মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা (মুসলমানরা) তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।’


মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা (মুসলমানরা) তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।’
মুসলমানদের শত্রু, বিশ্ব সন্ত্রাসী, যালিম, আমেরিকা, ইসরাইল, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা, ব্রাজিল, চিলি, হাইতি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, জার্মানি, গ্রিস, স্পেন, ভারত, রাশিয়াসহ সকল কাফির রাষ্ট্রের
তথাকথিত মানবতাবাদীরা মুসলমান দেশ আক্রমণ করে মুসলমানদেরকে যুলুম ও শহীদ করলে তা মানবতার লঙ্ঘন হয় না এবং মানবতাবাদীরা ও জাতিসংঘ তথা ইহুদীসংঘও টু শব্দ করে না।
অথচ এই সমস্ত সন্ত্রাসী ও যালিমদের যূলুমের প্রতিবাদ করলেই তা মানবতা বিরোধী হয় এবং সন্ত্রাসী হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে যুলুমের শিকার হতে হয়।
কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারা তথা অমুসলিমদের এখনো সময় আছে তওবা করার।
তওবা না করার কারণে খোদায়ী গযবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে এবং আরো যাবে আর যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সকল কাফিররা মিলেই মুসলমানদের চরম শত্রু। আর এ শত্রুতা ও হিংসাবশত তারা চায় মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করতে এবং মুসলমানদেরকে তাদের অনুগত বানাতে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আহলে কিতাব অর্থাৎ ইহুদী-নাছারা তথা কাফির-মুশরিকরা চায় তোমরা (মুসলমানরা) ঈমান আনার পর তোমাদের কাফির বানিয়ে দিতে।”

মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র আরো ইরশাদ করেন, “ইহুদী-নাছারারা তথা কাফির-মুশরিকরা কখনো তোমাদের (মুসলমানদের) প্রতি সন্তুষ্ট হবে না যতোক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাদের ধর্ম গ্রহণ না করবে বা অনুগত না হবে।” আর এ কারণেই মূলত তারা মুসলমানদের উপর যুলুম-নির্যাতন করে এবং নির্বিচারে মুসলমানদেরকে শহীদ করে।
সারা বিশ্বব্যাপী সাধারণ মুসলমানদেরকে নির্মমভাবে শহীদ করার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমানদের শত্রু, বিশ্ব সন্ত্রাসী, যালিম, আমেরিকা, ইসরাইল, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালী, কানাডা, ব্রাজিল, চিলি, হাইতি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, জার্মানি, গ্রিস, স্পেন, ভারত, রাশিয়াসহ সকল কাফির রাষ্ট্রের তথাকথিত মানবতাবাদীরা মুসলমান দেশ আক্রমণ করে মুসলমানদেরকে যুলুম ও শহীদ করলে তা মানবতার লঙ্ঘন হয় না এবং মানবতাবাদীরা ও জাতিসংঘ তথা ইহুদীসংঘও টু শব্দ করে না। অথচ এই সমস্ত সন্ত্রাসী ও যালিমদের যুলুমের প্রতিবাদ করলেই তা মানবতা বিরোধী হয় এবং সন্ত্রাসী হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে যুলুমের শিকার হতে হয়। এটাই হচ্ছে তাদের কথিত মানবতা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদী, হানাদার, বিশ্ব সন্ত্রাসী, যালিম, আমেরিকা, ইসরাইল, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা, ব্রাজিল, চিলি, হাইতি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, জার্মানি, গ্রিস, স্পেন, ভারত, রাশিয়াসহ সকল কাফির রাষ্ট্রের ঔদ্ধত্য যেনো নমরূদ, শাদ্দাদ, ফিরআউনের কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখন মনে হচ্ছে এদের জন্য মুসলিম দেশ দখল এবং মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা নিত্যনৈমিক্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরাক, আফগানিস্তানকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পর অন্যান্য মুসলমান দেশসমূহে হামলা করে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে নির্মমভাবে শহীদ করে যাচ্ছে। কাশ্মীর, ফিলিস্তিনে যুলুম তো চলছেই, প্রকৃতপক্ষে দেখা যাচ্ছে এরা সমস্ত মুসলিম বিশ্বকে করায়ত্ত করার হিংস্র আস্ফালনে উন্মত্ত হয়েছে। কিন্তু মুসলমানরা যে আল্লাহ পাক উনাকে মানেন, সে আল্লাহ পাক তিনি যে নিমিষে তাদের সব মিথ্যা গর্ব আর অহংকার কিভাবে ধূলায় ধূসরিত করে দিতে পারেন বর্তমান গযবসমূহ তার সামান্য উদাহরণ মাত্র।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাফির, মুশরিক, ইহুদী, নাছারা তথা বিধর্মী অমুসলিমদের এখনো সময় আছে তওবা করার। তওবা করে ঈমান আনা অথবা মুসলমানদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সর্বপ্রকার যুলুম বন্ধ করা এবং ‘ভবিষ্যতে যুলুম করবে না’- এ ওয়াদায় আবদ্ধ হওয়া। যুলুম বন্ধ না করার কারণে এবং তওবা না করার কারণে বর্তমানে কাফিররা বন্যা, খরা, তুফান, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাস, তুষারপাত, মহামারি, দাবানল, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, তাপদাহ তেলের খনি ও গ্যাসফিল্ড বিস্ফোরণ, ব্যাঙ, মৌমাছি, দুর্ভিক্ষ, অর্থনৈতিক মন্দা ইত্যাদি দ্বারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে এবং যাবে আর যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি অতীতে ঈমানদারদের উপর নির্যাতনকারী এমনকি স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক, উনার সাথে বিদ্রোহকারী ও রব দাবিকারী। নাঊযুবিল্লাহ! ফিরআউন, কারুন, শাদ্দাদ, নমরূদ ও আবরাহাকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আযাব-গযব দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন। ফিরআউনকে মহান আল্লাহ পাক তিনি লোহিত সাগরে চুবিয়ে মেরেছেন। শাদ্দাদ ও কারুনকে মাটি ধসিয়ে নিশ্চিহ্ন করে মেরেছেন। আর নমরূদকে মেরে ফেলতে মহান আল্লাহ পাক উনার তৈরি একটা কানা-খোঁড়া মশাও ব্যয় হয়নি আর আবরাহাকে ধ্বংস করতে একটা পাখিও ব্যয় হয়নি। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ও মুসলমানদের প্রতি যুলুম করে অতীতের অনেক ক্বওম ধ্বংস হয়ে গেছে, কেউ বাঁচতে পারেনি। একইভাবে বর্তমানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও যূলুম করার কারণে সন্ত্রাসী ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইসরাইল, আমেরিকা ও তাদের দোসর জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, চীন, কানাডা, জাপান, ভারত এরা খোদায়ী গযবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে এবং অবশ্যই যাবে ইনশাআল্লাহ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন- “একজন নবী-রসূল উনাকে শহীদ করলে, কাফফারাস্বরূপ কমপক্ষে সত্তর হাজার লোক ধ্বংস হবে। একজন খলীফা উনাকে শহীদ করলে, কাফফারাস্বরূপ কমপক্ষে পঁয়ত্রিশ হাজার লোক ধ্বংস হবে। আর হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার কারণেই কমপক্ষে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার লোক ধ্বংস হবে।” যদি তাই হয়; তবে কোটি কোটি মুসলমানদেরকে শহীদ করার কাফফারাস্বরূপ কত সংখ্যক কাফির-মুশরিক ধ্বংস হবে তা চিন্তা-ফিকিরের বিষয়। অতএব, বিশ্ব সন্ত্রাসী, যালিম, ইহুদী, নাছারা, কাফির, মুশরিক, তথা বিধর্মী অমুসলিমদের এখনো সময় আছে তওবা করার। তওবা করে ঈমান আনা অথবা মুসলমানদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সর্বপ্রকার যুলুম বন্ধ করা এবং ‘ভবিষ্যতে যুলুম করবে না’- এ ওয়াদায় আবদ্ধ হওয়া। তওবা না করার কারণে খোদায়ী গযবে যেমন- বন্যা, খরা, তুফান, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাস, তুষারপাত, মহামারি, দাবানল, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, তাপদাহ, তেলের খনি ও গ্যাসফিল্ড বিস্ফোরণ, ব্যাঙ, মৌমাছি, দুর্ভিক্ষ, অর্থনৈতিক মন্দা ইত্যাদি দ্বারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
-০-


তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
Read more ...

‘যে মহল্লায়, এলাকায় বা অঞ্চলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে মীলাদ শরীফ


কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ইজমা হয়েছে-
‘যে মহল্লায়, এলাকায় বা অঞ্চলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয়, খাদ্যের আয়োজন করা হয় সে এলাকায় মহামারি, খাদ্যাভাব, অগ্নিকা-, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, খোদায়ী আযাব-গযব ও বালা-মুছীবত থেকে রক্ষা পায়, বিশেষ রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হয়।’
কাজেই দেশ ও দেশের জনগণকে উক্ত বালা-মুছীবত তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদে রাখতে
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সমগ্র মুসলিম দেশে সরকারিভাবে মাসব্যাপী ছুটি ঘোষণা করে
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসমারোহে পালন করা উচিত।


যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, ছহিবু সুলত্বানিন নাছির, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বে যিনি সবচেয়ে বেশি কিতাব লিখেছেন, যিনি হিজরী দশম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও ইমাম, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘ওসায়িল ফী শরহি শামায়িল’ নামক কিতাবে উল্লেখ আছে, “যখন কোনো মুসলমান নিজ বাড়িতে বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে তখন সেই বাড়ির অধিবাসীগণের উপর থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই খাদ্যাভাব, মহামারি, অগ্নিকা-, ডুবে মরা, বালা-মুছীবত, হিংসা-বিদ্বেষ, কু-দৃষ্টি, চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নেন। যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য মুনকার-নকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর উনার অবস্থান হয় মহান আল্লাহ পাক উনার সন্নিধানে সিদকের মাক্বামে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “সুলত্বানুল আরিফীন হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘ওসায়িল ফী শরহি শামায়িল’ নামক কিতাবে আরো উল্লেখ আছে যে, “যে কোনো ঘরে অথবা মসজিদে অথবা মহল্লায় বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা হয় সেই স্থানকে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার ফেরেশতাগণ বেষ্টন করে নেন। আর উনারা সে স্থানের অধিবাসীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশতা অর্থাৎ হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম, হযরত মীকাইল আলাইহিস সালাম, হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম ও হযরত আযরাইল আলাইহিস সালাম উনারা মীলাদ শরীফ তথা বিলাদত দিবস উপলক্ষে ছানা-ছিফত পাঠকারীর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দেশ ও দেশের জনগণকে নিরাপদে রাখতে ৯৭ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশসহ বিশ্বের সমগ্র মুসলিম দেশ তো অবশ্যই এমন কি কাফির, মুশরিকদের দেশেও যে সমস্ত মুসলমানগণ অবস্থান করে তাদেরও দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ-এর মাসে মহা জওক-শওক-এর সাথে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান বিলাদত শরীফ বা আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশার্থে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সারা দেশব্যাপী মীলাদ শরীফ-এর আয়োজন করা ও খাদ্যের আয়োজন করা খাদ্যদ্রব্যসহ সকল পণ্য সামগ্রীর মূল্য হ্রাস করাসহ বিনামূল্যে সরকারিভাবে বিতরণ করা এবং এ ব্যাপারে সরকারিভাবে সবচেয়ে বড় ধরনের বাজেট ও কর্মসূচি গ্রহণ করা অপরিহার্য। তবেই দেশ ও দেশের জনগণ যাবতীয় খাদ্যাভাব, মহামারি, অগ্নিকা-, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি বালা-মুছীবত থেকে পরিত্রাণ লাভ করে সুখে শান্তিতে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ৯৭ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের সরকারের অপরিহার্য কর্তব্য হবে এ বছর পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ-এর মাস থেকেই প্রতিবছর উপরোক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারা মাস ও বছর ব্যাপী পালনের অনুভূতিকে ত্বরান্বিত করা, শানিত করা এবং জাগ্রত করা। এ লক্ষ্যে সমগ্র মুসলিম ও মুসলিম রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমরা, এমপি-মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ সকলেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
-০-


তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
Read more ...

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি আমার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করলে তা আমার কানে পৌঁছে।


নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি আমার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করলে তা আমার কানে পৌঁছে।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
নিজ কান মুবারকে উম্মতের ছলাত বা দুরূদ শরীফ ও সালাম শুনেন।
যা উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলতের মধ্যে একটা বিশেষ ফযীলত।


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত- রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার ছলাত (দুরূদ শরীফ) পাঠ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার প্রতি দশটি রহমত নাযিল করবেন। (মুসলিম শরীফ)
আসন্ন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর অর্থাৎ কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪৩৩ হিজরী-এর গুরুত্ব ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা ও ফাযায়িল-ফযীলত আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার ছলাত (দুরূদ শরীফ) পাঠ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার উপর দশবার রহমত নাযিল করবেন এবং তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে ও তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।” (নাসাঈ শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ছলাত বা দুরূদ শরীফ পাঠের ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত- হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “ওই ব্যক্তিই কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যে আমার প্রতি অধিক মাত্রায় দুরূদ শরীফ পাঠ করবে।” (তিরমিযী শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আলোচ্য হাদীছ শরীফ দ¦ারা প্রমাণিত হয় যে, দরূদ শরীফ পাঠের কত ফযীলত। যে আমল করলে একই সাথে তিনটি ফযীলত পাওয়া যায় তথা দশটি রহমত নাযিল হয়, দশটি গুনাহ মাফ হয় এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি হয়। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই দোয়া আকাশ ও যমীনের মাঝখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। তোমরা রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ না করা পর্যন্ত দোয়া মোটেও উপরে উঠবে না। (তিরমিযী শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি “জিয়াউল ইফহাম” কিতাবের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “কোনো ব্যক্তি আমার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করলে তা আমার কান মুবারকে পৌঁছে। তখন আমরা (ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) জিজ্ঞেস করলাম, এটা আপনার বিছাল শরীফ-এর পরও? উত্তরে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, হ্যাঁ এ নিয়ম বিছাল শরীফ-এর পরেও বলবৎ থাকবে।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি “আনিসুল জালীস” কিতাবের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন “হে আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ! আমার বিছাল শরীফ-এর পর প্রতি সোমবার ও শুক্রবার বেশি করে দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন, আপনাদের দুরূদ শরীফ আমি সরাসরি শুনি।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি “দালায়িলুল খাইরাত” কিতাবের বরাত দিয়ে বলেন, “একদা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনার থেকে দূরে অবস্থানকারী ও পরবর্তীকালে পৃথিবীতে আগমনকারীদের দুরূদ শরীফ পাঠ আপনার দৃষ্টিতে কি রকম হবে? তিনি ইরশাদ করেন, আন্তরিক, অকৃত্রিম ভালোবাসা সহকারে দুরূদ শরীফ পাঠকারীদের দুরূদ শরীফ আমি নিজেই শুনি এবং তাদেরকেও চিনি। আর যাদের অন্তরে আমার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা নেই, তাদের দুরূদও আমার কাছে পেশ করা হয়।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি “দারিমী শরীফ”-এর উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সারা পৃথিবীতে বিচরণকারী এমন কতিপয় ফেরেশতা রয়েছেন যাঁরা আমার উম্মতগণের সালাম আমার নিকট পৌঁছিয়ে দিয়ে থাকেন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত ইবনুল হাজ্জ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “আমাদের সুবিখ্যাত উলামায়ে কিরাম বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পূর্বের সময় ও পরবর্তী সময়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি নিজ উম্মতকে দেখেন, তাদের অবস্থা, নিয়ত, ইচ্ছা ও মনের কথা জানেন। এগুলো উনার কাছে সম্পূর্ণরূপে সুস্পষ্ট, কোনোরূপ অস্পষ্টতা বা পুশিদা থাকে না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অকাট্যভাবেই প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ কান মুবারকে দুরূদ শরীফ ও সালাম পাঠ শুনেন। যা উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলতেরই বহিঃপ্রকাশ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা-মর্তবা বর্ণনা করে শেষ করার মতো নয় বরং বলতে হবে শুরু করা যাবে কিন্তু শেষ করা যাবে না। উনার ফাযায়িল-ফযীলত শ্রেষ্ঠত্বের বর্ণনা করতে গিয়ে সমুদ্রের পানিকে কালিস্বরূপ এবং সমস্ত গাছ-পালাকে কলমরূপে ব্যবহার করে সমস্ত জিন-ইনসান কিয়ামত পর্যন্ত লিখতে থাকলেও সমস্ত কিছুই নিঃশেষ হয়ে যাবে, তবুও উনার ফাযায়িল-ফযীলত বা শ্রেষ্ঠত্বের কিঞ্চিত বর্ণনাও লিখে শেষ করা যাবে না। এক কথায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু আল্লাহ পাক নন, এছাড়া সকল ছানা-ছিফত, মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত-এর অধিকারী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-সিফত করবে, শান-মান বর্ণনা করবে প্রকৃতপক্ষে সে নিজেই ফায়দা লাভ করবে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত হাসসান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার প্রশংসামূলক কবিতার দ্বারা আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান কিছুই বাড়াতে পারিনি। বরং উনার ছানা-সিফত বা প্রশংসা করার কারণে আমার কবিতা এবং আমি নিজেই সম্মানিত ও মর্যাদাবান হয়েছি।’ সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আমাদের সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা উপলব্ধি করতঃ উনার প্রতি যথাযথ তা’যীম-তাকরীম ও সম্মান প্রদর্শন এবং পরিপূর্ণ ছানা-সিফত করার মাধ্যমে মহান মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিল করা।


তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
Read more ...

আজ মহামহিমান্বিত ৭ই রবীউল আউয়াল শরীফ


আজ মহামহিমান্বিত ৭ই রবীউল আউয়াল শরীফ
মুবারক হো-
সাইয়্যিদাতুন নিসা, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম,
আফদ্বালুন নিসা বা’দাল আম্বিয়ায়ি ওয়া উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম,
যামানার উম্মুল মু’মিনীন, উম্মুল উমাম, আওলাদে রসূল,
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার মুবারক বিলাদত শরীফ।


সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।
আজ মহামহিমান্বিত ৭ই রবীউল আউয়াল শরীফ। সাইয়্যিদাতুন নিসা, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম, আফদ্বালুন নিসা বা’দাল আম্বিয়ায়ি ওয়া উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ।
যিনি সর্বোত্তম, সর্বশ্রেষ্ঠ ও পরিপূর্ণরূপে অন্তরে ধারণ করেছেন মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে-
এবং বুক মুবারক-এ ধারণ করেছেন খলীফাতুল উমাম হযরত মুজাদ্দিদে ছানী আলাইহিস সালাম;
ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম, হযরত শাহযাদী উলা ক্বিবলা আলাইহাস সালাম;
ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাদেরকে।
এবং মুবারক আহলে বাইত শরীফ-এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন কুতুবুল আলম, বাবুল ইলম, শাফীউল উমাম হযরত শাহদামাদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে।
পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ তথা মুজাদ্দিদে আ’যম উনার মুহতারাম সহধর্মিণী হিসেবে উম্মুল উমাম, মুহতারামা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার এক সেকেন্ডের খিদমত, মুরীদ-মুতাক্বিদ অন্য সবার সম্মিলিত খিদমতের চেয়ে লক্ষ-কোটি গুণ ঊর্ধ্বে, যথাযথই তিনি সাইয়্যিদায়ে মঈনে মুজাদ্দিদে আ’যম। তিনি এ যামানার মু’মিন মুসলমানগণের রূহানী মাতা তথা উম্মুল মু’মিনীন। উম্মাহর মাতা তথা উম্মুল উমাম।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সাইয়্যিদাতুন নিসা, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম, আফদ্বালুন নিসা বা’দাল আম্বিয়ায়ি ওয়া উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, যামানার উম্মুল মু’মিনীন, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বিলাদত শরীফ, উনার বেমেছাল শান, মান, মর্যাদা, ফাযায়িল, ফযীলত সম্পর্কে মুসলিম উম্মাহ চরম বেখবর। অথচ উনাদের উসীলায়ই মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা রহমত, বরকত, ছাকীনা ও ইহসান যমীনে নাযিল করে থাকেন।
প্রসঙ্গত হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে যে নিয়ামত দান করেছেন তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। আর আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভ করার জন্য। আর আমার আহলে বাইত আলাইহিমুস সালামগণ উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য।”
মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযূর্গী সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণেই অনেকে উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই ফরয। কেননা, যে বিষয়টা আমল করা ফরয সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয।
প্রসঙ্গতঃ ‘সূরা কাহাফ-এর ১০৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, আমার রব মহান আল্লাহ পাক উনার শান-মান লিখার জন্য যদি সমুদ্রের পানিকে কালি বানানো হয় তবুও মহান আল্লাহ পাক উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত শেষ হওয়ার পূর্বেই সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে। আরো অনুরূপ যোগ করা হলেও।”
বলাবাহুল্য, এটা যেমন স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার শান মুবারকে তেমনি উনার হাবীব আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানেও এবং সাথে সাথে উনাদের রঙে রঞ্জিত মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদাতুন নিসা, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম, আফদ্বালুন নিসা বা’দাল আম্বিয়ায়ি ওয়া উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাদের শানেও যথাযোগ্যভাবে প্রযোজ্য।
সঙ্গতকারণেই এই সুমহান বিলাদত শরীফ-এর তাৎপর্য, গুরুত্ব, মহত্ত্ব, শান-শওকত লিখিবার যেমন কোন ভাষার শুরু এবং শেষ নাই তেমনি বিলাদত শরীফ পালনের ব্যাপকতার, ঘনঘটার, শান-শওকতেরও তথা সমন্বিত আয়োজনেরও কোন পরিশেষ নাই। সবকিছুই এখানে ব্যর্থ। সম্পৃক্ত শুধুই অক্ষমতা প্রকাশ। অনিবার্য এখানে ক্ষমা প্রার্থনা।
বলার অপেক্ষা না রেখে আমরাও তাই এই সুমহান বিলাদত শরীফ প্রসঙ্গে আমাদের সব অক্ষমতার ভারে প্রথমেই করছি শেষ স্তরের ক্ষমা প্রার্থনা। নিবেদন করছি সমগ্র সত্তার নিংড়ানো নিবেদিত মুহব্বত ও শেষ স্তরের আত্মসমপূর্ণ।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলে বাইত শরীফ সম্পর্কে ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাইনা। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইতগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা/২৩)
আবারো বলতে হয়, এক্ষেত্রে বর্তমান যামানায় হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাঝে লক্ষ্যস্থল হলেন, সাইয়্যিদাতুন নিসা, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম, আফদ্বালুন নিসা বা’দাল আম্বিয়ায়ি ওয়া উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনি। উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ, উনাদের সমন্বিত নিয়ামত নিবিষ্টভাবে পরিপূর্ণ হয়েছে উনার মাঝে। বিশেষত: বেমেছালভাবে ফুটে উঠেছে উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম ও উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, আমল-খিদমত, তায়াল্লুক-নিছবত থেকে তা’লীম তরবিয়ত সবকিছু। (সুবহানাল্লাহ!)
উনার সাথে খাছ তায়াল্লুক নিছবত হাছিলের মাধ্যমেই কেবলমাত্র সম্ভব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি হাছিল করা। সুবহানাল্লাহ!
বলাবাহুল্য, হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি বর্তমান মুসলিম উম্মাহর জন্য সুমহান আদর্শ। উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করেই মুসলিম নারী বুঝতে পারবে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম, মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের শান-মান, মর্যাদা, বুযূর্গী-সম্মান এবং হাছিল করতে পারবে নিছবত।
প্রসঙ্গত আরো উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম, উনার ফায়িয-তাওয়াজ্জুহ লাভের মাধ্যমে অর্থাৎ উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে নারী টিজিং, নারী নির্যাতন, পরকীয়া, লিভ টুগেদার, পারিবারিক বন্ধন ভঙ্গ, আত্মহত্যার প্রবণতা, মাদকাসক্তি, খুন থেকে শুরু করে সব ধরনের সামাজিক অবক্ষয় থেকে দেশ জাতি মুক্তি লাভ করবে। কারণ, তাতে সব মায়েরাই রূহানী যোগ্যতা হাছিল করবে। এবং এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের সন্তানরাও ভাল হয়ে যাবে। সুতরাং বলতে গোটা দেশ-জাতিই শুদ্ধ হয়ে যাবে।
সঙ্গতকারণেই মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে এমন ফযীলত হাদিয়া করেছেন যেন উভয়ে উভয়ের প্রতিবিম্ব। প্রতিচ্ছবি। পার্থক্য শুধু একজন মুজাদ্দিদে আ’যম। অপরজন জাওযাতুন মুজাদ্দিদে আ’যম।
সঙ্গতকারণেই এর পরিসর কেবল রাজারবাগ শরীফ অথবা রাজারবাগ শরীফ-এর সিলসিলাভুক্ত পরিম-লেই পরিশেষ হবার জন্য নয়।
বরং অনিবার্য কারণেই তথা নিজস্ব প্রয়োজনেই পৃথিবীর প্রত্যেক মা-বোনদের সাইয়্যিদাতুন নিসা, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম, আফদ্বালুন নিসা বা’দাল আম্বিয়ায়ি ওয়া উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপূর্ণ ইলম পরিপূর্ণভাবে অর্জন করতে হবে।
গোটা বিশ্বপরিসরেই এর পর্যালোচনা করিতে হবে। গোটা বিশ্বব্যাপীই এই সুমহান বিলাদত শরীফ ব্যাপক শান-শওকত ও জওক-শওক তথা যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য এবং সর্বশেষ প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটিয়ে পালন করতে ইবে। এবং দিন দিন উত্তরোত্তর এটার ব্যাপকতা বিস্তর বিস্তার ঘটাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
মূলতঃ এর উপরই নির্ভর করবে ভক্ত মুরীদ-মুতাকিদ, আশিকীন-মুহেব্বীন বিশেষতঃ আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত তথা আন্তর্জাতিক আল বাইয়্যিনাত-এর মূল্যায়ন অথবা অর্জিত সফলতা বা ব্যর্থতা।
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি মহান মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, দস্তগীর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাইয়্যিদাতুন নিসা, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম, আফদ্বালুন নিসা বা’দাল আম্বিয়ায়ি ওয়া উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উছীলায় তা খুলুছিয়াতের সাথে পালন করার তাওফিক দান করুন। (আমীন)

তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
Read more ...