মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সাবধান! নিশ্চয়ই যেসমস্ত মহৎ ব্যক্তিত্ব উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, উনাদের কোনো ভয় ও চিন্তা নেই।’
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ উনারা আমার জুব্বা মুবারক উনার নিচে অর্থাৎ আমার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন; আমি ছাড়া উনাদেরকে কেউ হাক্বীক্বীভাবে চিনে না।’
আজ সুমহান বরকতময় ৫ই মুহররমুল হারাম শরীফ-
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা পুরুষ হোন বা মহিলা হোন, উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা।
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হযরত আউলিয়া কিরাম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করতঃ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভ করার কোশেশ করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করতঃ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভ করার কোশেশ করা।
হাবীবাতুল্লাহ, মাশুকা, মাহবুবা, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস (৫ই মুহররমুল হারাম শরীফ) উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “ছলিহীন, নেককার, আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী উনাদের আলোচনা যেখানে করা হয়, ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা হয়, সেখানে রহমত বর্ষিত হয়। অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী উনাদের ছানা-ছিফত করার জন্য যারা মজলিস বা মাহফিলের আয়োজন করেন, যারা সেখানে উপস্থিত থাকেন, মাহফিলে আর্থিক ও কায়িক খিদমত করেন, আলোচনা করেন, আলোচনা শুনেন, মুহব্বত করেন উনাদের প্রতি রহমত বর্ষিত হয়। এর ফলে নিজেদের গুনাহখাতা মাফ হয়, আয়-রোজগারে বরকত হয়, বিপদাপদ দূরীভূত হয়, হিদায়েত নছীব হয়। সর্বোপরি উনাদের উসীলায় মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত, দীদার-যিয়ারত ও সন্তুষ্টি মুবারক নছীব হয়। সুবহনাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাধারণ লোকের মৃত্যু ও ওলীআল্লাহগণ উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সাধারণ মু’মিন উনাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, “মৃত্যু হলো দুনিয়া হতে জান্নাতে যাওয়ার সেতু।” আর আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, “মৃত্যু মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট যাওয়ার সেতু।” কাজেই আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মিলনসেতু বা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পবিত্র দীদার মুবারক লাভের মাধ্যম। পবিত্র হাদীছ-এ কুদসী শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে যে, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনারা মৃত্যুবরণ করেন না, বরং উনারা অস্থায়ী আবাস থেকে স্থায়ী আবাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের স্ব স্ব পবিত্র মাযার শরীফ উনার মধ্যে জীবিত রয়েছেন। তাই পবিত্র হাদীছ-এ কুদসী শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে যে, “নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ উনারা আমার জুব্বা মুবারক উনার নিচে অর্থাৎ আমার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন, আমি ছাড়া উনাদেরকে কেউ হাক্বীক্বীভাবে চিনে না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতএব, আল্লাহওয়ালাগণ উনারা উনাদের হায়াত মুবারকে দুনিয়ায় যেরূপ তা’যীম-তাকরীম ও মর্যাদার অধিকারী, তদ্রƒপ পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পরও। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে, এক ওলীআল্লাহ উনাকে প্রশ্ন করা হলো- হুযূর! মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা কতল হয়েছেন (শহীদ হয়েছেন), উনাদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বরং উনারা জীবিত। কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা শহীদ হয়েছেন উনাদের মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। আর আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত কতটুকু সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী তিনি বললেন- দেখো, শহীদগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। আর যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা ওলীআল্লাহ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। যেমন- গরীবে নেওয়াজ, খাজা মুঈনুদ্দীন চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করার পর উনার কপাল মুবারকে নূরানী অক্ষরে লিখিত হয়েছিল, ইনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতেই ইনি পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রত্যেক ওলীআল্লাহ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মুহব্বতেই পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কারোটা প্রকাশ করেন, কারোটা প্রকাশ করেন না। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন, উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত আরো অনেক বেশি, যা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু (নানী) খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করাটা ছিলো তদ্রƒপই। সুবহনাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের মর্যাদা, শান-শওক্বত আলোচনা করে শেষ করার মতো নয়, কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদেরকে অনেক ফযীলত হাদিয়া করেছেন। আর তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাবধান!
নিশ্চয়ই ওলীআল্লাহগণ উনাদের কোনো ভয় নেই ও চিন্তা নেই।” অর্থাৎ উনারা যেরূপ দুনিয়াবী আযাব-গযব, বিপদ-আপদ ও রিযিকের চিন্তা হতে মুক্ত ও যাবতীয় গুনাহ হতে সম্পূর্ণ মাহফুয বা সংরক্ষিত; তদ্রƒপ পরকালে, কবরে, হাশরে সর্বস্থানেই উনারা থাকবেন ভয় ও চিন্তা মুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের উচিত- যেসমস্ত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা হায়াত মুবারকে রয়েছেন অথবা পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহগণ করেছেন উনাদের সকলকেই মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও অনুসরণ করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা পুরুষ হোন বা মহিলা হোন; উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হযরত আউলিয়া কিরাম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করতঃ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভ করার কোশেশ করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Pages
▼
Thursday, October 30, 2014
Monday, October 27, 2014
আজ সুমহান মহাপবিত্র ২রা মুহররমুল হারাম শরীফ-
আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যবীহুল্লাহ, খইরুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, আবুল বাশার, ছাহিবুল জান্নাহ, ছাহিবু নূরিম মুজাসসাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মহাপবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি চান হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে।” অর্থাৎ উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি দুইজন যবেহ আলাইহিমাস সালাম উনাদের আওলাদ।”
আজ সুমহান মহাপবিত্র ২রা মুহররমুল হারাম শরীফ-
আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যবীহুল্লাহ, খইরুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, আবুল বাশার, ছাহিবুল জান্নাহ, ছাহিবু নূরিম মুজাসসাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মহাপবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা।
আর সরকারের জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম অর্থাৎ আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যবীহুল্লাহ, খইরুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, আবুল বাশার, ছাহিবুল জান্নাহ, ছাহিবু নূরিম মুজাসসাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ২ তারিখ মহাপবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য যে, আজই হচ্ছে সেই বেমেছাল সুমহান মহাপবিত্র ২রা মুহররমুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যবীহুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম’। আর সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার নাম মুবারক হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমা বিনতে আমর ইবনে আইছ আলাইহাস সালাম’। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে যবীহুল্লাহ সাইয়্যিদুনা আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন সবচয়ে বেশি সুদর্শন, সুযোগ্য ও ছলেহ। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যবীহুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা মোট ১২ ভাই ও ৬ বোন ছিলেন। তন্মধ্যে ২ ভাই ছোট বেলাতেই পবিত্র বিছাল শরীফপ্রাপ্ত হন। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনি পর্যায়ক্রমে ৬টি বিবাহ করেন। উনাদের ঘরে সর্বমোট ১৮ জন আওলাদ পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। তন্মধ্যে আবনা বা ছেলে সন্তান হচ্ছেন ১২ জন আর বানাত বা মেয়ে সন্তান হচ্ছেন ৬ জন। আবনা উনারা হচ্ছেন- ১. সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম, ২. হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম, ৩. হযরত হামযা আলাইহিস সালাম, ৪. হারিস, ৫. কাসেম (কুসুম), ৬. আবু তালিব (আব্দে মান্নাফ), ৭. আবু লাহাব (আব্দুল উজ্জা), ৮. ধীরার (আব্দুল কা’বা), ৯. গাইদাক (হাজাস, হজল, মুগীরা, মাসাব, নাওফেল) ১০. মুকাওইম (মুকাইম), ১১. জুবায়ের, ১২. আওয়াম। আর বানাত উনারা হচ্ছেন- ১. হযরত ছুফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম (সাফিয়া), ২. উম্মে হাকীম আল বায়জা, ৩. আত্তিকা, ৪. বাররা, ৫. উমায়মা, ৬, আরওয়া।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি দুইজন যবেহ আলাইহিমাস সালাম উনাদের আওলাদ।” একজন হচ্ছেন সম্মানিত নবী ও রসূল হযরত ইসমাইল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম আর অপরজন হচ্ছেন কুল-মাখলুকাতের নবী ও রসূল উনার সম্মানিতা পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পিতা যখন উনাকে শাদী মুবারক করানোর উদ্দেশ্যে পাত্রীর অনুসন্ধানে বের হলেন। পথিমধ্যে ওয়ারাকা ইবনে নওফেল উনার বোন ফাতিমা ওরফে উম্মে কিতাল সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মাঝে নূর মুবারক লক্ষ্য করে স্বেচ্ছায় বিবাহের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পিতা উনার সম্মানে ঐ প্রস্তাব নাকচ করে দেন। ঐ দিনই মদীনাবাসী এবং ব্যবসা উপলক্ষে মক্কায় প্রবাসী হযরত ওয়াহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা মহাপবিত্রা কন্যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিবাহ সম্পন্ন হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র মদীনা শরীফ উনার বনী আদি বংশের জাহরা গোত্রে হযরত আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনিও মুবারক বিবাহ করেছিলেন এবং সেই ঘরে আবু তালেব, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদুনা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনারা পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। সেই গোত্রের কন্যা ছিলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম। সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনাদের উভয়েরই নানীর বাড়ি ছিলো পবিত্র মদীনা শরীফ। পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার মধ্যেই বিবাহ মুবারক সম্পন্ন হয় এবং ঐ দিনেই মিনার নিকটে শিয়াবে আবি তালেব নামক স্থানে উনাদের দুই জনের মুবারক সাক্ষাৎ হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে তাশরীফ মুবারক আনার কয়েক মাস পরেই সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়া হতে ফেরার পথে অসুস্থতাগ্রহণ করার কারণে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার নানীর বাড়িতে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং সেখানেই পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ২ তারিখে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ সম্মানিত “আবওয়া” নামক স্থানে অবস্থিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি সর্বদা পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক হতে পবিত্রা রেহেম শরীফ উনাদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়েছি। আমার পূর্ববর্তী যত পুরুষ ও মহিলা হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম উনার হতে হযরত হাওওয়া আলাইহাস্ সালাম পর্যন্ত অতীত হয়েছেন, উনাদের কেউ কাফির ছিলেন না।” অর্থাৎ নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বযুগে যুগশ্রেষ্ঠ বান্দা-বান্দী উনাদের মাধ্যম দিয়ে যমীনে এসেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ফতওয়া হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম ও সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা উভয়েই জান্নাতী। শুধু জান্নাতীই নন, বরং জান্নাত উদগ্রীব হয়ে আছে কখন উনারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন। কারণ উনারা জান্নাতে প্রবেশ করলেই জান্নাতের একদিক থেকে কামিয়াবী হাছিল হবে। অপরদিক থেকে জান্নাত উনার জান্নাত নামের স্বার্থকতা হাছিল হবে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ প্রকাশ করাও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
আজ সুমহান মহাপবিত্র ২রা মুহররমুল হারাম শরীফ-
আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যবীহুল্লাহ, খইরুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, আবুল বাশার, ছাহিবুল জান্নাহ, ছাহিবু নূরিম মুজাসসাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মহাপবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা।
আর সরকারের জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম অর্থাৎ আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যবীহুল্লাহ, খইরুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, আবুল বাশার, ছাহিবুল জান্নাহ, ছাহিবু নূরিম মুজাসসাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ২ তারিখ মহাপবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য যে, আজই হচ্ছে সেই বেমেছাল সুমহান মহাপবিত্র ২রা মুহররমুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যবীহুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম’। আর সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার নাম মুবারক হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমা বিনতে আমর ইবনে আইছ আলাইহাস সালাম’। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে যবীহুল্লাহ সাইয়্যিদুনা আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন সবচয়ে বেশি সুদর্শন, সুযোগ্য ও ছলেহ। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যবীহুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা মোট ১২ ভাই ও ৬ বোন ছিলেন। তন্মধ্যে ২ ভাই ছোট বেলাতেই পবিত্র বিছাল শরীফপ্রাপ্ত হন। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনি পর্যায়ক্রমে ৬টি বিবাহ করেন। উনাদের ঘরে সর্বমোট ১৮ জন আওলাদ পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। তন্মধ্যে আবনা বা ছেলে সন্তান হচ্ছেন ১২ জন আর বানাত বা মেয়ে সন্তান হচ্ছেন ৬ জন। আবনা উনারা হচ্ছেন- ১. সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম, ২. হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম, ৩. হযরত হামযা আলাইহিস সালাম, ৪. হারিস, ৫. কাসেম (কুসুম), ৬. আবু তালিব (আব্দে মান্নাফ), ৭. আবু লাহাব (আব্দুল উজ্জা), ৮. ধীরার (আব্দুল কা’বা), ৯. গাইদাক (হাজাস, হজল, মুগীরা, মাসাব, নাওফেল) ১০. মুকাওইম (মুকাইম), ১১. জুবায়ের, ১২. আওয়াম। আর বানাত উনারা হচ্ছেন- ১. হযরত ছুফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম (সাফিয়া), ২. উম্মে হাকীম আল বায়জা, ৩. আত্তিকা, ৪. বাররা, ৫. উমায়মা, ৬, আরওয়া।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি দুইজন যবেহ আলাইহিমাস সালাম উনাদের আওলাদ।” একজন হচ্ছেন সম্মানিত নবী ও রসূল হযরত ইসমাইল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম আর অপরজন হচ্ছেন কুল-মাখলুকাতের নবী ও রসূল উনার সম্মানিতা পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পিতা যখন উনাকে শাদী মুবারক করানোর উদ্দেশ্যে পাত্রীর অনুসন্ধানে বের হলেন। পথিমধ্যে ওয়ারাকা ইবনে নওফেল উনার বোন ফাতিমা ওরফে উম্মে কিতাল সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মাঝে নূর মুবারক লক্ষ্য করে স্বেচ্ছায় বিবাহের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পিতা উনার সম্মানে ঐ প্রস্তাব নাকচ করে দেন। ঐ দিনই মদীনাবাসী এবং ব্যবসা উপলক্ষে মক্কায় প্রবাসী হযরত ওয়াহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা মহাপবিত্রা কন্যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিবাহ সম্পন্ন হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র মদীনা শরীফ উনার বনী আদি বংশের জাহরা গোত্রে হযরত আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনিও মুবারক বিবাহ করেছিলেন এবং সেই ঘরে আবু তালেব, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদুনা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনারা পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। সেই গোত্রের কন্যা ছিলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম। সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনাদের উভয়েরই নানীর বাড়ি ছিলো পবিত্র মদীনা শরীফ। পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার মধ্যেই বিবাহ মুবারক সম্পন্ন হয় এবং ঐ দিনেই মিনার নিকটে শিয়াবে আবি তালেব নামক স্থানে উনাদের দুই জনের মুবারক সাক্ষাৎ হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে তাশরীফ মুবারক আনার কয়েক মাস পরেই সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়া হতে ফেরার পথে অসুস্থতাগ্রহণ করার কারণে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার নানীর বাড়িতে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং সেখানেই পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ২ তারিখে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ সম্মানিত “আবওয়া” নামক স্থানে অবস্থিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি সর্বদা পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক হতে পবিত্রা রেহেম শরীফ উনাদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়েছি। আমার পূর্ববর্তী যত পুরুষ ও মহিলা হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম উনার হতে হযরত হাওওয়া আলাইহাস্ সালাম পর্যন্ত অতীত হয়েছেন, উনাদের কেউ কাফির ছিলেন না।” অর্থাৎ নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বযুগে যুগশ্রেষ্ঠ বান্দা-বান্দী উনাদের মাধ্যম দিয়ে যমীনে এসেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ফতওয়া হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম ও সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা উভয়েই জান্নাতী। শুধু জান্নাতীই নন, বরং জান্নাত উদগ্রীব হয়ে আছে কখন উনারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন। কারণ উনারা জান্নাতে প্রবেশ করলেই জান্নাতের একদিক থেকে কামিয়াবী হাছিল হবে। অপরদিক থেকে জান্নাত উনার জান্নাত নামের স্বার্থকতা হাছিল হবে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ প্রকাশ করাও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net