
অতএব, যারা বলে শরীয়তে দুই ইদ ব্যতীত তৃতীয় ঈদের কোন অস্তিত্ব নেই তাদের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কুরআন সুন্নাহর খিলাফ বলে প্রমাণিত হয়।
স্মরণীয়, ‘সূরা মায়িদার ৩ নম্বর আয়াত শরীফ’ নাযিল হওয়ার কারণে আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার দিনটি যদি ঈদের দিন হিসেবে গ্রহণীয় হয়, আর হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও উনার ক্বওম যদি ফিরআউনের কবল থেকে নাযাত পাওয়ার কারণে আশুরার দশ তারিখ শুকরিয়া আদায় ও সম্মানিত দিন হিসেবে গ্রহণীয় হতে পারে, তাহলে যিনি সুরা মায়িদা অর্থাৎ কুরআন শরীফ নাযিল হওয়ার কারণ ও হযরত মূসা আলাইহিস সালাম-এর আগমনের কারণ, উনার আগমনের দিনটি কি সম্মানের দিন এবং খুশির দিন হবে না? অবশ্যই হবে। শরীয়তের কোথাও সেদিনকে দুঃখের দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি বরং সর্বশ্রেষ্ঠ খুশির দিন হিসেবেই গ্রহণ করা হয়েছে ও করতে বলা হয়েছে।
কাজেই আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমনের দিনই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন যা সর্বোত্তম ঈদ আর প্রকৃতপক্ষে এটাই প্রথম ঈদ।
অতএব, কুরআন-সুন্নাহর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, দু’টি ঈদ ছাড়া আরো একাধিক ঈদের অস্তিত্ব শরীয়তে বিদ্যমান তা বিদ্য়াত কিংবা অন্য কিছু নয়। যারা বলে দু’টি ছাড়া তৃতীয় কোন ঈদের অস্তিত্ব শরীয়তে নেই তারা মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য একথা বলে থাকে। অথচ দু’টি ঈদ ছাড়াও আরো একাধিক ঈদের অস্তিত্ব কুরআন-সুন্নাহ তথা শরীয়ত কর্তৃক স্বীকৃত। তাই যারা সেই ঈদকে বিদয়াত বলবে তারা কুরআন-সুন্নাহ তথা ওহী অস্বীকারকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবে। আর যারা কুরআন-সুন্নাহ বা ওহী অস্বীকার করে তারা মুসলমান বা ঈমানদার নয়।ওহাবীদের একটি আক্বীদা হলো “শরীয়তে দু‘ঈদ ছাড়া আর কোন ঈদ নেই।” অথচ তাদের এ আক্বীদা ও বক্তব্য সম্পূর্ণ কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কারণ তারা উক্ত বক্তব্য দ্বারা ওহীয়ে গায়রে মাতলু হাদীছ শরীফকেই মুলতঃ অস্বীকার করেছে। কেননা অসংখ্য হাদীছ শরীফকেই দু’ঈদ ছাড়া আরো ঈদের কথা ঊল্লেখ রয়েছে।
যেমন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ওবায়েদ বিন সাব্বাক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জুমুয়ার দিনে ইরশাদ করেন, হে মুসলমান সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন, যাকে আল্লাহ পাক ঈদস্বরূপ নির্ধারণ করেছেন।” (ইবনে মাযাহ, মিশকাত)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম’- এ আয়াত শরীফটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন। তখন উনার নিকট এক ইহুদী ছিল সে বলে উঠলো, ‘যদি এই আয়াত শরীফ আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো আমরা আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে “ঈদ” বলে ঘোষণা করতাম।’ এটা শুনে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, এ আয়াত শরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিন এক সাথে দু’ঈদ ছিল- (১) জুমুয়ার দিন এবং (২) আরাফার দিন।” (তিরমিযী)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘হযরত তারিক বিন শিহাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, ইহুদীরা হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বললো যে, আপনারা এমন একটি আয়াত শরীফ পাঠ করেন, যদি তা আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো আমরা অবশ্যই উক্ত আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করতাম। তখন হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, আমি নিশ্চিতরূপে জানি যে উক্ত আয়াত শরীফ কখন নাযিল হয়েছে, কোথায় নাযিল হয়েছে এবং এ আয়াত শরীফ যখন নাযিল হয় তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেথায় অবস্থান করছিলেন আল্লাহ পাক-এর কছম! নিশ্চয় সেদিনটি ছিল আরাফার দিন।’ (ইবনে মাযাহ্)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনা শরীফ-এ তাশরীফ আনলেন তখন তিনি ইহুদীদেরকে আশুরার রোযা রাখতে দেখলেন। তখন তিনি ইহুদীদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তোমরা এই দিন কেন রোযা রাখ? তারা বললো, এটা একটি মহান দিন, যেদিন আল্লাহ পাক হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও উনার ক্বাওমকে নাযাত দিয়েছিলেন, আর ফিরআউন এবং তার সম্প্রদায়কে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মেরেছেলেন। সেজন্য হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম শুকরিয়াস্বরূপ রোযা রাখেন তাই আমরাও রোযা রাখি। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও রোযা রাখলেন এবং অন্যান্যদেরকেও রোযা রাখতে আদেশ করলেন।” (বুখারী, মুসলিম)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফসমূহ দ্বারা জানা গেল যে, শুক্রবার দিনটি এবং আরাফার দিনটি হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈদ তথা খুশির দিন। অর্থাৎ ঈদুল আদ্বহা ও ঈদুল ফিত্র এ দুই ঈদ যেভাবে হাদীছ শরীফ-এর দ্বারা প্রমাণিত ঠিক সেভাবেই তৃতীয় ঈদ হিসেবে জুমুয়ার দিন এবং চতুর্থ ঈদ হিসেবে আরাফার দিন হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।
অতএব, যারা বলে শরীয়তে দুই ইদ ব্যতীত তৃতীয় ঈদের কোন অস্তিত্ব নেই তাদের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কুরআন সুন্নাহর খিলাফ বলে প্রমাণিত হয়।
স্মরণীয়, ‘সূরা মায়িদার ৩ নম্বর আয়াত শরীফ’ নাযিল হওয়ার কারণে আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার দিনটি যদি ঈদের দিন হিসেবে গ্রহণীয় হয়, আর হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও উনার ক্বওম যদি ফিরআউনের কবল থেকে নাযাত পাওয়ার কারণে আশুরার দশ তারিখ শুকরিয়া আদায় ও সম্মানিত দিন হিসেবে গ্রহণীয় হতে পারে, তাহলে যিনি সুরা মায়িদা অর্থাৎ কুরআন শরীফ নাযিল হওয়ার কারণ ও হযরত মূসা আলাইহিস সালাম-এর আগমনের কারণ, উনার আগমনের দিনটি কি সম্মানের দিন এবং খুশির দিন হবে না? অবশ্যই হবে। শরীয়তের কোথাও সেদিনকে দুঃখের দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি বরং সর্বশ্রেষ্ঠ খুশির দিন হিসেবেই গ্রহণ করা হয়েছে ও করতে বলা হয়েছে।
কাজেই আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমনের দিনই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন যা সর্বোত্তম ঈদ আর প্রকৃতপক্ষে এটাই প্রথম ঈদ।
অতএব, কুরআন-সুন্নাহর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, দু’টি ঈদ ছাড়া আরো একাধিক ঈদের অস্তিত্ব শরীয়তে বিদ্যমান তা বিদ্য়াত কিংবা অন্য কিছু নয়। যারা বলে দু’টি ছাড়া তৃতীয় কোন ঈদের অস্তিত্ব শরীয়তে নেই তারা মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য একথা বলে থাকে। অথচ দু’টি ঈদ ছাড়াও আরো একাধিক ঈদের অস্তিত্ব কুরআন-সুন্নাহ তথা শরীয়ত কর্তৃক স্বীকৃত। তাই যারা সেই ঈদকে বিদয়াত বলবে তারা কুরআন-সুন্নাহ তথা ওহী অস্বীকারকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবে। আর যারা কুরআন-সুন্নাহ বা ওহী অস্বীকার করে তারা মুসলমান বা ঈমানদার নয়।
by Admin
|
posted: Monday, May 10, 2010
|
শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খৃষ্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর সময়ও ইহুদী খৃষ্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, "হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলোনা উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।" (সূরা বাক্বারা ১০৪)
আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, ইহুদীরা রাসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেবার জন্য "রঈনা" শব্দ ব্যবহার করত যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল "আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন" যা ভাল অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হল "হে মূর্খ, হে মেষ শাবক" এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদ দুয়া। ইহুদীরা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ "রঈনা" শব্দের ভাল অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কষ্ট পেতেন তবুও কিছু বলতেন না কেননা আল্লাহু পাক-এর রসূল হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহী ছাড়া কোন কথা বলতেন না। যেমন কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, "তিনি (হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওহী ব্যতীত নিজের থেকে মনগড়া কোন কথা বলেন না" (সূরা নজম-৩,৪)
এর ফলশ্রুতিতে আল্লাহু পাক কুরআন শরীফের আয়াত নাযিল করে "রঈনা" শব্দের বদলে "উনজুরনা" শব্দ ব্যবহার করতে বললেন। কারণ "রঈনা" শব্দ ভাল-খারাপ উভয় অর্থে ব্যবহার হলেও "উনজুরনা" শব্দ শুধুমাত্র ভাল অর্থে ব্যবহার। তাই যে সকল শব্দের ভাল-খারাপ উভয় অর্থে ব্যবহার হয়, সে সকল শব্দের পরিবর্তে উপরোক্ত আয়াত মুতাবিক ওটার সমার্থক অর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করতে হবে, যা শুধুমাত্র ভাল অর্থেই ব্যবহার হয়। তাই মুসলামনদের উচিত নিচের শব্দগুলো পরিহার করা।
(১) আনলাকি থার্টিনঃ ইহুদী খৃষ্টানরা ১৩ কে আনলাকি বলে থাকে কারণ ১৩ সংখ্যার সাথে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক জড়িত। ইংরেজীতে “MUHAMMAD” নাম মুবারকের আদ্যক্ষর হল M, যা ইংরেজী বর্ণমালার ১৩ তম অক্ষর। তাই ইহুদী খৃষ্টানরা বিদ্বেষবশতঃ ১৩ কে অশুভ বা আনলাকি বলে থাকে। এমনকি ইহুদী নাছারাদের প্লেনে, রেলে, জাহাজে, হোটেলে ১৩ নং কোন সিট বা রুম থাকে না কিন্তু মুসলমানদের কাছে ১৩ ই হল শুভ বা লাকি । কারণ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মান করা আল্লাহ পাকের নির্দেশ। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে সম্মান করবে সে জান্নাতী। আর জান্নাতী হওয়া হলো সৌভাগ্যের লক্ষণ। সে হিসেবে ১৩তম সংখ্যাকে (M) সম্মান ও মুহব্বত করা সৌভাগ্যের বা লাকী হওয়ার বিষয়।
(২) লাকি সেভেনঃ আবার ইহুদী খৃষ্টানরা 7 কে লাকি বলে থাকে। কারণ G ইংরেজী বর্ণমালার ৭তম বর্ণ। তাদের God এর G-এর সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু মুসলামদের নিকট ৭ হল অশুভ বা আনলাকি কারণ God বিশ্বাস করার অর্থ হলো শিরক করা। কারণ God এর রয়েছে Goddess। এতে আল্লাহ পাকের সাথে শরিক করা হয়। যে শিরক করবে সে জাহান্নামী আর জাহান্নামী হওয়াটাই আনলাকি বা বদনছসীবের বিষয়।
(৩) বিশ্ব ব্রহ্মান্ডঃ “বিশ্ব ব্রহ্মান্ড” শব্দটির মধ্যেও ঈমানহানীর ফাঁদ লুকায়িত রয়েছে। কেননা “ব্রহ্মান্ড” শব্দটি এসেছে “ব্রহ্মার আন্ডা” থেকে। বাংলা একাডেমী বিশ্বকোষ মতে, ব্রহ্মা বলতে হিন্দুদের একজন পৌরাণিক দেবতাকে বুঝায়। এই দেবতার আন্ডা(ডিম) রূপে এই ভূমি তথা পৃথিবীকে কল্পনা করে ওরা বলে থাকে বিশ্ব ব্রহ্মান্ড। তাই এই শব্দ পরিহার করে “কুল-ক্বায়িনাত”, “বিশ্ব”, “পৃথিবী”, “আসমান-যমিন” ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করতে পারি।
(৪) মাংসঃ “মাংস” শব্দটি এসেছে “মায়ের অংশ” শব্দ থেকে। হিন্দুরা গরুকে তাদের মা হিসেবে মান্য করে। তাই গরুর গোশতকে তারা মায়ের অংশ তথা মাংস বলে থাকে। তাই কোন মুসলমানের উচিত নয় কোন প্রাণীর গোশতকে মাংস বলা।
(৫) ঝোলঃ সাধারণত আমরা যে কোন তরকারীর তরল অংশটুকুকে আমরা “ঝোল” বলে থাকি। কিন্তুরা হিন্দুরা এ শব্দকে ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করে থাকে। হিন্দুরা তাদের তৈরী খাবারকে তাদের পদ্ধতিতে পাক-পবিত্র করার জন্য গরুর গোবর ও প্রসাব মিশ্রিত তরল পদার্থ দিয়ে থাকে। হিন্দুরা এই তরল পদার্থকে “ঝোল” বলে থাকে। তাই মুসলমানদের উচিৎ ঝোল না বলে “সুরুয়া” বা “সূরবা” বলা।
(৬) বিসমিল্লায় গলদঃ আমরা শুরুতেই ভুল এই কথাটি প্রকাশ করতে গিয়ে বলে থাকি, “বিসমিল্লায় গলদ”। কিন্তু সূক্ষভাবে বিচার করলে এর অর্থ দাঁড়ায় “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম-এ ভুল” অর্থাৎ কুরআন শরীফ-এ ভুল। (নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক)। তাই এই শব্দ কোন মুসলমানের ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়।
(৭) কষ্ট করলে কেষ্ট মেলেঃ “কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে” এই প্রবাদটি মুসলমানরা হরহামেশাই ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু কোন মুসলমানই জানে না এই “কেষ্ট” হচ্ছে হিন্দুদের একটি দেবতার নাম। তাই এ প্রবাদ ব্যবহার করা উচিত নয়।
(৮) ধান ভানতে শিবের গীতঃ “ধান ভানতে শিবের গীত” এই প্রবাদটিও মুসলমানের ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ “শিব” হিন্দুদের দেবতার নাম আর “গীত” বা গান মুসলমানের জন্য হারাম।
(৯)Rx: সব ডাক্তারাই রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে “Rx” লিখা থাকে। অথচ “Rx” অর্থ হল “Referred To Jesus Christ” অর্থাৎ প্রভু যিশু সমীপে সোপর্দ করে। নাছারাদের “প্রভু যিশু”-এর কাছে আত্ননিবদনের পক্রিয়া অনুসরণের কারণে ঈমান হারিয়ে যে কাট্টা কাফির, মুরতাদ পরিণত হতে হয়, তা মুসলমান ডাক্তারদের ভোঁতা মগজে নেই।
(১০) Md/Mohd: অনেকে তাদের নামের Muhammad শব্দটিকে সংক্ষেপে Md. অথবা Mohd. লিখে থাকে। আর এই সংক্ষিপ্তকরণের মাধ্যমে একদিকে মুসলমানেরা নিজেরাই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারককে ইহানত বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে, আবার এর ফলে ইহুদী-নাছারারাও এটি নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের সুযোগ পাচ্ছে। যেমন- সংক্ষিপ্তাকারে লিখিত Md. অথবা Mohd. কে তারা প্রচার করছে Mouth of Dog বলে।(নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক) তাই Md. বা Mohd. পরিহার করতে হবে।
(১১) Mecca: এমনিভাবে মুসলমানেরা মক্কা শব্দটি ইংরেজীতে Mecca লিখে থাকে। অথচ এই শব্দ দ্বারা ইহুদী-নাছারারা Bar অর্থাৎ শরাবখানা বুঝিয়ে থাকে। তাই মুসলমানদের উচিত Mecca না লিখে Makkah লিখা।
(১২)Mosque: একইভাবে মুসলমানেরা মসজিদ শব্দটিকে ইংরেজীতে Mosque লিখে থাকে। অথচ এই শব্দ দ্বারা ইহুদী-নাছারারা House of Mosquito অর্থাৎ মশার ঘর বুঝিয়ে থাকে। তাই মুসলমানদের উচিত Mosque না লিখে Masjid লিখা।
(১৩) মৌলবাদীঃ মৌলবাদ শব্দের অর্থ হলো “যে কোন ধর্ম বা মতবাদের মূলতত্ত্ব, মৌলিক বা মূল বিষয়সমূহ অথবা মৌলিক বা মূল মতবাদসমূহ”। আর ব্যবহারিক অর্থে ধর্মান্ধ চরমপন্থী আমেরিকান খৃষ্টান প্রোটেষ্ট্যান্ট সম্প্রদায়ের বাইবেল সম্পর্কীয় মতবাদকে মৌলবাদ বলে এবং এ অর্থেই এটা ব্যাপকভাবে পরিচিত। আর এই ধর্মান্ধ চরমপন্থী আমেরিকান খৃষ্টান প্রোটেষ্ট্যান্ট সম্প্রদায়ই মৌলবাদী বলে পরিচিত। কাজেই মুসলমানদেরকে মৌলবাদী বলা বা মুসলমানগণ নিজেদেরকে মৌলবাদী বলে দাবী করা কখনো কোন মতেই শরীয়তসম্মত হবে না। কারণ এটা খৃষ্টানদের শেয়ার বা চিহ্ন বা আলামত মৌলবাদ।
(১৪) গুণকীর্তনঃ “গুণকীর্তন” শব্দটিও মুসলমানদের পরিহার করা উচিত। কারণ গুণ শব্দের সঙ্গে কীর্তন শব্দ রয়েছে যা হিন্দুদের এক ধরনের গান। তাই মুসলমানরা প্রসংশা করা বলতে পারে।
(১৬) ইসলামিক রাষ্ট্রঃ ইসলাম একটি পুনাঙ্গ দ্বীন। অন্যদিকে রাষ্ট্রের ধারণার উৎপত্তিস্থল হলো গ্রিসে। রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কিত যত মতবাদ সব বিধর্মী মতবাদ। আর রাষ্ট্রের সংজ্ঞা হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর চারটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। ১. নির্দিষ্ট ভূখন্ড ২. জনসমষ্টি ৩. সার্বভৌমত্ব ৪. সরকার। রাষ্ট্রের এ সংজ্ঞার মাঝে ইসলাম নির্দিষ্ট ভূখন্ড,জনসমষ্টি এবং কথিত রাষ্ট্রীয় সরকার বা সংবিধান এবং জনগণের সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা কোনটাই স্বীকার করে না। সুতরাং ইসলামে কখনই ইসলামিক রাষ্ট্র বলে কোন শব্দ নেই। তবে খিলাফত ব্যবস্থা ইসলামে রয়েছে।
(১৬) ওরসঃ “ওরস” শব্দের আভিধানিক অর্থ “ওলীমা বা বিবাহের খানা, জিয়ারত, বিবাহের দাওয়াত, বাসর যাপন” ইত্যাদি। পারিভাষিক ও রূপক অর্থ “কোন আউলিয়া-ই-কিরাম ও বুযুর্গানে দ্বীনের ইন্তকালের দিন ফাতিহা পাঠ উপলক্ষ্যে খাওয়া, ওয়াজ-মাহ্ফিল, মীলাদ-ক্বিয়াম ইত্যাদির ব্যবস্থা করা”। পূর্ববর্তী যামানায় ওরস শব্দ ব্যবহার করাকে ওলামায়ে হক্কানী-রব্বানীগণ দোষণীয় মনে করেননি। কিন্তু পরবর্তী যামানায় ওরসের নাম দিয়ে বেপর্দা, বেহায়াপনা, গান-বাজনা, মেলা ইত্যাদি বেশরীয়তী কাজ করার কারণে পরবর্তী যামানার হক্কানী-রব্বানী আলিমগণ ফতওয়া দিয়েছেন যে, কোন নেক বা দ্বীনী কাজে ওরস শব্দ ব্যবহার করা না করে “ঈসালে সাওয়াব” বা “সাওয়াব রেসানী” শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
(১৭) লাউঃ কদু হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রিয় খাবার। অনেকে কদুকে লাউ বলে থাকে। কিন্তু লাউ শব্দের খারাপ অর্থ আছে বিধায় কুদকে লাউ বলা মুসলমানদের উচিত নয়।
by Admin
|
posted: Monday, May 10, 2010
|
"এপ্রিল ফুল" বাক্যটা মূলত ইংরেজী। অর্থ এপ্রিলের বোকা। এপ্রিল ফুল ইতিহাসের এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। প্রতি বছর পহেলা এপ্রিল এলেই একে অপরকে বোকা বানানো এবং নিজেকে চালাক প্রতিপন্ন করার জন্য এক শ্রেণীর লোকদের বিশেষভাবে তৎপর হয়ে উঠতে দেখা যায়। বলা বাহুল্য যে তারা অপরকে বোকা বানিয়ে নিজেরা আনন্দ উপভোগ করে থাকেন। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই যে, সরল প্রাণ মুসলমানগণ ধোকা-বাজির করুন শিকারে উপণীত হয়েছিল একদিন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজ মুসলিম জাতির এক শ্রেণীর লোকেরা সে ইতিহাস ভুলে গিয়ে এপ্রিলের দিনটিকে স্বাচ্ছন্দে অংশ গ্রহণ করছেন এবং প্রচুর কৌতুক ও রসিকতা উপভোগ করছেন।
৭১১ উমাইয়া শাসনামলে বীর মুজাহিদ তারিক বিন জিয়াদ মুসলিম নৌবহর ভূমধ্য সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে ঘোষণা দিয়ে ছিলেন যে, হে মুসলিম বাহিনী! তোমাদের সম্মুখে শত্রুসেনা এবং পশ্চাতে ভূমধ্য সাগরের উত্তাল তরঙ্গ মালা, তোমরা কি ভূমধ্য সাগরে ডুবে নিজেদের জীবনকে বিপন্ন করতে চাও? নাকি অত্যাচারি স্পেনীয় শাসক রডারিকের দুঃ শাসনের বিরুদ্ধে জিহাদ করে ইসলামের বিজয় নিশান স্পেনের বুকে উড়াতে চাও। যদি তাই হয় তাহলে সামনে অগ্রসর হও। এই রক্তস্তব্দ বক্তব্যের পর মুসলমানগণ মহান প্রজ্ঞাময় আল্লাহ পাক-এর নামে রডারিকের রণসম্ভারে সুসজ্জিত বিশাল বাহিনীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে ছিল এবং কেড়ে নিয়ে ছিল স্পেন। গড়ে উঠেছিল গ্রানাডার কর্ডোভায় ৮০০ বছরের আলোড়ন সৃষ্টিকারী সভ্যতা। কিন্তু মুসলিম শাসকরা যখন কুরআন শরীফ ও সুন্নাহর কথা একেবারে ভুলে গিয়ে জন-সাধারণের সুখ-শান্তির মূলে পদাঘাত করে ভোগ বিলাসে মত্ত হয় তখন তারা হারিয়ে ফেলে ইসলামী চেতনা। তাদের এই দুর্বলতার সুযোগে খৃস্টান নৃপাতরা চারিদিকে মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে সুসংগঠিত হতে থাকে এবং ঘোষণা করে যে পিরোনিজ পর্বতমালা অতিক্রমকারী দুধর্ষ মুসলিম বাহিনীকে যদি হটানো না যায়, তাহলে আগামী দিনগুলোতে ইউরোপের সকল গীর্জা থেকে মুসলমানদের আজান ধ্বনী শোনা যাবে। এই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য পর্তুগীজ রাণী ইসাবেলা পার্শ্ববর্তী রাজ্যের খৃস্টান রাজা ফার্ডিন্যান্ডের সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং উভয় নেতৃত্ব দেয় খৃস্টান বাহিনীর। একের পর এক স্পেনের অধিকাংশ এলাকা খৃস্টানদের দখলে চলে যায়। মুসলিম বাহিনী তখন উপায়ন্তর না পেয়ে আশ্রয় নেয় রাজধানী গ্রানাডায়। অবশেষে ফার্ডিন্যান্ড বাহিনীও গ্রানাডার দ্বার প্রান্তে এসে পৌঁছে যায়। মুসলিম বাহিনী তখন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় ফার্ডিন্যান্ড ঘোষণা করে যে, "মুসলমানগণ যদি শহরের প্রবেশ দ্বার উম্মুক্ত করে দিয়ে এবং নিরস্ত্র অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করে, তবে তাদেরকে বিনা রক্তপাতে মুক্ত করা হবে"। অসহায় মুসলমানগণ আল্লাহর উপর ভরসা করার কথা ভুলে গিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে যুদ্ধ বন্ধ করে দেয়, এবং তাদের কথা অনুযায়ী মসজিদে আশ্রয় নেয়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস কুখ্যাত ফার্ডিন্যান্ড মসজিদের চারি পার্শ্বে আগুন লাগিয়ে নৃশংসভাবে হাজার হাজার নিরপরাধ মুসলমানদেরকে হত্যার মাধ্যমে বিশ্বাস ঘাতকতার পরিচয় দেয় এবং রক্তে রঞ্জিত করে গ্রানাডার রাজপথ এবং তাদেরকে জোরপূর্বক খৃস্টান বানায়। যে দিন এ সব নির্মম নৃশংসতা কর্মকান্ড করে ছিল, সে দিন ছিল "১লা এপ্রিল ১৪৯২ সাল"। ফার্ডিন্যান্ড সে দিন আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে ছিল "হায় মুসলমান! এপ্রিল ফুল, তোমরা এপ্রিলের বোকা।" স্পেনীয়দের দ্বারা মুসলমানদের বোকা বানানোর এই নিষ্ঠুর বিশ্বাসঘাতকতা বা শঠতা স্মরণীয় রাখার জন্য খৃস্টান জগৎ প্রতি বছর ১লা এপ্রিল খেলে থাকে রসিকতার খেলা, যে খেলা আমাদের কাছে বড় করুণের বড় বেদনার।
ইতিহাসের হৃদয়বিদারক ঘটনা ভুলে না গেলে এপ্রিল ফুল কোনো মুসলিমকে আনন্দ দান করতে পারে না। এখন আমরা কি পয়লা এপ্রিল হাসি-আনন্দের সাথে "এপ্রিল ফুল ডে" উদযাপন করব, নাকি ইউরোপের বুকে অসহায় মুসলিম নারী-পুরুষ, শিশুদের নৃশংস হত্যাকান্ডের স্মরণে দুঃখ অনুভব করব, মুসলিম ভাই-বোনেরা ভেবে দেখবেন কি?
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, ইসলামী দৃষ্টিকোণে সবচেয়ে ঘৃণিত হচ্ছে হাসি-মসকরাচ্ছলে মিথ্যা বলা। অনেকে ধারণা করে যে হাসি-রসিকতায় মিথ্যা বলা বৈধ। আর এ থেকেই বিশ্ব ধোঁকা দিবস বা এপ্রিল ফুলের জন্ম। এটা ভুল ধারণা, এর কোন ভিত্তি নেই ইসলাম ধর্মে। রসিকতা কিংবা স্বাভাবিক অবস্থায় মিথ্যা সর্বাবস্থায় হারাম। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "আমি রসিকতা করি ঠিক, তবে সত্য ব্যতীত কখনো মিথ্যা বলি না"। (তাবরানী ১২/৩৯১; ছহীহুল জামে হা/২৪৯৪)।
আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, ছাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা একদা বললেন, ইয়া রসূলুল্লাহু! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তো আমাদের সঙ্গে রসিকতা করেন। তিনি বললেন, আমি সত্য ভিন্ন কিছু বলি না। (তিরমিযী শরীফ)।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, ‘এপ্রিল ফুল ডে’ উদযাপন তথা একে অন্যকে বোকা বানিয়ে, মিথ্যা বলে আনন্দ লাভ করার প্রচেষ্টা ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শের পরিপন্থী। সুতরাং এ থেকে আমাদের বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফীক্ব দান করুন-আমীন!
by Admin
|
posted: Monday, May 10, 2010
|
মুঘল সম্রাট আকবর খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে ৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬ ঈসায়ীতে হিজরী সনের পরিবর্তে ফসলী সন প্রবর্তন করে । পরবর্তীতে ১৫৮৪ ঈসায়ীর ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাঙলা সন বা বঙ্গাব্দ হিসেবে গণনা শুরু হয়। আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের প্রথম খবর পাওয়া যায় ১৯১৭ ঈসায়ীতে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। পহেলা বৈশাখে হালখাতা পূজা নামে হিন্দুদের আলাদা উৎসব রয়েছে, রয়েছে চৈত্রসংক্রান্তি, শিবপূজা, রয়েছে লোমহর্ষক চরক পূজা। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্রজাতিস্বত্তা রয়েছে যাদের প্রত্যেকেরই বছরের নতুন দিনে উৎসব আছে। ত্রিপুরাদের বৈশুখ, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব। বর্তমানে তিনটি জাতিস্বত্ত্বা একত্রে এই উৎসবটি পালন করে। যৌথ এই উৎসবের নাম বৈসাবি। উৎসবের নানা দিক রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো মারমাদের পানি উৎসব। অথচ আজকে মুসলমান সমাজ পহেলা বৈশাখ পালন করছে, বৈশাখী মেলায় যাচ্ছে, বেপর্দা হচ্ছে, ইলিশ-পান্তা খাচ্ছে। তারা একবারও ফিকির করলো না যে, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা-ক্বিয়াসের কোথাও বছরের প্রথম দিন (হোক সেটা বাংলা সন কিংবা আরবী সন) পালন করার কথা উল্লেখ নেই বরং এটা পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা হিন্দু-বৌদ্ধেরই অনুসরণ করেছে।(নাউযুবিল্লাহ্) অন্যদিকে এটা হিজরী সনকে ধ্বংসের নীল নকশায় শামিলের নামান্তার। আবার, কতিপয় তথাকথিত বাংলা সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ পহেলা বৈশাখকে বাঙলী ঐতিহ্য বলে বুলি আউড়ায়। অথচ বাঙলা সন প্রবর্তনের মুল হোতা সম্রাট আকবর একজন মোঙ্গলীয়ান, তাই এটা বাঙলীর এতিহ্য নয়। আবার তারা পহেলা বৈশাখকে হাজার বছরের ঐতিহ্য বলে থাকে, অথচ সম্রাট আকবরের মাতৃভাষা ছিল ফার্সি। উপমহাদেশে বাঙলা ভাষা প্রবর্তিত হয় ১৮৩৬ ঈসায়ীতে। এর পূর্বে এখানে ফার্সি ভাষা প্রচলিত ছিল। ইংরেজ জলদস্যূরা এদেশ দখল করে এখানে ফার্সি ভাষার পরিবর্তে বাঙলা ভাষা প্রবর্তন করে। আর এ উপমহাদেশে বাঙলা ভাষার এখনো ২০০ বছরও পূর্ণ হয়নি।
by Admin
|
posted: Monday, March 15, 2010
|
নতজানু প্রার্থনা
ডাক্তার মুহম্মদ রাশেদুল আবেদীন, নিউইয়র্ক, ইউএসএ।
হে মামদূহ!
আমি নিষ্প্রাণ নতজানু হয়ে প্রার্থনা করি
আপনার ফয়েজটুকু আমাকে দিন
আমি ঝড় বিধ্বস্ত এক নাবিক
সূর্যোদয়ে আর সুর্যাস্তে আমাকে বারাকাত দিন
আপনার পায়ে লুটিয়ে,
হে মামদূহ!
আমি প্রার্থনা করি
অধমেরে দয়া করুন ॥
আমি আপনার না’লাইন জোড়ার
ধুলিরও ছোঁয়ার রাখি না যোগ্যতা
তবুও ভব্যতা ভুলে ক্বদমে আপনার রেখেছি হাত
আমার নাপাক সহস্র অশ্রুবিন্দুতে করেছি সিক্তাপনার পদপাত
ফয়েজের আশ্বাসে
আমার শ্বাসে শ্বাসে ॥
হে মামদূহ!
দান করুন আপনার নাম
কেবল তারাই সফলকাম
যারা অযূত যন্ত্রণা দিয়েছে পাড়ি
নিষ্পলক চোখে, ভাবাবেশে
নাড়ি যাদের সচল আপনার আদেশে
আমিতো পারিনি
তাই শুধু লাঞ্ছনা-গঞ্জনা
তবুও ক্ষমা করুন, দয়া করুন,
হে মামদূহ!
এ আমার প্রার্থনা ॥
by Admin
|
posted: Monday, March 15, 2010
|
ঈদে মীলাদ জিন্দাবাদ
-গোলাম মুনজির মুহম্মদ।
সাইয়্যিদে আ’ইয়াদ ঈদে মীলাদ
জিন্দাবাদ হো জিন্দাবাদ
মুজাদ্দিদ আ’যম-এর পক্ষ হতে
খোশ আমদেদ মুবারকবাদ।
ধরার বুকে মুজাদ্দিদ আ’যম
জাগান সাইয়্যিদে আ’ইয়াদ
তাকবীরে তাই বলে সবাই
মুজাদ্দিদ আ’যম জিন্দাবাদ।
কুল কায়িনাতের সকল স্থানে
ঈদে মীলাদের মাহফিল
ধুম লেগেছে সবার মাঝে
ঈদে মীলাদে ঝিলমিল।
মুজাদ্দিদ আ’যমের পাক দরবারে
ঈদে মীলাদের মাহফিলে
জিন ইনসান ফেরেশতাকুল
শরীক হচ্ছে দলে দলে।
নাখোশ নারাজ ওহাবী খারিজী
ঈদে মীলাদের শান দেখে
ইজ্জত বাঁচাতে উল্টো ফতোয়ায়
সীরাতুন নবীর রূপ মাখে।
উলামায়ে ছূ’ ওহাবী খারিজীর
সকল প্রকার ছলনা
তাজদীদী ফতওয়ায় ফাঁস হলেও
বালহুম আদ্বলরা বুঝে না। (নাঊযুবিল্লাহ)
by Admin
|
posted: Monday, March 15, 2010
|
মামদূহ দান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
-মুহম্মদ জায়েদ কাদেরী
কুল মুসলিমের ঘরে ঘরে,
ঈদে আ’যম এলো ফিরে ॥
ঈদে আ’যমের নূরী আগমন,
উজ্বাল করলো মোদের জীবন ॥
আহলান সাহলান ঈদে আ’যম,
বরণ করে পাই যে রহম ॥
ঈদে মীলাদ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
পালন করলে পাবো নাযাত ॥
ঈদে আ’যম-এর নূরী মাহফিলে,
এসো মুসলমান এসো সকলে ॥
সকল যুগের সকল কালের,
সবচেয়ে সেরা ঈদ ॥
সারা জাহানে জারি করেন,
মুর্শিদ মহান মুজাদ্দিদ ॥
by Admin
|
posted: Monday, March 15, 2010
|
by Admin
|
posted: Sunday, March 14, 2010
|
ঈদে আযম ঈদে আকবর ঈদে মীলাদুন নবী সল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে প্রকাশিত
ইংরেজি ও বাংলা পোষ্টার এবং বার্ষিক আত্ তাজদীদ।
by Admin
|
posted: Friday, March 12, 2010
|
ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুহম্মদ জিয়াউদ্দিন (তুষার), মাটিকাটা, ঢাকা।
ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর কায়িনাতের শ্রেষ্ঠ ঈদ, খুশিতে আজ মোতায়ারা সব নাই যে চোখে নিদ।
দেই বিলিয়ে ঈদের খুশি সবার ঘরে ঘরে, ছলাত-সালাম পাঠ করি যে প্রিয় নবীর তরে।
মীলাদ পড়ে, দরূদ পড়ে তামাম সৃষ্টিকুল, এই দিনেতে ধরায় এলেন নূরে মুজাসসাম রসূল।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র পরে মিশে আছে যাঁর নাম তিনিই মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
দুই জাহানের খোদার হাবীব কায়িম করলেন ইসলাম, আনলে ঈমান উনার উপর হারাম হবে যে জাহান্নাম।
নবীজী এলেন সোমবার শরীফ ১২ই রবীউল আউয়ালে, বিলাদত ক্ষণে সেথায় ছিলেন বেহেশতী হুর দলে দলে।
নবীজীর বিলাদতে তাশরীফ নিলেন সম্মানিতা চার নারী খোদায়ী নূরেতে আলোকিত হলো কেটে গেলো সব আঁধারী।
বীরদর্পে সিজদায় থেকে মা আমিনার কোলে, রসূল মোদের তাশরীফ নিলেন সম্মানিত কুরাঈশ কূলে।
|
Recent Comments