আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ-
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম, ইমামুস সাদিস, সুলত্বানুল মাশায়িখ, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, আওলাদে রসূল হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বা হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।’
আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ-
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম, ইমামুস সাদিস, সুলত্বানুল মাশায়িখ, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, আওলাদে রসূল হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য ফরয হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং পবিত্র দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা।

যাতে মুসলমান উনার সম্পর্কে জেনে উনাকে মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও অনুসরণ-অনুকরণ করে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করতে পারে।
আর সরকারের জন্যও ফরয ছিলো- মাসব্যাপী মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ। হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম, ইমামুস সাদিস, সুলত্বানুল মাশায়িখ, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, আওলাদে রসূল হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বা হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।’ উল্লেখ্য, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি সেই হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
আওলাদে রসূল, ইমামুস সাদিস, হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার সুমহান ও পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উনার গুরুত্ব ও মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইমামুস সাদিস, ইমামুল মুহসিনীন, সুলত্বানুল মাশায়িখ, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, ফখরুল আশিক্বীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি ৯৬ হিজরীতে পবিত্র মদীনা শরীফ শহরে পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। এ মতটিই অধিক ছহীহ এবং নির্ভরযোগ্য। আর তিনি ১৪৮ হিজরী সনে এই পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনারই ১৪ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ বাদ ইশা পবিত্র মদীনা শরীফ শহরে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। কিতাবে উনার বেমেছাল ছানা-ছিফত, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান বর্ণিত রয়েছে। তাই সকল মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে- উনাকে মুহব্বত করা, উনার পবিত্র জীবনী মুবারক জানা, উনাকে প্রতি ক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযুর্গী মুবারক সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণেই অনেকে উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি মুবারক হাছিলে পুরোপুরি ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা বা ইলম অর্জন করা সকলের জন্যই ফরয। কেননা যে বিষয়টা আমল করা ফরয সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো- ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো আলোচনাই নেই। অথচ সরকারের জন্য ফরয ছিলো- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তকে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উপলক্ষে সরকারিভাবে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। সরকারের জন্য আরো ফরয ছিলো- উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস ১৪ রজবুল হারাম শরীফ উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস চলে যাচ্ছে অথচ সরকার এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ। হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম, ইমামুস সাদিস, সুলত্বানুল মাশায়িখ, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, আওলাদে রসূল হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস। সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য ফরয হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং পবিত্র দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা। যাতে মুসলমান উনার সম্পর্কে জেনে উনাকে মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও অনুসরণ-অনুকরণ করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করতে পারে। আর সরকারের জন্যও ফরয ছিলো- উনার সম্মানার্থে মাসব্যাপী মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
-০-

█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-আবু হুরায়রা, ঢাকা © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment