কোনো জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে, ধর্মব্যবসায়ী তথা সন্ত্রাসী তৈরিকারী মাদরাসাগুলোতে এবং ভয়ে বা হাতে রাখার উদ্দেশ্যে মাস্তান, গুণ্ডা ও হিরোইনখোরদের কুরবানীর চামড়া দিলে কুরবানী আদায় হবে না।
কুরবানীর চামড়া দেয়ার উত্তম স্থান হলো- ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতীমখানা’

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নেক কাজে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো। বদ কাজে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো না।
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ করেন, ‘যে কেউ একটা বদ কাজের সূচনা করলো যতজন তাতে শরীক হলো তাদের সবার গুনাহ যে বদ কাজের সূচনা করবে তার উপর গিয়ে পড়বে।
তাই কোনো জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে, ধর্মব্যবসায়ী তথা সন্ত্রাসী তৈরিকারী মাদরাসাগুলোতে এবং ভয়ে বা হাতে রাখার উদ্দেশ্যে মাস্তান, গুণ্ডা ও হিরোইনখোরদের কুরবানীর চামড়া দিলে কুরবানী আদায় হবে না।
কুরবানীর চামড়া দেয়ার উত্তম স্থান হলো- ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতীমখানা’

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, মুহইস সুন্নাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কুরবানী একটি ঐতিহ্যবাহী শরয়ী বিধান ও ইসলামী কাজ। যা খাছ সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুন্নতে খলীল আলাইহিস সালাম। আর উম্মতে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্য ওয়াজিব। কাজেই কুরবানী দেয়ার সাথে সাথে কুরবানীর চামড়া কোথায় দেয়া হবে সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সমগ্রস্থানে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আগে ‘ঈমান’ আনার কথা বলেছেন পরে ‘আমলের’ কথা বলেছেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এক খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে প্রায় সবাই মানে কিন্তু সাইয়্যিদুনা হাবীবুনা রসূলুনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে না মানার কারণেই অর্থাৎ আক্বীদার পার্থক্যের কারণেই পৃথিবীতে মুসলমান ব্যতীত হাজারো বিধর্মী তথা কাফিরের দল রয়েছে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ভাষায় তারা সবাই জাহান্নামী যদি তওবা-ইস্তিগফার করে ঈমান না আনে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শুধু কাফির সম্প্রদায়ই নয়, মুসলমান নামধারী অনেক মাওলানা, শাইখুল হাদীছ, মুফতী, মুফাসসির, খতীব তথা অনেক ইসলামী দলও রয়েছে যাদের মূলত খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে আক্বীদা অশুদ্ধ রয়েছে। কাজেই তারা মুসলমান নামধারী হলেও তারা মুসলমানগণের অন্তর্ভুক্ত নয়। তারা ইসলামী দল নামধারী হলেও আসলে তারা মুসলমানগণের অন্তর্ভুক্ত নয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দ্বীন ইসলাম-এ মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ হারাম। দ্বীন ইসলাম উনার নামে ব্যবসা করা হারাম। দ্বীন ইসলাম উনার নামে গণতান্ত্রিক দল করা হারাম। দ্বীন ইসলাম উনার নামে নির্বাচন করা হারাম। দ্বীন ইসলাম উনার নামে ভোট চাওয়া হারাম।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ মাদরাসাগুলোই হচ্ছে জামাতী, ওহাবী, খারিজী মতাদর্শের তথা সন্ত্রাসী তৈরির সূতিকাগার। দ্বীন ইসলাম উনার দোহাই দিয়ে, দ্বনি ইসলাম উনার নামে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক স্বার্থ ও প্রতিপত্তি হাছিলের প্রকল্প। দ্বীন ইসলাম উনার নামে নির্বাচন করার ও ভোটের রাজনীতি করার পাঠশালা- যা দ্বনি ইসলাম উনার আলোকে সম্পূর্ণ হারাম।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কুরবানীর চামড়া কোথায় দেয়া হচ্ছে তা দেখে দিতে হবে। জামাতী, খারিজী, ওহাবী ও সন্ত্রাসী মৌলবাদী তথা ধর্মব্যবসায়ীদের মাদরাসাতে কুরবানীর চামড়া দিলে তাতে কুরবানী আদায় হবে না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, জামাতী, ওহাবী তথা সন্ত্রাসীদের মাদরাসায় কুরবানীর চামড়া দিলে তাতে বদ আক্বীদা ও বদ আমলের প্রচারে সহায়তা করা হবে। সন্ত্রাসী-জামাতী ও ধর্মব্যবসায়ী তৈরিতে সাহায্য করা হবে। তাতে লক্ষ-কোটি কবীরা গুনাহে গুনাহগার হতে হবে তথা কুরবানী ফাসিদ হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ধর্মব্যবসায়ীদের মাদরাসায় কুরবানীর চামড়া না দেয়া খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ। খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ তথা সন্তুষ্টির কারণ। কারণ, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাধ্যমে নির্দেশ করেন, “তোমরা নেককাজে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো। বদকাজে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো না।”

খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে কেউ একটা বদ কাজের সূচনা করলো যতজন তাতে শরীক হলো তাদের সবার গুনাহ যে বদকাজের সূচনা করবে তার উপর গিয়ে পড়বে।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পত্রিকার রিপোর্টে পাওয়া যায়, জামাতী-খারিজী তথা সন্ত্রাসীরা তাদের নিয়ন্ত্রিত মাদরাসায় সংগৃহীত কুরবানীর চামড়ার মাধ্যমে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা আয় করে। যা মূলত তাদের বদ আক্বীদা ও বদ আমল তথা ধর্মব্যবসা ও সন্ত্রাসী কাজেই ব্যয়িত হয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অনুরূপভাবে কোন জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকেও কুরবানীর চামড়া দেয়া জায়িয হবে না। কারণ তারা তা আমভাবে খরচ করে থাকে। যেমন রাস্তা-ঘাট, পানির ব্যবস্থা, বেওয়ারিশ লাশ দাফন করার কাজে। অথচ কুরবানীর চামড়া গরীব মিসকীনদের হক্ব। তা গরীব মিসকিনদের মালিক করে দিতে হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি যাকাতের একটি রশির জন্যও জিহাদ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। যাকাতের একটি রশির মতই কুরবানীর একটি চামড়াও যাতে ভুল উদ্দেশ্যে ও ভুল পথে পরিচালিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “কুরবানীর রক্ত ও গোশত কিছুই আল্লাহ পাক উনার দরবারে পৌঁছায় না। পৌঁছায় তোমাদের বিশুদ্ধ নিয়ত।” কাজেই বিশুদ্ধ নিয়তে কুরবানীর চামড়া ঠিক জায়গায় দিতে হবে। অনেকে পাড়ার মাস্তান, গুণ্ডাপাণ্ডা, ছিনতাইকারী ও হিরোইনখোরদের ভয়ে বা হাতে রাখার উদ্দেশ্যে তাদের কম দামে কুরবানীর চামড়া দেয়। তাহলে নিয়ত বিশুদ্ধ হবে না এবং কুরবানীও আদায় হবে না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমান যামানায় হক্ব মত-পথ ও সুন্নতী আমলের একমাত্র ও উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো, ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ’। কাজেই যারা কুরবানীর চামড়া দিয়ে সদকায়ে জারিয়ার ছওয়াব হাছিল করতে চান তাদের জন্য কুরবানীর চামড়া, যাকাত, ছদকা ইত্যাদি দেয়ার একমাত্র ও প্রকৃত স্থান হলো ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতীমখানা’।
-০-

তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment