‘দান করলে সম্পদ কমে না’ এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক হলেন আল মুতাছদ্দিক্ব আল আউওয়ালু, খাইরি উম্মাতি, আর রাশিদু, আছ ছাদিকু, খলীফায়ে ছালিছ, আমিরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি


একবার আখিরী রসূল, নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে উনার সম্মানিত দামাদ আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি এসে আরজি করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; আমাকে আমার সম্পদ কমে যাওয়ার কোনো তাসবীহ দান করুন।’ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একথা শুনে আশ্চর্য প্রকাশ করলেন। এবং বললেন, কী ব্যাপার হে আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, লোকজন ধন-সম্পদ বাড়াতে চায়। আর আপনি সম্পদ কমে যাবার জন্য দোয়া মুবারক চাইছেন। এতে আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, অন্যান্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অনেক নফল ইবাদত করেন। বেশি বেশি পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করেন। কিন্তু আমার মনে হয় আমি বেশি সম্পদের হিসাবের কারণে ততটুকু করতে পারি না।
তখনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি এসে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্পদ কমানোর তাসবীহ মহান আল্লাহ পাক তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন- ‘আপনি যদি আপনার সম্পদ কমাতে চান, তাহলে আপনি যেন মহান আল্লাহ পাক উনার পথে দান কমিয়ে দেন।’
একথা মুবারক শুনে আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, এটা কিভাবে সম্ভব যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে সম্পদ দান করবেন, আর আমি উনার পথে খরচ করবো না? তখন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন- ‘এটাও কি সম্ভব যে, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পথে দান করবেন অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্পদ বাড়িয়ে দিবেন না। সুবহানাল্লাহ!

█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-মুহম্মদ রেজা-ই-রহমান। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Read more ...

নবী-রসূল আলাইহিমুস্‌সালামগণের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের দৃষ্টিতে সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গুরুত্ব ও ফযীলত।


(১)
খলীফাতু রসুলিল্লাহ হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন -
“যে ব্যক্তি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মীলাদ শরীফ পাঠ (মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষ্যে এক দিরহাম ব্যয় করবে সে জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবে।” (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নি’মাতুল কুবরা)
(২)
আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন -
“যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে (বিলাদত দিবসকে) বিশেষ মর্যাদা দিল সে মূলতঃ ইসলামকেই পূনরুজ্জীবিত করল।“ (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নি’মাতুল কুবরা)
(৩)
আমীরুল মু’মিনীন হযরত ওসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন -
“যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করল সে যেন বদর ও হুনায়েন যুদ্ধে শরীক থাকল।” (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নি’মাতুল কুবরা)
(৪)
আমীরুল মু’মিনীন হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন -
“যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করল সে ব্যক্তি অবশ্যই ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে এবং বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (আন্‌ নি’মাতুল কুবরা)


জগৎখ্যাত, সর্বজনমান্য, সকলের নিকট অনুসরণীয় হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের দৃষ্টিতে সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গুরুত্ব ও ফযীলত

(৫)
হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -
“আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি ওহুদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণ থাকত তাহলে তা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে ব্যয় করতাম। (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নেয়ামাতুল কুবরা)
(৬)
হযরত ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -
“যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষ্যে লোকজন একত্রিত করলো এবং খাদ্য তৈরি করলো ও জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং মীলাদ পাঠের জন্য উত্তম ভাবে (তথা সুন্নাহ ভিত্তিক) আমল করলো তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক হাশরের দিন সিদ্দীক শহীদ, সালেহীনগণের সাথে উঠাবেন এবং তাঁর ঠিকানা হবে জান্নাতে নাঈমে।” (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নেয়ামাতুল কুবরা)
(৭)
হযরত মারুফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -
“যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে খাদ্যের আয়োজন করে, অতঃপর লোকজনকে জমা করে, মজলিশে আলোর ব্যবস্থা করে, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নতুন লেবাস পরিধান করে,মীলাদুন্নবীর তাজিমার্থে সু-ঘ্রাণ ও সুগন্ধি ব্যবহার করে। আল্লাহ পাক তাকে নবী আলাইহিমুস্‌ সালামগণের প্রথম কাতারে হাশর করাবেন এবং সে জান্নাতের সুউচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত হবে।“ (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নেয়ামাতুল কুবরা)
(৮)
হযরত ইমাম সাররী সাক্বত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -
“যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করল সে যেন তার জন্য জান্নাতে রওজা বা বাগান নিদিষ্ট করলো। কেননা সে তা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুহব্বতের জন্যই করেছে। আর আল্লাহ্‌ পাক-এর রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসবে সে আমার সাথেই জান্নাতে থাকবে।” (তিরমিযি, মিশকাত, আন নেয়ামাতুল কুবরা)
(৯)
সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -
“যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আয়োজনে উপস্থিত হল এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করলো। সে তার ঈমানের দ্বারা সাফল্য লাভ করবে অর্থাৎ সে বেহেশ্‌তি হবে।” (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নি’মাতুল কুবরা)
(১০)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -
“যে ব্যক্তি মিলাদ শরীফ পাঠ করে বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে, লবণ, গম বা অন্য কোন খাদ্য দ্রব্যের উপর ফুঁক দেয়, তাহলে এই খাদ্য দ্রব্যে অবশ্যই বরকত প্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোন কিছুর উপরই পাঠ করুক না কেন। (তাতে বরকত হবেই)”। (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নি’মাতুল কুবরা)
(১১)
হযরত ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন -
উক্ত মোবারক খাদ্য মীলাদ পাঠকারীর বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকারীর জন্য আল্লাহ পাকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি তাকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সে ক্ষান্ত হয়না। (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নি’মাতুল কুবরা)
(১২)
হযরত ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন -
যদি মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে কোন পানিতে ফুঁক দেয়, অতঃপর উক্ত পানি কেউ পান করে তাহলে তার অন্তরে এক হাজার নূর ও রহমত প্রবেশ করবে। আর তার থেকে হাজারটি বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ রোগ দূর হবে। যে দিন সমস্ত ক্বলব (মানুষ) মৃত্যুবরণ করবে সেদিনও ঐ মীলাদুন্নবীর পানি পানকারী ব্যক্তির অন্তর ম"ত্যু বরণ করবে না। (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নি’মাতুল কুবরা) (চলবে)
(১৩)
হযরত ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন -
যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদ্‌্‌যাপন করে রৌপ্যের অথবা স্বর্ণের দেরহামসমূহের উপর ফুঁক দেয় অতঃপর তা অন্য জাতীয় মুদ্রার সাথে মিশায় তাহলে তাতে অবশ্যই বরকত হবে। এবং এর পাঠক কখনই ফকীর হবে না।
আর উক্ত পাঠকের হাত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর (মীলাদ পাঠের) বরকতে কখনও খালি হবে না। (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নি’য়ামাতুল কুবরা)
(১৪)
হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -
যে স্থানে বা মসজিদে অথবা মহল্লায় মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয় বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদ্‌্‌যাপন করা হয় সেখানে অবশ্যই আল্লাহ পাকের ফেরেস্তাগণ বেষ্টন করে নেন। আর তাঁরা সে স্থানের অধিবাসী গণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন। আর আল্লাহ পাক তাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেস্তা, অর্থাৎ হযরত জিব্রাইল, মীকাইল, ইসরাফিল ও আযরাইল আলাইহিমুস্‌্‌ সালামগণ মীলাদ শরীফ পাঠকারীর উপর বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকারীর উপর সালাত-সালাম পাঠ করেন। (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নি’মাতুল কুবরা)
(১৫)
ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন -
“যখন কোন মুসলমান নিজ বাড়ীতে মীলাদ শরীফ পাঠ করে তখন সেই বাড়ীর অধিবাসীগণের উপর থেকে আল্লাহ্‌ পাক অবশ্যই খাদ্যাভাব, মহামারী, অগ্নিকাণ্ড, ডুবে মরা, বালা মুসিবত, হিংসা-বিদ্বেষ, কু-দৃষ্টি, চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নেন। যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন আল্লাহ পাক তাঁর জন্য মুনকীর-নকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর তাঁর অবস্থান হয় আল্লাহ্‌ পাক-এর সন্নিধানে সিদকের মাকামে। (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নেয়ামাতুল কুবরা) যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর তাযীম করতে চাইবে তার জন্য উপরোক্ত বর্ণনা যথেষ্ট।
আর যে ব্যক্তির নিকট ঈদে মীলাদুন্নবীর তা’যীম নাই (সম্মান করে না) সারা দুনিয়া পূর্ণ করেও যদি তাঁর প্রশংসা করা হয় তথাপিও তার অন্তর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মহব্বতে প্রকম্পিত হবে না।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে তাদের দলভুক্ত করুন যারা ঈদে মীলাদুন্নবীর মর্যাদা দান করেন এবং এর মর্যাদা উপলব্ধি করেন। তিনি আমাদেরকে তাঁর হাবীব, নবী গনের নবী, রসূল গনের রসূল, নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আখাস্‌সুল খাস মুহিব্বীন ও অনুসারী বানিয়ে দিন। আমীন। ইয়া রব্বুল আলামীন, আয় আল্লাহ পাক, সালাত ও সালাম বর্ষিত করুন সাইয়্যিদুনা নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর পরিবার ও সাহাবীগণের প্রতি কেয়ামত পযর্ন্ত।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Read more ...

কথিত আইএস’র বোমা হামলার কারণে ফ্রান্সের পক্ষপাতিত্ব করছেন? আপনি কি জানেন ফ্রান্সের মুসলিমবিদ্বেষী ইতিহাস কতোটা ভয়াবহ?


ফ্রান্সে সন্ত্রাসবাদী আইএস’র নাটকীয় হামলায় কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে তাদের জন্য মায়া কান্না কাঁদছেন? আপনি কি জানেন ফ্রান্স নিজে কতো বড় সন্ত্রাসবাদী দেশ? আপনি কি জানেন পূর্বে এবং বর্তমানে কতজন মুসলমানকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে? তাহলে একনজরে দেখে নিন তাদের সন্ত্রাসের কালো ইতিহাস-
১. ক্রুসেড যুদ্ধের সময় মুসলিমদের দুনিয়ার যমীন থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিলো ফ্রান্স। (তথ্যসূত্র: ক্রুসেডস, উইকিপিডিয়া)
২. উসমানীয় খিলাফতের পতন ঘটিয়েছিল ফ্রান্স। (তথ্যসূত্র: উসমানীয় খলীফা, উইকিপিডিয়া)
৩. ১৯৬০ সালে আফ্রিকায় ৫০বারেরও বেশি সেনা পাঠিয়ে আফ্রিকান মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে এই সন্ত্রাসবাদী ফ্রান্স। (তথ্যসূত্র: লেখক ফ্রান্সিস ডি’অ্যালেনকোন ফ্রান্সের ‘লিডোভি নোভিনি’ নামক পত্রিকায় এ তথ্য দিয়েছে)
৪. আলজেরিয়াতে ১০ মিলিয়ন মুসলিমকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এই ফ্রান্স। (তথ্যসূত্র: বিবিসি/২৩ জানুয়ারি ২০১৩; ওয়ার্লড বুলেটিন)
৫. পরগাছা ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরবরা যুদ্ধ করতে করতে যখন একের পর এক ইসরাইল ভূমির পতন ঘটাচ্ছিল তখন এই ইসলামবিদ্বেষী ফ্রান্স বলেছিলো- আমাদের সব অস্ত্র নিয়ে ইসরাইলকে রক্ষা করো। [তথ্যসূত্র: Jewish Political Studies Reviwe 18:1-2 (Spring 2006), Jerusalem Center for Public Affairs, Israel]
৬. বর্তমানেও পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যাঙ্গ প্রকাশ করে যাচ্ছে ফ্রান্স।
৭. ফ্রান্সে এখনো কোনো মুসলমান পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তার জেল জরিমানা ও শাস্তি ভোগ করতে হয়। (সূত্র: রেডিও তেহরান/২০ সেপ্টেম্বর ২০১২)
৯. শান্তির দেশ লিবিয়াকে ধ্বংস করার যুদ্ধে আমেরিকাকে সাহায্য করেছে ফ্রান্স। (সূত্র: রেডিও তেহরান/১৯ মার্চ ২০১১)
ফ্রান্সের সন্ত্রাসবাদের ফিরিস্তি তুলে ধরে শুরু করা যাবে, কিন্তু শেষ করা যাবেনা। সবকিছু জেনেও যারা মুসলমান হয়ে ফ্রান্সের পক্ষপাতিত্ব করবে, হারাম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সময় ফ্রান্সের পতাকা উড়াবে তারা কি আদৌ মুসলমান থাকবে?
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-মুহম্মদ ইবরাহীম সোহেল। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Read more ...