পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে- হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার উদ্দেশ্যে পরস্পর পরস্পরকে মুহব্বত করে, একস্থানে বসে, দেখা-সাক্ষাৎ করে এবং পরস্পরের মাঝে নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের জন্য আমার (মহান আল্লাহ পাক উনার) মুহব্বত অপরিহার্য। অন্য আরেক বর্ণনায় বর্ণিত আছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, তাদের জন্য জান্নাত উনার মধ্যে নূরের মিম্বরসমূহ স্থাপন করা হবে এবং উনাদেরকে দেখে সমস্ত নবী আলাইহিমুস সালামগণ উনারা এবং শহীদগণ উনারা খুশি হবেন এবং আকাঙ্খিত হবেন। সুবহানাল্লাহ!
এখন দেখুন, যদি একজন বান্দা বা উম্মতকে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার উদ্দেশ্যে মুহব্বত করলে বা উনাকে খুশি করলে এতো বিশেষ বা শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত মুবারক লাভ করা সম্ভব হয়, তাহলে যিনি কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাকে সৃষ্টি মুবারক না করা হলে কায়িনাত মাঝে কিছুই সৃষ্টি করা হতো না। উনারই সন্তুষ্টি মুবারক উনার উদ্দেশ্যে যদি উনার পবিত্রতম বিলাদত শরীফ ও পবিত্রতম বিছাল শরীফ উনাদের সম্মানিত দিন, তারিখ, মাস তথা পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা হয়, তাহলে কত শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠতম ও বিশেষ নিয়ামত মুবারক লাভ করা যাবে তা কল্পনার বাইরে। আর উনারই সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারলেই স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক পাওয়া যাবে এবং উনার বন্ধু হওয়া যাবে। এখন আমরা যদি পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার উপলক্ষে মাল ও জান দিয়ে হাক্বীক্বীভাবে সর্বাধিক খিদমত করি। তাহলে সেটাই আমাদের জন্য সর্বোত্তম খুশি প্রকাশ করা হবে। তাই মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে হাক্বীক্বী খুশি প্রকাশ করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-আহমদ নুজহাত শেফা।© আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
যে ভ্যালেন্টাইনস ডে আজকে সারাবিশ্বেই ব্যাপকতা লাভ করেছে, সে ভ্যালেন্টাইনস ডে’র উদ্ভাবক তথা আয়োজক হলো কার্ড ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’-এরপর ‘ইস্টার সানডে’ পালনের মধ্যবর্তী সময়টা ছিলো তাদের ব্যবসার জন্য খুবই মন্দা। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়িক স্বার্থ হাছিলের জন্যই তারা ‘ভ্যালেন্টাইন’ তত্ত্ব জাহির করে এবং প্রভূত অর্থও উপার্জন করে। গ্রীটিংস কার্ড অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এদিনে কমপক্ষে একশ’ কোটি কার্ড বিনিময় হয়।
ব্রিটিশ বিজ্ঞাপন সংস্থা সাচি অ্যান্ড সাচি, ভারতীয় বিজ্ঞাপনী সংস্থা এভারেস্ট, রিডিফিউশন, মার্কিন বিজ্ঞাপনী সংস্থা ঢেউ বেটস- এক এলাকার সংস্কৃতিকে অন্য ধরনের সংস্কৃতির লোকের কাছে বিজ্ঞাপনের পদ্ধতিতে বিপণন করায় সিদ্ধ হস্ত। কিন্তু সাধারণ মধ্যবিত্ত তাদের পদ্ধতিটা, মনোবৃত্তিটা, প্রক্রিয়াটা, আদৌ মালুম করতে পারেনি।
এমনকি যে ভ্যালেন্টাইস ডে নিয়ে এদেশে এখন বিস্তর মাতামাতি, এর পিছনে যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির তল্পীবাহক লেফাফার শফিক রেহমানের একক কৃতিত্বের দাবিদার হওয়ার মনোবৃত্তি কাজ করেছে, তা সাধারণ মধ্যবিত্ত আজও উপলব্ধি করেনি। পাশাপাশি এর দ্বারা যে মুসলমান হারিয়েছে তার ঈমান, আমল, ঐতিহ্য, সুখশান্তি- তাও সাধারণ মধ্যবিত্ত মুসলমান আজও অনুভব করেনি।
১৯৯৩ সালে ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান ভ্যালেইন্টাইন ডে’র কথা বললো। এ সম্পর্কে পত্রিকাটির এক ভালোবাসা সংখ্যায় সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়, “এটি নিয়ে বাংলাদেশ গর্বিত হতে পারে। বাংলাদেশে ১৯৯৩ এ যায়যায়দিন প্রথম ভালোবাসা দিন পালনের আহবান জানিয়ে একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে।”
এদিকে শফিক রেহমানের কাঁধে খোদ ইবলিস সাওয়ার হয়ে তার দ্বারা যে কোটি কোটি মুসলমানের মাঝে বেপর্দা, বেহায়া, অশ্লীলতা ও ব্যভিচার মচ্ছবের প্রচলন ঘটিয়েছে; তা সে নিজেও উপলব্ধি করতে পারেনি।
তথাকথিত ভালোবাসা দিবস পালন মূলত অ-ভালোবাসা তথা নোংরামীর বিস্তার ঘটায়। পাশ্চাত্যে ভালোবাসা দিবস প্রচলনের পেছনে ছিলো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ। পাশাপাশি এদেশে তা প্রবর্তনের পেছনে আছে পাশ্চাত্য গোলাম শফিক রেহমান ও ইহুদী খ্রিস্টানদের সুদূর প্রসারী ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র। মুসলমানের জন্য ভালোবাসা দিবস পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয ও হারাম। এটা এদেশে মুসলমানিত্ব নির্মূলের গভীর ষড়যন্ত্র।
উল্লেখ্য, তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের প্রচারণা মূলত এটা প্রমাণ করে যে, আসলে ভালোবাসা দিবস পালনকারী স্বামী-স্ত্রীরা ভালোবাসার অভাবে ভুগছে। ভালোবাসার বন্ধনহীনতায় ভুগছে। অশান্তিতে ভুগছে। যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছে। তার থেকে উত্তরণ লাভের জন্য তারা তথাকথিত ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসার চেতনায় উজ্জীবিত হবে।
মুসলমান স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শের কারণে যে অগাধ মুহব্বত থাকে তা ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মী অর্থাৎ পশ্চিমা বিশ্ব ও এদেশীয় পশ্চিমা এজেন্টরা কল্পনাই করতে পারে না ও পারবে না। বরং তারা তার বিপরীত আযাব-গযব তথা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া-ফাসাদ ও ভালোবাসাহীনতাই ভুগে। তাদের সে ভালোবাসাহীন যন্ত্রণাকাতর দগ্ধ জীবনে একটু ভালোবাসার চেতনার জন্য তাদের কাছে ভালোবাসা দিবসের প্রয়োজনীয়তা গ্রহণযোগ্য ও আদরণীয় হয়েছে।
ইদানীংকালে এদেশেও পশ্চিমা সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে বিস্তারের কারণে পশ্চিমা সামাজিক সাংস্কৃতিক সমস্যা ও সঙ্কটও এদেশে ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে এবং সে সমস্যা সমাধানে পশ্চিমা ধাঁচের অনুকরণেই প্রয়াস চলছে। এতদ্বপ্রেক্ষিতে এদেশে ভালোবাসা দিবসের প্রচারণার বিস্তার ঘটছে।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, এই তথাকথিত ভালোবাসা দিবস কখনোই এদেশীয় অর্থাৎ বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিল না। আর মুসলমানদের সংস্কৃতিতো নয়ই।
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ভিড় বেড়েছে নগরীর বিভিন্ন বিপণী বিতান ও গিফট শপগুলোতে। হচ্ছে ফুলব্যবসা। ভালোবাসার এ নিদর্শনের পার্সেল অর্ডার নিচ্ছে পুষ্প বিতানগুলো, নির্ধারিত ঠিকানায় প্রাপককে ভালোবাসার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেয়ার আয়োজন করছে। ব্র্যান্ড ও জাদু শিল্পীদেরও অনুষ্ঠানের কমতি নেই। তারাও ব্যস্ত স্টেজ শো করতে। তারকা হোটেলসহ সর্বত্র আয়োজন। সোনারগাঁও, শেরাটন, র্যাডিসন হোটেলও কথিত ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর বিশেষ পার্টির আয়োজন করে। গভীর রাত পর্যন্ত এসব অনুষ্ঠানে চলে নাচ-গান, র্যাফেল ড্র এবং বেস্ট কাপল অ্যাওয়ার্ড।
তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের নামে মূলত চলে বেপর্দা-বেহায়াপনার নির্লজ্জ উৎসব। যাতে ইবলিস শয়তানের ওয়াস্ওয়াসা থাকে এবং নফস বা প্রবৃত্তির উদ্দামতা যুক্ত হয়। যা পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের মুবারক নির্দেশ মুতাবিক শক্ত কবীরা গুনাহ এবং পরকালে এসব কাজের জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে তথা জাহান্নামে যেতে হবে। কারণ এ দিবসের প্রবর্তন হয়েছে বিধর্মীদের থেকে এবং তা পালিত হয় বেশরীয়তী পন্থায়।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক-উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।”
অতএব, মুসলমানদের জন্য বিধর্মীদের অনুসরণ করে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ পালন কুফরী ও শিরকের অন্তর্ভুক্ত। এর থেকে বেঁচে থাকা সকলের জন্য ফরয।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।© আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
কিছু ইতিহাস জ্ঞানশূন্য ও গ-মূর্খরা কথিত বাংলা সনের ফাল্গুন মাসের প্রথম দিনকে ‘পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব’ হিসেবে পালন করে। এটাকে বাঙালি জাতির উৎসব বলে অপপ্রচারণাও চালায়। ভারত নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো অতি রঞ্জিত করে এসব প্রচার-প্রসার করে। কিন্তু আসলে বাংলা ও বাঙালি সংস্কৃতির সাথে এর আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রকৃতপক্ষে, বাংলা সন হিসেবে আমরা যে সালটি গণনা করি সেটি কোনো বাঙালি শুরু করেনি, করেছিলো মোঘল সম্রাট আকবর। যে জাতি হিসেবে ছিলো মঙ্গলীয় এবং তার ভাষা ছিলো ফার্সী। ১৫৯৩ ঈসায়ী (৯৯৩ হিজরী) সালে এ সন চালু করে বাদশাহ আকবর। কিন্তু জারি করার বৎসর হিসাবে দেখানো হয় ১৫৬৩ ঈসায়ী মুতাবিক ৯৬৩ হিজরী সালকে। শুরুতেই কথিত এ বাংলা সনের নামও ‘বাংলা’ সন ছিলো না, এর নাম ছিলো ‘তারিখ-ই-ইলাহি’। যেহেতু সম্রাট আকবর সে মুশরিকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হিন্দু ও মুসলিম ধর্মকে গুলিয়ে ‘দ্বীন-ই-ইলাহি’ নামক একটি নতুন ভ্রান্ত ধর্ম চালু করেছিলো, সেই দ্বীন-ই-ইলাহির নাম অনুসারে এর নামকরণ হয়।
উল্লেখ্য, নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেছিলো বিভ্রান্ত আকবর। এর মধ্যে একটি ছিলো বসন্ত উৎসব, অবশ্য তখন ঋতুর নাম ভিন্ন ছিলো। (তথ্য সূত্র: যুগান্তর, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ঈসায়ী)
প্রচলিত বসন্তোৎসবের আরেকটি শিকড় আছে। সেটা হচ্ছে হিন্দুদের দোলযাত্রা। এ দোলযাত্রাকেও বসন্তোৎসব নামে ডাকা হয়, যদিও ফাল্গুন মাসের জ্যোৎস্নার তিথিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়। ঐদিন উপজাতিরা ‘ফাগুয়ার হোলি খেলা’ নামক একটি উৎসব করে, সেটাকেও তারা বসন্ত উৎসব নামে ডাকে। সাম্প্রতিককালে কথিত এ বসন্ত উৎসব চালু হয় ১৪০১ ফসলী সনে। এর আয়োজনে ছিলো ঢাবি’র চারুকলা ইন্সটিটিউট।
মূলকথা হচ্ছে, বসন্ত উৎসব বা পহেলা ফাল্গুন নামে যা পালন হচ্ছে, তার সাথে না আছে বাঙালিত্বের কোনো ইতিহাস, না আছে দ্বীন ইসলামের কোনো সম্পৃক্ততা। মূলত, বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈমানী শক্তিকে নষ্ট করে দিতে, তাঁদেরকে জাহান্নামী ও মুশরিকদের মতো মালউন (অভিশপ্ত)দের অন্তর্ভুক্ত করে দিতে এটা একটা চক্রান্ত। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, “যে যার সাথে মিল রাখে তার হাশর-নশর তার সাথে হবে।” (পবিত্র হাদীছ শরীফ)
সুতরাং মালউন হিন্দুদের সাথে মিল রাখার জন্য, তাদের পথকে অনুসরণ করার জন্য মুসলমানও ঈমান হারিয়ে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
তাই এ সকল হারাম ও কুফরী অপসংস্কৃতি বন্ধ করা মুসলমান হিসেবে আমাদের একান্ত দায়িত্ব। আর এসব বন্ধ করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে, নিজে এসবের মধ্যে না যাওয়া এবং পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাইকে বুঝিয়ে এসবের মধ্যে যেতে নিষেধ করা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হিফাযত করুন। আমীন!
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-সালেহ মুহম্মদ মুন্সি।© আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net