বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে শুধুমাত্র ঐচ্ছিক নয়; বরং বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক যিনি উনার বান্দা (হাবীব) ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কোন এক রাতের সামান্য সময়ে (প্রথমে) বাইতুল্লাহ শরীফ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত, যার আশপাশ বরকতময়; অতঃপর উনার নিদর্শনসমূহ দেখানোর জন্য অর্থাৎ দীদার মুবারক আরশে আযীমে দেয়ার জন্য ভ্রমণ করিয়েছেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’
আজ ২৬শে রজব, ইয়াওমুল আহাদি বা রোববার দিবাগত রাতেই অর্থাৎ ২৭শে রজব লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ রাতেই পবিত্র শবে মি’রাজ।
সে কারণেই প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ রাতে ইবাদত-বন্দেগী, তওবা-ইস্তিগফার, মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মুনাজাত করা এবং পরের দিন অর্থাৎ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ রোযা রাখা।
আর বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে শুধুমাত্র ঐচ্ছিক নয়; বরং বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “পবিত্র মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলতের মধ্য হতে একটি বিশেষ ফাযায়িল-ফযীলত; যা বিশ্বাস করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয। আর অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মি’রাজ শরীফ হয়েছে ৩৪ বার। এক বার জিসমানী বা সশরীর মুবারকে। আর বাকি ৩৩ বার রূহানীভাবে হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়াবী হিসেবে ৫১তম বয়স মুবারকে ২৬ মাহে রজব ইয়াওমুল আহাদি বা রোববার দিবাগত রাত্রে অর্থাৎ ২৭ রজব ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ রাত্রে পবিত্র কা’বা শরীফ থেকে পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ, সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে আরশে মুয়াল্লায় মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মুবারক সাক্ষাৎ করে আবার যমীনে তাশরীফ আনেন। যা বিশিষ্ট ৪৫ জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বর্ণনা করেছেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মি’রাজ শরীফ-এর অর্থ হচ্ছে ঊর্ধ্বারোহণ। শরীয়তের পরিভাষায় মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার যে সাক্ষাৎ বা দীদার মুবারক হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে সেটাই মি’রাজ শরীফ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মি’রাজ শরীফ-এর লক্ষ কোটি কারণ রয়েছে, তন্মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার সরাসরি বরকতময় সাক্ষাৎ তথা ছোহবত, যা তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দিয়েছেন। এ মি’রাজ শরীফ দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিগূঢ় সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজ ইয়াওমুল আহাদি বা রোববার দিবাগত রাতেই সেই পবিত্র শবে মি’রাজ। তাই প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ রাত্রিতে ইবাদত-বন্দিগী, তওবা-ইস্তিগফার, মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মুনাজাত করা এবং পরের দিন অর্থাৎ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ রোযা রাখা। রজব মাসের ২৭ তারিখে রোযা রাখার ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি ২৭শে রজব দিনে রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার আমলনামায় ষাট মাস তথা পাঁচ বছর রোযা রাখার ফযীলত লিখে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, রজব মাস এমনিতেই সম্মানিত মাস। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি এ মাসের কোন এক রাতে ইবাদত করবে সে এক বছর রাতে ইবাদত করার ছওয়াব পাবে। আর একদিন রোযা রাখলে এক বছর দিনে রোযা রাখার ফযীলত পাবে।” সে রাতে যারা খাছ ইয়াক্বীনের সাথে দোয়া করবে তাদের প্রত্যেকটা দোয়াই কবুল হবে। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেহেতু শবে মি’রাজের সাথে রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা ও দিনে রোযা রাখা তথা আমলের সম্পর্ক রয়েছে। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে বাংলাদেশসহ প্রতিটি মুসলিম সরকারেরই উচিত শবে মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে দেশে বাধ্যতামূলক সরকারি ছুটি ঘোষণা করা এবং শবে মি’রাজ পালনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হিন্দু ও মজুসীদের পহেলা বৈশাখ, ইহুদী-খ্রিস্টানদের পহেলা মে, বৌদ্ধদের বুদ্ধ পূর্ণিমা, খ্রিস্টানদের বিশেষ দিন ২৫শে ডিসেম্বর ও হিন্দুদের দুর্গাপূজাসহ অনেক দিন মুসলিম বিশ্বে ছুটি পালন করা হয়; যার সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের কোন সম্পর্ক নেই এবং যা মুসলমানদের প্রয়োজনও নেই। সরকরের উচিত এরূপ অপ্রয়োজনীয় দিনে ছুটি ঐচ্ছিক করে পবিত্র শবে মি’রাজ-এর ন্যায় বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ রাত উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ ২৬শে রজব, ইয়াওমুল আহাদি বা রোববার দিবাগত রাতেই অর্থাৎ ২৭শে রজব লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ রাতেই পবিত্র শবে মি’রাজ। সে কারণেই প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ রাতে ইবাদত-বন্দেগী, তওবা-ইস্তিগফার, মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মুনাজাত করা এবং পরের দিন অর্থাৎ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ রোযা রাখা। আর বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে শুধুমাত্র ঐচ্ছিক নয়; বরং বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।
-০-
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment