কোনো ব্যক্তি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণের পর তা প্রকাশ ও প্রচার না করলে সে মুসলমান হতে পারে না।
সুতরাং ‘কোনো কর্মচারী মুসলমান হলে এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রচার করতে পারবে না’- এমন আইন পবিত্র সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া মুতাবিক কখনও গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান; তাই বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম গৃহীত হয়েছে।
কিন্তু সে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণ ও প্রচারের উপর এতো নিষেধাজ্ঞা কেন?
মুসলমান হওয়ার খবর প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করা মূলতঃ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী মহলেরই গভীর ষড়যন্ত্র।
জাবি’র পরেশের মুসলমান হওয়ার খবর প্রকাশে হাইকোর্টের রুলে গভীরভাবে মর্মাহত ও আশ্চর্য হয়েছে দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান।
মুসলমান হওয়ার সংবাদ প্রচারে বাধা কী তথ্য অধিকার আইনের খিলাফ নয়?
অতএব, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণের সংবাদ পরিবেশন বিরোধী সব আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক বিধি-নিষেধ অতিসত্বর বাতিল করে সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া মুতাবিক আইন জারি করতে হবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণের পর তা প্রকাশ ও প্রচার না করলে সে মুসলমান হতে পারে না। সুতরাং ‘কোনো কর্মচারী মুসলমান হলে এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রচার করতে পারবে না’- এমন আইন পবিত্র সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া মুতাবিক কখনও গ্রহণযোগ্য নয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মালি পরেশ ও তার পরিবারের ছয় সদস্যের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণের সংবাদ পরিবেশনে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তার সুষ্ঠু সমাধানকল্পে তিনি উক্ত নছীহত মুবারক করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দেশের রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র ইসলাম। তাই সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাষিত সব প্রতিষ্ঠানে কারো পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণের সংবাদ পরিবেশনে ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা থাকা দরকার। এর বিপরীতে বাধা তৈরি করা ও জটিলতা সৃষ্টি করা মূলত সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করার শামিল।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণের সংবাদে মূলত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী চিহ্নিত মহল ও তাদের মুখপত্র নামধারী জাতীয় দৈনিকের ভীষণ হিংসা ও জ্বালা-পোড়া তৈরি হয়েছে। তারা এটা ফলাও করে প্রচার করেছে যে, কে মুসলমান হলো- তার সংবাদ পরিবেশন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু এ সংবাদ পরিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী ধরনের আইনী ব্যত্যয় ঘটালো তা তারা উল্লেখ করতে পারেননি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফরমে এবং চাকরির নিয়োগ প্রদান ফরমে কে কোন্ ধর্মাবলম্বী তার উল্লেখ থাকে। সেক্ষেত্রে কেউ যদি সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে, তবে তা সংবাদ হিসেবে গণ্য হতেই পারে এবং হতেই হবে এবং তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রচার করতেই পারে এবং করতেই হবে। অন্যথায় সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তিগণ সঠিকভাবে মূল্যায়িত হবে না। কিন্তু এর চরম বিরোধিতা করে তথাকথিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকা- ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ আরো একবার প্রমাণ করলো যে, তারা কত গভীর ইসলামবিদ্বেষী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অপরদিকে সংবিধানের ১০২ ধারা মতে হাইকোর্ট এতদ্বসংশ্লিষ্ট রুল জারির ক্ষমতা রাখে- এ কথা ঠিক। কারণ সংবিধানের ১০২ ধারায় বর্ণিত হয়েছে- “কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনক্রমে এই সংবিধানের তৃতীয় ভাগের দ্বারা অর্পিত অধিকারসমূহের যে কোনো একটি বলবৎ করিবার জন্য প্রজাতন্ত্রের বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত কোনো দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিসহ যে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্ট বিভাগ উপযুক্ত নির্দেশাবলী বা আদেশাবলী দান করিতে পারিবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কিন্তু কথা হচ্ছে- যে মালির পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণের ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়েছে মাত্র গুটিকতক লোক। কিন্তু খুশি হয়েছেন দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান জনগোষ্ঠী। কাজেই হাইকোর্ট শুধুমাত্র গুটিকতক লোকের অনুভূতিকে আমলে নিবে; বাকি ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠীর অনুভূতি আমলে নিবে না- এই প্রশ্নের জবাব কী?
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশ তথ্য অধিকার আইন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন। যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ; এবং যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সমস্ত ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক; এবং যেহেতু জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা হইলে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশী অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাইবে, দুর্নীতি হ্রাস পাইবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হইবে; এবং যেহেতু সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশী অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্বারা তথ্য অধিকার আইন করা হয়েছে।” এতদ্বপ্রেক্ষিতে বলতে হয়, মুসলমান হবার সংবাদ প্রচারে বাধা সৃষ্টি করলে তা বাংলাদেশ তথ্য অধিকার আইনকেও লঙ্ঘন করা হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অপরদিকে কোনো ব্যক্তি মুসলমান হওয়ার শর্ত তিনটি- ১. অন্তরে বিশ্বাস করা, ২. মুখে প্রকাশ করা ও প্রচার করা এবং ৩. আমলে বাস্তবায়িত করা। কাজেই জাবি’র পরেশের মুসলমান হওয়ার প্রচার তার মুসলমান হওয়ার জন্যই ফরয। যা তার ধর্মীয় অধিকার বটে। সংবিধানের ৪২(১)(ক) ধারায় বর্ণিত হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন ও প্রচারের অধিকার রয়েছে।” যদি তাই হয়ে থাকে তবে জাবি’র পরেশের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণের সংবাদ পরিবেশন মূলত এটা দ্বীনি অধিকারের সাথে সাথে একটি সাংবিধানিক অধিকারও বটে। এতে বাধা সৃষ্টি করা সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শান ও মান ক্ষুণ্ন করার শামিল, সাথে সাথে সংবিধানিক আইনকেও ক্ষুণ্ন করার শামিল।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান হওয়ার খবর প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করা মূলত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী মহলেরই গভীর ষড়যন্ত্র। জাবি’র পরেশের মুসলমান হওয়ার খবর প্রকাশে হাইকোর্টের রুলে গভীরভাবে মর্মাহত ও আশ্চর্য হয়েছে দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- অতএব, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণের সংবাদ পরিবেশন বিরোধী সব আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক বিধি-নিষেধ অতিসত্বর বাতিল করে সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া মুতাবিক আইন জারি করতে হবে। তাহলেই সমস্ত ফিতনা দূর হয়ে শান্তি বিরাজ করবে।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
No comments:
Post a Comment