মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ অনুযায়ী একজন বিধর্মীর ইসলাম গ্রহণের সংবাদ প্রকাশ করা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কেন বৈধ হবে না এবং শরীয়ত বিরোধী রুল জারিকারীরা কেন খোদাদ্রোহী হবে না?

হাইকোর্টের বিচারকদ্বয় কর্তৃক প্রচলিত সংবিধান বিরোধী রুল জারি করা কেন অবৈধ হবে না এবং কেন তারা দেশদ্রোহী হবে না? কেন তাদেরকে মুরতাদ বলা হবে না?

শরীয়তসম্মত সংবাদ প্রকাশ করায় জাবি কর্তৃপক্ষের জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানকে হেয় প্রতিপন্ন করা কেন অবৈধ হবে না? তার জবাবদিহি করতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক হিন্দু কর্মচারীর সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের সংবাদ পাঠানোয় জাবি’র জনসংযোগ পরিচালকের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
“জাবি কেলেঙ্কারি: জনসংযোগ কর্মকর্তাকেই দায় স্বীকার করে নিতে হলো” শিরোনামে গত ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ঈসায়ী তারিখে দৈনিক জনকন্ঠ ওরফে ‘র’কন্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল বুধবার বিচারক কাজী রেজা-উল হক ও এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করে।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। [সূত্র: জাতীয় দৈনিক পত্রিকা]
উপরোক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে বলতে হয়, পক্ষপাতদুষ্ট বিচারক কাজী রেজা-উল হক ও এবিএম আলতাফ হোসেন তারা কি ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এই বাংলাদেশের ‘রব’ বা ‘বিধানদাতা’ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়?
কেননা, যেখানে স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ১৩৬ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে সুস্পষ্টভাবে আদেশ করেন, “তোমরা বলো, আমরা ঈমান এনেছি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি।”
অর্থাৎ যেখানে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই একজন অমুসলিমের ঈমান এনে মুসলমান হওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন; সেখানে একজন বিধর্মীর ইসলাম গ্রহণের সংবাদ প্রকাশ করা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কেন বৈধ হবে না?
তাছাড়া সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শরীয়ত মোতাবেক কোনো ব্যক্তি যদি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, তবে ঐ ব্যক্তিকে-
(১) দ্বীন ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ্যে মুখে স্বীকার করতে হবে। (২) অন্তরে বিশ্বাস করতে হবে। (৩) আমলে বাস্তবায়ন করতে হবে।
যার ফলে সম্মানিত হানাফী মাযহাব অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার পর যদি প্রকাশ্যে স্বীকার না করে তবে উক্ত ব্যক্তি মুসলমান হিসেবে কোনো সুযোগ সুবিধা লাভ করতে পারবে না। আর শাফেয়ী মাযহাব মতে, কোনো ব্যক্তি পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার পর যদি প্রকাশ্যে স্বীকার না করে তবে সে মুসলমান হিসেবেই গণ্য হবে না।
অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পর তা ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্যে প্রচার করা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনার ফতওয়া মোতাবেক অপরিহার্য অর্থাৎ ফরয।
তাহলে সমস্ত বিচারকদের যিনি বিচারক আহকামুল হাকিমীন, খালিক্ব মালিক রব যিনি বিধানদাতা মহান আল্লাহ পাক উনার সুস্পষ্ট আদেশ মুবারকের বিরুদ্ধে মুসলমান নামধারী এসব পক্ষপাতদুষ্ট বিচারকরা কাদের অঙ্গুলি নির্দেশে ‘র’কন্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ ও স্পর্ধাজনিত খোদাদ্রোহী রুল জারি করার দুঃসাহস দেখাতে পারে!
তাছাড়া যেখানে বাংলাদেশ সংবিধান-এর ৪১ (ক) ধারায় বলা আছে- “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে”।
অর্থাৎ কেউ নওমুসলিম হলে তা প্রচার করার বিষয়ে বাংলাদেশ সংবিধানে কোনো নিষেধাজ্ঞাতো নেইই, বরং তা প্রকাশ ও প্রচার করার পূর্ণ অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সুপ্রীম কোর্ট-এর পক্ষপাতদুষ্ট বিচারকদ্বয়ের প্রচলিত সংবিধান বিরোধী রুল জারি করা কেন অবৈধ হবে না এবং একই সাথে কেন তারা দেশদ্রোহী হবে না?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রীম কোর্টের পক্ষপাতদুষ্ট বিচারকদ্বয়ের মাত্র ২ ভাগেরও কম হিন্দু ধর্মাবলম্বীর প্রতি অতি দরদ দেখানো এবং বিপরীতে ৯৭ ভাগ মুসলমানের পবিত্র কুরআন শরীফ অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী স্বপ্রণোদিত রুল জারির বিষয়টি যে মূলত একটি চিহ্নিত গোষ্ঠীর মনোরঞ্জন এবং মুসলিম জাতির উজ্জ্বল ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করারই এক সুপরিকল্পিত ও সুগভীর ষড়যন্ত্র তা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। যা দেশের সংবিধান বিরোধীও বটে।
কেননা, কিছুদিন পূর্বেই এফডিসি’র ডিজি পিযুষ সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার পরেও বাংলাদেশকে “মৌলবাদীদের দেশ” বলে গালি দেয়, আবার এই পিযুষের স্ত্রী জয়শ্রীকর জয়া তার কুকুরের গায়ে সম্মানিত জাতীয় পতাকা জড়িয়ে ছবি তুলে পতাকা অবমাননা করে, তখন কেন এভাবে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করা হলো না? যদিও এসবই ছিল দেশদ্রোহী কর্মকা-!
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, “...নিজস্ব প্যাডে জনসংযোগ অফিস থেকে বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর নজিরবিহীন ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ক্ষমা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ...উপপরিচালক আবদুস সালাম মিঞা (সালাম সাকলাইন) জাতির কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছে...”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অমুসলিমের সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রেরণের প্রেক্ষিতে জাবি কর্তৃপক্ষ এবং প্রতিষ্ঠানটির উপপরিচালক আব্দুস সালাম মিঞা সামান্য ক’জন সনাতন তথা হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীর আক্রোশমূলক স্মারকলিপির কারণে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও বিশ্বের তাবৎ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিকে উপেক্ষা করে “একজন অমুসলিমের সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের” সংবাদ প্রকাশের পর আবার সেটি ভুল হয়েছে বলে ন্যক্কারজনক মিথ্যাচার করে কিভাবে জাতির কাছে নিঃর্শত ক্ষমা চাইতে পারে?
সেই সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ই বা কী করে গুটিকয়েক হিন্দু শিক্ষার্থীর স্বার্থসংরক্ষণের নিমিত্তে, তাদের উদ্দেশ্যমূলক হিংসাত্মক প্রতিবাদের কারণে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে ইসলামবিরোধী অপশক্তির প্রভাবে জাবি কর্তৃপক্ষকে অন্যায়ভাবে চাপের মুখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করতে পারে?
যেখানে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ উনার ২ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ঈমানদারগণকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে ঈমানদারগণ!) তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেক কাজ ও পরহেজগারীতে সাহায্য করো এবং পরস্পর পরস্পরকে পাপ ও শক্রতার ব্যাপারে সাহায্য করো না। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠোর শাস্তিদাতা”।
অর্থাৎ উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয় তা হলো- জাবি কর্তৃপক্ষ প্রথমে একজন অমুসলিমের ঈমান আনার প্রসঙ্গটি সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, সেটাই ছিল ন্যায়সঙ্গত এবং উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার যথাযথ বাস্তবায়ন।
কেননা এর মাধ্যমে জাবি’র ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নওমুসলিম মুহম্মদ মাসুম সপরিবারে পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পর, ভবিষ্যতে যে কোনো সরকারি কিংবা দেশীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের এবং নিজ পরিবারের সদস্যদের মুসলিম পরিচয় লাভের জন্য সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়াটা ছিল একটি যথাযথ পদক্ষেপ।
তাছাড়া তার সপরিবারে হিন্দুত্ববাদ ত্যাগ করে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের কারণে আর্থিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের ফলে তার সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য যাকাত, ফিতরা ও অন্যান্য দান পাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারতো। অথচ এ বিষয়টি মুসলিমবিদ্বেষী কতিপয় হিন্দুত্ববাদীর আক্রোশমূলক ষড়যন্ত্রের কারণে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার-প্রসার না হওয়ার ফলে তার প্রাপ্য হক্ব থেকে সে বঞ্চিত হয়।
শুধু তাই নয়, সামগ্রিক ঘটনার মাধ্যমে একটি চিহ্নিত মহল অত্যন্ত চাতুর্যের সাথে নওমুসলিম মুহম্মদ মাসুম ও তার পরিবারসহ দেশের তাবৎ নওমুসলিমদের মাঝে ভীতি ও হীনম্মন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি যেসব অমুসলিমরা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের সুপ্ত চেতনা লালন করছে, এ ঘটনা তাদেরকেও নিরুৎসাহিত ও অবদমিত করবে নিঃসন্দেহে।
কিন্তু নিতান্ত আফসোসের সাথে বলতে হয়, গুটিকয়েক হিন্দু যবন ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্যের সম্পূর্ণ হিংসাত্মক, পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে ৯৭ শতাংশ মুসলমানের দেশের বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলমান নামধারী কথিত কর্তা ব্যক্তিরা কী করে খোদায়ী বিধান লংঘন করে নেক কাজে সাহায্য করার পরিবর্তে পাপ এবং শক্রতায় নির্লজ্জ সহযোগিতা করতে পারে?
জাবি কর্তৃপক্ষ এই নির্লজ্জ ও উদ্দেশ্যমূলক ক্ষমা চাওয়ার দ্বারা মূলত প্রতিষ্ঠা করতে চায়, ভবিষ্যতে এদেশে কোনো অমুসলিম সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করলে, সেটা বৈধ হবে না এবং তা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। পাশাপাশি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রকাশ করাও অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। এবং তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। নাউযুবিল্লাহ!
যা মূলত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও গোটা মুসলিম উম্মাহকে হেয় প্রতিপন্ন করার এবং মুসলমানের বিশ্বব্যাপী সমুন্নত ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করারই এক সুগভীর ষড়যন্ত্র।
অতএব, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানের শান-মান ও মর্যাদা বিনষ্টকারী এবং সনাতন গোষ্ঠী তথা হিন্দুর পদলেহী, অর্থলোভী, আত্মমর্যাদাহীন, শিক্ষক নামের কলঙ্ক জাবি’র কথিত কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সকলের- সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানকে হেয় প্রতিপন্ন করা কেন অবৈধ হবে না? এবং সম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বিরুদ্ধাচরণ ও অবমাননা করার অপরাধে এরা কেন মুরতাদ হবে না? তার জবাবদিহি করতে হবে।
সুতরাং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানকে অবমাননা করে ধৃষ্টতাপূর্ণ, নির্লজ্জ ও নিঃর্শতভাবে জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়ার অপরাধে মহান আল্লাহ পাক এবং তাবৎ মুসলিম উম্মাহ্র নিকট অবিলম্বে জাবি কর্তৃপক্ষের প্রকাশ্যে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আলোচ্য বিচারকদেরকে উদ্দেশ্যে করেই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি যা অবতীর্ণ করেছেন, সে অনুযায়ী যারা ফায়সালা (বিচার) করে না, তারাই কাফির।” [পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৪৪]
সম্মানিত পাঠক, এবার আপনারাই চিন্তা করুন, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আলোকে এসব পক্ষপাতদুষ্ট বিচারকদের কী আদৌ মুসলমান বলা যাবে?
তারপরেও এসব বিচারকরা যদি নিজেদের মুসলমান দাবি করতে চায়, তাহলে ইসলামী শরীয়তের বিধান মুতাবিক তাদের উদ্দেশ্যমূলক, স্বপ্রণোদিত, ঔদ্ধত্যপূর্ণ, খোদাদ্রোহী ও দেশদ্রোহী রুল জারির প্রেক্ষিতে তাদেরকেই বিচারের আওতায় আনতে হবে ।
৯৭ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত এই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত তথা সুপ্রীম কোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, যেখানে মানুষ সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ, ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ বিচার প্রত্যাশা করে সেখানে বিচারিক দায়িত্বে কোনো অবস্থাতেই অপশক্তি দ্বারা প্রভাবিত, অর্থলিপ্সু, অদক্ষ, দুর্নীতিপরায়ণ, খোদাদ্রোহী ও দেশদ্রোহী বিচারক কাম্য নয়।
সরকারের উচিত অবিলম্বে এসব খোদাদ্র্রোহী ও দেশদ্রোহী পক্ষপাতদুষ্ট বিচারক কাজী রেজা-উল হক ও এবিএম আলতাফ হোসেনকে অপসারণ করে, তদস্থলে দক্ষ, ইনসাফগার, ধর্মপরায়ণ, দেশপ্রেমিক বিচারক নিযুক্ত করা। অন্যথায় সরকারও এসবের দায় এড়াতে পারবে না।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-মুহম্মদ সিবগাতুল্লাহ পানিপথী © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment