সউদী ওহাবী সরকার ও ওহাবীরা যে আসলেই ইহুদী তা- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র রওযা শরীফ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দ্বারা আবারো সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।’ সউদী ওহাবী সরকার ও ওহাবীরা যে আসলেই ইহুদী তা- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র রওযা শরীফ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দ্বারা আবারো সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো। মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষের কারণেই সউদী ওহাবী ইহুদীগুলো এরূপ উদ্যোগ নিয়েছে। তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে- যদি তারা এরূপ কুফরী অপপ্রচার ও পদক্ষেপ থেকে অনতিবিলম্বে সরে না আসে, তাহলে অবশ্যই তারা অতিসত্বর নমরূদ, শাদ্দাদ ও ফিরআউনের মতো ধ্বংস হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ! এ ধ্বংস থেকে কেউ তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ! আর সারাবিশ্বের সকল মুসলমান ও আশিকে রসূলগণের জন্য ঈমানী দায়িত্ব অর্থাৎ ফরয হচ্ছে- নিজের জীবন দিয়ে হলেও সউদী ওহাবী ইহুদীদের এরূপ পদক্ষেপ অঙ্কুরেই মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া এবং তাদেরকে সমুচিত শিক্ষা দেয়া। যাতে ভবিষ্যতে আর কখনো তারা এরূপ কথা উচ্চারণ করা তো দূরের কথা, কল্পনা করারও দুঃসাহস না দেখায়।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সউদী ওহাবী সরকার ও ওহাবীরা যে আসলেই ইহুদী তা- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র রওযা শরীফ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দ্বারা আবারো সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র রওযা শরীফ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার প্রেক্ষিতে সউদী ওহাবী ইহুদীদেরকে সতর্ক করে তিনি উপরোক্ত ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে যে দলটি মুসলমানের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে, সে দলটি হচ্ছে- ইহুদীবাদী ওহাবী ফিরক্বা। এই ইহুদী বংশোদ্ভূত ওহাবীরা মুসলমান উনাদের পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র ঈমান উনাকে নষ্ট করার লক্ষ্যে পূর্ব থেকেই নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে- পবিত্র হজ্জ উনার সময় তারা প্রচার করে থাকে যে, ‘পবিত্র হজ্জ উনার সাথে পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারতের কোনো সম্পর্ক নেই।’ নাউযুবিল্লাহ! অর্থাৎ তাদের মতে, পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারতের কোনো প্রয়োজন নেই। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করা পবিত্র হজ্জ কবুল হওয়ার শর্ত এবং পবিত্র হজ্জ করে পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত না করে ফিরে আসলে বেঈমান হবে। কারণ সম্মানিত ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে হজ্জ সম্পাদন করলো অথচ আমার মুবারক জিয়ারত করলো না, সে আমার সাথে বেয়াদবী করলো।” উল্লেখ্য, যে বেয়াদবী করে সে জাহান্নামী হয়। অর্থাৎ বেয়াদব জাহান্নামী হবে। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার আম ফতওয়া হলো- হাজী ছাহেবদের জন্য মহাসম্মানিত রওযা শরীফ জিয়ারত করা সম্মানিত সুন্নত মুবারক। আর খাছ ও মূল ফতওয়া হলো- হাজী ছাহেবসহ যাদের সামর্থ্য রয়েছে তাদের সকলের জন্য মহাসম্মানিত রওযা শরীফ জিয়ারত করা ফরয। এ ফতওয়ার বিপরীত মত পোষণ করা কুফরী। তাই অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করার জন্য তাগিদ করা হয়েছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আমার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করবে, তার জন্যে আমার সুপারিশ ওয়াজিব।” সুবহানাল্লাহ! অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আমার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করবে, সে ক্বিয়ামতের দিন আমার পড়শি হবে। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি পবিত্র মক্কা শরীফ অথবা পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের হেরেম শরীফ-এ মৃত্যুবরণ করবে, সে ক্বিয়ামতের দিন নিরাপত্তা লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারতের ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি পবিত্র হজ্জ করার পর আমার রওযা শরীফ যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে মসজিদে নববী শরীফ-এ আসবে, তার জন্যে দুটি মকবুল পবিত্র হজ্জ লেখা হবে।” সুবহানাল্লাহ! অন্যত্র আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি আমার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পর আমার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করলো, সে যেন দুনিয়াতেই আমার পবিত্র যিয়ারত বা সাক্ষাৎ মুবারক লাভ করলো। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি আমার রওযা শরীফ যিয়ারত করবে, তার জন্যে ক্বিয়ামতের দিন শাফায়াত করা আমার উপর ওয়াজিব হবে। সুবহানাল্লাহ! আমার যে উম্মত সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও আমার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করবে না, তার কোনো ওজরই গ্রহণযোগ্য হবে না।” নাউযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উল্লিখিত পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ সুলত্বানুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাসসিরীন, যুবদাতুল আরিফীন, আশেকু রসূলিল্লাহ, শায়খুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ হযরত মাওলানা শাহ ছূফী আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্ববিখ্যাত কিতাব ‘জযবুল কুলূব ইলা দিয়ারিল মাহবুব’ উনার যিয়ারত অধ্যায়ে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহের কোনোটি ছহীহ ও কোনোটি হাসান পর্যায়ের।” সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত না করা পর্যন্ত কোনো হাজী ছাহেবের পবিত্র হজ্জই পূর্ণ হবে না, অর্থাৎ পবিত্র হজ্জ অপূর্ণ থেকে যাবে। যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “রওযা শরীফ যিয়ারত করা পবিত্র হজ্জকে পূর্ণতাদানের কারণ।” সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ এবং মুসলমান উনাদের হজ্জ তথা ঈমান-আমল নষ্ট এবং মহাপবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত উনার বরকত থেকে মাহরূম করার লক্ষ্যেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র রওযা শরীফ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং ধৃষ্ঠতাপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে সউদী ওহাবী সরকার ও গুমরাহ ওহাবী মালানারা। নাউযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে- যদি তারা এরূপ কুফরী অপপ্রচার ও পদক্ষেপ থেকে অনতিবিলম্বে সরে না আসে, তাহলে অবশ্যই তারা অতিসত্বর আবরাহা, নমরূদ, শাদ্দাদ ও ফিরআউনের মতো ধ্বংস হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ! এ ধ্বংস থেকে কেউ তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ! আর সারাবিশ্বের সকল মুসলমান ও আশিকে রসূলগণের জন্য ঈমানী দায়িত্ব অর্থাৎ ফরয হচ্ছে- নিজের জীবন দিয়ে হলেও ইহুদী বংশোদ্ভূত সউদী ওহাবীদের এরূপ পদক্ষেপ অঙ্কুরেই মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া এবং তাদেরকে সমূচিত শিক্ষা দেয়া। যাতে ভবিষ্যতে আর কখনো তারা এরূপ কথা উচ্চারণ করা তো দূরের কথা, কল্পনা করারও দুঃসাহস না দেখায়। █║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
© আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment