বাংলাদেশের প্রতি মার্কিনীদের এত নজর কেন?


বাংলাদেশের প্রতি মার্কিনীদের এত নজর কেন?
প্রশিক্ষণের নামে মহড়ার নামে সম্পৃক্ততা ছাড়াও
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ চায় কেন মার্কিন সেনাবাহিনী?
দেশে কেন মার্কিন সেনাবাহিনী?
এটা সংবিধানের খেলাফ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।
মার্কিন সেনাবাহিনীর সাত সদস্যের একটি দল বাংলাদেশে আছে। তারা সন্ত্রাস দমনের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেবে। সিলেটে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ স্কুলে এ প্রশিক্ষণ হবে। চার সপ্তাহের এ প্রশিক্ষণ গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশে মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলে, সে বক্তব্য দিয়েছে কংগ্রেসের শুনানিতে। ওই শুনানিতে সে যা বলেছে, সে সম্পর্কে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, পেন্টাগনের ওই কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের শুনানিতে বলেছে, “সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়াতে, বিশেষ করে সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা জোরদারে সহযোগিতা করতে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর দলগুলো মোতায়েন করা হয়েছে। মার্কিন বাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড তাদের নিয়োগ করেছে।
মার্কিন সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ড ও গ্লোবাল পিস অপারেশনস প্রোগ্রামের (জিপিওআই) আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘শান্তিদূত-৩’ নামে এক যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে বুধবার ঢাকায় আসে জে. উইয়ারসিনস্কি। এর আগে গতবছর ডিসেম্বরেও একবার ঢাকায় এসেছিল এই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা। সে জানায়, এখানে এসেই আমি বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারছি। সে আরো জানায়, গত গ্রীষ্মে সিঙ্গাপুরে জেনারেল মুবিনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। সেসময় দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। জেনারেল মুবিন (বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান) বাংলাদেশের জঙ্গলে এই যৌথ মহড়া আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য এ ধরনের জঙ্গল নেই উল্লেখ করে সে বলে, সাধারণত পানামায় মার্কিন সেনাদের এ ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফ্রান্সিস জে. ওয়ারসিনস্কি আরো বলেছে, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত সাড়া দিতে প্রস্তুত থাকতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এই লক্ষ্যে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
সে বলে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকার মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ডাকলে দ্রুততার সঙ্গে সাড়া দেওয়ার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে বোঝার ব্যাপারও রয়েছে। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর সহযোগিতার মাধ্যমে পরস্পরে কীভাবে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে তা জানা দরকার। এই লক্ষ্যে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার কাজ করতে সহজ হবে।
ওদিকে খোদ ওয়াশিংটন পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যেও একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বলেও জানিয়েছে সফররত মার্কিন সেনা কর্মকর্তা। জেনারেল ফ্রান্সিস জে উইয়ারসিনস্কি সে বলে, আমাদের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। তবে আমরা এই সম্পর্ককে এমন অংশীদারিত্বের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, যেন প্রয়োজন হলেই টেলিফোন করে আমি জেনারেল মুবিনের (বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল মুবিন) সঙ্গে কথা বলতে পারি। আমার ধারণা, জেনারেল মুবিনও তেমনই চান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর মধ্যকার যৌথ মহড়া ‘‘কো-অর্ডিনেটেড এফ্লোট রেডিনেস অ্যান্ড ট্রেনিং’’- ক্যারাট-২০১১, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন রাজ্যের ন্যাশনাল গার্ডের মিলিটারি ডিপার্টমেন্ট এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বিমান মহড়ার প্রস্তাব দিয়েছে। চলতি মাসেই ওরিগন ন্যাশনাল গার্ডের একটি প্রতিনিধিদল এ প্রস্তাব নিয়ে ঢাকা সফরে আসছে।
প্রসঙ্গত: আমরা মনে করি বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ততা নিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনীর এই অতি আগ্রহ কোনক্রমেই উদ্দেশ্যহীন নয়। মূলত: এ শুধু উদ্দেশ্যমূলকই নয় বরং গভীর দুরভিসন্ধিমূলক। কারণ ‘সুঁচ হয়ে ঢোকা এবং ফালা হয়ে বের হওয়া’ সাম্রাজ্যবাদী মার্কিনীদের জন্মগত বৈশিষ্ট্য। মার্কিনীরা বাংলাদেশের সাথে মুসলিম ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ আফগানিস্তান এবং ইরাকে হামলার পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছে যে সেখানে তারা মুসলমানদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। মূলত: দুষ্ট লোকের মিষ্ট কথার অভাব হয়না। তারা যে লাদেন এবং সাদ্দাম এর কথা বলে যুদ্ধ শুরু করেছে সে লাদেন এবং সাদ্দাম তাদেরই এজেন্ট। তাছাড়া যুদ্ধের বাইরে লাখো কোটি বেসামরিক লোককে হত্যা করা, লাখো মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করা। এগুলো কী মুসলমানদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করার প্রমাণ?
মূলত: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে সম্পৃক্ততার পিছনে এতদ্বঅঞ্চলে মার্কিনী প্রভাব বিস্তার করাই ওদের মূল উদ্দেশ্য। বিশেষ করে এতদ্বঅঞ্চলে ওদের চির-শত্রু চীনের প্রভাব ঠেকানো এবং পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে ঘাঁটি স্থাপন করে করদ রাজ্য বানানোই ওদের আসল হীন উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, মার্কিন সেনাবাহিনী যেভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছে তা সংবিধানের ২৫নং অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট খেলাফ। আমরা ভেবে পাইনা কীভাবে ক্ষমতাসীন দল সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণ করে ক্ষমতার আসনে বসে প্রকাশ্যে সংবিধান খিলাফ করে?
কিভাবে সংবিধান বিরোধী কাজ করে? শপথ গ্রহণ করে ক্ষমতায় থেকে প্রকাশ্যে সংবিধান বিরোধী কাজ করা কী রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়? এ কী মুনাফেকী নয়?
সা¤্রাজ্যবাদী মার্কিনীসহ তাদের সহযোগী মুনাফিকদের এ জাতি, এ দেশবাসী কখনও গ্রহণ করেনা। ক্ষমা করেনা। ৭১’-এ মার্কিনীদের এ জাতি গ্রহণ করেনি। এবং তাদের সহযোগী পাকিস্তানী ও যুদ্ধাপরাধীদের আজও ক্ষমা করেনি। মহান আল্লাহ পাক তিনিও মুনাফিকদের ক্ষমা করেননা। বরং তারা থাকবে জাহান্নামের অতল গহবরে। সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থানে। (নাঊযুবিল্লাহ!)
মূলতঃ এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে ইসলামী অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা ফয়েজ, তাওয়াজ্জুহ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment