মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সাবধান! নিশ্চয়ই যেসমস্ত মহৎ ব্যক্তিত্ব উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, উনাদের কোনো ভয় ও চিন্তা নেই।’
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ উনারা আমার জুব্বা মুবারক উনার নিচে অর্থাৎ আমার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন; আমি ছাড়া উনাদেরকে কেউ হাক্বীক্বীভাবে চিনে না।’
আজ সুমহান বরকতময় ৫ই মুহররমুল হারাম শরীফ-
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা পুরুষ হোন বা মহিলা হোন, উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা।
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হযরত আউলিয়া কিরাম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করতঃ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভ করার কোশেশ করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করতঃ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভ করার কোশেশ করা।
হাবীবাতুল্লাহ, মাশুকা, মাহবুবা, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস (৫ই মুহররমুল হারাম শরীফ) উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “ছলিহীন, নেককার, আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী উনাদের আলোচনা যেখানে করা হয়, ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা হয়, সেখানে রহমত বর্ষিত হয়। অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী উনাদের ছানা-ছিফত করার জন্য যারা মজলিস বা মাহফিলের আয়োজন করেন, যারা সেখানে উপস্থিত থাকেন, মাহফিলে আর্থিক ও কায়িক খিদমত করেন, আলোচনা করেন, আলোচনা শুনেন, মুহব্বত করেন উনাদের প্রতি রহমত বর্ষিত হয়। এর ফলে নিজেদের গুনাহখাতা মাফ হয়, আয়-রোজগারে বরকত হয়, বিপদাপদ দূরীভূত হয়, হিদায়েত নছীব হয়। সর্বোপরি উনাদের উসীলায় মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত, দীদার-যিয়ারত ও সন্তুষ্টি মুবারক নছীব হয়। সুবহনাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাধারণ লোকের মৃত্যু ও ওলীআল্লাহগণ উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সাধারণ মু’মিন উনাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, “মৃত্যু হলো দুনিয়া হতে জান্নাতে যাওয়ার সেতু।” আর আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, “মৃত্যু মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট যাওয়ার সেতু।” কাজেই আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মিলনসেতু বা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পবিত্র দীদার মুবারক লাভের মাধ্যম। পবিত্র হাদীছ-এ কুদসী শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে যে, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনারা মৃত্যুবরণ করেন না, বরং উনারা অস্থায়ী আবাস থেকে স্থায়ী আবাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের স্ব স্ব পবিত্র মাযার শরীফ উনার মধ্যে জীবিত রয়েছেন। তাই পবিত্র হাদীছ-এ কুদসী শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে যে, “নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ উনারা আমার জুব্বা মুবারক উনার নিচে অর্থাৎ আমার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন, আমি ছাড়া উনাদেরকে কেউ হাক্বীক্বীভাবে চিনে না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতএব, আল্লাহওয়ালাগণ উনারা উনাদের হায়াত মুবারকে দুনিয়ায় যেরূপ তা’যীম-তাকরীম ও মর্যাদার অধিকারী, তদ্রƒপ পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পরও। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে, এক ওলীআল্লাহ উনাকে প্রশ্ন করা হলো- হুযূর! মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা কতল হয়েছেন (শহীদ হয়েছেন), উনাদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বরং উনারা জীবিত। কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা শহীদ হয়েছেন উনাদের মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। আর আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত কতটুকু সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী তিনি বললেন- দেখো, শহীদগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। আর যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা ওলীআল্লাহ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। যেমন- গরীবে নেওয়াজ, খাজা মুঈনুদ্দীন চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করার পর উনার কপাল মুবারকে নূরানী অক্ষরে লিখিত হয়েছিল, ইনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতেই ইনি পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রত্যেক ওলীআল্লাহ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মুহব্বতেই পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কারোটা প্রকাশ করেন, কারোটা প্রকাশ করেন না। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন, উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত আরো অনেক বেশি, যা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু (নানী) খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করাটা ছিলো তদ্রƒপই। সুবহনাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের মর্যাদা, শান-শওক্বত আলোচনা করে শেষ করার মতো নয়, কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদেরকে অনেক ফযীলত হাদিয়া করেছেন। আর তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাবধান!
নিশ্চয়ই ওলীআল্লাহগণ উনাদের কোনো ভয় নেই ও চিন্তা নেই।” অর্থাৎ উনারা যেরূপ দুনিয়াবী আযাব-গযব, বিপদ-আপদ ও রিযিকের চিন্তা হতে মুক্ত ও যাবতীয় গুনাহ হতে সম্পূর্ণ মাহফুয বা সংরক্ষিত; তদ্রƒপ পরকালে, কবরে, হাশরে সর্বস্থানেই উনারা থাকবেন ভয় ও চিন্তা মুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের উচিত- যেসমস্ত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা হায়াত মুবারকে রয়েছেন অথবা পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহগণ করেছেন উনাদের সকলকেই মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও অনুসরণ করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা পুরুষ হোন বা মহিলা হোন; উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হযরত আউলিয়া কিরাম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করতঃ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভ করার কোশেশ করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
No comments:
Post a Comment