আজ সুমহান ঐতিহাসিক পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ।
যেদিনটি সকলের জন্যই রহমত, বরকত ও সাকীনা হাছিল করার দিন। এ সুমহান দিনে অনেক রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ, নিয়ামতপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
পাশাপাশি এদিনটি হচ্ছে- সাইয়্যিদুশ শুহাদা, শুহাদায়ে কারবালা, ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শাহাদাত শরীফ দিবস।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহ উনাদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র আশূরা শরীফ এবং সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদাত দিবস উনার সম্মানার্থে মাসব্যাপী উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা।
আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে পবিত্র মাহফিলসমূহের সার্বিক আঞ্জাম দেয়ার সাথে সাথে কারবালার হৃদয়বিদারক ইতিহাসসহ উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র শাহাদাত শরীফ দিবস উপলক্ষে কমপক্ষে ৩ দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজ সুমহান ঐতিহাসিক পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনাকে এবং উনার মধ্যস্থিত পবিত্র আশূরা শরীফ উনাকে সম্মান করো। যে ব্যক্তি পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস তথা পবিত্র আশূরা শরীফ উনাকে সম্মান করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে সম্মানিত জান্নাত দ্বারা সম্মানিত করবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনারই দশ তারিখ অর্থাৎ ১০ই মুহররম “পবিত্র আশূরা শরীফ” দিনটি বিশ্বব্যাপী এক আলোচিত দিন। সৃষ্টির সূচনা হয় এই রবকতময় দিনে এবং সৃষ্টির সমাপ্তিও ঘটবে এ বরকতময় দিনেই। বিশেষ বিশেষ সৃষ্টি এ রবকতময় দিনেই করা হয় এবং বিশেষ বিশেষ ঘটনা এ বরকতময় দিনেই সংঘটিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুরু করে প্রথম নবী ও রসূল হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম পর্যন্ত প্রায় সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কোনো না কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা এ বরকতময় দিনে সংঘটিত হয়েছে। সঙ্গতকারণেই এ বরকতময় দিনটি সবার জন্য এক মহান আনুষ্ঠানিকতার সম্মানিত দিন যা রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত হাছিল করারও দিন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ দিনেই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মর্যাদা, সম্মান, খুছূছিয়ত ও হাবীবুল্লাহ হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে এদিনকে সম্মানিত করেন। সুবহানাল্লাহ! এদিনে হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার দোয়া মুবারক কবুল করা হয় এবং উনার ইছমত ঘোষণা করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
এদিনে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইদরীস আলাইহিস সালাম উনাকে আকাশে তুলে নেন। সুবহানাল্লাহ! এদিনে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার বরকতময় কিস্তিকে জুদী পাহাড়ে ভিড়িয়েছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
এদিনে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন এবং এদিন উনাকে খলীল উপাধি হাদিয়া করা হয় এবং উনাকে নমরূদের আগুন থেকে বের করে আনা হয়। সুবহানাল্লাহ!
এদিনে হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম উনার ইছমত মুবারক ঘোষণা করা হয় এবং উনার সম্মানিত আওলাদ হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনার বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ব প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়। সুবহানাল্লাহ!
এদিনেই হযরত আইয়ূব আলাইহিস সালাম তিনি অসুস্থতা থেকে আনুষ্ঠানিক আরোগ্য লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ!
এদিনে হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক তিনি কথা মুবারক বলেছিলেন।
সুবহানাল্লাহ! এবং এদিনেই হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ও উনার সম্প্রদায় লোহিত সাগর পার হয়েছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
এদিনেই হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম তিনি মাছ সম্প্রদায়কে সুস্থতা দান করে পুনরায় যমীনে তাশরীফ মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এদিনেই হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
এদিনেই মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়া সৃষ্টি করেন এবং এ দিনেই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। এ দিনেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম যমীনে বৃষ্টি নাযিল করেন। সুবহানাল্লাহ!
এদিনেই হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি রহমতসহ সর্বপ্রথম যমীনে নাযিল হন। আর এদিনেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম পৃথিবীতে রহমত বর্ষণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ উনার আরেকটি রহমত বরকত ও সাকীনাপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে, ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শাহাদত মুবারক দিবস। বলার অপেক্ষাই রাখে না, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদাত মুবারক নিঃসন্দেহে মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ায় অবস্থান গ্রহণকালীন এবং পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করার পরে আরো অনেক মর্মবিদারক শাহাদাতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদাত মুবারক উনার ন্যায় এত দীর্ঘস্থায়ী ও এত ব্যাপক শোক, কান্না ও আহাজারি মুসলিম জাতি আর কোনো শাহাদাতের জন্য করেনি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণের কিছুদিন পরই উনার শাহাদাতের কথা সবার মধ্যে জানাজানি হয়ে গিয়েছিল। সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনারাসহ অন্যান্য ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট সকলেই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শৈশবাবস্থায় জানতে পেরেছিলেন যে, উনাকে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ করা হবে এবং কারবালার ময়দান উনার রক্ত মুবারক দ্বারা রঞ্জিত হবে। এ ব্যাপারে অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত উম্মুল ফজল বিনতে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা (হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আহলিয়া) তিনি বলেন, আমি একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে হাজির হয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোল মুবারক-এ দিলাম। এরপর আমি দেখলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দু’চোখ মুবারক থেকে টপটপ করে পানি মুবারক পড়ছে। আমি আরজ করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, এর কি কারণ? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আমার কাছে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি এসে এ খবর দিয়ে গেলেন, “নিশ্চয়ই আমার উম্মত আমার এ সম্মানিত আওলাদ উনাকে শহীদ করবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি জঙ্গে সিফফীনের সময় কারবালার পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দাঁড়িয়ে গেলেন এবং সেই জায়গার নাম জানতে চাইলেন। লোকেরা বললো, এ জায়গার নাম ‘কারবালা’। ‘কারবালা’র নাম শুনামাত্র সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি এত কান্নাকাটি করলেন যে, উনার দু’চোখ মুবারক উনার পানি মুবারক দ্বারা মাটি পর্যন্ত ভিজে গিয়েছিল। অতঃপর ফরমালেন, আমি একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে হাজির হয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি আরজ করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কাঁদছেন কেন? জাওয়াবে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জানালেন, এইমাত্র হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি এসে আমাকে খবর দিয়ে গেলেন-
“আমার আওলাদ (দৌহিত্র) সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ফোরাত নদীর তীরে যে জায়গায় শহীদ করা হবে, সে জায়গার নাম কারবালা।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পরবর্তীতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ভবিষ্যদ্বাণী মুবারক অনুযায়ী সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৬১ হিজরী সনের পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ১০ তারিখ অর্থাৎ পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররম শরীফ উনার দিনে পবিত্র শাহাদাত মুবারক গ্রহণ করে কায়িনাতবাসীকে এই শিক্ষা দিয়ে গেলেন যে, জীবন চলে গেলেও হক্ব থেকে এক চুল পরিমাণ বিচ্যুতও হওয়া যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই নাহক্ব ও বাতিলের কাছে মাথা নত ও আপোস করা যাবে না। সর্বাবস্থায় হক্ব মত-পথ উনার উপর ইস্তিকামত থাকতে হবে। এটাই পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররম শরীফ উনার অন্যতম শিক্ষা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শহীদকারীদের কেউই মহান আল্লাহ পাক উনার গযব থেকে রক্ষা পায়নি। কেউ লা’নতে পড়ে নিহত হয়েছে এবং কেউ এমন কষ্টদায়ক অবস্থার শিকার হয়েছে যে, মৃত্যুও তার চেয়ে অনেক ভালো ছিল। হযরত ইমাম ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদকারীরা সবাই দুনিয়াতেই কোনো না কোনো প্রকারে শাস্তি পেয়েছে। কেউ নিহত হয়েছে, কেউ অন্ধ হয়ে গেছে। আর ক্ষমতাসীনরা অল্প সময়েই ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আব্দুল মালেক ইবনে মারওয়ানের শাসনামলে যখন হযরত মুখতার সাকাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কূফার শাসক হলেন, তখন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাহাদাত মুবারক-এ অংশগ্রহণকারীদেরকে এবং উনার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া বাহিনীতে যোগদানকারীদেরকে বেছে বেছে হত্যা করেন। এমনকি একদিনে তিনি এ ধরনের দুইশ চল্লিশ ব্যক্তিকে হত্যা করেন। আমর বিন হাজ্জাজ নামক এক ব্যক্তি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শহীদকারী ছিল। সে কূফা থেকে পালিয়েও বাঁচতে পারেনি। হযরত মুখতার সাকাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লোকদের হাতে সে নিহত হয়েছে। হযরত মুখতার সাকাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লোকেরা পাপিষ্ঠ সিমারকে হত্যা করে তার লাশ কুকুরকে খাইয়ে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মোটকথা, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে জিহাদ ও ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমূলে ধ্বংস করে দেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কোনো কোনো গুমরাহ ও কাফির তারা পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহিকে ‘রহমতুল্লাহি আলাইহি’ ও ‘তাবিয়ী’ বলে উল্লেখ করে। নাউযুবিল্লাহ! যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কেননা, ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সে যেসব অপকর্ম করেছে তা সুস্পষ্ট কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কেউ কুফরী করলে সে মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে যায়। যার কারণে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহিকে কাফির, লা’নতগ্রস্ত ও জাহান্নামী বলতে কোনো দ্বিধা করেননি। কাজেই, ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহিকে তাবিয়ী বলার অর্থ হলো তার ছানা-ছিফত করা, তাকে হক্ব বলে স্বীকার করা। ইয়াযীদের মতো পাপিষ্ঠ ব্যক্তির ছানা-ছিফত কেবল ওইসব ব্যক্তিই করতে পারে যে তার শুভাকাঙ্খী, সমর্থনকারী। ফলে সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী ইয়াযীদের যা হুকুম তার শুভাকাঙ্খী ও সমর্থনকারী তাদেরও একই হুকুম। আর তা হলো সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া মতে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ সুমহান ঐতিহাসিক পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররম শরীফ। যেদিনটি সকলের জন্যই রহমত, বরকত ও সাকীনা হাছিল করার দিন। এদিন অনেক রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ, নিয়ামতপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। পাশাপাশি এ সুমহান দিনটি হচ্ছে- সাইয়্যিদুশ শুহাদা, শুহাদায়ে কারবালা, ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শাহাদাত শরীফ দিবস। সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র আশূরা শরীফ এবং সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শাহাদাত দিবস উনার সম্মানার্থে মাসব্যাপী উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে পবিত্র মাহফিলসমূহের সার্বিক আঞ্জাম দেয়ার সাথে সাথে কারবালার হৃদয়বিদারক ইতিহাসসহ উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র শাহাদাত শরীফ দিবস উপলক্ষে কমপক্ষে ৩ দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Thursday, October 30, 2014
আজ সুমহান বরকতময় ৫ই মুহররমুল হারাম শরীফ-
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সাবধান! নিশ্চয়ই যেসমস্ত মহৎ ব্যক্তিত্ব উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, উনাদের কোনো ভয় ও চিন্তা নেই।’
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ উনারা আমার জুব্বা মুবারক উনার নিচে অর্থাৎ আমার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন; আমি ছাড়া উনাদেরকে কেউ হাক্বীক্বীভাবে চিনে না।’
আজ সুমহান বরকতময় ৫ই মুহররমুল হারাম শরীফ-
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা পুরুষ হোন বা মহিলা হোন, উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা।
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হযরত আউলিয়া কিরাম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করতঃ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভ করার কোশেশ করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করতঃ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভ করার কোশেশ করা।
হাবীবাতুল্লাহ, মাশুকা, মাহবুবা, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস (৫ই মুহররমুল হারাম শরীফ) উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “ছলিহীন, নেককার, আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী উনাদের আলোচনা যেখানে করা হয়, ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা হয়, সেখানে রহমত বর্ষিত হয়। অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী উনাদের ছানা-ছিফত করার জন্য যারা মজলিস বা মাহফিলের আয়োজন করেন, যারা সেখানে উপস্থিত থাকেন, মাহফিলে আর্থিক ও কায়িক খিদমত করেন, আলোচনা করেন, আলোচনা শুনেন, মুহব্বত করেন উনাদের প্রতি রহমত বর্ষিত হয়। এর ফলে নিজেদের গুনাহখাতা মাফ হয়, আয়-রোজগারে বরকত হয়, বিপদাপদ দূরীভূত হয়, হিদায়েত নছীব হয়। সর্বোপরি উনাদের উসীলায় মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত, দীদার-যিয়ারত ও সন্তুষ্টি মুবারক নছীব হয়। সুবহনাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাধারণ লোকের মৃত্যু ও ওলীআল্লাহগণ উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সাধারণ মু’মিন উনাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, “মৃত্যু হলো দুনিয়া হতে জান্নাতে যাওয়ার সেতু।” আর আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, “মৃত্যু মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট যাওয়ার সেতু।” কাজেই আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মিলনসেতু বা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পবিত্র দীদার মুবারক লাভের মাধ্যম। পবিত্র হাদীছ-এ কুদসী শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে যে, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনারা মৃত্যুবরণ করেন না, বরং উনারা অস্থায়ী আবাস থেকে স্থায়ী আবাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের স্ব স্ব পবিত্র মাযার শরীফ উনার মধ্যে জীবিত রয়েছেন। তাই পবিত্র হাদীছ-এ কুদসী শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে যে, “নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ উনারা আমার জুব্বা মুবারক উনার নিচে অর্থাৎ আমার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন, আমি ছাড়া উনাদেরকে কেউ হাক্বীক্বীভাবে চিনে না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতএব, আল্লাহওয়ালাগণ উনারা উনাদের হায়াত মুবারকে দুনিয়ায় যেরূপ তা’যীম-তাকরীম ও মর্যাদার অধিকারী, তদ্রƒপ পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পরও। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে, এক ওলীআল্লাহ উনাকে প্রশ্ন করা হলো- হুযূর! মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা কতল হয়েছেন (শহীদ হয়েছেন), উনাদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বরং উনারা জীবিত। কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা শহীদ হয়েছেন উনাদের মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। আর আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত কতটুকু সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী তিনি বললেন- দেখো, শহীদগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। আর যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা ওলীআল্লাহ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। যেমন- গরীবে নেওয়াজ, খাজা মুঈনুদ্দীন চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করার পর উনার কপাল মুবারকে নূরানী অক্ষরে লিখিত হয়েছিল, ইনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতেই ইনি পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রত্যেক ওলীআল্লাহ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মুহব্বতেই পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কারোটা প্রকাশ করেন, কারোটা প্রকাশ করেন না। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন, উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত আরো অনেক বেশি, যা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু (নানী) খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করাটা ছিলো তদ্রƒপই। সুবহনাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের মর্যাদা, শান-শওক্বত আলোচনা করে শেষ করার মতো নয়, কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদেরকে অনেক ফযীলত হাদিয়া করেছেন। আর তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাবধান!
নিশ্চয়ই ওলীআল্লাহগণ উনাদের কোনো ভয় নেই ও চিন্তা নেই।” অর্থাৎ উনারা যেরূপ দুনিয়াবী আযাব-গযব, বিপদ-আপদ ও রিযিকের চিন্তা হতে মুক্ত ও যাবতীয় গুনাহ হতে সম্পূর্ণ মাহফুয বা সংরক্ষিত; তদ্রƒপ পরকালে, কবরে, হাশরে সর্বস্থানেই উনারা থাকবেন ভয় ও চিন্তা মুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের উচিত- যেসমস্ত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা হায়াত মুবারকে রয়েছেন অথবা পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহগণ করেছেন উনাদের সকলকেই মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও অনুসরণ করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা পুরুষ হোন বা মহিলা হোন; উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হযরত আউলিয়া কিরাম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করতঃ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভ করার কোশেশ করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ উনারা আমার জুব্বা মুবারক উনার নিচে অর্থাৎ আমার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন; আমি ছাড়া উনাদেরকে কেউ হাক্বীক্বীভাবে চিনে না।’
আজ সুমহান বরকতময় ৫ই মুহররমুল হারাম শরীফ-
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা পুরুষ হোন বা মহিলা হোন, উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা।
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হযরত আউলিয়া কিরাম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করতঃ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভ করার কোশেশ করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করতঃ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভ করার কোশেশ করা।
হাবীবাতুল্লাহ, মাশুকা, মাহবুবা, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস (৫ই মুহররমুল হারাম শরীফ) উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “ছলিহীন, নেককার, আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী উনাদের আলোচনা যেখানে করা হয়, ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা হয়, সেখানে রহমত বর্ষিত হয়। অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী উনাদের ছানা-ছিফত করার জন্য যারা মজলিস বা মাহফিলের আয়োজন করেন, যারা সেখানে উপস্থিত থাকেন, মাহফিলে আর্থিক ও কায়িক খিদমত করেন, আলোচনা করেন, আলোচনা শুনেন, মুহব্বত করেন উনাদের প্রতি রহমত বর্ষিত হয়। এর ফলে নিজেদের গুনাহখাতা মাফ হয়, আয়-রোজগারে বরকত হয়, বিপদাপদ দূরীভূত হয়, হিদায়েত নছীব হয়। সর্বোপরি উনাদের উসীলায় মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত, দীদার-যিয়ারত ও সন্তুষ্টি মুবারক নছীব হয়। সুবহনাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাধারণ লোকের মৃত্যু ও ওলীআল্লাহগণ উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সাধারণ মু’মিন উনাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, “মৃত্যু হলো দুনিয়া হতে জান্নাতে যাওয়ার সেতু।” আর আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, “মৃত্যু মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট যাওয়ার সেতু।” কাজেই আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মিলনসেতু বা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পবিত্র দীদার মুবারক লাভের মাধ্যম। পবিত্র হাদীছ-এ কুদসী শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে যে, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনারা মৃত্যুবরণ করেন না, বরং উনারা অস্থায়ী আবাস থেকে স্থায়ী আবাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের স্ব স্ব পবিত্র মাযার শরীফ উনার মধ্যে জীবিত রয়েছেন। তাই পবিত্র হাদীছ-এ কুদসী শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে যে, “নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ উনারা আমার জুব্বা মুবারক উনার নিচে অর্থাৎ আমার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন, আমি ছাড়া উনাদেরকে কেউ হাক্বীক্বীভাবে চিনে না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতএব, আল্লাহওয়ালাগণ উনারা উনাদের হায়াত মুবারকে দুনিয়ায় যেরূপ তা’যীম-তাকরীম ও মর্যাদার অধিকারী, তদ্রƒপ পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পরও। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে, এক ওলীআল্লাহ উনাকে প্রশ্ন করা হলো- হুযূর! মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা কতল হয়েছেন (শহীদ হয়েছেন), উনাদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বরং উনারা জীবিত। কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা শহীদ হয়েছেন উনাদের মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। আর আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত কতটুকু সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী তিনি বললেন- দেখো, শহীদগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। আর যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা ওলীআল্লাহ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। যেমন- গরীবে নেওয়াজ, খাজা মুঈনুদ্দীন চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করার পর উনার কপাল মুবারকে নূরানী অক্ষরে লিখিত হয়েছিল, ইনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতেই ইনি পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রত্যেক ওলীআল্লাহ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মুহব্বতেই পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কারোটা প্রকাশ করেন, কারোটা প্রকাশ করেন না। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে যেসকল মহান ব্যক্তিত্বগণ উনারা পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন, উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত আরো অনেক বেশি, যা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত জাদ্দাতু (নানী) খলীফাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করাটা ছিলো তদ্রƒপই। সুবহনাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের মর্যাদা, শান-শওক্বত আলোচনা করে শেষ করার মতো নয়, কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদেরকে অনেক ফযীলত হাদিয়া করেছেন। আর তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাবধান!
নিশ্চয়ই ওলীআল্লাহগণ উনাদের কোনো ভয় নেই ও চিন্তা নেই।” অর্থাৎ উনারা যেরূপ দুনিয়াবী আযাব-গযব, বিপদ-আপদ ও রিযিকের চিন্তা হতে মুক্ত ও যাবতীয় গুনাহ হতে সম্পূর্ণ মাহফুয বা সংরক্ষিত; তদ্রƒপ পরকালে, কবরে, হাশরে সর্বস্থানেই উনারা থাকবেন ভয় ও চিন্তা মুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের উচিত- যেসমস্ত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা হায়াত মুবারকে রয়েছেন অথবা পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহগণ করেছেন উনাদের সকলকেই মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও অনুসরণ করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা পুরুষ হোন বা মহিলা হোন; উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হযরত আউলিয়া কিরাম উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করতঃ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভ করার কোশেশ করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Monday, October 27, 2014
আজ সুমহান মহাপবিত্র ২রা মুহররমুল হারাম শরীফ-
আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যবীহুল্লাহ, খইরুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, আবুল বাশার, ছাহিবুল জান্নাহ, ছাহিবু নূরিম মুজাসসাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মহাপবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি চান হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে।” অর্থাৎ উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি দুইজন যবেহ আলাইহিমাস সালাম উনাদের আওলাদ।”
আজ সুমহান মহাপবিত্র ২রা মুহররমুল হারাম শরীফ-
আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যবীহুল্লাহ, খইরুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, আবুল বাশার, ছাহিবুল জান্নাহ, ছাহিবু নূরিম মুজাসসাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মহাপবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা।
আর সরকারের জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম অর্থাৎ আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যবীহুল্লাহ, খইরুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, আবুল বাশার, ছাহিবুল জান্নাহ, ছাহিবু নূরিম মুজাসসাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ২ তারিখ মহাপবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য যে, আজই হচ্ছে সেই বেমেছাল সুমহান মহাপবিত্র ২রা মুহররমুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যবীহুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম’। আর সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার নাম মুবারক হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমা বিনতে আমর ইবনে আইছ আলাইহাস সালাম’। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে যবীহুল্লাহ সাইয়্যিদুনা আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন সবচয়ে বেশি সুদর্শন, সুযোগ্য ও ছলেহ। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যবীহুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা মোট ১২ ভাই ও ৬ বোন ছিলেন। তন্মধ্যে ২ ভাই ছোট বেলাতেই পবিত্র বিছাল শরীফপ্রাপ্ত হন। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনি পর্যায়ক্রমে ৬টি বিবাহ করেন। উনাদের ঘরে সর্বমোট ১৮ জন আওলাদ পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। তন্মধ্যে আবনা বা ছেলে সন্তান হচ্ছেন ১২ জন আর বানাত বা মেয়ে সন্তান হচ্ছেন ৬ জন। আবনা উনারা হচ্ছেন- ১. সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম, ২. হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম, ৩. হযরত হামযা আলাইহিস সালাম, ৪. হারিস, ৫. কাসেম (কুসুম), ৬. আবু তালিব (আব্দে মান্নাফ), ৭. আবু লাহাব (আব্দুল উজ্জা), ৮. ধীরার (আব্দুল কা’বা), ৯. গাইদাক (হাজাস, হজল, মুগীরা, মাসাব, নাওফেল) ১০. মুকাওইম (মুকাইম), ১১. জুবায়ের, ১২. আওয়াম। আর বানাত উনারা হচ্ছেন- ১. হযরত ছুফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম (সাফিয়া), ২. উম্মে হাকীম আল বায়জা, ৩. আত্তিকা, ৪. বাররা, ৫. উমায়মা, ৬, আরওয়া।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি দুইজন যবেহ আলাইহিমাস সালাম উনাদের আওলাদ।” একজন হচ্ছেন সম্মানিত নবী ও রসূল হযরত ইসমাইল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম আর অপরজন হচ্ছেন কুল-মাখলুকাতের নবী ও রসূল উনার সম্মানিতা পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পিতা যখন উনাকে শাদী মুবারক করানোর উদ্দেশ্যে পাত্রীর অনুসন্ধানে বের হলেন। পথিমধ্যে ওয়ারাকা ইবনে নওফেল উনার বোন ফাতিমা ওরফে উম্মে কিতাল সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মাঝে নূর মুবারক লক্ষ্য করে স্বেচ্ছায় বিবাহের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পিতা উনার সম্মানে ঐ প্রস্তাব নাকচ করে দেন। ঐ দিনই মদীনাবাসী এবং ব্যবসা উপলক্ষে মক্কায় প্রবাসী হযরত ওয়াহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা মহাপবিত্রা কন্যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিবাহ সম্পন্ন হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র মদীনা শরীফ উনার বনী আদি বংশের জাহরা গোত্রে হযরত আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনিও মুবারক বিবাহ করেছিলেন এবং সেই ঘরে আবু তালেব, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদুনা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনারা পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। সেই গোত্রের কন্যা ছিলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম। সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনাদের উভয়েরই নানীর বাড়ি ছিলো পবিত্র মদীনা শরীফ। পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার মধ্যেই বিবাহ মুবারক সম্পন্ন হয় এবং ঐ দিনেই মিনার নিকটে শিয়াবে আবি তালেব নামক স্থানে উনাদের দুই জনের মুবারক সাক্ষাৎ হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে তাশরীফ মুবারক আনার কয়েক মাস পরেই সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়া হতে ফেরার পথে অসুস্থতাগ্রহণ করার কারণে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার নানীর বাড়িতে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং সেখানেই পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ২ তারিখে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ সম্মানিত “আবওয়া” নামক স্থানে অবস্থিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি সর্বদা পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক হতে পবিত্রা রেহেম শরীফ উনাদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়েছি। আমার পূর্ববর্তী যত পুরুষ ও মহিলা হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম উনার হতে হযরত হাওওয়া আলাইহাস্ সালাম পর্যন্ত অতীত হয়েছেন, উনাদের কেউ কাফির ছিলেন না।” অর্থাৎ নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বযুগে যুগশ্রেষ্ঠ বান্দা-বান্দী উনাদের মাধ্যম দিয়ে যমীনে এসেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ফতওয়া হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম ও সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা উভয়েই জান্নাতী। শুধু জান্নাতীই নন, বরং জান্নাত উদগ্রীব হয়ে আছে কখন উনারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন। কারণ উনারা জান্নাতে প্রবেশ করলেই জান্নাতের একদিক থেকে কামিয়াবী হাছিল হবে। অপরদিক থেকে জান্নাত উনার জান্নাত নামের স্বার্থকতা হাছিল হবে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ প্রকাশ করাও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
আজ সুমহান মহাপবিত্র ২রা মুহররমুল হারাম শরীফ-
আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যবীহুল্লাহ, খইরুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, আবুল বাশার, ছাহিবুল জান্নাহ, ছাহিবু নূরিম মুজাসসাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মহাপবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা।
আর সরকারের জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম অর্থাৎ আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যবীহুল্লাহ, খইরুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, আবুল বাশার, ছাহিবুল জান্নাহ, ছাহিবু নূরিম মুজাসসাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ২ তারিখ মহাপবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য যে, আজই হচ্ছে সেই বেমেছাল সুমহান মহাপবিত্র ২রা মুহররমুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যবীহুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম’। আর সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার নাম মুবারক হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমা বিনতে আমর ইবনে আইছ আলাইহাস সালাম’। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে যবীহুল্লাহ সাইয়্যিদুনা আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন সবচয়ে বেশি সুদর্শন, সুযোগ্য ও ছলেহ। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যবীহুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা মোট ১২ ভাই ও ৬ বোন ছিলেন। তন্মধ্যে ২ ভাই ছোট বেলাতেই পবিত্র বিছাল শরীফপ্রাপ্ত হন। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনি পর্যায়ক্রমে ৬টি বিবাহ করেন। উনাদের ঘরে সর্বমোট ১৮ জন আওলাদ পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। তন্মধ্যে আবনা বা ছেলে সন্তান হচ্ছেন ১২ জন আর বানাত বা মেয়ে সন্তান হচ্ছেন ৬ জন। আবনা উনারা হচ্ছেন- ১. সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম, ২. হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম, ৩. হযরত হামযা আলাইহিস সালাম, ৪. হারিস, ৫. কাসেম (কুসুম), ৬. আবু তালিব (আব্দে মান্নাফ), ৭. আবু লাহাব (আব্দুল উজ্জা), ৮. ধীরার (আব্দুল কা’বা), ৯. গাইদাক (হাজাস, হজল, মুগীরা, মাসাব, নাওফেল) ১০. মুকাওইম (মুকাইম), ১১. জুবায়ের, ১২. আওয়াম। আর বানাত উনারা হচ্ছেন- ১. হযরত ছুফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম (সাফিয়া), ২. উম্মে হাকীম আল বায়জা, ৩. আত্তিকা, ৪. বাররা, ৫. উমায়মা, ৬, আরওয়া।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি দুইজন যবেহ আলাইহিমাস সালাম উনাদের আওলাদ।” একজন হচ্ছেন সম্মানিত নবী ও রসূল হযরত ইসমাইল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম আর অপরজন হচ্ছেন কুল-মাখলুকাতের নবী ও রসূল উনার সম্মানিতা পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পিতা যখন উনাকে শাদী মুবারক করানোর উদ্দেশ্যে পাত্রীর অনুসন্ধানে বের হলেন। পথিমধ্যে ওয়ারাকা ইবনে নওফেল উনার বোন ফাতিমা ওরফে উম্মে কিতাল সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মাঝে নূর মুবারক লক্ষ্য করে স্বেচ্ছায় বিবাহের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পিতা উনার সম্মানে ঐ প্রস্তাব নাকচ করে দেন। ঐ দিনই মদীনাবাসী এবং ব্যবসা উপলক্ষে মক্কায় প্রবাসী হযরত ওয়াহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা মহাপবিত্রা কন্যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিবাহ সম্পন্ন হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র মদীনা শরীফ উনার বনী আদি বংশের জাহরা গোত্রে হযরত আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনিও মুবারক বিবাহ করেছিলেন এবং সেই ঘরে আবু তালেব, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদুনা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনারা পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। সেই গোত্রের কন্যা ছিলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম। সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনাদের উভয়েরই নানীর বাড়ি ছিলো পবিত্র মদীনা শরীফ। পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার মধ্যেই বিবাহ মুবারক সম্পন্ন হয় এবং ঐ দিনেই মিনার নিকটে শিয়াবে আবি তালেব নামক স্থানে উনাদের দুই জনের মুবারক সাক্ষাৎ হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে তাশরীফ মুবারক আনার কয়েক মাস পরেই সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়া হতে ফেরার পথে অসুস্থতাগ্রহণ করার কারণে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার নানীর বাড়িতে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং সেখানেই পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ২ তারিখে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ সম্মানিত “আবওয়া” নামক স্থানে অবস্থিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি সর্বদা পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক হতে পবিত্রা রেহেম শরীফ উনাদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়েছি। আমার পূর্ববর্তী যত পুরুষ ও মহিলা হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম উনার হতে হযরত হাওওয়া আলাইহাস্ সালাম পর্যন্ত অতীত হয়েছেন, উনাদের কেউ কাফির ছিলেন না।” অর্থাৎ নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বযুগে যুগশ্রেষ্ঠ বান্দা-বান্দী উনাদের মাধ্যম দিয়ে যমীনে এসেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ফতওয়া হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম ও সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা উভয়েই জান্নাতী। শুধু জান্নাতীই নন, বরং জান্নাত উদগ্রীব হয়ে আছে কখন উনারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন। কারণ উনারা জান্নাতে প্রবেশ করলেই জান্নাতের একদিক থেকে কামিয়াবী হাছিল হবে। অপরদিক থেকে জান্নাত উনার জান্নাত নামের স্বার্থকতা হাছিল হবে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ প্রকাশ করাও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সউদী ওহাবী সরকার ও ওহাবীরা যে আসলেই ইহুদী তা- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র রওযা শরীফ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দ্বারা আবারো সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র রওযা শরীফ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার প্রেক্ষিতে সউদী ওহাবী ইহুদীদেরকে সতর্ক করে তিনি উপরোক্ত ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে যে দলটি মুসলমানের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে, সে দলটি হচ্ছে- ইহুদীবাদী ওহাবী ফিরক্বা। এই ইহুদী বংশোদ্ভূত ওহাবীরা মুসলমান উনাদের পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র ঈমান উনাকে নষ্ট করার লক্ষ্যে পূর্ব থেকেই নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে- পবিত্র হজ্জ উনার সময় তারা প্রচার করে থাকে যে, ‘পবিত্র হজ্জ উনার সাথে পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারতের কোনো সম্পর্ক নেই।’ নাউযুবিল্লাহ! অর্থাৎ তাদের মতে, পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারতের কোনো প্রয়োজন নেই। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করা পবিত্র হজ্জ কবুল হওয়ার শর্ত এবং পবিত্র হজ্জ করে পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত না করে ফিরে আসলে বেঈমান হবে। কারণ সম্মানিত ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে হজ্জ সম্পাদন করলো অথচ আমার মুবারক জিয়ারত করলো না, সে আমার সাথে বেয়াদবী করলো।” উল্লেখ্য, যে বেয়াদবী করে সে জাহান্নামী হয়। অর্থাৎ বেয়াদব জাহান্নামী হবে। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার আম ফতওয়া হলো- হাজী ছাহেবদের জন্য মহাসম্মানিত রওযা শরীফ জিয়ারত করা সম্মানিত সুন্নত মুবারক। আর খাছ ও মূল ফতওয়া হলো- হাজী ছাহেবসহ যাদের সামর্থ্য রয়েছে তাদের সকলের জন্য মহাসম্মানিত রওযা শরীফ জিয়ারত করা ফরয। এ ফতওয়ার বিপরীত মত পোষণ করা কুফরী। তাই অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করার জন্য তাগিদ করা হয়েছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আমার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করবে, তার জন্যে আমার সুপারিশ ওয়াজিব।” সুবহানাল্লাহ! অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আমার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করবে, সে ক্বিয়ামতের দিন আমার পড়শি হবে। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি পবিত্র মক্কা শরীফ অথবা পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের হেরেম শরীফ-এ মৃত্যুবরণ করবে, সে ক্বিয়ামতের দিন নিরাপত্তা লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারতের ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি পবিত্র হজ্জ করার পর আমার রওযা শরীফ যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে মসজিদে নববী শরীফ-এ আসবে, তার জন্যে দুটি মকবুল পবিত্র হজ্জ লেখা হবে।” সুবহানাল্লাহ! অন্যত্র আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি আমার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পর আমার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করলো, সে যেন দুনিয়াতেই আমার পবিত্র যিয়ারত বা সাক্ষাৎ মুবারক লাভ করলো। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি আমার রওযা শরীফ যিয়ারত করবে, তার জন্যে ক্বিয়ামতের দিন শাফায়াত করা আমার উপর ওয়াজিব হবে। সুবহানাল্লাহ! আমার যে উম্মত সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও আমার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করবে না, তার কোনো ওজরই গ্রহণযোগ্য হবে না।” নাউযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উল্লিখিত পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ সুলত্বানুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাসসিরীন, যুবদাতুল আরিফীন, আশেকু রসূলিল্লাহ, শায়খুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ হযরত মাওলানা শাহ ছূফী আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্ববিখ্যাত কিতাব ‘জযবুল কুলূব ইলা দিয়ারিল মাহবুব’ উনার যিয়ারত অধ্যায়ে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহের কোনোটি ছহীহ ও কোনোটি হাসান পর্যায়ের।” সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত না করা পর্যন্ত কোনো হাজী ছাহেবের পবিত্র হজ্জই পূর্ণ হবে না, অর্থাৎ পবিত্র হজ্জ অপূর্ণ থেকে যাবে। যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “রওযা শরীফ যিয়ারত করা পবিত্র হজ্জকে পূর্ণতাদানের কারণ।” সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ এবং মুসলমান উনাদের হজ্জ তথা ঈমান-আমল নষ্ট এবং মহাপবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত উনার বরকত থেকে মাহরূম করার লক্ষ্যেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র রওযা শরীফ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং ধৃষ্ঠতাপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে সউদী ওহাবী সরকার ও গুমরাহ ওহাবী মালানারা। নাউযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে- যদি তারা এরূপ কুফরী অপপ্রচার ও পদক্ষেপ থেকে অনতিবিলম্বে সরে না আসে, তাহলে অবশ্যই তারা অতিসত্বর আবরাহা, নমরূদ, শাদ্দাদ ও ফিরআউনের মতো ধ্বংস হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ! এ ধ্বংস থেকে কেউ তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ! আর সারাবিশ্বের সকল মুসলমান ও আশিকে রসূলগণের জন্য ঈমানী দায়িত্ব অর্থাৎ ফরয হচ্ছে- নিজের জীবন দিয়ে হলেও ইহুদী বংশোদ্ভূত সউদী ওহাবীদের এরূপ পদক্ষেপ অঙ্কুরেই মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া এবং তাদেরকে সমূচিত শিক্ষা দেয়া। যাতে ভবিষ্যতে আর কখনো তারা এরূপ কথা উচ্চারণ করা তো দূরের কথা, কল্পনা করারও দুঃসাহস না দেখায়। █║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
© আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Wednesday, July 16, 2014
সত্য-মিথ্যা পার্থক্যকারী ঐতিহাসিক বদরের জিহাদ
হিজরতের দ্বিতীয় সনে বদরের জিহাদ সংঘটিত হয়। এটাকে বড় বদরও বলা হয়ে থাকে। বদর একটি স্থানের নাম। বদর ইবনে মুখাল্লাদ ইবন নযর ইবন কিনানা-এর নামানুসারে এই স্থানের নাম খ্যাতি লাভ করে। তিনি এই স্থানে তাঁবু করেছিলেন। অথবা বদর ইবন হারিছ নামে এক লোক এখানে একটি কূপ খনন করেছিলেন। এ জন্য তার নামানুসারেই ইহা খ্যাত হয়েছে। কেউ কেউ বলেন যে, এখানে বদর নামে এক বৃদ্ধ বহুদিন বসবাস করেছিল। পরে এই বৃদ্ধের নামেই এই বসবাস স্থানের পরিচিতি লাভ করে। অথবা ইহার নামকরণের কারণ, এই স্থানটি খুবই প্রশস্ত এবং ইহার পানি অত্যন্ত পরিষ্কার ও নির্মল, এমনকি ইহাতে পূর্ণচন্দ্র পরিলক্ষিত হতো।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার হায়াত মুবারকে যতগুলি জিহাদ করেছেন তন্মধ্যে এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। ইহা এক বিরাট জিহাদ। কারণ, এই জিহাদের মাধ্যমেই ইসলামের মর্যাদা, ইযযত ও শান-শওকত প্রকাশ পেয়েছে। ইহা দ্বারা ইসলামের সম্মান-সম্ভ্রম ও প্রভাব-প্রতিপত্তি সমগ্র আরবে বিস্তার করেছিল। সুতরাং এই দিনটিকে “ইয়াওমুল ফুরকান” বা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাস্তবিকই এই জিহাদের মাধ্যমে ইসলাম ও কুফরের মধ্যে একটি বিরাট পার্থক্য সূচিত হয়েছিল। পবিত্র কুরআন শরীফ-এ বলা হইয়াছে-
يوم التقى الجمعان অর্থাৎ এ দিন কাফির ও মুসলিমগণ মিলিত হয়েছিলেন। এ দিন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইসলাম ও মুসলমানগণকে জয়ী করেছিলেন এবং কাফিরদেরকে পরাজিত ও পর্যুদস্ত করে চরমভাবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছিলেন। অথচ মুসলমানগণদের সংখ্যার চেয়ে কাফিরদের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। তদুপরি কাফিররা পরিপূর্ণরূপে জিহাদের অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অহঙ্কার ভরে এসেছিল। কিন্তু মহান পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মান ও বেমেছাল শানকে প্রকাশ করেছিলেন। এই জিহাদের দ্বারা মহান আল্লাহ পাক ইসলামের ভিত্তি মজবুত ও সুদৃঢ় করেছেন। ইসলামের জ্যোতির দ্বারা চতুর্দিক আলোকিত করে তুললেন। দুষ্টের দলের অহঙ্কার চূর্ণ-বিচূর্ণ করে তাদের মুখে কলঙ্কের কালিমা লেপন করে দিলেন। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক মুসলমানগণদের উপর উনার গায়েবী মদদের কথা উল্লেখ করে বলেন-
ذلة لقد تصركم الله ببدر وانتم “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে বদরের দিন জয়ী করেছিলেন, অথচ আপনারা ছিলেন অল্প সংখ্যক” (সূরা আলে ইমরান : ১২৩)। মূলত বিজয় আসে একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে। সংখ্যা বেশি-কমের উপর জয়-পরাজয় নির্ভর করে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন, وما النصر الا من عند الله العزيز الحكيم “বিজয় কেবল মহান আল্লাহ পাক উনার হতে এসে আসিয়া থাকে।” (সূরা আলে ইমরান : ১২৬)।
এই জিহাদ ছফরে বাহির হলেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১২ই রমাদ্বান দ্বিতীয় হিজরী, হিজরতের ১৯তম মাসে। মতান্তরে ৮ই রমাদ্বান। জিহাদ সংঘটিত হয় ১৭ই রমাদ্বান শুক্রবার দিন। মতান্তরে শনিবার দিন। এই জিহাদ অভিযানের সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আবূ লুবাবা আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে মদীনায় উনার প্রতিনিধি নিয়োগ করে গিয়েছিলেন। এই জিহাদে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে মদীনার আনসারগণও যোগদান করেছিলেন। ইতোপূর্বে আনসারগণ আর কোন জিহাদে বা কোন অভিযানে অংশগ্রহণ করেন নাই। কারণ, আকাবার বাইয়াতের সময় উনাদের সাথে যে চুক্তি হয়েছিল তাহাতে উল্লেখ ছিল যে, উনারা উনাদের শহরে থেকেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতের ব্যবস্থা করিবেন এবং উনার দুশমনদের প্রতিরোধ করবেন।
যা হোক, এই জিহাদে মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা ছিল তিনশত তেরজন থেকে তিনশত পনোরো জন। তন্মধ্যে ৭৭ জন মুহাজির আর ২৩৬ জন আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে ছিলেন মাত্র ৩০৫ জন। তন্মধ্যে ৮০ জন মুহাজির ও অবশিষ্টগণ আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। অবশিষ্ট আটজন কোন কারণে জিহাদের ময়দানে উপস্থিত হতে পারেননি। কিন্তু তথাপি উনাদেরকে গনীমতের মালের অংশ দেয়া হয়েছিল। ঐতিহাসিকগণ উনাদেরকে বদর জিহাদের অংশগ্রহণকারী হিসেবে গণ্য করেন। মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম উনাদের মধ্যে যে তিনজন জিহাদে অংশগ্রহণ করতে পারেননি উনাদের মধ্যে একজন হযরত উসমান ইবনে আফফান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশে উনার অসুস্থ মেয়ে হযরত রুকাইয়া আলাইহাস সালাম উনার খিদমতের জন্য মদীনা শরীফ-এ থেকে যান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় জন হযরত তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত সাঈদ ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি মুশরিকদের কাফেলার অনুসন্ধানে বাহির হয়েছিলেন। উনারাও সরাসরি জিহাদে অংশ নিতে পারেননি। আর আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে যে ৫ জন জিহাদে অংশগ্রহণ করতে পারেননি, উনাদের নাম বিভিন্ন জীবন চরিত গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে।
এই জিহাদে মুসলমানগণদের নিকট ছিল, ৩টি অশ্ব, ৭০টি উট, ৬টি বর্ম এবং ৮টি তরবারি। এক একটি উটের পিঠে কয়েকজন করে আরোহণ করে উনারা জিহাদে গমন করেছিলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাহন মুবারকেও হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত যায়িদ ইবনে হারিছা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আরোহণে শরীক হয়েছিলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পদব্রজে চলার সময় আসলে উনারা উভয়েই নিবেদন করতেন যে, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আনার বাহনেই থাকুন। আমরা আপনার সৌভাগ্য-সংস্পর্শে হেঁটে চলি। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলতেন, তোমরা আমার চাইতে শক্তিশালী নও।
অপরপক্ষে মুশরিকদের সংখ্যা ছিল এক হাজার, তদুপরি বীর ও দক্ষ যোদ্ধা সমন্বয়ে গঠিত একটি সৈন্যবাহিনী।
এক বর্ণনা অনুযায়ী তাদের সংখ্যা ছিল এক সহ¯্ররে কম তবে নয়শতের ঊর্ধ্বে। তাদের সঙ্গে ছিল একশত অশ্ব ও জিহাদ সম্ভারে বোঝাই সাতশত বা তার চাইতেও অধিক সংখ্যক উট। তদুপরি তাদের ছিল আকাশচুম্বী অহঙ্কার ও গর্ব। তাছাড়া তাদের অশ্বারোহী প্রত্যেকটি সৈনিক ছিল বর্মাচ্ছাদিত এমনকি পদাতিক সৈন্যগণও বর্মধারী ছিল। তাদের সঙ্গে আরও ছিল বাদ্যযন্ত্রসহ জিহাদে উন্মাদনা সৃষ্টিকারী একদল গায়িকা ও নর্তকী। ইহারা যে জলাভূমির ধারেই তাঁবু করতো, সেখানেই তাদের গায়িকা ও নর্তকীর দল সারিন্দা ও তবলা বাজাইয়া গান করতো আর ইসলাম ও মুসলমানদের বদনাম করতো। নাউযুবিল্লাহ! কুরাইশ নেতাদের মধ্যে একেক জন একেক দিন তাদের সকলের ভোজের আয়োজন করতো। দৈনিক তাদের জন্য ১১টি উট যবাহ করা হতো।
এক বর্ণনায় আছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দোয়া করে বললেন, হে মহান আল্লাহ পাক! মুসলমানগণ পদাতিক, তাদেরকে আপনি অনুগ্রহপূর্বক বাহনের পশুর ব্যবস্থা করে দিন। উনারা ক্ষুধার্ত, আপনি মেহেরবানী করে উনাদের আহারের ব্যবস্থা করে দিন। উনাদের পরিধানের কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিন। দরিদ্র, অভাবগ্রস্ত, উনাদেরকে সম্পদ দান করুন। সুতরাং উনারা যখন মদীনা শরীফ-এ প্রত্যাবর্তন করলেন, তখন উনাদের মধ্যে এমন কেউই ছিলেন না, যিনি উট, কাপড় ও অর্থসামগ্রী পাননি।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত সাঈদ ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদেরকে উপরোক্ত কুরাইশ কাফেলার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রেরণ করেছিলেন। উনারা যথাসময়ে মদীনা শরীফ-এ প্রত্যাবর্তন করে কাফেলার অবস্থা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পেশ করলেন।
বদরের জিহাদক্ষেত্র :
মুসলিম সৈন্যবাহিনী জিহাদক্ষেত্রে এসে অবস্থান গ্রহণ করলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কাতারগুলো সোজা করে দেয়ার নির্দেশ দিলেন- আমার নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত শত্রুর উপর আক্রমণ চালাবে না। যদি শত্রু তোমাদের নিকটবর্তী হয়ে যায়, তবে তীর নিক্ষেপ করে শত্রুকে প্রতিহত করবে। তবে এই পরিমাণে তীর ছুঁড়িবে যাতে তীর শেষ না হয়ে যায়।
ঐতিহাসিকগণ এই সময়ের একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা বর্ণনা করেছেন যে, নূরে মুজাসসামম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিহাদের কাতার সোজা করছিলেন। তখন উনার পবিত্র হস্ত মুবারকে একটি যষ্টি ছিল। হযরত সাওয়াদ ইবনে আযিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন সজ্জন ও সদাখুশি ছাহাবী। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কাতারের সামান্য অগ্রভাগে গিয়ে দাঁড়ালেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হস্তের যষ্টি দ্বারা উনার বক্ষে আঘাত করে বললেন, ‘হে সাওয়াদ! কাতার সোজা করে দাঁড়াও।’ তিনি আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আমাকে খুবই ব্যথা দিয়াছেন। অথচ মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সত্য ও ন্যায়সহ প্রেরণ করেছেন। ন্যায় ও ইনসাফের মালিক আপনি। আমাকে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ দিন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ও মুবারক সীনা খুলে দিয়ে বললেন, হে আস সাওয়াদ! এই মুহূর্তে তুমি প্রতিশোধ গ্রহণ কর। হযরত সাওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সম্মুখে অগ্রসর হয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বক্ষ মুবারকে চুম্বন করলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তুমি এমন করছ কেন? তিনি নিবেদন করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটি আমার জীবনের চরম মুহূর্ত। আমি এই জিহাদে শহীদ হব। আমার বড় আকাক্সক্ষা ছিল আমার দেহটি আপনার পবিত্র দেহ মুবারক স্পর্শ করুক। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার জন্য দোয়া করলেন।
এরপর কাফিরদের সৈন্যবাহিনী হতে উতবা ইবনে রবীআ, ওয়ালীদ ইবনে উতবা এবং শায়বা এই তিনজন জিহাদক্ষেত্রে আসল। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আহবান করল। মুসলিম বাহিনীর মধ্যে হযরত হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দুই পুত্র হযরত আওফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত মুয়াজ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এই তিনজন তাদের মুকাবিলা করতে সামনে অগ্রসর হলেন। কাফিররা জিজ্ঞাসা করল, তোমরা কে? উনারা বললেন, আমরা আনসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। কাফিরা বলল, আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আমরা তো আমাদের চাচাদের পুত্রগণকে আহ্বান করছি। তাদেরই একজন উচ্চকণ্ঠে আহ্বান করল, হে মুহাম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের গোত্রের সমকক্ষ লোক প্রেরণ করুন। রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উবাইদ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদেরকে তাদের মুকাবিলা করতে পাঠালেন। উনারা তিনজন জিহাদক্ষেত্রে কাফিরদের মুকাবিলা করতে উপস্থিত হলেন। এবার কাফিরা বলল, হ্যাঁ, আপনারা আমাদের সমকক্ষ। নাউযুবিল্লাহ! হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি অত্যন্ত বৃদ্ধ ছিলেন, উনার বয়স মুবারক ছিল ৮০ বৎসর। তিনি উতবার বিরুদ্ধে আসলেন, হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শায়বার বিরুদ্ধে এবং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ওয়ালীদের বিরুদ্ধে উপস্থিত হলেন। অপর বর্ণনায় অন্যভাবে বর্ণিত রয়েছে। যা হোক, হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ওয়ালীদ ইবনে উতবার বিরুদ্ধে জিহাদ করে তাকে হত্যা করলেন। হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও উনার প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করলেন। কিন্তু হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উতবার বিরুদ্ধে অস্ত্র পরিচালনা শুরু করলেন। হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্ত হলেন। ইতোমধ্যে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিও হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা সাহায্যে এগিয়ে আসলেন এবং উতবাকে ধরাশায়ী করতে উনাকে সাহায্য করলেন। তারপর উনারা আহত হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে কাঁধে উঠিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে নিয়ে আসলেন। হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পা মুবারক-এর নালী হতে মগজ বইয়া পড়ছিল। হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আরজ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি কি শহীদ হই নাই? রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আপনি শহীদ। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এরূপ প্রশ্ন করার কারণ হল, হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জিহাদক্ষেত্রে শাহাদাত বরন করেননি। উনার বেশ বিলম্ব হচ্ছে ভাবিয়া উনার অন্তরে বিদায়ের খেয়াল উদ্দেগ হয়েছিল। আর তাই তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এই প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। ইহাতে ফকীহগণ উনাদের দ্বিমত দেখা যায়। হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বদর হতে প্রত্যাবর্তনের সময় সাফরা বা রাওহা প্রান্তরে শাহাদত বরণ করেছেন এবং সেখানেই দাফন করা হয়।
হযরত মুয়াব্বায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা দুই ভাই। উনারা হযরত আফরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা উনার পুত্র। এই দুই ভাই আবূ জাহেলের সন্ধানে ঘুরতেছিলেন।তাকে দেখতে পেয়ে উনারা বিদ্যুৎগতিতে তার নিকট দৌড়ে গেলেন। তরবারি দ্বারা আঘাতের পর আঘাত করে তাকে ধরাশায়ী করেছিলেন। হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন- আমি আবূ জাহেলের পায়ে আঘাত করে তার পায়ের নালী পৃথক করে দিলাম। আবূ জাহেলের সাহায্যে ইকরিমা এসে আঘাত করে আমার একটি হাত কেটে ফেলল। সুতরাং আমি এই কাটা হাত নিয়ে জিহাদ করছিলাম। আর আমার হাতটি লটকিয়া ছিল। অবশেষে আমি দুই পায়ে চেপে ধরে আঘাতপ্রাপ্ত হাতটি বাহু হতে পৃথক করে ফেলি। তারপর হযরত মুয়াব্বায ইবনে আফরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তরবারির এক আঘাতে আবূ জাহলকে ধরাশায়ী করে দিল। কিন্তু তথাপি তার জীবন নিভু নিভু করেছিল। ঐতিহাসিকগণ বলেন, তারপর উনারা দুই ভাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে হাযির হয়ে বললেন যে, আমরা আবূ জাহেলকে হত্যা করেছি। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আবূ জাহেলকে হত্যা করেছেন? উনারা দুইজনই বললেন যে, আমি হত্যা করেছি। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনারা কি আপনাদের তরবারি পরিষ্কার করে ফেলেছেন? উনারা বললেন, না। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনাদের তরবারি আনুন দেখি। রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের তরবারি পরীক্ষা করে বললেন যে, আপনারা দুইজনেই হত্যা করিয়াছেন। তবে আবূ জাহেলের সামানপত্র মুয়াজ উনাকে দেয়া হবে।
বর্ণিত আছে যে, হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এরূপ কঠিনরূপে আহত হওয়ার পরও হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খিলাফত কাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। কাযী আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন যে, হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যখন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে হাযির হলেন, তখনো উনার হাতটি চামড়ার সাথে ঝুলছিল। তারপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মুখ মুবারক-এর লালা মুবারক উনার কাটা হাতে লাগিয়ে দিলেন, আর হাত তখনই ঠিক হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর তিনি হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আমল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভাই হযরত মুয়াব্বায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বদর জিহাদেই শহীদ হলেন।
উল্লেখ্য যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি দেখলেন যে, আবূ জাহেলের জীবন প্রদীপ এখনও নির্বাপিত হয় নাই, এখনও তার জীবনের কিছুটা অবশিষ্ট রয়েছে। তিনি দেহ হতে উনার শির বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। বিভিন্ন বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আছে যে, আবূ জাহেলের খবর নিয়ে আমায় পৌঁছাবে? তখন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আবূ জাহেলের সন্ধানে গেলেন এবং তিনি তাহাকে মৃত অবস্থায় দেখতে ফেলেন। কারণ, ইতিপূর্বেই আফরার পুত্রদ্বয় তাকে হত্যা করেছেন। তখন হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আবূ জাহলের বক্ষে বসলেন এবং তার এক কান দিয়ে অন্য কান দিয়ে রশি বের করে বললেন, হে মহান আল্লাহ পাক উনার দুশমন! মহান আল্লাহ পাক তিনি তোকে লাঞ্ছিত করেছেন, তুই কি আবূ জাহেল? আবূ জাহেল বলল, হতে অপমানের কিছুই নেই। কারণ, একটি লোককে তার স্বজাতিই হত্যা করছে। আমার জন্য অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হতো, যদি আমাকে কোন কৃষক হত্যা করত। এই কথা দ্বারা তার উদ্দেশ্য ছিল মদীনার আনসারগণ। নাউযুবিল্লাহ! আলিমগণ বলেন, “যদিও আবূ জাহেলকে এই উম্মতের ফিরাউন বলা হয়েছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সে ফিরাউনের চেয়েও নিকৃষ্টতর ছিল। ফিরাউন সে পানিতে ডুবে মরার সময় তার কৃত অপরাধের কথা স্বীকার করেছিল এবং দোহাই দিয়েছিল। কিন্তু এই নরাধম আবূ জাহেল তার হঠকারিতা পরিত্যাগ করে নাই।” তারপর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তার দেহ হতে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন এবং তার মস্তকটিতে রশি বেঁধে ছেচরাতে ছেচরাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে আসলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন- মহান আল্লাহ পাক উনার দুশমন! সে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাকে চরমভাবে অপমানিত করেছেন।
অপর এক বর্ণনায় আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার, যিনি উনার বান্দাদের দলকে জয়ী করেছেন। উনার দ্বীন ইসলামকে শক্তিশালী করেছেন। তিনি আরও বললেন যে, مات فرعون هذه الامة “এই উম্মতের ফিরাউনের মৃত্যু ঘটেছে।” অপর এক বর্ণনায় আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সিজদায়ে শোকর করেন।
কথিত আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন উভয় সৈন্যবাহিনীকে হাতাহাতি জিহাদে লিপ্ত দেখলেন এবং দেখলেন যে, কাফিরদের সংখ্যা অনেক বেশি আর মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা নিতান্তই কম, তখন তিনি উনার তাঁবু মুবারকে ফিরে এসে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট অতিশয় বিনয়ের সাথে দোয়া ও মুনাজাত করতে লাগলেন। তাঁবু মুবারকে হযরত আবূ বকর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছাড়া উনার নিকট আর কেউ ছিলেন না। এই সময় মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট উনার প্রতিশ্রুত বিজয় ও সাহায্যের জন্য আবেদন করিলেন। তিনি দোয়া ও মুনাজাতে এমনভাবে মনোনিবেশ হলেন যে, উনার কাঁধ মুবারক হতে চাদর মুবারক পড়ে গেল, হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার চাদর মুবারক উঠিয়ে দিলেন। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করে বললেন, ‘হে মহান আল্লাহ পাক, আপনি আমাকে দেয়া অঙ্গীকার পূরণ করুন। হে মহান আল্লাহ পাক! কাফিররা যদি এই মুসলিম বাহিনীকে ধ্বংস করে দেয়, তবে এই দুনিয়াতে আপনার নামে যিকির করার কেউ থাকবে না। হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দোয়া ও মুনাজাতের গভীরতা প্রত্যক্ষ করে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আর দোয়া ও মুনাজাত করতে হবে না। আপনি আপনার রব উনার নিকট যা চেয়েছেন, তিনি তা অবশ্যই আপনাকে হাদিয়া করবেন।
হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন- বদরের দিন আমি জিহাদে লিপ্ত ছিলাম। তবে বারবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তথ্য জানার জন্য উনার তাঁবু মুবারকের নিকট আসতাম। আর যখনই এসেছি, তখন আমি উনাকে সিজদারত অবস্থায় এই দোয়া করতে দেখেছি-
ياحى ياقيوم برحمتك استغيث
বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুসহ তাঁবু মুবারকে ছিলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। সামান্য সময় উনার কেটে গেল। তিনি ঘুম থেকে উঠে মৃদু হেসে বললেন, আবূ বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! মহান আল্লাহ পাক উনার সাহায্য এসে গেছে। হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম উনার অশ্বের লাগাম ধরে এসেছেন। উনার সম্মুখের দুটা দাঁতের নূর চমকাচ্ছে। তারপর তাঁবু মুবারক হতে বাইরে এসে জিহাদরত ছাহাবীগণ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে উৎসাহিত করে বললেন, আরো জেনে রাখ, আমি সেই মহান আল্লাহ পাক উনার কসম করে বলছি! যার কুদরতী হাত মুবারকে আমার জীবন মুবারক, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি ও মহান পুরস্কারের আশায় কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে শহীদ হবে, জান্নাত তার জন্য অবধারিত।
হযরত উবায়র ইবনে হাম্মাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কয়েকটি খেজুর হাতে নিয়ে খাচ্ছিলেন। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা মুবারকে খুশি হয়ে বললেন, এখন আমার জান্নাতে প্রবেশের পথে আর কোন বাধা-বিপত্তি নাই। এখন শুধু কাফিরদের হাতে আমি শহীদ হইলেই জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারি। এই বলো তিনি হাতের খেজুর কয়টি ছুড়ে ফেললেন এবং কাফিরদের উপর ঝাঁপাইয়া পড়লেন। অতপর তিনি জিহাদ করে শহীদ হলেন। সুবহানাল্লাহ! (মাদারিজুন্ নুবুওয়াত)
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-সাইয়্যিদ শাবীব আহমদ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার হায়াত মুবারকে যতগুলি জিহাদ করেছেন তন্মধ্যে এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। ইহা এক বিরাট জিহাদ। কারণ, এই জিহাদের মাধ্যমেই ইসলামের মর্যাদা, ইযযত ও শান-শওকত প্রকাশ পেয়েছে। ইহা দ্বারা ইসলামের সম্মান-সম্ভ্রম ও প্রভাব-প্রতিপত্তি সমগ্র আরবে বিস্তার করেছিল। সুতরাং এই দিনটিকে “ইয়াওমুল ফুরকান” বা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাস্তবিকই এই জিহাদের মাধ্যমে ইসলাম ও কুফরের মধ্যে একটি বিরাট পার্থক্য সূচিত হয়েছিল। পবিত্র কুরআন শরীফ-এ বলা হইয়াছে-
يوم التقى الجمعان অর্থাৎ এ দিন কাফির ও মুসলিমগণ মিলিত হয়েছিলেন। এ দিন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইসলাম ও মুসলমানগণকে জয়ী করেছিলেন এবং কাফিরদেরকে পরাজিত ও পর্যুদস্ত করে চরমভাবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছিলেন। অথচ মুসলমানগণদের সংখ্যার চেয়ে কাফিরদের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। তদুপরি কাফিররা পরিপূর্ণরূপে জিহাদের অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অহঙ্কার ভরে এসেছিল। কিন্তু মহান পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মান ও বেমেছাল শানকে প্রকাশ করেছিলেন। এই জিহাদের দ্বারা মহান আল্লাহ পাক ইসলামের ভিত্তি মজবুত ও সুদৃঢ় করেছেন। ইসলামের জ্যোতির দ্বারা চতুর্দিক আলোকিত করে তুললেন। দুষ্টের দলের অহঙ্কার চূর্ণ-বিচূর্ণ করে তাদের মুখে কলঙ্কের কালিমা লেপন করে দিলেন। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক মুসলমানগণদের উপর উনার গায়েবী মদদের কথা উল্লেখ করে বলেন-
ذلة لقد تصركم الله ببدر وانتم “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে বদরের দিন জয়ী করেছিলেন, অথচ আপনারা ছিলেন অল্প সংখ্যক” (সূরা আলে ইমরান : ১২৩)। মূলত বিজয় আসে একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে। সংখ্যা বেশি-কমের উপর জয়-পরাজয় নির্ভর করে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন, وما النصر الا من عند الله العزيز الحكيم “বিজয় কেবল মহান আল্লাহ পাক উনার হতে এসে আসিয়া থাকে।” (সূরা আলে ইমরান : ১২৬)।
এই জিহাদ ছফরে বাহির হলেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১২ই রমাদ্বান দ্বিতীয় হিজরী, হিজরতের ১৯তম মাসে। মতান্তরে ৮ই রমাদ্বান। জিহাদ সংঘটিত হয় ১৭ই রমাদ্বান শুক্রবার দিন। মতান্তরে শনিবার দিন। এই জিহাদ অভিযানের সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আবূ লুবাবা আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে মদীনায় উনার প্রতিনিধি নিয়োগ করে গিয়েছিলেন। এই জিহাদে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে মদীনার আনসারগণও যোগদান করেছিলেন। ইতোপূর্বে আনসারগণ আর কোন জিহাদে বা কোন অভিযানে অংশগ্রহণ করেন নাই। কারণ, আকাবার বাইয়াতের সময় উনাদের সাথে যে চুক্তি হয়েছিল তাহাতে উল্লেখ ছিল যে, উনারা উনাদের শহরে থেকেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতের ব্যবস্থা করিবেন এবং উনার দুশমনদের প্রতিরোধ করবেন।
যা হোক, এই জিহাদে মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা ছিল তিনশত তেরজন থেকে তিনশত পনোরো জন। তন্মধ্যে ৭৭ জন মুহাজির আর ২৩৬ জন আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে ছিলেন মাত্র ৩০৫ জন। তন্মধ্যে ৮০ জন মুহাজির ও অবশিষ্টগণ আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। অবশিষ্ট আটজন কোন কারণে জিহাদের ময়দানে উপস্থিত হতে পারেননি। কিন্তু তথাপি উনাদেরকে গনীমতের মালের অংশ দেয়া হয়েছিল। ঐতিহাসিকগণ উনাদেরকে বদর জিহাদের অংশগ্রহণকারী হিসেবে গণ্য করেন। মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম উনাদের মধ্যে যে তিনজন জিহাদে অংশগ্রহণ করতে পারেননি উনাদের মধ্যে একজন হযরত উসমান ইবনে আফফান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশে উনার অসুস্থ মেয়ে হযরত রুকাইয়া আলাইহাস সালাম উনার খিদমতের জন্য মদীনা শরীফ-এ থেকে যান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় জন হযরত তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত সাঈদ ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি মুশরিকদের কাফেলার অনুসন্ধানে বাহির হয়েছিলেন। উনারাও সরাসরি জিহাদে অংশ নিতে পারেননি। আর আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে যে ৫ জন জিহাদে অংশগ্রহণ করতে পারেননি, উনাদের নাম বিভিন্ন জীবন চরিত গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে।
এই জিহাদে মুসলমানগণদের নিকট ছিল, ৩টি অশ্ব, ৭০টি উট, ৬টি বর্ম এবং ৮টি তরবারি। এক একটি উটের পিঠে কয়েকজন করে আরোহণ করে উনারা জিহাদে গমন করেছিলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাহন মুবারকেও হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত যায়িদ ইবনে হারিছা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আরোহণে শরীক হয়েছিলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পদব্রজে চলার সময় আসলে উনারা উভয়েই নিবেদন করতেন যে, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আনার বাহনেই থাকুন। আমরা আপনার সৌভাগ্য-সংস্পর্শে হেঁটে চলি। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলতেন, তোমরা আমার চাইতে শক্তিশালী নও।
অপরপক্ষে মুশরিকদের সংখ্যা ছিল এক হাজার, তদুপরি বীর ও দক্ষ যোদ্ধা সমন্বয়ে গঠিত একটি সৈন্যবাহিনী।
এক বর্ণনা অনুযায়ী তাদের সংখ্যা ছিল এক সহ¯্ররে কম তবে নয়শতের ঊর্ধ্বে। তাদের সঙ্গে ছিল একশত অশ্ব ও জিহাদ সম্ভারে বোঝাই সাতশত বা তার চাইতেও অধিক সংখ্যক উট। তদুপরি তাদের ছিল আকাশচুম্বী অহঙ্কার ও গর্ব। তাছাড়া তাদের অশ্বারোহী প্রত্যেকটি সৈনিক ছিল বর্মাচ্ছাদিত এমনকি পদাতিক সৈন্যগণও বর্মধারী ছিল। তাদের সঙ্গে আরও ছিল বাদ্যযন্ত্রসহ জিহাদে উন্মাদনা সৃষ্টিকারী একদল গায়িকা ও নর্তকী। ইহারা যে জলাভূমির ধারেই তাঁবু করতো, সেখানেই তাদের গায়িকা ও নর্তকীর দল সারিন্দা ও তবলা বাজাইয়া গান করতো আর ইসলাম ও মুসলমানদের বদনাম করতো। নাউযুবিল্লাহ! কুরাইশ নেতাদের মধ্যে একেক জন একেক দিন তাদের সকলের ভোজের আয়োজন করতো। দৈনিক তাদের জন্য ১১টি উট যবাহ করা হতো।
এক বর্ণনায় আছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দোয়া করে বললেন, হে মহান আল্লাহ পাক! মুসলমানগণ পদাতিক, তাদেরকে আপনি অনুগ্রহপূর্বক বাহনের পশুর ব্যবস্থা করে দিন। উনারা ক্ষুধার্ত, আপনি মেহেরবানী করে উনাদের আহারের ব্যবস্থা করে দিন। উনাদের পরিধানের কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিন। দরিদ্র, অভাবগ্রস্ত, উনাদেরকে সম্পদ দান করুন। সুতরাং উনারা যখন মদীনা শরীফ-এ প্রত্যাবর্তন করলেন, তখন উনাদের মধ্যে এমন কেউই ছিলেন না, যিনি উট, কাপড় ও অর্থসামগ্রী পাননি।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত সাঈদ ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদেরকে উপরোক্ত কুরাইশ কাফেলার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রেরণ করেছিলেন। উনারা যথাসময়ে মদীনা শরীফ-এ প্রত্যাবর্তন করে কাফেলার অবস্থা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পেশ করলেন।
বদরের জিহাদক্ষেত্র :
মুসলিম সৈন্যবাহিনী জিহাদক্ষেত্রে এসে অবস্থান গ্রহণ করলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কাতারগুলো সোজা করে দেয়ার নির্দেশ দিলেন- আমার নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত শত্রুর উপর আক্রমণ চালাবে না। যদি শত্রু তোমাদের নিকটবর্তী হয়ে যায়, তবে তীর নিক্ষেপ করে শত্রুকে প্রতিহত করবে। তবে এই পরিমাণে তীর ছুঁড়িবে যাতে তীর শেষ না হয়ে যায়।
ঐতিহাসিকগণ এই সময়ের একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা বর্ণনা করেছেন যে, নূরে মুজাসসামম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিহাদের কাতার সোজা করছিলেন। তখন উনার পবিত্র হস্ত মুবারকে একটি যষ্টি ছিল। হযরত সাওয়াদ ইবনে আযিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন সজ্জন ও সদাখুশি ছাহাবী। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কাতারের সামান্য অগ্রভাগে গিয়ে দাঁড়ালেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হস্তের যষ্টি দ্বারা উনার বক্ষে আঘাত করে বললেন, ‘হে সাওয়াদ! কাতার সোজা করে দাঁড়াও।’ তিনি আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আমাকে খুবই ব্যথা দিয়াছেন। অথচ মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সত্য ও ন্যায়সহ প্রেরণ করেছেন। ন্যায় ও ইনসাফের মালিক আপনি। আমাকে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ দিন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ও মুবারক সীনা খুলে দিয়ে বললেন, হে আস সাওয়াদ! এই মুহূর্তে তুমি প্রতিশোধ গ্রহণ কর। হযরত সাওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সম্মুখে অগ্রসর হয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বক্ষ মুবারকে চুম্বন করলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তুমি এমন করছ কেন? তিনি নিবেদন করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটি আমার জীবনের চরম মুহূর্ত। আমি এই জিহাদে শহীদ হব। আমার বড় আকাক্সক্ষা ছিল আমার দেহটি আপনার পবিত্র দেহ মুবারক স্পর্শ করুক। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার জন্য দোয়া করলেন।
এরপর কাফিরদের সৈন্যবাহিনী হতে উতবা ইবনে রবীআ, ওয়ালীদ ইবনে উতবা এবং শায়বা এই তিনজন জিহাদক্ষেত্রে আসল। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আহবান করল। মুসলিম বাহিনীর মধ্যে হযরত হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দুই পুত্র হযরত আওফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত মুয়াজ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এই তিনজন তাদের মুকাবিলা করতে সামনে অগ্রসর হলেন। কাফিররা জিজ্ঞাসা করল, তোমরা কে? উনারা বললেন, আমরা আনসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। কাফিরা বলল, আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আমরা তো আমাদের চাচাদের পুত্রগণকে আহ্বান করছি। তাদেরই একজন উচ্চকণ্ঠে আহ্বান করল, হে মুহাম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের গোত্রের সমকক্ষ লোক প্রেরণ করুন। রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উবাইদ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদেরকে তাদের মুকাবিলা করতে পাঠালেন। উনারা তিনজন জিহাদক্ষেত্রে কাফিরদের মুকাবিলা করতে উপস্থিত হলেন। এবার কাফিরা বলল, হ্যাঁ, আপনারা আমাদের সমকক্ষ। নাউযুবিল্লাহ! হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি অত্যন্ত বৃদ্ধ ছিলেন, উনার বয়স মুবারক ছিল ৮০ বৎসর। তিনি উতবার বিরুদ্ধে আসলেন, হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শায়বার বিরুদ্ধে এবং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ওয়ালীদের বিরুদ্ধে উপস্থিত হলেন। অপর বর্ণনায় অন্যভাবে বর্ণিত রয়েছে। যা হোক, হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ওয়ালীদ ইবনে উতবার বিরুদ্ধে জিহাদ করে তাকে হত্যা করলেন। হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও উনার প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করলেন। কিন্তু হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উতবার বিরুদ্ধে অস্ত্র পরিচালনা শুরু করলেন। হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্ত হলেন। ইতোমধ্যে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিও হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা সাহায্যে এগিয়ে আসলেন এবং উতবাকে ধরাশায়ী করতে উনাকে সাহায্য করলেন। তারপর উনারা আহত হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে কাঁধে উঠিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে নিয়ে আসলেন। হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পা মুবারক-এর নালী হতে মগজ বইয়া পড়ছিল। হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আরজ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি কি শহীদ হই নাই? রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আপনি শহীদ। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এরূপ প্রশ্ন করার কারণ হল, হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জিহাদক্ষেত্রে শাহাদাত বরন করেননি। উনার বেশ বিলম্ব হচ্ছে ভাবিয়া উনার অন্তরে বিদায়ের খেয়াল উদ্দেগ হয়েছিল। আর তাই তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এই প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। ইহাতে ফকীহগণ উনাদের দ্বিমত দেখা যায়। হযরত উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বদর হতে প্রত্যাবর্তনের সময় সাফরা বা রাওহা প্রান্তরে শাহাদত বরণ করেছেন এবং সেখানেই দাফন করা হয়।
হযরত মুয়াব্বায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা দুই ভাই। উনারা হযরত আফরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা উনার পুত্র। এই দুই ভাই আবূ জাহেলের সন্ধানে ঘুরতেছিলেন।তাকে দেখতে পেয়ে উনারা বিদ্যুৎগতিতে তার নিকট দৌড়ে গেলেন। তরবারি দ্বারা আঘাতের পর আঘাত করে তাকে ধরাশায়ী করেছিলেন। হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন- আমি আবূ জাহেলের পায়ে আঘাত করে তার পায়ের নালী পৃথক করে দিলাম। আবূ জাহেলের সাহায্যে ইকরিমা এসে আঘাত করে আমার একটি হাত কেটে ফেলল। সুতরাং আমি এই কাটা হাত নিয়ে জিহাদ করছিলাম। আর আমার হাতটি লটকিয়া ছিল। অবশেষে আমি দুই পায়ে চেপে ধরে আঘাতপ্রাপ্ত হাতটি বাহু হতে পৃথক করে ফেলি। তারপর হযরত মুয়াব্বায ইবনে আফরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তরবারির এক আঘাতে আবূ জাহলকে ধরাশায়ী করে দিল। কিন্তু তথাপি তার জীবন নিভু নিভু করেছিল। ঐতিহাসিকগণ বলেন, তারপর উনারা দুই ভাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে হাযির হয়ে বললেন যে, আমরা আবূ জাহেলকে হত্যা করেছি। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আবূ জাহেলকে হত্যা করেছেন? উনারা দুইজনই বললেন যে, আমি হত্যা করেছি। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনারা কি আপনাদের তরবারি পরিষ্কার করে ফেলেছেন? উনারা বললেন, না। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনাদের তরবারি আনুন দেখি। রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের তরবারি পরীক্ষা করে বললেন যে, আপনারা দুইজনেই হত্যা করিয়াছেন। তবে আবূ জাহেলের সামানপত্র মুয়াজ উনাকে দেয়া হবে।
বর্ণিত আছে যে, হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এরূপ কঠিনরূপে আহত হওয়ার পরও হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খিলাফত কাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। কাযী আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন যে, হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যখন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে হাযির হলেন, তখনো উনার হাতটি চামড়ার সাথে ঝুলছিল। তারপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মুখ মুবারক-এর লালা মুবারক উনার কাটা হাতে লাগিয়ে দিলেন, আর হাত তখনই ঠিক হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর তিনি হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আমল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভাই হযরত মুয়াব্বায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বদর জিহাদেই শহীদ হলেন।
উল্লেখ্য যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি দেখলেন যে, আবূ জাহেলের জীবন প্রদীপ এখনও নির্বাপিত হয় নাই, এখনও তার জীবনের কিছুটা অবশিষ্ট রয়েছে। তিনি দেহ হতে উনার শির বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। বিভিন্ন বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আছে যে, আবূ জাহেলের খবর নিয়ে আমায় পৌঁছাবে? তখন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আবূ জাহেলের সন্ধানে গেলেন এবং তিনি তাহাকে মৃত অবস্থায় দেখতে ফেলেন। কারণ, ইতিপূর্বেই আফরার পুত্রদ্বয় তাকে হত্যা করেছেন। তখন হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আবূ জাহলের বক্ষে বসলেন এবং তার এক কান দিয়ে অন্য কান দিয়ে রশি বের করে বললেন, হে মহান আল্লাহ পাক উনার দুশমন! মহান আল্লাহ পাক তিনি তোকে লাঞ্ছিত করেছেন, তুই কি আবূ জাহেল? আবূ জাহেল বলল, হতে অপমানের কিছুই নেই। কারণ, একটি লোককে তার স্বজাতিই হত্যা করছে। আমার জন্য অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হতো, যদি আমাকে কোন কৃষক হত্যা করত। এই কথা দ্বারা তার উদ্দেশ্য ছিল মদীনার আনসারগণ। নাউযুবিল্লাহ! আলিমগণ বলেন, “যদিও আবূ জাহেলকে এই উম্মতের ফিরাউন বলা হয়েছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সে ফিরাউনের চেয়েও নিকৃষ্টতর ছিল। ফিরাউন সে পানিতে ডুবে মরার সময় তার কৃত অপরাধের কথা স্বীকার করেছিল এবং দোহাই দিয়েছিল। কিন্তু এই নরাধম আবূ জাহেল তার হঠকারিতা পরিত্যাগ করে নাই।” তারপর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তার দেহ হতে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন এবং তার মস্তকটিতে রশি বেঁধে ছেচরাতে ছেচরাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে আসলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন- মহান আল্লাহ পাক উনার দুশমন! সে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাকে চরমভাবে অপমানিত করেছেন।
অপর এক বর্ণনায় আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার, যিনি উনার বান্দাদের দলকে জয়ী করেছেন। উনার দ্বীন ইসলামকে শক্তিশালী করেছেন। তিনি আরও বললেন যে, مات فرعون هذه الامة “এই উম্মতের ফিরাউনের মৃত্যু ঘটেছে।” অপর এক বর্ণনায় আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সিজদায়ে শোকর করেন।
কথিত আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন উভয় সৈন্যবাহিনীকে হাতাহাতি জিহাদে লিপ্ত দেখলেন এবং দেখলেন যে, কাফিরদের সংখ্যা অনেক বেশি আর মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা নিতান্তই কম, তখন তিনি উনার তাঁবু মুবারকে ফিরে এসে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট অতিশয় বিনয়ের সাথে দোয়া ও মুনাজাত করতে লাগলেন। তাঁবু মুবারকে হযরত আবূ বকর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছাড়া উনার নিকট আর কেউ ছিলেন না। এই সময় মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট উনার প্রতিশ্রুত বিজয় ও সাহায্যের জন্য আবেদন করিলেন। তিনি দোয়া ও মুনাজাতে এমনভাবে মনোনিবেশ হলেন যে, উনার কাঁধ মুবারক হতে চাদর মুবারক পড়ে গেল, হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার চাদর মুবারক উঠিয়ে দিলেন। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করে বললেন, ‘হে মহান আল্লাহ পাক, আপনি আমাকে দেয়া অঙ্গীকার পূরণ করুন। হে মহান আল্লাহ পাক! কাফিররা যদি এই মুসলিম বাহিনীকে ধ্বংস করে দেয়, তবে এই দুনিয়াতে আপনার নামে যিকির করার কেউ থাকবে না। হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দোয়া ও মুনাজাতের গভীরতা প্রত্যক্ষ করে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আর দোয়া ও মুনাজাত করতে হবে না। আপনি আপনার রব উনার নিকট যা চেয়েছেন, তিনি তা অবশ্যই আপনাকে হাদিয়া করবেন।
হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন- বদরের দিন আমি জিহাদে লিপ্ত ছিলাম। তবে বারবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তথ্য জানার জন্য উনার তাঁবু মুবারকের নিকট আসতাম। আর যখনই এসেছি, তখন আমি উনাকে সিজদারত অবস্থায় এই দোয়া করতে দেখেছি-
ياحى ياقيوم برحمتك استغيث
বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুসহ তাঁবু মুবারকে ছিলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। সামান্য সময় উনার কেটে গেল। তিনি ঘুম থেকে উঠে মৃদু হেসে বললেন, আবূ বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! মহান আল্লাহ পাক উনার সাহায্য এসে গেছে। হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম উনার অশ্বের লাগাম ধরে এসেছেন। উনার সম্মুখের দুটা দাঁতের নূর চমকাচ্ছে। তারপর তাঁবু মুবারক হতে বাইরে এসে জিহাদরত ছাহাবীগণ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে উৎসাহিত করে বললেন, আরো জেনে রাখ, আমি সেই মহান আল্লাহ পাক উনার কসম করে বলছি! যার কুদরতী হাত মুবারকে আমার জীবন মুবারক, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি ও মহান পুরস্কারের আশায় কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে শহীদ হবে, জান্নাত তার জন্য অবধারিত।
হযরত উবায়র ইবনে হাম্মাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কয়েকটি খেজুর হাতে নিয়ে খাচ্ছিলেন। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা মুবারকে খুশি হয়ে বললেন, এখন আমার জান্নাতে প্রবেশের পথে আর কোন বাধা-বিপত্তি নাই। এখন শুধু কাফিরদের হাতে আমি শহীদ হইলেই জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারি। এই বলো তিনি হাতের খেজুর কয়টি ছুড়ে ফেললেন এবং কাফিরদের উপর ঝাঁপাইয়া পড়লেন। অতপর তিনি জিহাদ করে শহীদ হলেন। সুবহানাল্লাহ! (মাদারিজুন্ নুবুওয়াত)
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-সাইয়্যিদ শাবীব আহমদ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Friday, July 4, 2014
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘রোযা অবস্থায় শরীরের ভিতরে কিছু প্রবেশ করলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।’
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হলো-
‘রোযা অবস্থায় যে কোনো ধরনের ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনসুলিন ও ইনহেলার নেয়া হোক না কেন তাতে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।’
‘রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনহেলার ও ইনসুলিন নিলে রোযা ভঙ্গ হয় না’- ধর্মব্যবসায়ী আলেম বা উলামায়ে ‘সূ’ ও অজ্ঞ ডাক্তারদের দেয়া এ ফতওয়া সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও বিভ্রান্তিমূলক।
কারণ তাদের ফতওয়া সম্পূর্ণরূপেই মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ।
অতএব, তাদের উক্ত ফতওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়; বরং পরিপূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ঔষধ মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করুক অথবা মূল রাস্তা ব্যতীত অন্য যে কোনো স্থান দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন, যদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছে, তবে রোযা অবশ্যই ভঙ্গ হয়ে যাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে ইনজেকশনের দ্বারা প্রবেশকৃত ওষুধ পাকস্থলী ও মগজে পৌঁছে থাকে। আর মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার বিধান হলো, পাকস্থলী বা মগজে কিছু প্রবেশ করলেই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে; তা যেভাবে এবং যে স্থান দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এর স্বপক্ষে ফিক্বাহ ও ফতওয়ার নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহের অসংখ্য দলীল বিদ্যমান রয়েছে। যেমন, “হেদায়া মা’য়াদ দেরায়া” কিতাব উনার ১ম খণ্ডের ২২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “এবং যদি কোনো ব্যক্তি ইনজেকশন নেয়.... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। কারণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হবে।”
“বাহরুর রায়েক” কিতাব উনার ২য় খণ্ডের ২৭৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “যদি কোনো ব্যক্তি ইনজেকশন নেয়... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। কারণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হবে এবং বের হলে রোযা ভঙ্গ হবে না।”
“ফতওয়ায়ে আলমগীরী” কিতাব উনার ১ম খণ্ডের ২০৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “এবং যদি কোনো ব্যক্তি ইনজেকশন নেয়..... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে।” অনুরূপ “ফতওয়ায়ে শামী” কিতাবেও উল্লেখ আছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কম ইলম ও কম সমঝের কারণে কোনো কোনো ধর্মব্যবসায়ী আলেম বা উলামায়ে ‘সূ’ বা ডাক্তার তারা বলে থাকে যে, উল্লিখিত ফিক্বাহর কিতাবসমূহে যে ‘হুকনা’ বা ‘ইহতাক্বানা’ শব্দ উল্লেখ আছে তার অর্থ ইনজেকশন নয়; বরং তার অর্থ হলো ‘ডুশ বা সাপোজিটর’, যা পায়ুপথে দেয়া হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত তাদের উক্ত বক্তব্য চরম অজ্ঞতা, মূর্খতা, প্রতারণা ও গুমরাহীমূলক; যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সমস্ত আরবী কিতাব ও অভিধানগ্রন্থে ‘হুকনা’ বা ‘ইহতাক্বানা’ শব্দের অর্থ সরাসরি ইনজেকশন বা সিরিঞ্জ বলে উল্লেখ আছে। যেমন, আরবী-উর্দু অভিধান ‘কামুস আল জাদীদ’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ‘হুকনাতুন- অর্থ ইনজেকশন, সিরিঞ্জ।’ ‘আধুনিক আরবী-বাংলা’ অভিধান গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ‘ইহতাক্বানুন’ অর্থ ইনজেকশন এবং সরাসরি ইহতাক্বানা ‘ইনজেকশন নেয়া’ শব্দটিও উল্লেখ রয়েছে। এমনিভাবে সমস্ত লোগাত বা অভিধানগ্রন্থে ‘ইহতাক্বানা’ শব্দের অর্থ ইনজেকশন বলে উল্লেখ রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বস্তুত যারা রোযা অবস্থায় ইনজেকশন নেয়ার পক্ষে বলে, তারা তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ থেকে একটি দলীলও পেশ করতে পারবে না। তারা তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে যে সকল দেওবন্দী কিতাবের নাম উল্লেখ করছে, যেমন ইমদাদুল ফতওয়া, আপকে মাসায়িল, আহসানুল ফতওয়া, ফতওয়ায়ে রহিমিয়া, ফতওয়ায়ে মাহমুদিয়া- এসকল কিতাবগুলো দেওবন্দীদের নিজস্ব লেখা; যা সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া তাদের উক্ত কিতাবের অনেক বক্তব্যই বিশ্বখ্যাত ও সর্বজনমান্য কিতাবের বিপরীত। অর্থাৎ যে সমস্ত কিতাব সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ও অনুসরণীয় এবং বিশ্বখ্যাত সে সমস্ত ফিক্বাহ শরীফ উনার কিতাব, যেমন হিদায়া, বাহরুর রায়িক্ব, ফতওয়ায়ে আলমগীরী, ফতওয়ায়ে শামী, ফতহুল ক্বাদীর ইত্যাদি সর্বজনমান্য কিতাবের বক্তব্যের বিপরীত হওয়ায় তা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনহেলার, ইনসুলিন নেয়া হারাম ও রোযা ভঙ্গের কারণ এবং এর সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার ২১ ও ২২তম সংখ্যায় থানভীর ‘ইমদাদুল ফতওয়ায়’ ইনজেকশন সম্পর্কিত প্রদত্ত ফতওয়াটির ভুল খন্ডন করতঃ বিস্তারিত দলীল-আদিল্লাহ উল্লেখ করা হয়েছে; যা হক্ব তালাশীদের জন্য যথেষ্ট।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Wednesday, July 2, 2014
আজ সুমহান বরকতময় পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ- সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিছাল শরীফ উনার বরকতময় দিন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার জিসিম মুবারক উনার একখানা টুকরা মুবারক।’
আজ সুমহান বরকতময় পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ-
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিছাল শরীফ উনার বরকতময় দিন।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরয হচ্ছে-
এ উপলক্ষে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও পবিত্র ওয়াজ শরীফ মাহফিল উনাদের আয়োজন করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহে উমরী মুবারক বেশি বেশি আলোচনা করা।
আর সারাবিশ্বের মুসলিম-অমুসলিম সকল সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে-
উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করার পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস পালনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি বিশ্বের সকল মহিলাগণ উনাদের সাইয়্যিদা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানিতা মাতা, তিনি বিনতু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার সর্বপ্রথম আহলিয়া উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার চারজন বানাত উনাদের একজন। মূলত, তিনি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতমা। তাই সকল মুসলমানগণ তো অবশ্যই, অমুসলিমদের জন্যও ফরয হচ্ছে- উনাকে মুহব্বত করা, উনার জীবনী মুবারক জানা, উনাকে প্রতিক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয হচ্ছে আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে যে নিয়ামত মুবারক দান করেন তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। আর আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার জন্য। আর আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো উল্লেখ আছে “হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত; নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার দেহ মুবারক উনারই একখানা টুকরা মুবারক। যে উনাকে রাগান্বিত করবে, সে আমাকেই রাগান্বিত করলো।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পরে মাত্র ছয় মাস যমীনে ছিলেন। তিনি হিজরী ১১ সনের পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ বাদ-আছর পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। আজই হচ্ছে সেই সুমহান বরকতময় পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ। উনার পবিত্র ছলাতুল জানাযা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি পড়ান। উনার পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বীতে অবস্থিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হলো- ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো আলোচনাই নেই। তাহলে মুসলমানগণ কী করে উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত জানবে এবং উনাকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করবে? তাই সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস বা পাঠ্যপুস্তকে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। মাসব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করা ও উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
আজ সুমহান বরকতময় পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ-
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিছাল শরীফ উনার বরকতময় দিন।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরয হচ্ছে-
এ উপলক্ষে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও পবিত্র ওয়াজ শরীফ মাহফিল উনাদের আয়োজন করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহে উমরী মুবারক বেশি বেশি আলোচনা করা।
আর সারাবিশ্বের মুসলিম-অমুসলিম সকল সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে-
উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করার পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস পালনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি বিশ্বের সকল মহিলাগণ উনাদের সাইয়্যিদা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানিতা মাতা, তিনি বিনতু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার সর্বপ্রথম আহলিয়া উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার চারজন বানাত উনাদের একজন। মূলত, তিনি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতমা। তাই সকল মুসলমানগণ তো অবশ্যই, অমুসলিমদের জন্যও ফরয হচ্ছে- উনাকে মুহব্বত করা, উনার জীবনী মুবারক জানা, উনাকে প্রতিক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয হচ্ছে আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে যে নিয়ামত মুবারক দান করেন তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। আর আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার জন্য। আর আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো উল্লেখ আছে “হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত; নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার দেহ মুবারক উনারই একখানা টুকরা মুবারক। যে উনাকে রাগান্বিত করবে, সে আমাকেই রাগান্বিত করলো।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পরে মাত্র ছয় মাস যমীনে ছিলেন। তিনি হিজরী ১১ সনের পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ বাদ-আছর পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। আজই হচ্ছে সেই সুমহান বরকতময় পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ। উনার পবিত্র ছলাতুল জানাযা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি পড়ান। উনার পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বীতে অবস্থিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হলো- ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো আলোচনাই নেই। তাহলে মুসলমানগণ কী করে উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত জানবে এবং উনাকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করবে? তাই সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস বা পাঠ্যপুস্তকে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। মাসব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করা ও উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Monday, June 30, 2014
মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস রমাদ্বান শরীফ উনাকে সম্মান করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে পবিত্র জান্নাত দিয়ে এবং জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে সম্মানিত করবেন।’ সুবহানাল্লাহ!
মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস।
‘যে ব্যক্তি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে একটি নফল আমল করবে, সে অন্য মাসের একটি ফরয আদায় করার ফযীলত পাবে, আর যে ব্যক্তি একটি ফরয আদায় করবে, সে অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করার ফযীলত লাভ করবে।’ সুবহানাল্লাহ!
যে ব্যক্তি এ মহাপবিত্র মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান ছওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের ছওয়াবও কম হবে না। সুবহানাল্লাহ!
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষা ও হক্ব যথাযথ আদায় করত: মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার হক্ব ও ফযীলত সম্পর্কে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র শা’বান মাস উনার শেষ দিন আমাদের নিকট খুতবা মুবারক দিতেন বা ওয়াজ শরীফ করতেন। (উক্ত খুতবা মুবারক-এ) তিনি বলেন, “হে লোক সকল! নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট এক মহান মাস (মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস) উপস্থিত। যে মাসটি অত্যান্ত বরকতময়; এ মাসে এমন একটি মুবারক রাত্র রয়েছে, যা হাজার মাস থেকেও উত্তম। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার দিনের বেলায় রোযাকে ফরয করেছেন ও মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার রাত্রি বেলায় পবিত্র কিয়ামুল লাইল অর্থাৎ পবিত্র তারাবীহ নামায উনাকে সুন্নত মুবারক করেছেন। অন্য মাসে একটি ফরয আদায় করলে যে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে একটি নফল করলে সে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে। আর অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করলে যে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে একটি ফরয আদায় করলে সে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হলো ছবরের মাস, আর ছবর উনার বিনিময় হলো জান্নাত, এটা সহানুভূতির মাস। এটা এমন মাস, যে মাসে মু’মিনের রিযিক বৃদ্ধি করা হয়। যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান সাওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের সাওয়াবও কম হবে না। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের প্রত্যেকের তো এমন সামর্থ্য নেই, যা দ্বারা আমরা রোযাদারকে ইফতার করাবো। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি এ ছাওয়াব দান করবেন তাকে, যে এক চুমুক দুধ দ্বারা অথবা একটি খেজুর বা খোরমা দ্বারা অথবা এক চুমুক পানি বা সরবত দ্বারা কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে। আর যে ব্যক্তি তৃপ্তি সহকারে রোযাদারকে খাদ্য খাওয়াবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে আমার পবিত্র হাউজে কাওছার হতে পানি পান করাবেন, যার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত তার পিপাসা লাগবে না।’ ওটা এমন এক মাস, যে মাসের প্রথম দশদিন “রহমত” দ্বিতীয় দশদিন “মাগফিরাত” আর তৃতীয় দশদিন হচ্ছে জাহান্নাম হতে নাযাত পাওয়ার”। আর যে ব্যক্তি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যে তার কর্মচারীর কাজ কমায়ে দিবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্ষমা করবেন ও জাহান্নাম থেকে নাযাত দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! (বায়হাক্বী ফি শুয়াবিল ঈমান)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস। এ মাস উনার প্রথম দশ দিন রহমত, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাত ও তৃতীয় দশ দিন নাযাতের। প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষা ও হক্ব যথাযথ আদায় করত: অর্থাৎ নিজে রোযা রেখে, রোযাদারদের ইফতারী করিয়ে, তারাবীহ নামায আদায় করে, শ্রমিকের ডিউটি কমিয়ে দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস।
‘যে ব্যক্তি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে একটি নফল আমল করবে, সে অন্য মাসের একটি ফরয আদায় করার ফযীলত পাবে, আর যে ব্যক্তি একটি ফরয আদায় করবে, সে অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করার ফযীলত লাভ করবে।’ সুবহানাল্লাহ!
যে ব্যক্তি এ মহাপবিত্র মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান ছওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের ছওয়াবও কম হবে না। সুবহানাল্লাহ!
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষা ও হক্ব যথাযথ আদায় করত: মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার হক্ব ও ফযীলত সম্পর্কে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র শা’বান মাস উনার শেষ দিন আমাদের নিকট খুতবা মুবারক দিতেন বা ওয়াজ শরীফ করতেন। (উক্ত খুতবা মুবারক-এ) তিনি বলেন, “হে লোক সকল! নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট এক মহান মাস (মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস) উপস্থিত। যে মাসটি অত্যান্ত বরকতময়; এ মাসে এমন একটি মুবারক রাত্র রয়েছে, যা হাজার মাস থেকেও উত্তম। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার দিনের বেলায় রোযাকে ফরয করেছেন ও মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার রাত্রি বেলায় পবিত্র কিয়ামুল লাইল অর্থাৎ পবিত্র তারাবীহ নামায উনাকে সুন্নত মুবারক করেছেন। অন্য মাসে একটি ফরয আদায় করলে যে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে একটি নফল করলে সে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে। আর অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করলে যে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে একটি ফরয আদায় করলে সে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হলো ছবরের মাস, আর ছবর উনার বিনিময় হলো জান্নাত, এটা সহানুভূতির মাস। এটা এমন মাস, যে মাসে মু’মিনের রিযিক বৃদ্ধি করা হয়। যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান সাওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের সাওয়াবও কম হবে না। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের প্রত্যেকের তো এমন সামর্থ্য নেই, যা দ্বারা আমরা রোযাদারকে ইফতার করাবো। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি এ ছাওয়াব দান করবেন তাকে, যে এক চুমুক দুধ দ্বারা অথবা একটি খেজুর বা খোরমা দ্বারা অথবা এক চুমুক পানি বা সরবত দ্বারা কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে। আর যে ব্যক্তি তৃপ্তি সহকারে রোযাদারকে খাদ্য খাওয়াবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে আমার পবিত্র হাউজে কাওছার হতে পানি পান করাবেন, যার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত তার পিপাসা লাগবে না।’ ওটা এমন এক মাস, যে মাসের প্রথম দশদিন “রহমত” দ্বিতীয় দশদিন “মাগফিরাত” আর তৃতীয় দশদিন হচ্ছে জাহান্নাম হতে নাযাত পাওয়ার”। আর যে ব্যক্তি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যে তার কর্মচারীর কাজ কমায়ে দিবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্ষমা করবেন ও জাহান্নাম থেকে নাযাত দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! (বায়হাক্বী ফি শুয়াবিল ঈমান)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস। এ মাস উনার প্রথম দশ দিন রহমত, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাত ও তৃতীয় দশ দিন নাযাতের। প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষা ও হক্ব যথাযথ আদায় করত: অর্থাৎ নিজে রোযা রেখে, রোযাদারদের ইফতারী করিয়ে, তারাবীহ নামায আদায় করে, শ্রমিকের ডিউটি কমিয়ে দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
সুমহান পবিত্র ২৯শে শা’বান শরীফ-
আওলাদে রসূল, হযরত সাইয়্যিদাতাল উমাম ক্বিবলাতাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস।
তাই সকলের উচিত- আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবসে অত্যন্ত জওক-শওক ও শান-শওকতের সাথে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।
যা সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাত লাভ করার অন্যতম উসীলা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ বেমেছাল রহমত, বরকত ও খুশি প্রকাশের কারণ। তাই সকলের উচিত- উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে অত্যন্ত জওক-শওক ও শান-শওকতের সাথে খুশি প্রকাশ করে রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাতের হিসসা লাভ করা।
লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, জান্নাতী যুন নূরাইন, শাহী বুশরাদ্বয়, নক্বীবাতুন নিসায়ি, আকরামে রহমানী, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, ওলীয়ে মাদারযাদ, হযরত সাইয়্যিদাতাল উমাম ক্বিবলাতাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের মুবারক বিলাদত শরীফ দিবস তথা সুমহান পবিত্র ২৯শে শা’বান শরীফ উপলক্ষে এক ক্বওল শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ উনার ১০৭ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টি জগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।” সুবহানাল্লাহ! একইভাবে পবিত্র রিসালত উনার যুগ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তথা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পর উনার যাঁরা ক্বায়িম-মাক্বাম ওলীআল্লাহ উনারা সেই রহমত মুবারক উনার হিসসা পেয়ে রহমত মুবারক উনার অধিকারী হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মনোনীত ও মাহবুব বান্দা-বান্দী উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ ও পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উনাদের মাধ্যমে অনেক মাস, দিন, তারিখ ও বারকে মহাসম্মানিত করেন। যেমন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ ও পবিত্র বিছাল শরীফ উনাদের মাধ্যমে পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনাকে, পবিত্র ১২ই শরীফ তারিখ উনাকে এবং পবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ বার উনাকে মহাসম্মানিত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপ এ পবিত্র শা’বান মাসটিও অনেক সুমহান ব্যক্তিগণ উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার কারণে মহাসম্মানিত। কারণ এ পবিত্র শা’বান মাস উনার ৫ তারিখ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। ১৫ই শা’বান সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
আর সুমহান ২৯শে শা’বান শরীফ হচ্ছে লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, বেহেশতী মেহমান, ওলীয়ে মাদারযাদ, নারীকুলের মুক্তির দিশারী, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত সাইয়্যিদাতাল উমাম ক্বিবলাতাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের মহা পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। যে দিবসগুলো কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই মহান ঈদের বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সুমহান পবিত্র ২৯শে শা’বান শরীফ- আওলাদে রসূল, হযরত সাইয়্যিদাতাল উমাম ক্বিবলাতাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। তাই সকলের উচিত- আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবসে অত্যন্ত জওক-শওক ও শান-শওকতের সাথে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা। যা সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাত লাভ করার অন্যতম উসীলা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Friday, June 13, 2014
আজ দিবাগত রাতটিই পবিত্র বরাত উনার বরকতময় রাত।
যা মুসলমানদের জন্য দোয়া কবুলের রাত, ক্ষমা বা মাগফিরাতের রাত, তওবা কবুলের রাত, বিপদ-আপদ থেকে নাযাত পাওয়ার রাত এবং এক বছরের হায়াত-মউত ও রিযিকের ফায়ছালার রাত।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন তোমরা পবিত্র বরাত উনার রাত্র পাবে তখন সারারাত ইবাদত করো এবং পরের দিন রোযা রাখো।”
আজ দিবাগত রাতটিই পবিত্র বরাত উনার বরকতময় রাত।
যা মুসলমানদের জন্য দোয়া কবুলের রাত, ক্ষমা বা মাগফিরাতের রাত, তওবা কবুলের রাত, বিপদ-আপদ থেকে নাযাত পাওয়ার রাত এবং এক বছরের হায়াত-মউত ও রিযিকের ফায়ছালার রাত।
তাই প্রত্যেক পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সবার জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, খালিছভাবে তওবা করতঃ সারারাত ইবাদত-বন্দিগী, যিকির-ফিকির ও দোয়া-মুনাজাতে কাটানো এবং পরের দিন রোযা রাখা।
আর বাংলাদেশ সরকারসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের উচিত ছিলো, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে তিনদিন বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা। পাশাপাশি পবিত্র শবে বরাত উদযাপনে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ও সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা দুখান শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “লাইলাতুম মুবারাকাহ বা শবে বরাত উনার মধ্যে সকল প্রজ্ঞাময় বিষয়সমূহ ফায়ছালা করা হয়।” আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘এ রাত্রিতে (আগামী এক বছরে) যে সকল আদম সন্তান জন্মগ্রহণ করবে এবং ইন্তিকাল করবে তাদের তালিকা লিপিবদ্ধ করা হয়। বান্দার (এক বছরের) রিযিকের ফায়ছালা করা হয় এবং বান্দার (বিগত এক বছরের) আমলনামা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পেশ করা হয়।’ সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়। পবিত্র রজবুল হারাম উনার প্রথম রাত্র, পবিত্র শাবান শরীফ উনার ১৫ তারিখ রাত্র বা পবিত্র বরাত উনার রাত্র, পবিত্র ক্বদর উনার রাত্র এবং পবিত্র দু’ঈদ উনাদের দু’রাত্র।’ সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, কয়েক শ্রেণীর লোক তারা খালিছ তওবা না করা পর্যন্ত তাদের দোয়া কবুল হবে না বা পবিত্র শবে বরাত নছীব হবে না। যেমন- যাদুকর (জ্যোতিষ, গণক), শরাবখোর, সেটা যে কোন নেশা জাতীয় মাদক দ্রব্যই হোক না কেন, ব্যভিচারী, শরীয়ত উনার কারণ ব্যতীত আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, চোগলখোর (যে একজনের কথা আরেক জনের নিকট বলে বেড়ায়), শরীয়ত উনার কারণ ছাড়াই কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধকারী, শরীয়ত উনার কারণ ব্যতীত মুসলমানকে হত্যাকারী, মুশরিক, গায়ক ও বাদক ইত্যাদি।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে বেপর্দা, ছবি, গানবাজনা, খেলাধুলা, গণতন্ত্র, ভোট-নির্বাচন, হরতাল, লংমার্চ, সুদ-ঘুষ, হারাম খাওয়া, মিথ্যা বলাসহ ইত্যাদি শরীয়তবিরোধী বা হারাম কাজে মশগুল তারাও এগুলো থেকে খালিছ তওবা না করলে ‘শবে বরাত’ উনার মাগফিরাত, রহমত, বরকত, সাকিনা লাভ করতে পারবে না। কাজেই তাদেরকে অবশ্যই এ রাতে খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। যদি তারা খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করে তবে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন এবং পবিত্র শবে বরাত উনার সকল রহমত, বরকত ও নিয়ামত দান করবেন। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত গুনাহখাতা ক্ষমা করে দিবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।”
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র বরাত উনার রাত্রিতে কি কি ইবাদত-বন্দিগী করতে হবে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে বলেন,
* প্রথমতঃ বাজামায়াত পবিত্র ইশা উনার নামায আদায় করতঃ পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে সংক্ষিপ্ত নছীহত করে তওবা-ইস্তিগফার করে দোয়া-মুনাজাত করবে। * অতঃপর দুই দুই রাকায়াত করে ৪ অথবা ৬ অথবা ৮ অথবা ১০ অথবা ১২ রাকায়াত পবিত্র শবে বরাত উনার নামায পড়বে। * অতঃপর ছলাতুত তাসবীহ উনার নামায পড়বে, যার দ্বারা মানুষের সমস্ত গুনাহ-খাতা ক্ষমা হয়। * যিকির-আযকার করবে, যার দ্বারা ক্বলব বা অন্তর ইসলাহ ও ইতমিনান হয়। * পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, যার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসুল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জিত হয়। * পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবে, যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জিত হয়।
* সম্ভব হলে কবরস্থান যিয়ারত করবে, যার দ্বারা সুন্নত মুবারক আদায় হয়। * তাহাজ্জুদ উনার নামায পড়বে, যা দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য মুবারক হাছিল হয়। * অতঃপর পুনরায় পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করে খালিছ ইস্তিগফার ও তওবা করবে, যার মাধ্যমে বান্দা-বান্দীর সমস্ত গুণাহ-খাতা মাফ হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ সন্তুষ্টি মুবারক অর্জিত হয়। অর্থাৎ পবিত্র শবে বরাত উনার বারাকাত, ফুয়ুজাত, নিয়ামত, রহমত, মাগফিরাত ও নাযাত ইত্যাদি হাছিল করা যায়। * আর সর্বশেষ ছুবহে ছাদিকের পূর্বেই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করবে অর্থাৎ আখিরী মুনাজাত করবে। যার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হবেন ও উনার নিয়ামত মুবারক লাভ হবে। তবে আখিরী মুনাজাত এতটুকু পূর্বে শেষ করবে যাতে দিনে যারা রোযা রাখবে তারা যেন সাহরী খেতে পারে।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র শা’বান মাস উনার রোযার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র শা’বান মাস উনার মধ্যে তিনটি রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার গুনাহখাতা ক্ষমা করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! যদি তিনটি রোযা রাখা সম্ভব না হয় তবে অন্ততঃপক্ষে শবে বরাত উনার পরের দিন অর্থাৎ ১৫ই শাবান অর্থাৎ ইয়াওমুস সাবত বা শনিবার দিনের রোযাটি রাখবে। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি পবিত্র শা’বান মাস উনার পনের তারিখ অর্থাৎ বরাত উনার দিনে রোযা রাখবে, তাকে কখনো জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “পবিত্র শা’বান মাস উনার ১৫ তারিখ যারা রোযা রাখবে তারা ইফতারীর সময় তিন বার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে। তাহলে তার পূর্বের গুনাহখাতা ক্ষমা করা হবে এবং রিযিকে বরকত দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত অত্যন্ত জওক-শওক এবং মুহব্বত ও খুলুছিয়তের সাথে পবিত্র শবে বরাত পালন করা। মুসলমানগণ যাতে ইতমিনানের সাথে অফুরন্ত নিয়ামতের রাত ‘পবিত্র শবে বরাত’ পালন করতে পারে এবং দিনে রোযা রাখতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকারসহ পৃথিবীর সকল মুসলিম অমুসলিম সরকারের উচিত পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে তিনদিন ছুটি ঘোষণা করা এবং মুসলমানগণের পবিত্র শবে বরাত পালনে সর্বপ্রকার সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
আজ দিবাগত রাতটিই পবিত্র বরাত উনার বরকতময় রাত।
যা মুসলমানদের জন্য দোয়া কবুলের রাত, ক্ষমা বা মাগফিরাতের রাত, তওবা কবুলের রাত, বিপদ-আপদ থেকে নাযাত পাওয়ার রাত এবং এক বছরের হায়াত-মউত ও রিযিকের ফায়ছালার রাত।
তাই প্রত্যেক পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সবার জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, খালিছভাবে তওবা করতঃ সারারাত ইবাদত-বন্দিগী, যিকির-ফিকির ও দোয়া-মুনাজাতে কাটানো এবং পরের দিন রোযা রাখা।
আর বাংলাদেশ সরকারসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের উচিত ছিলো, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে তিনদিন বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা। পাশাপাশি পবিত্র শবে বরাত উদযাপনে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ও সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা দুখান শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “লাইলাতুম মুবারাকাহ বা শবে বরাত উনার মধ্যে সকল প্রজ্ঞাময় বিষয়সমূহ ফায়ছালা করা হয়।” আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘এ রাত্রিতে (আগামী এক বছরে) যে সকল আদম সন্তান জন্মগ্রহণ করবে এবং ইন্তিকাল করবে তাদের তালিকা লিপিবদ্ধ করা হয়। বান্দার (এক বছরের) রিযিকের ফায়ছালা করা হয় এবং বান্দার (বিগত এক বছরের) আমলনামা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পেশ করা হয়।’ সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়। পবিত্র রজবুল হারাম উনার প্রথম রাত্র, পবিত্র শাবান শরীফ উনার ১৫ তারিখ রাত্র বা পবিত্র বরাত উনার রাত্র, পবিত্র ক্বদর উনার রাত্র এবং পবিত্র দু’ঈদ উনাদের দু’রাত্র।’ সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, কয়েক শ্রেণীর লোক তারা খালিছ তওবা না করা পর্যন্ত তাদের দোয়া কবুল হবে না বা পবিত্র শবে বরাত নছীব হবে না। যেমন- যাদুকর (জ্যোতিষ, গণক), শরাবখোর, সেটা যে কোন নেশা জাতীয় মাদক দ্রব্যই হোক না কেন, ব্যভিচারী, শরীয়ত উনার কারণ ব্যতীত আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, চোগলখোর (যে একজনের কথা আরেক জনের নিকট বলে বেড়ায়), শরীয়ত উনার কারণ ছাড়াই কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধকারী, শরীয়ত উনার কারণ ব্যতীত মুসলমানকে হত্যাকারী, মুশরিক, গায়ক ও বাদক ইত্যাদি।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে বেপর্দা, ছবি, গানবাজনা, খেলাধুলা, গণতন্ত্র, ভোট-নির্বাচন, হরতাল, লংমার্চ, সুদ-ঘুষ, হারাম খাওয়া, মিথ্যা বলাসহ ইত্যাদি শরীয়তবিরোধী বা হারাম কাজে মশগুল তারাও এগুলো থেকে খালিছ তওবা না করলে ‘শবে বরাত’ উনার মাগফিরাত, রহমত, বরকত, সাকিনা লাভ করতে পারবে না। কাজেই তাদেরকে অবশ্যই এ রাতে খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। যদি তারা খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করে তবে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন এবং পবিত্র শবে বরাত উনার সকল রহমত, বরকত ও নিয়ামত দান করবেন। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত গুনাহখাতা ক্ষমা করে দিবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।”
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র বরাত উনার রাত্রিতে কি কি ইবাদত-বন্দিগী করতে হবে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে বলেন,
* প্রথমতঃ বাজামায়াত পবিত্র ইশা উনার নামায আদায় করতঃ পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে সংক্ষিপ্ত নছীহত করে তওবা-ইস্তিগফার করে দোয়া-মুনাজাত করবে। * অতঃপর দুই দুই রাকায়াত করে ৪ অথবা ৬ অথবা ৮ অথবা ১০ অথবা ১২ রাকায়াত পবিত্র শবে বরাত উনার নামায পড়বে। * অতঃপর ছলাতুত তাসবীহ উনার নামায পড়বে, যার দ্বারা মানুষের সমস্ত গুনাহ-খাতা ক্ষমা হয়। * যিকির-আযকার করবে, যার দ্বারা ক্বলব বা অন্তর ইসলাহ ও ইতমিনান হয়। * পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, যার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসুল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জিত হয়। * পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবে, যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জিত হয়।
* সম্ভব হলে কবরস্থান যিয়ারত করবে, যার দ্বারা সুন্নত মুবারক আদায় হয়। * তাহাজ্জুদ উনার নামায পড়বে, যা দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য মুবারক হাছিল হয়। * অতঃপর পুনরায় পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করে খালিছ ইস্তিগফার ও তওবা করবে, যার মাধ্যমে বান্দা-বান্দীর সমস্ত গুণাহ-খাতা মাফ হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ সন্তুষ্টি মুবারক অর্জিত হয়। অর্থাৎ পবিত্র শবে বরাত উনার বারাকাত, ফুয়ুজাত, নিয়ামত, রহমত, মাগফিরাত ও নাযাত ইত্যাদি হাছিল করা যায়। * আর সর্বশেষ ছুবহে ছাদিকের পূর্বেই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করবে অর্থাৎ আখিরী মুনাজাত করবে। যার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হবেন ও উনার নিয়ামত মুবারক লাভ হবে। তবে আখিরী মুনাজাত এতটুকু পূর্বে শেষ করবে যাতে দিনে যারা রোযা রাখবে তারা যেন সাহরী খেতে পারে।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র শা’বান মাস উনার রোযার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র শা’বান মাস উনার মধ্যে তিনটি রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার গুনাহখাতা ক্ষমা করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! যদি তিনটি রোযা রাখা সম্ভব না হয় তবে অন্ততঃপক্ষে শবে বরাত উনার পরের দিন অর্থাৎ ১৫ই শাবান অর্থাৎ ইয়াওমুস সাবত বা শনিবার দিনের রোযাটি রাখবে। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি পবিত্র শা’বান মাস উনার পনের তারিখ অর্থাৎ বরাত উনার দিনে রোযা রাখবে, তাকে কখনো জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “পবিত্র শা’বান মাস উনার ১৫ তারিখ যারা রোযা রাখবে তারা ইফতারীর সময় তিন বার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে। তাহলে তার পূর্বের গুনাহখাতা ক্ষমা করা হবে এবং রিযিকে বরকত দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত অত্যন্ত জওক-শওক এবং মুহব্বত ও খুলুছিয়তের সাথে পবিত্র শবে বরাত পালন করা। মুসলমানগণ যাতে ইতমিনানের সাথে অফুরন্ত নিয়ামতের রাত ‘পবিত্র শবে বরাত’ পালন করতে পারে এবং দিনে রোযা রাখতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকারসহ পৃথিবীর সকল মুসলিম অমুসলিম সরকারের উচিত পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে তিনদিন ছুটি ঘোষণা করা এবং মুসলমানগণের পবিত্র শবে বরাত পালনে সর্বপ্রকার সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Tuesday, May 27, 2014
আজ সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম। অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতপূর্ণ দিন। পবিত্র মি’রাজ শরীফ বিশ্বাস করা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপন করা সকলের জন্যই ফরয।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক যিনি উনার বান্দা (হাবীব) ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কোনো এক রাতের সামান্য সময়ে (প্রথমে) বাইতুল্লাহ শরীফ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত, যার আশপাশ বরকতময়; অতঃপর উনার নিদর্শনসমূহ দেখানোর জন্য অর্থাৎ দীদার মুবারক আরশে আযীমে দেয়ার জন্য ভ্রমণ করিয়েছেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’
আজ সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম। অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতপূর্ণ দিন।
পবিত্র মি’রাজ শরীফ বিশ্বাস করা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপন করা সকলের জন্যই ফরয।
বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিলো- পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপনে ব্যাপক ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “আজ সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম। অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতপূর্ণ দিন। পবিত্র মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলতসমূহ উনাদের মধ্য হতে একটি বিশেষ ফাযায়িল-ফযীলত; যা বিশ্বাস করা ও যথাযোগ্যভাবে উদযাপন করা প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্য ফরয। আর পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনাকে অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।”
সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতময় দিন উনার মর্যাদা, মর্তবা ও গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মি’রাজ শব্দের শব্দগত অর্থ হলো সিঁড়ি। আর এখানে পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার অর্থ হচ্ছে ঊর্ধ্বারোহণ। পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার যে পবিত্র সাক্ষাৎ বা দীদার মুবারক হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে উহাই পবিত্র মি’রাজ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজ সেই পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতময় দিন। তাই প্রত্যেক মুসলমান উনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ পবিত্র দিনে রোযা রাখা, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মুনাজাতের মাহফিল করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ প্রতিটি মুসলিম দেশের সরকারেরই উচিত ছিলো পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে বাধ্যতামূলক সরকারি ছুটি ঘোষণা করা এবং পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপনে ব্যাপক ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় যে, ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের সরকার এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। নাউযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম। অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতপূর্ণ দিন। পবিত্র মি’রাজ শরীফ বিশ্বাস করা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপন করা সকলের জন্যই ফরয। বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিলো- পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপনে ব্যাপক ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
আজ সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম। অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতপূর্ণ দিন।
পবিত্র মি’রাজ শরীফ বিশ্বাস করা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপন করা সকলের জন্যই ফরয।
বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিলো- পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপনে ব্যাপক ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “আজ সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম। অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতপূর্ণ দিন। পবিত্র মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলতসমূহ উনাদের মধ্য হতে একটি বিশেষ ফাযায়িল-ফযীলত; যা বিশ্বাস করা ও যথাযোগ্যভাবে উদযাপন করা প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্য ফরয। আর পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনাকে অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।”
সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতময় দিন উনার মর্যাদা, মর্তবা ও গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মি’রাজ শব্দের শব্দগত অর্থ হলো সিঁড়ি। আর এখানে পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার অর্থ হচ্ছে ঊর্ধ্বারোহণ। পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার যে পবিত্র সাক্ষাৎ বা দীদার মুবারক হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে উহাই পবিত্র মি’রাজ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজ সেই পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতময় দিন। তাই প্রত্যেক মুসলমান উনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ পবিত্র দিনে রোযা রাখা, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মুনাজাতের মাহফিল করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ প্রতিটি মুসলিম দেশের সরকারেরই উচিত ছিলো পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে বাধ্যতামূলক সরকারি ছুটি ঘোষণা করা এবং পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপনে ব্যাপক ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় যে, ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের সরকার এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। নাউযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম। অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতপূর্ণ দিন। পবিত্র মি’রাজ শরীফ বিশ্বাস করা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপন করা সকলের জন্যই ফরয। বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিলো- পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপনে ব্যাপক ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Monday, May 26, 2014
আজ পবিত্র ২৬শে রজবুল হারাম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ দিবাগত রাতটিই পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতময় রাত।
আজ পবিত্র ২৬শে রজবুল হারাম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ দিবাগত রাতটিই পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতময় রাত।
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সকলের জন্যই দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ বরকতময় রাতে ইবাদত-বন্দেগী, তওবা-ইস্তিগফার, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মুনাজাত করা এবং পরের দিন অর্থাৎ ইয়াওমুছ ছুলাছা বা মঙ্গলবার দিনে রোযা রাখা।
আর বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে ঐচ্ছিক নয়; বরং বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “পবিত্র মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক উনার মধ্য হতে একটি বিশেষ ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক; যা বিশ্বাস করা প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্য ফরয। আর অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মি’রাজ শরীফ জিসমানী বা সশরীর মুবারক-এ হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়াবী হিসেবে ৫১তম বয়স মুবারক-এ ২৬শে রজবুল হারাম ইয়াওমুল আহাদি বা রোববার দিবাগত রাত্রে অর্থাৎ ২৭শে রজবুল হারাম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ রাত্রে পবিত্র কা’বা শরীফ থেকে পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ, সেখান থেকে ছিদরাতুল মুনতাহা হয়ে পবিত্র আরশে মুয়াল্লায় মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মুবারক সাক্ষাৎ করে আবার যমীনে তাশরীফ আনেন। যা বিশিষ্ট ৪৫ জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বর্ণনা করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার শব্দগত অর্থ হলো- সিঁড়ি আর শরঈ পরিভাষায় অর্থ হলো- ঊর্ধ্বারোহণ। ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার যে সাক্ষাৎ বা দীদার মুবারক হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে উহাই পবিত্র মি’রাজ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ দিবাগত রাতটিই সেই পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ। তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সকলের জন্যই দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ বরকতময় রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী, তওবা-ইস্তিগফার, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মুনাজাত করা এবং পরের দিন অর্থাৎ ইয়াওমুছ ছুলাছা বা মঙ্গলবার দিনে রোযা রাখা। পবিত্র রজব মাস উনার ২৭ তারিখে রোযা রাখার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি ২৭শে রজব দিনে রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার আমলনামায় ষাট মাস তথা পাঁচ বছর রোযা রাখার ফযীলত লিখে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রজবুল হারাম মাস এমনিতেই সম্মানিত মাস। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি এ পবিত্র মাস উনার কোনো এক রাতে ইবাদত করবে সে এক বছর রাতে ইবাদত করার ছওয়াব পাবে। আর একদিন রোযা রাখলে এক বছর দিনে রোযা রাখার ফযীলত পাবে।” সুবহানাল্লাহ! সে বরকতময় রাতে যারা খাছ ইয়াক্বীনের সাথে দোয়া করবে তাদের প্রত্যেকটা দোয়াই কবুল হবে। সুবহানাল্লাহ! আমরা আজ দিনগত রাত্রে আমাদের সুন্নতী জামে মসজিদে পবিত্র মাহফিল শেষে পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার পর খাছ দোয়া ও মুনাজাত করবো ইনশাআল্লাহ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেহেতু পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ উনার সাথে রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা ও দিনে রোযা রাখা তথা আমলের সম্পর্ক রয়েছে। তাই মহাসম্মানিত ও পবিত্র ইসলাম উনার দৃষ্টিতে বাংলাদেশসহ প্রতিটি মুসলিম সরকারেরই উচিত পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে দেশে বাধ্যতামূলক সরকারি ছুটি ঘোষণা করা এবং পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ পালনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে যারা বিনা দলীলে কথা বলে তারা মিথ্যাবাদী।
‘মহাসম্মানিত পবিত্র মি’রাজ শরীফ পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার ২৭ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ রাতেই হয়েছে’-
এটাই সবচেয়ে মশহুর ও গ্রহণযোগ্য এবং দলীলভিত্তিক মত। এর বিপরীত মতগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।
যারা হারাম টিভি চ্যানেলসহ নানা পত্র-পত্রিকায় ও বই-পুস্তকের মাধ্যমে পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় তারা নিজেরাই বিভ্রান্ত এবং উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীর অন্তর্ভুক্ত।
তারা মূলত মুসলমান উনাদেরকে পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার সম্মানিত রাত ও দিনের বরকত ও ফযীলত থেকে মাহরুম করার উদ্দেশ্যেই পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার তারিখ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে।
তাই এদের কোনো কথাই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে গ্রহণযোগ্য নয়।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আ’ইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইহুদী-নাছারারা মুসলমান উনাদের চরম শত্রু- তাই তারা সর্বদাই সচেষ্ট আছে। ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমান উনাদের পবিত্র ঈমান-আমল নষ্ট করার জন্য। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ উনার ৮২নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে। অতঃপর যারা মুশরিক তাদেরকে।” অর্থাৎ পবিত্র ইসলাম ও মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো প্রথমতঃ ইহুদীরা, দ্বিতীয়তঃ মুশরিকরা, আর তৃতীয়তঃ হচ্ছে নাছারারা ও অন্যান্য বিধর্মীরা। এক কথায় সকল বিধর্মীই তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমান উনাদের শত্রু। তাই বর্ণিত রয়েছে- “সমস্ত কাফির মিলে এক ধর্ম।” অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমান উনাদের ক্ষতিসাধনে তারা সবাই একজোট। ইহুদী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসী ও নাছারা তারা সবাই মিলে সর্বদাই চেষ্টা করে থাকে কী করে মুসলমান উনাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যায় এবং পবিত্র ঈমান আমল নষ্ট করে কাফিরে পরিণত করা যায়। নাউযুবিল্লাহ! এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ’ উনার ১০৯নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোন রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।” নাউযুবিল্লাহ!
পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার তারিখ সম্পর্কে উলামায়ে ‘সূ’ কর্তৃক মুসলমান উনাদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান উনাদের পবিত্র ঈমান-আমল ধ্বংস করার ক্ষেত্রে ইহুদী, মুশরিক, নাছারা তথা বিধর্মীরা রয়েছে পরোক্ষভাবে, আর প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে, উলামায়ে ‘সূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীরা। ইহুদীদের এজেন্ট উলামায়ে ‘সূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীরা ইহুদীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী মুসলমান উনাদের পবিত্র ঈমান-আমল ধ্বংস করার লক্ষ্যে হারাম টিভি চ্যানেলসহ নানা চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকায়, বই-পুস্তকের মাধ্যমে একের পর এক হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, জায়িযকে নাজায়িয, নাজায়িযকে জায়িয বলে প্রচার করছে। পাশাপাশি তারা মুসলমান উনাদের ফযীলতপূর্ণ রাত ও দিনসমূহের তারিখ নিয়েও সমাজে ফিৎনা সৃষ্টি করছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে- যেন মুসলমানগণ সেই ফযীলতপূর্ণ রাত্র ও দিনসমূহে ইবাদত-বন্দেগী, দুয়া-মুনাজাতে উৎসাহিত না হয়। অর্থাৎ সেই রাত ও দিনসমূহের ফযীলত থেকে যেন মুসলমানগণ মাহরুম হয়ে যায়। নাঊযুবিল্লাহ! যেমন তারা পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস আসলেই প্রচার করে- পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার তারিখ নিয়ে মতভেদ আছে। এখন তারা প্রচার করছে- “পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার তারিখ নিয়ে মতভেদ আছে। পবিত্র রজব মাস উনার ২৭ তারিখ পবিত্র মি’রাজ শরীফ হয়েছে একথা সঠিক নয়।” নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার তারিখ সম্পর্কিত উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীদের বক্তব্য মোটেও সঠিক ও দলীলভিত্তিক নয়। যদি তারা সত্যবাদী হয়ে থাকে তবে তারা দলীল পেশ করুক কোন্ কিতাবে লিখা আছে? তারা কস্মিনকালেও তা প্রমাণ করতে পারবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত পবিত্র মি’রাজ শরীফ পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার ২৭ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ রাতে হয়েছে এটাই সবচেয়ে মশহুর, গ্রহণযোগ্য ও দলীলভিত্তিক মত। যেমন এ প্রসঙ্গে তাফসীরে রুহুল বয়ান শরীফ উনার ৫ম জিলদ ১০৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “পবিত্র রাতটি ছিলো পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার ২৭ তারিখ, ইয়াওমুল আযীমি বা সোমবার শরীফ।” এর উপর বিশ্বের সকল ইমাম, মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের আমল। উনারা বলেন, “নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুনা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেছেন ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ-এ আনুষ্ঠানিকভাবে উনার পবিত্র নুবুওওয়াত প্রকাশ পেয়েছে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ-এ, ইসরা ও পবিত্র মিরাজ শরীফ হয়েছে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ-এ, পবিত্র হিজরত মুবারক উনার উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে বের হয়েছেন ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ-এ, পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করেছেন ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ-এ।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পাক ভারত উপমহাদেশে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার প্রচার-প্রসারকারী হযরত শায়খ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত ‘মাছাবাতা বিস সুন্নাহ’ কিতাব উনার ৭৩ পৃষ্ঠায় লিখেন, “জেনে রাখুন! নিশ্চয়ই আরব জাহানের দেশগুলোর লোকদের মধ্যে মাশহূর বা প্রসিদ্ধ ছিলো যে, নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুনা হযরত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হয়েছিলো পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার ২৭ তারিখ রাতেই।” সুবহানাল্লাহ! এছাড়াও আরো নির্ভরযোগ্য অনেক কিতাবেই উল্লেখ আছে যে, মহাসম্মানিত মি’রাজ শরীফ পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার ২৭ তারিখ রাতে হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই যারা টিভিসহ নানা চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকায় ও বই-পুস্তকের মাধ্যমে পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় তারা উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া হলো উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীদের ওয়াজ শোনা, তাদের ফতওয়া মানা, তাদেরকে অনুসরণ করা হারাম আর তাদের ছোহবত থেকে দূরে থাকা ফরয-ওয়াজিব। অর্থাৎ এদের কোনো কথাই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে গ্রহণযোগ্য নয়।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Wednesday, May 14, 2014
আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ-
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম, ইমামুস সাদিস, সুলত্বানুল মাশায়িখ, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, আওলাদে রসূল হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ-
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম, ইমামুস সাদিস, সুলত্বানুল মাশায়িখ, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, আওলাদে রসূল হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য ফরয হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং পবিত্র দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা।
যাতে মুসলমান উনার সম্পর্কে জেনে উনাকে মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও অনুসরণ-অনুকরণ করে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করতে পারে।
আর সরকারের জন্যও ফরয ছিলো- মাসব্যাপী মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ। হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম, ইমামুস সাদিস, সুলত্বানুল মাশায়িখ, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, আওলাদে রসূল হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বা হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।’ উল্লেখ্য, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি সেই হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
আওলাদে রসূল, ইমামুস সাদিস, হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার সুমহান ও পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস উনার গুরুত্ব ও মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইমামুস সাদিস, ইমামুল মুহসিনীন, সুলত্বানুল মাশায়িখ, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, ফখরুল আশিক্বীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি ৯৬ হিজরীতে পবিত্র মদীনা শরীফ শহরে পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। এ মতটিই অধিক ছহীহ এবং নির্ভরযোগ্য। আর তিনি ১৪৮ হিজরী সনে এই পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনারই ১৪ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ বাদ ইশা পবিত্র মদীনা শরীফ শহরে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। কিতাবে উনার বেমেছাল ছানা-ছিফত, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান বর্ণিত রয়েছে। তাই সকল মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে- উনাকে মুহব্বত করা, উনার পবিত্র জীবনী মুবারক জানা, উনাকে প্রতি ক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযুর্গী মুবারক সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণেই অনেকে উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি মুবারক হাছিলে পুরোপুরি ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা বা ইলম অর্জন করা সকলের জন্যই ফরয। কেননা যে বিষয়টা আমল করা ফরয সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো- ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো আলোচনাই নেই। অথচ সরকারের জন্য ফরয ছিলো- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তকে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উপলক্ষে সরকারিভাবে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। সরকারের জন্য আরো ফরয ছিলো- উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস ১৪ রজবুল হারাম শরীফ উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস চলে যাচ্ছে অথচ সরকার এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ। হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম, ইমামুস সাদিস, সুলত্বানুল মাশায়িখ, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, আওলাদে রসূল হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস। সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য ফরয হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং পবিত্র দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা। যাতে মুসলমান উনার সম্পর্কে জেনে উনাকে মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও অনুসরণ-অনুকরণ করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করতে পারে। আর সরকারের জন্যও ফরয ছিলো- উনার সম্মানার্থে মাসব্যাপী মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-আবু হুরায়রা, ঢাকা © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net