by Admin
|
posted: Thursday, December 22, 2011
|
‘আত তাক্বউইমুশ শামসি’ সৌর ক্যালেন্ডার পৃথিবীর কোনো ক্যালেন্ডারের অনুকরণে তৈরি না করে বরং খাছ খোদায়ী মদদে ইলহাম, ইলকার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই সৌর ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন এবং নামকরণ করেছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুজাদ্দিদ আ’যমে ছানী, আওলাদে রসূল, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
রোমান ক্যালেন্ডারে ৪টি মাস ছিল ৩১ দিনে, ৭টি মাস ছিল ২৯ দিনে, ১টি মাস ছিল ২৮ দিনে। এভাবে বছর ছিল ৩৫৫ দিনে। পরে তারা ২২ অথবা ২৩ দিনের একটি নতুন মাস প্রত্যেক দ্বিতীয় বছর যোগ করতো। এই মাসটিকে বলা হতো মার্সিডোনিয়াস। কিন্তু জুলিয়াস সিজার (ঈসায়ী পূর্ব ৪৫ সাল) এই রোমান ক্যালেন্ডারকে কিছুটা সংশোধন করে, তখন ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা (৩৬৫.২৫) হিসেবে সৌর বৎসর গণনা করা হতো। মাস গণনা করা হতো ৩০ অথবা ৩১ দিনে আর ৬ ঘণ্টার হিসাব মেলাবার জন্য চার বছর পরপর ৩৬৬ দিনে বছর গণনা করা হতো।
আমরা জানি ২০ অথবা ২১শে মার্চে দিন রাত্রি সমান হয়। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার যেহেতু ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা হিসেবে ধরা হতো অর্থাৎ প্রকৃত সৌর বৎসর (৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট, ৪৬ সেকেন্ড) এর চেয়ে ১১ মিনিট বেশি ছিল। ফলে দেখা গেলো ১৫ শতকে এসে ২১শে মার্চের পরিবর্তে ১১ মার্চ দিন-রাত্রি সমান হচ্ছে। ফলে এই ১০ দিনের সংশোধন করে ৫ অক্টোবর, শুক্রবার ১৫৮২ সালের পরিবর্তে ১৫ অক্টোবর ১৫৮২ সাল হিসেবে পরিবর্তন আনা হয়। বর্তমান গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের বাৎসরিক বিচ্যুতি প্রায় ২৭ সেকেন্ড। অথচ আত-তাক্বউইমুশ শামসি ক্যালেন্ডারের বাৎসরিক বিচ্যুতি ০.২ সেকেন্ডেরও কম।
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
by Admin
|
posted: Wednesday, December 21, 2011
|
‘আত তাক্বউইমুশ শামসি’ সৌর ক্যালেন্ডার পৃথিবীর কোনো ক্যালেন্ডারের অনুকরণে তৈরি না করে; বরং খাছ খোদায়ী মদদে ইলহাম, ইলকার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই সৌর ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন এবং নামকরণ করেছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুজাদ্দিদ আ’যমে ছানী, আওলাদে রসূল, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।
‘আত-তাক্বউইমুশ শামসি’ এই ক্যালেন্ডারের গণনা পদ্ধতি খুব সহজ। প্রতিটি বেজোড়তম মাস যেমন ১, ৩, ৫,৭, ৯, ১১ হবে ৩০ দিনের এবং জোড়তম মাস যেমন ২, ৪, ৬, ৮, ১০ হবে ৩১ দিনে। ব্যতিক্রম হবে ১২তম মাস; এটি জোড়তম মাস হলেও ৩০ দিনে গণনা করতে হবে; তবে ৪ বছর পরপর ১২তম মাস ৩১ দিনে হবে। তবে ১২৮ বছর পর পর ৩১ দিনে হবে না। বছরের শেষ দিন পরিবর্তন হওয়াতে সমস্যা সৃষ্টি হয় না। কেননা নতুন বছর শুরু হয়ে যায়।
কিন্তু গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের কোনো মাস কত দিনে এটা মনে রাখতে কবিতা নতুবা হাতের কব্জি ব্যবহারের ঘটনা কারো অজানা নয়। এছাড়াও ফেব্রুয়ারি মাস হচ্ছে এই ক্যালেন্ডারের দ্বিতীয় মাস অথচ এই দ্বিতীয় মাসটিতে লিপইয়ার সংঘটিত হয়, ফলে বাকি ১০টি মাসই ১ দিন পিছিয়ে যায়। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
by Admin
|
posted: Tuesday, December 20, 2011
|
‘আত তাক্বউইমুশ শামসি’ সৌর ক্যালেন্ডার পৃথিবীর কোনো ক্যালেন্ডারের অনুকরণে তৈরি না করে বরং খাছ খোদায়ী মদদে ইলহাম, ইলকার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই সৌর ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন এবং নামকরণ করেছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।
আজকের প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার এসেছে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে। আর জুলিয়ান ক্যালেন্ডার এসেছে রোমান ক্যালেন্ডার থেকে। রোমানদের জীবন ছিল কুসংস্কারে ভরা। তারা দেব-দেবীর উপাসনা করতো, ফলে তাদের ক্যালেন্ডারে অনেক মাসের নাম; অনেক দিনের নাম রেখেছিলো দেব-দেবীর নামে যা আজো চলে আসছে। তারা জোড় সংখ্যাকে অশুভ মনে করতো ফলে মাস গণনা করতো ২৯ দিনে অথবা ৩১ দিনে। সেই রোমান ক্যালেন্ডারকে কিছুটা সংশোধন করে রোমান স¤্রাট জুলিয়াস সিজারের স্মরণে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার নাম রাখা হয়েছিলো। পরবর্তীতে এই ক্যালেন্ডারের ত্রুটির কারণে আবারো সংশোধন করা হয়।
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের নামকরণ করা হয়েছিলো চরিত্রহীন খ্রিস্টান যাজক পোপ গ্রেগরির নামে। অথচ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসি’ কালেন্ডার রচনা করা হয়েছে মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্মরণে। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্মরণ মূলত মহান আল্লাহ পাক উনারই স্মরণ।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বিছাল শরীফ-এর তারিখ ১১ হিজরী, ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ, সোমবার শরীফ।
জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ তারিখ ৮ই জুন, ৬৩২ ঈসায়ী এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১১ই জুন ৬৩২ ঈসায়ী। কিন্তু ‘আত তাক্বউমুশ শামসি’ ক্যালেন্ডার শুরু হয়েছে ১১ হিজরী সনের রবীউল আউয়াল মাসের পহেলা তারিখ থেকে (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ৩১ মে, ৬৩২ ঈসায়ী) যা কিনা এই ক্যালেন্ডারের ০ বছর ১ মাস ১ম দিন। ফলে ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসি ক্যালেন্ডারের ০ বছরের ১ম মাসের ১২ তারিখ হচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর তারিখ। (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১১ই জুন ৬৩২)
সুতরাং যে ক্যালেন্ডার রচনার উদ্দেশ্য মূলত মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের স্মরণ সেই ক্যালেন্ডারই ব্যবহার করতে হবে আর কাফিরদের স্মরণে রচিত বাকি সব ক্যালেন্ডারের ব্যবহার বর্জন করা অপরিহার্য হয়ে পড়বে। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
by Admin
|
posted: Monday, December 19, 2011
|
আরবীতে ‘তাক্বউইম’ অর্থ ক্যালেন্ডার আর শামস অর্থ হচ্ছে সূর্য আর দু’য়ে মিলে হয়েছে, “আত তাক্বউইমুশ শামসি”। অনেকের ধারণা মুসলমানগণ শুধু হিজরী ক্যালেন্ডার বা চাঁদের ক্যালেন্ডারই ব্যবহার করবে, সৌর ক্যালেন্ডার নয়। আসলে তা নয়। মুসলমানগণের দৈনন্দিন আমলসমূহ চাঁদের সাথে সাথে সূর্যের সাথেও জড়িত। যেমন ওয়াক্ত অনুযায়ী নামায পড়া বা মাকরূহ ওয়াক্তে নামায না পড়া ইত্যাদি। আর সে কারণে সৌর ক্যালেন্ডারেরও প্রয়োজন রয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- ‘গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার’ নামে তো একটি সৌর ক্যালেন্ডার রয়েছে তারপরেও কেন প্রয়োজন নতুন একটি সৌর ক্যালেন্ডারের?
এর উত্তর অনেক দীর্ঘ এবং গভীর। মুসলমানগণের জন্য যে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নয় তার বেশ কিছু কারণ আমরা দৈনিক আল ইহসান শরীফ থেকে জেনেছি। সময়মতো আরো প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ। যাই হোক আমরা ফিরে আসছি এ ক্যালেন্ডারের নাম এবং রচনার ব্যাপারে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তোমরা কাফির, মুশরিক তথা ইহুদী-নাছারা ও মুশরিকদেরকে অনুসরণ করো না।” এছাড়াও হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুসরণ করবে সে ব্যক্তি তাদেরই দলভুক্ত বলে গণ্য হবে।”
আর সে কারণেই যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক দোয়া এবং পৃষ্ঠপোষকতায় উনার খাছ আওলাদ, আওলাদে রসূল, কুতুবুল আলম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সঙ্গে গভীর নিছবতের কারণে এই মুবারক ক্যালেন্ডার রচনা করেন। এই ক্যালেন্ডার রচনার মূল উদ্দেশ্য মুসলমানগণ যেন কাফিরদের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ না করে বরং এই মুবারক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফ-এর পূর্ণ অনুসরণ করতে পারেন
এই সৌর ক্যালেন্ডার পৃথিবীর কোনো ক্যালেন্ডারের অনুকরণে তৈরি না করে বরং খাছ খোদায়ী মদদে ইলহাম, ইলকার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই সৌর ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন এবং নামকরণ করেছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
Recent Comments