সঠিক স্থানে যাকাত দেয়া ফরয এবং যাকাত কবুল হওয়ার কারণ।
যাকাত দেয়ার উত্তম স্থান হলো- ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতীমখানা’।
ইসলামের নামে রাজনৈতিক ফায়দা হাছিলকারী, সন্ত্রাসবাদী, মৌলবাদী উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীদের মাদরাসায় যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না।
কারণ এদেরকে যাকাত দেয়ার অর্থ হলো- সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও কুফরী মতবাদ বিস্তারে সাহায্য সহযোগিতা করা; যা শরীয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণই হারাম ও কুফরী।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইসলামে গণতন্ত্র, মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ হারাম। ইসলামের নামে ব্যবসা করা হারাম। ইসলামের নামে গণতান্ত্রিক দল করা হারাম। ইসলামের নামে নির্বাচন করা হারাম। ইসলামের নামে ভোট চাওয়া হারাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ মাদরাসাগুলোই হচ্ছে জামাতী, ওহাবী, খারিজী মতাদর্শের তথা সন্ত্রাসী তৈরির সূতিকাগার। ইসলামের দোহাই দিয়ে, ইসলামের নামে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক স্বার্থ ও প্রতিপত্তি হাছিলের প্রকল্প। ইসলামের নামে নির্বাচন করার ও ভোটের রাজনীতি করার পাঠশালা- যা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাকাতের টাকা কোথায় দেয়া হচ্ছে তা দেখে দিতে হবে। জামাতী, খারিজী, ওহাবী ও সন্ত্রাসবাদী-মৌলবাদী তথা ধর্মব্যবসায়ীদের মাদরাসাতে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, জামাতী, ওহাবী সন্ত্রাসীদের মাদরাসায় যাকাত দিলে তাতে বদ আক্বীদা ও বদ আমলের প্রচারে সহায়তা করা হবে। সন্ত্রাসী, জামাতী ও ধর্মব্যবসায়ী তৈরিতে ও কুফরী মতবাদ প্রচারে সাহায্য করা হবে। তাতে লক্ষ-কোটি কবীরা গুনাহে গুনাহগার হতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ধর্মব্যবসায়ীদের মাদরাসায় যাকাত না দেয়া মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ তথা সন্তুষ্টির কারণ। কারণ, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ নির্দেশ করেন, “তোমরা পাপকাজে পরস্পরকে সাহায্য করো না।”
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে কেউ একটা বদকাজের সূচনা করলো যতজন তাতে শরীক হলো তাদের সবার গুনাহ যে বদকাজের সূচনা করবে তার উপর গিয়ে পড়বে।”
অন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “পৃথিবীর পূর্বপ্রান্তে যদি একটা বদকাজ হয় পশ্চিমপ্রান্ত থেকে কেউ তা সমর্থন করে তবে সেও সমান গুনাহে গুনাহগার হবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পত্রিকার রিপোর্টে পাওয়া যায়, জামাতী, খারিজীরা তাদের নিয়ন্ত্রিত মাদরাসায় সংগৃহীত যাকাতের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করে। যা মূলতঃ তাদের বদ আক্বীদা ও বদ আমল তথা সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মব্যবসার কাজেই ব্যয়িত হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে অনেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যজনিত কারণে বা কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে যাকাত দেয়। তাহলে তাদের নিয়ত বিশুদ্ধ হবে না এবং যাকাতও আদায় হবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সূরা তওবার মধ্যে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যাকাতের খাতসমূহ উল্লেখ করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যাকাত- ফকির, মিসকিন ও যাকাত আদায়কারী কর্মচারীদের জন্য, যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা প্রয়োজন তাদের জন্য অর্থাৎ নও মুসলিম, দাস মুক্তির জন্য, ঋণে জর্জরিত ব্যক্তিদের ঋণমুক্তির জন্য, মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় জিহাদকারী এবং মুসাফিরদের জন্য। এটা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্ধারিত বিধান এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।” (সূরা তওবা : আয়াত শরীফ ৬০)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমাদের হানাফী মাযহাবের ইমাম ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদকৃত ৮টি খাত বা শ্রেণীর যে কোন এক শ্রেণীর লোককে যাকাত দিলেই যাকাত আদায় হয়ে যাবে। তবে অবশ্যই উল্লিখিত ৮ শ্রেণীর লোকের আক্বীদা বিশুদ্ধ থাকতে হবে এবং ইসলামের নামে রাজনীতি, মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদও বোমাবাজিসহ সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। উল্লেখ্য, খাইরুল কুরুনের মধ্যে খলীফাগণ উনাদের খিলাফতকালে যাকাতের অর্থ ‘বাইতুল মাল’ নামক ফান্ডে জমা হতো। সেখান থেকে খলীফাগণ উনারা যাকাতের হক্বদারদের মধ্যে যাকাতের মাল সুষম বণ্টন করে দিতেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে যেহেতু দেশে খিলাফত কায়িম নেই। যাকাত বায়তুল মালেও জমা দেয়া হচ্ছে না এবং কুরআন শরীফ-এ উল্লিখিত সর্বপ্রকার খাতও পাওয়া যাচ্ছে না। আর অনেক যাকাতদাতার গরিব আত্মীয়-স্বজন ও গরিব প্রতিবেশী রয়েছে এবং অনেক মাদরাসা রয়েছে যেখানে ইয়াতীমখানাও রয়েছে। তাই যাকাত দেয়ার সহজ ও উত্তম পদ্ধতি হলো- যাকাতের মালকে তিনভাগ করে একভাগ গরিব আত্মীয়-স্বজন, একভাগ গরিব প্রতিবেশী ও একভাগ মাদরাসার ইয়াতীমখানায় প্রদান করা। আর যদি গরিব আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশী না থাকে তবে সবটাই হক্বপন্থিদের মাদরাসার ইয়াতীমখানায় দেয়া আফযল ও উত্তম। এ সম্পর্কে আফযালুল আউলিয়া, কাইয়্যূমে আউয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যাকাত-ফিতরা ইত্যাদি সর্ব প্রকার দান-ছদকা অন্যান্য খাতে না দিয়ে কোন হক্বপন্ধিদের মাদরাসার ইয়াতীম গরিব ছাত্রদেরকে দান করলে অন্যান্য খাতের চেয়ে লক্ষগুণ ছওয়াব বেশি হবে। সুবহানাল্লাহ! কারণ, উহাতে তাদের ইলমে দ্বীন অর্জনে সহায়তা করা হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ¬তাই বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, যাকাত দেয়ার সর্বোত্তম স্থান হচ্ছে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতিম খানা। কারণ ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ’-এর অনন্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হচ্ছে এই যে, একমাত্র অত্র প্রতিষ্ঠানেই ইলমে ফিক্বাহর পাশাপাশি ইলমে তাছাউফ শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যা শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দার সাথে বালক ও বালিকাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বালক শাখার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও আমীলগণ প্রত্যেকেই পুরুষ এবং বালিকা শাখার শিক্ষিক, কর্মকর্তা ও আমীলগণ প্রত্যেকেই মহিলা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা- ইসলামের নামে অনৈসলামিক কর্মকা- যেমন, ইসলামের নামে দলাদলি, ভোট, নির্বাচন, মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ, বোমাবাজী, হরতাল, লংমার্চ, কুশপুত্তলিকা দাহ ইত্যাদি হারাম ও কুফরীমূলক কাজের সাথে এবং এ ধরনের কোন প্রকার অবাঞ্ছিত সংগঠন বা দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়। বরং এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন আমল এবং মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত সব কিছুই সুন্নতের অলঙ্কারে অলঙ্কৃত। সর্বোপরি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা ভিত্তিক কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা এবং ক্বিয়াস-এর আলোকে ইলম শিক্ষা দেয়া হয় যার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাস্তব জীবনে সুন্নতে নববীর আদর্শ প্রতিষ্ঠা তথা সঠিক ইসলাম কায়িমের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি বা রেযামন্দী হাছিল করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাজের বিত্তবানদের পাশাপাশি ‘গরিব এবং ইয়াতীমদের’ শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘ইয়াতীমখানা এবং লিল্লাহ বোডিং’। সুতরাং আপনার যাকাত, উশর, ফিতরা, কাফফারা, মান্নত, দান ছদকা, কুরবানীর চামড়া বা তার মূল্য অত্র প্রতিষ্ঠানের লিল্লাহ বোডিংয়ে দান করাই হবে অধিক ফযীলতের কারণ অর্থাৎ হাক্বীক্বী ছদক্বায়ে জারিয়াহ। তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
0 comments:
Post a Comment