‘যে মহল্লায়, এলাকায় বা অঞ্চলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে মীলাদ শরীফ


কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ইজমা হয়েছে-
‘যে মহল্লায়, এলাকায় বা অঞ্চলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয়, খাদ্যের আয়োজন করা হয় সে এলাকায় মহামারি, খাদ্যাভাব, অগ্নিকা-, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, খোদায়ী আযাব-গযব ও বালা-মুছীবত থেকে রক্ষা পায়, বিশেষ রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হয়।’
কাজেই দেশ ও দেশের জনগণকে উক্ত বালা-মুছীবত তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদে রাখতে
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সমগ্র মুসলিম দেশে সরকারিভাবে মাসব্যাপী ছুটি ঘোষণা করে
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসমারোহে পালন করা উচিত।


যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, ছহিবু সুলত্বানিন নাছির, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বে যিনি সবচেয়ে বেশি কিতাব লিখেছেন, যিনি হিজরী দশম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও ইমাম, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘ওসায়িল ফী শরহি শামায়িল’ নামক কিতাবে উল্লেখ আছে, “যখন কোনো মুসলমান নিজ বাড়িতে বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে তখন সেই বাড়ির অধিবাসীগণের উপর থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই খাদ্যাভাব, মহামারি, অগ্নিকা-, ডুবে মরা, বালা-মুছীবত, হিংসা-বিদ্বেষ, কু-দৃষ্টি, চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নেন। যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য মুনকার-নকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর উনার অবস্থান হয় মহান আল্লাহ পাক উনার সন্নিধানে সিদকের মাক্বামে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “সুলত্বানুল আরিফীন হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘ওসায়িল ফী শরহি শামায়িল’ নামক কিতাবে আরো উল্লেখ আছে যে, “যে কোনো ঘরে অথবা মসজিদে অথবা মহল্লায় বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা হয় সেই স্থানকে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার ফেরেশতাগণ বেষ্টন করে নেন। আর উনারা সে স্থানের অধিবাসীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশতা অর্থাৎ হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম, হযরত মীকাইল আলাইহিস সালাম, হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম ও হযরত আযরাইল আলাইহিস সালাম উনারা মীলাদ শরীফ তথা বিলাদত দিবস উপলক্ষে ছানা-ছিফত পাঠকারীর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দেশ ও দেশের জনগণকে নিরাপদে রাখতে ৯৭ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশসহ বিশ্বের সমগ্র মুসলিম দেশ তো অবশ্যই এমন কি কাফির, মুশরিকদের দেশেও যে সমস্ত মুসলমানগণ অবস্থান করে তাদেরও দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ-এর মাসে মহা জওক-শওক-এর সাথে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান বিলাদত শরীফ বা আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশার্থে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সারা দেশব্যাপী মীলাদ শরীফ-এর আয়োজন করা ও খাদ্যের আয়োজন করা খাদ্যদ্রব্যসহ সকল পণ্য সামগ্রীর মূল্য হ্রাস করাসহ বিনামূল্যে সরকারিভাবে বিতরণ করা এবং এ ব্যাপারে সরকারিভাবে সবচেয়ে বড় ধরনের বাজেট ও কর্মসূচি গ্রহণ করা অপরিহার্য। তবেই দেশ ও দেশের জনগণ যাবতীয় খাদ্যাভাব, মহামারি, অগ্নিকা-, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি বালা-মুছীবত থেকে পরিত্রাণ লাভ করে সুখে শান্তিতে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ৯৭ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের সরকারের অপরিহার্য কর্তব্য হবে এ বছর পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ-এর মাস থেকেই প্রতিবছর উপরোক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারা মাস ও বছর ব্যাপী পালনের অনুভূতিকে ত্বরান্বিত করা, শানিত করা এবং জাগ্রত করা। এ লক্ষ্যে সমগ্র মুসলিম ও মুসলিম রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমরা, এমপি-মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ সকলেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
-০-


তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment