Pages

Saturday, April 13, 2013

সকল মুসলমান পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীকা যেমন- চৈত্রসংক্রান্তি, পহেলা বৈশাখ, থার্টিফার্স্টনাইট, ভেলেন্টাইন ডে, পহেলা এপ্রিল, পহেলা মে ইত্যাদি পালন করা থেকে বিরত থাকা।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে; সে ব্যক্তি সে সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।’
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মুসলমান উনাদের জন্য কোনো অবস্থাতেই এবং কোনো বিষয়েই মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের অনুসরণ-অনুকরণ করা জায়িয নেই; বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী।
অতএব, সকল মুসলমান পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে,
মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীকা যেমন- চৈত্রসংক্রান্তি, পহেলা বৈশাখ, থার্টিফার্স্টনাইট, ভেলেন্টাইন ডে, পহেলা এপ্রিল, পহেলা মে ইত্যাদি পালন করা থেকে বিরত থাকা।
নচেৎ মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের ন্যায় জাহান্নামী হওয়া ব্যতীত কোনোই গত্যন্তর থাকবে না।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের মধ্যে যারা কাফির-মুশরিক তথা বিধর্মীদের সাথে মিল মুহব্বত রাখবে, তারা সেই সমস্ত কাফির-মুশরিক তথা বিধর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে হিন্দুস্তানের একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। “হিন্দুস্তানে একজন জবরদস্ত ওলীআল্লাহ ছিলেন। যিনি ইন্তিকালের পর অন্য একজন বুযূর্গ ব্যক্তি উনাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কেমন আছেন? তখন সেই ওলীআল্লাহ তিনি জাওয়াবে বললেন, আপাতত আমি ভালই আছি; কিন্তু আমার উপর দিয়ে এক কঠিন সময় অতিবাহিত হয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। তখন স্বপ্নদ্রষ্টা ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি আমাকে আপনার সেই কঠিন অবস্থা সম্পর্কে বলবেন? তিনি জবাব দিলেন, অবশ্যই বলবো। কারণ, এতে যমীনবাসীদের জন্য শক্ত ইবরত ও নছীহত রয়েছে। এরপর বলা শুরু করলেন, আমার ইন্তিকালের পর আমাকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মুখে পেশ করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের বললেন, হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ! তোমরা কেন তাকে এখানে নিয়ে এসেছো? হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা বললেন, আয় আল্লাহ পাক! আমরা উনাকে আপনার খাছ বান্দা হিসেবে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য নিয়ে এসেছি। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, তার হাশর-নশর তো হিন্দুদের সাথে হওয়ার কথা। বিছালপ্রাপ্ত ওলীআল্লাহ তিনি বলেন, একথা শুনে আমি ভয়ে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বললাম, আয় বারে ইলাহী! আমার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে কেনো? আমি তো মুসলমান ছিলাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, যেহেতু আপনি পূজা করেছেন তাই আপনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথেই হবে। আমি বললাম, আয় আল্লাহ পাক, আপনার কসম! পূজা করা তো দূরের কথা আমি জীবনে কোনো দিন মন্দিরের আশপাশ দিয়েও হাঁটিনি। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনি সেদিনের কথা স্মরণ করুন, যেদিন হিন্দুস্তানে হোলি পূজা হচ্ছিলো। আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। আপনার সামনে-পিছনে, ডানে-বামে, উপরে-নিচে, আশে-পাশে সমস্ত গাছপালা, পশুপাখি, কীট-পতঙ্গ, বাড়ি-ঘর, সবকিছুতেই রঙ দেয়া হয়েছিলো। এমতাবস্থায় আপনার সামনে দিয়ে একটি গর্দভ (গাধা) হেঁটে যাচ্ছিলো যাকে রঙ দেয়া হয়নি। তখন আপনি পান চিবাচ্ছিলেন, আপনি সেই গর্দভের গায়ে এক চিপটি পানের রঙিন রস নিক্ষেপ করে বলেছিলেন, হে গর্দভ! তোমাকে তো এই হোলি পূজার দিনে কেউ রঙ দেয়নি তাই আমি তোমাকে রঙ দিয়ে দিলাম। এতে কি আপনার পূজা করা হয়নি? আপনি কি জানেন না যে, আমার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে। সুতরাং আপনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হওয়ারই কথা। এটা শুনে বিছালপ্রাপ্ত ওলীআল্লাহ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট অনেক কান্না-কাটি, রোনাজারি করে বললেন, বারে ইলাহী! আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। কেউ আমাকে বিষয়টি বুঝায়েও দেয়নি। আর এ বিষয়ে আমার অন্তরও সাড়া দেয়নি। তাই আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি বারে ইলাহী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, ঠিক আছে, আপনার অন্যান্য আমলের কারণে আপনাকে ক্ষমা করা হলো।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ ঘটনা থেকে সমস্ত মুসলমানদের নছীহত হাছিল করা উচিত যে, একজন বুযূর্গ ও ওলীআল্লাহ হওয়ার পরও তিনি হিন্দুদের হোলি পূজায় সরাসরি শরীক না হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র সাধারণভাবে পানের পিক দিয়ে একটা পশুকে রঙ দেয়ার কারণে যদি মৃত্যুর পর পূজারী হিসেবে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে যারা হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী তথা কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদদ্বীনদেরকে অনুসরণ করে পহেলা বৈশাখ পালনের নামে হিন্দুদের ঘটপূজায় শরীক হবে, বৌদ্ধ ও হিন্দুদের মতো শরীরে উল্কি অঙ্কন করবে, মজুসীদের মতো নওরোজ বা নববর্ষ পালন করবে এবং নওরোজ বা নববর্ষ পালন উপলক্ষে পান্তা-গান্ধা খাবে, গান-বাজনা করবে, র‌্যালী করবে, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরবে, নববর্ষ পালনার্থে মিছিল করবে, কদুর খোলের তৈরি একতারা ডুগডুগি বাজিয়ে নেচে নেচে হৈহুল্লোড় করবে, কপালে চন্দন গুঁড়ার ত্রিশালী ছাপ দিবে, পুরুষরা হিন্দুদের ন্যায় ধুতি ও কোণাকাটা পোশাক পরবে, মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়িসহ হাতে রাখি বাঁধবে, শাঁখা পরবে, কপালে লাল টিপ ও সিথিতে সিঁদুর দিবে, বেপর্দা, বেহায়া হবে তাদের মৃত্যুর পর কি অবস্থা হবে তা সত্যিই চিন্তার বিষয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মুসলমান উনাদের জন্য কোনো অবস্থাতেই এবং কোনো বিষয়েই মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের অনুসরণ-অনুকরণ করা জায়িয নেই; বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী। অতএব, সকল মুসলমান পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীকা যেমন- চৈত্রসংক্রান্তি, পহেলা বৈশাখ, থার্টিফার্স্টনাইট, ভেলেন্টাইন ডে, পহেলা এপ্রিল, পহেলা মে ইত্যাদি পালন করা থেকে বিরত থাকা। নচেৎ মজুসী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের ন্যায় জাহান্নামী হওয়া ব্যতীত কোনোই গত্যন্তর থাকবে না।
-০-

তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Thursday, April 4, 2013

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘রিযিক মানুষকে এমনভাবে তালাশ করে; যেমন মৃত্যু মানুষকে তালাশ করে।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যমীনে যেসব প্রাণী রয়েছে, তাদের সকলের রিযিকের একমাত্র মালিক হলেন মহান আল্লাহ পাক তিনি।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘রিযিক মানুষকে এমনভাবে তালাশ করে; যেমন মৃত্যু মানুষকে তালাশ করে।’
তাই রিযিকের অভাব হবে মনে করে ফ্যামিলি প্ল্যানিং বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করা কাট্টা কুফরী
কারণ এর দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে একমাত্র রিযিকদাতা হিসেবে অস্বীকার করা হয়!

আর সাধারণভাবে ফ্যামিলি প্ল্যানিং বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করা মাকরূহ। কারণ তা অপচয়ের শামিল।
স্মরণীয় যে, পবিত্র ঈমান-আক্বীদা ও আমল হিফাযতের উদ্দেশ্যে ফ্যামিলি প্ল্যানিং বা জন্মনিয়ন্ত্রণ হতে মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলকে বিরত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে কিছু উলামায়ে ‘সূ’ (দুনিয়াদার মাওলানা) জন্মনিয়ন্ত্রণের পক্ষে ফতওয়া দেয়। যারা জন্মনিয়ন্ত্রণের পক্ষে বলে থাকে তারা গুমরাহ ও মূর্খ ড. ম্যালথাসের একটি মনগড়া, বিভ্রান্তিকর বিবৃতির উল্লেখ করে বলে যে, বর্তমানে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। নাউযুবিল্লাহ! মূলত, গুমরাহ ও মুর্খ ড. ম্যালথাস ১৭৯৮ সালে বিবৃতি দিয়েছিল- একশত বছর পরে পৃথিবীতে লোকের জায়গা ধরবে না। কিন্তু বর্তমানে একশত বছর অতিক্রম করে দু’শত বছর পার হয়ে গেছে। তারপরও দেখা গেছে জনসংখ্যা অনুযায়ী পৃথিবীর অনেক জায়গাই খালি রয়েছে। অতএব, সাব্যস্ত হলো যে, গুমরাহ ও মূর্খ ড. ম্যালথাসের বিবৃতি সম্পূর্ণ ভুল, অশুদ্ধ ও বিভ্রান্তিমূলক।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী মৌলবীরা গুমরাহ ও মূর্খ ড. ম্যালথাস-এর বক্তব্যের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে ‘পবিত্র সূরা তাগাবুন শরীফ’ উনার ১৫ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ দলীল স্বরূপ পেশ করে যার অর্থ তারা করে থাকে, “অধিক সম্পদ এবং অধিক সন্তান বিপদের কারণ।” মূলত, তাদের অনুবাদ করা এ অর্থটি সঠিক নয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উলামায়ে ‘সূ’দের অনুবাদ করা অর্থ মুতাবিক ‘অধিক সন্তান ও অধিক সম্পদ বিপদের কারণ।’ এ বিপদ থেকে বাঁচার জন্য তারা সন্তান কমানোর জন্য পরামর্শ দিচ্ছে এবং সাথে সাথে ব্যবস্থাও নিচ্ছে। এখন কথা হলো- বিপদ থেকে বাঁচার জন্য যদি সন্তান কমানো হয়, তাহলে অনুরূপভাবে বিপদ থেকে বাঁচার জন্য সম্পদও তো কমিয়ে দিতে হবে। কাজেই যারা চাকরি করে থাকে, তারা বছর বছর ইনক্রিমেন্ট নিতে পারবে না। যারা ব্যবসা করে থাকে, তারা পুঁজি ও দোকান-পাট বাড়াতে পারবে না এবং যারা চাষাবাদ করে থাকে, তারা জায়গা-জমি, বাড়ি-ঘর ইত্যাদি বাড়াতে পারবে না। বরং সবকিছু কমিয়ে দিতে হবে। কমাতে কমাতে একদিন দেখা যাবে যে, তারা সকলেই শূন্য অর্থাৎ নিঃশেষ হয়ে গেছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উলামায়ে ‘সূ’রা পবিত্র সূরা তাগাবুন শরীফ উনার ১৫ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার যে অর্থ করেছে সে অর্থ সম্পূর্ণ ভুল। সঠিক অর্থ হবে- “সম্পদসমূহ এবং সন্তানসমূহ বিপদের কারণ অর্থাৎ পরীক্ষা স্বরূপ।” তা অল্প সম্পদও হতে পারে, বেশিও হতে পারে। আর সন্তান একটাও হতে পারে, দশটিও হতে পারে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যারা জন্মনিয়ন্ত্রণের পক্ষে বলে থাকে, তারা একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলে থাকে যে, “মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘যাহাদুল বালা’ অর্থাৎ অধিক সন্তান ও অল্প সম্পদ থেকে পানাহ চেয়েছেন।” মূলত, এর সহীহ বা সঠিক ব্যাখ্যা হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই দোয়া করেছেন এবং দোয়ার তরতীব শিক্ষা দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সন্তান কমানোর কথা বলা হয় নাই। বরং যদি কারো সন্তান বেশি হয়, আর সম্পদ কম হয়, তাহলে সে যেন দোয়া করে- সম্পদ বেশি হওয়ার জন্য। অর্থাৎ উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অর্থ জন্মনিয়ন্ত্রণ নয়। উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অর্থ হচ্ছে- ‘সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করা ও মহান আল্লাহ পাক উনার মুখাপেক্ষী থাকা এবং সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ ও নির্দেশ মুবারক উনাদের প্রতি দৃঢ়চিত্ত ও রুজু থাকা।’ যেমন অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে যে, “তোমরা একটা জুতার ফিতার দরকার হলেও তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে চাও।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি রোজ আযলে (সৃষ্টির শুরুতে) সকল রূহ সম্প্রদায়কে একসাথে সৃষ্টি করে সম্বোধন করে বলেছিলেন, “আমি কি তোমাদের রব নই?” তারা জবাব দিয়েছিলেন, “হ্যাঁ, আপনি আমাদের রব।” অর্থাৎ সমস্ত রূহ একসাথে সৃষ্টি হয়েছে। রূহ আগে বা পরে সৃষ্টি হয়নি বা হয় না। কাজেই যাদের রূহ সৃষ্টি হয়েছে, তারা তো দুনিয়াতে আসবেই। আর যাদের রূহ সৃষ্টি হয়নি, তাদের তো আসার প্রশ্নই উঠে না। উল্লেখ্য, মানুষ পৃথিবীতে আগে পরে এসে থাকে অর্থাৎ মানুষ পর্যায়ক্রমে জন্মগ্রহণ করে থাকে। অতএব, রূহ যদি সব একসাথে সৃষ্টিই হয়ে থাকে, আর নতুন করে সৃষ্টি না হয়, তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করে কি হবে?

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ হচ্ছে- একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত, যার মাধ্যমে প্রথমত তারা মুসলমানগণের ঈমান ও আক্বীদা নষ্ট করতে চায়। দ্বিতীয়তঃ মুসলানদের সংখ্যা কমানোর গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তৃতীয়তঃ এর মাধ্যম দিয়ে মুসলমানগণের চরিত্র নষ্ট করার সূক্ষ্ম পথ অবলম্বন করা হয়েছে। কারণ মায়েদের চরিত্র হনন করতে পারলে সন্তানদের চরিত্রও সহজেই নষ্ট করা যাবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- রিযিকের অভাব হবে মনে করে ফ্যামিলি প্ল্যানিং বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করা কাট্টা কুফরী। কারণ এর দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে একমাত্র রিযিকদাতা হিসেবে অস্বীকার করা হয়! আর সাধারণভাবে ফ্যামিলি প্ল্যানিং বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করা মাকরূহ। কারণ তা অপচয়ের শামিল। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অপচয়কারী শয়তানের ভাই।”
-০-
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Monday, February 18, 2013

এ বছরের জন্য আগামী ২৫ তাসি’ ১৩৮০ শামসী সন, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ঈসায়ী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াতি বা শুক্রবার ঐতিহাসিক সুমহান পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম শরীফ।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সাবধান! নিশ্চয় যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোনো ভয় নেই এবং চিন্তা-পেরেশানীও নেই।’
মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ হচ্ছে ‘১১ রবীউছ ছানী’ যা ‘পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম শরীফ’ নামে মশহুর।
এ বছরের জন্য আগামী ২৫ তাসি’ ১৩৮০ শামসী সন, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ঈসায়ী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াতি বা শুক্রবার ঐতিহাসিক সুমহান পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম শরীফ।

তাই প্রত্যেক মুসলমান এবং বাংলাদেশ সরকারসহ পৃথিবীর সকল দেশের সরকারের উচিত- যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে এ মুবারক দিনটি পালন করা এবং এ দিনের সম্মানার্থে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রবীউছ ছানী মাস অত্যন্ত বরকত ও ফযীলতপূর্ণ মাস। এই মাসেই মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ লাভ করেন।

গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ থেকে পবিত্র বিছাল শরীফ পর্যন্ত আমরা যে ওয়াকিয়া বা ইতিহাস দেখতে পাই; তার মধ্যে হাজারো নছীহত বা ইবরত মুবারক রয়ে গেছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “সাবধান! নিশ্চয় যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোনো ভয় নেই এবং চিন্তা-পেরেশানীও নেই।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে মহান আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের ইছলাহর জন্য একজন মহান মুজাদ্দিদ প্রেরণ করবেন, যিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সংস্কার করবেন।” অর্থাৎ বিদয়াত, বেশরা এবং শরীয়ত বিরোধী কাজগুলোর সংশোধন করবেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সেই রকম একজন খাছ ও বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ ও মুজাদ্দিদ হলেন- গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ৪৭১ হিজরীতে পহেলা রমাদ্বান শরীফ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ পবিত্র জিলান নগরে পবিত্র বিলাদত শরীফ লাভ করেন। পবিত্র জিলান নগরীটি তৎকালে ইরানে অবস্থিত ছিলো।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সম্মানিত পিতা উনার দিক থেকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং সম্মানিতা মাতা উনার দিক থেকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের বংশধর অর্থাৎ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম মুবারক হযরত সাইয়্যিদ আবু ছালেহ মুসা জঙ্গী দোসত রহমতুল্লাহি আলাইহি। যেহেতু তিনি জিহাদ প্রিয় ছিলেন সেহেতু উনাকে জঙ্গী দোসত বলা হয়। আর উনার সম্মানিতা মাতা উনার নাম মুবারক উম্মুল খায়ের আমাতুল জাব্বার হযরত ফাতিমা রহমতুল্লাহি আলাইহা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘বাহজাতুল আসরার শরীফ’ নামক কিতাব উনার মধ্যে হযরত শায়েখ শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৫৬০ হিজরী সনের পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস হতে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

‘তাওয়ারিখে আউলিয়া শরীফ’ নামক কিতাব উনার মধ্যে হযরত শায়েখ আব্দুল ফতেহ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ১০ রবীউছ ছানী, ইয়াওমুল আহাদি বা রোববার দিবাগত রাত্রে অর্থাৎ ১১ রবীউছ ছানী লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ রাত্রে গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গোসল মুবারক করেন। গোসলান্তে পবিত্র ইশা উনার নামায আদায় করে তিনি উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের গুনাহখাতা মাফের জন্য ও উনাদের উপর খাছ রহমতের জন্য দোয়া করলেন। এরপর গায়েব হতে আওয়াজ আসলো, “হে প্রশান্ত নফস, আপনি সন্তুষ্টচিত্তে, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত হয়ে নিজ প্রতিপালক উনার দিকে প্রত্যাবর্তন করুন। আপনি আমার নেককার বান্দা উনাদের মধ্যে শামিল হয়ে যান এবং পবিত্র বেহেশতে প্রবেশ করুন।” এরপর তিনি পবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করে ‘তাআজ্জাজা’ (অর্থ বিজয়ী হওয়া) উচ্চারণ করতে লাগলেন এবং তিনি আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ বললেন। এরপর উনার পবিত্র জিহ্বা মুবারক তালু মুবারক উনার সাথে লেগে গেলো। এভাবে ৫৬১ হিজরী উনার ১১ রবীউছ ছানী, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহান দরবারে প্রত্যাবর্তন করলেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন) আর এ পবিত্র দিনটিই সারাবিশ্বে ‘পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম’ নামে মশহুর।
এ বছরের জন্য আগামী ২৫ তাসি’ ১৩৮০ শামসী সন, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ঈসায়ী সন ইয়াওমুল জুমুয়াতি বা শুক্রবার ঐতিহাসিক সুমহান পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম শরীফ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী মুবারক উনার মধ্যে অনেক নছীহত ও ইবরত মুবারক রয়ে গেছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ‘পবিত্র সূরা ইউসূফ শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণনা করার পর বলেন, “নিশ্চয় এই ঘটনার মধ্যে জ্ঞানীগণ উনাদের জন্য রয়েছে নছীহত।” এ পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে ছাবিত করা হয় যে, পরবর্তী লোকদের জন্য পূর্ববর্তী লোকদের ঘটনাগুলো ইবরতস্বরূপ। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জেনে উনাকে মুহব্বত ও অনুসরণ করে আল্লাহওয়ালা ও আল্লাহওয়ালী হওয়ার কোশেশ করা এবং পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম শরীফ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারসহ পৃথিবীর সকল দেশের সরকারের উচিত- যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে এ মুবারক দিনটি পালন করা এবং এ দিনের সম্মানার্থে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা। এ মুবারক দিনটি পালনার্থে আমরা আমাদের সুন্নতী জামে মসজিদে আগামী ১০ রবীউছ ছানী, ইয়াওমুল খামীসি বা বৃহস্পতিবার বাদ আছর থেকে ঈছালে ছওয়াব উনার মাহফিলের আয়োজন করা হবে ইনশাআল্লাহ!
-০-

তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Friday, January 25, 2013

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের ঘনঘটা উম্মত হিসেবে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি আমাদের মুহব্বতের মাপকাঠির সূচক নির্দেশ করে।

সকল ছানা-ছিফত খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। এমন ছানা-ছিফত যাতে তিনি সন্তুষ্ট হন। অপরিসীম, অকৃত্রিম, অগণিত দুরূদ ও সালাম মুবারক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। এমন দুরূদ ও সালাম মুবারক যা তিনি পছন্দ করেন।
বর্তমান যামানায় খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লক্ষ্যস্থল, আওলাদে রসূল, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা, মর্তবা, কতটুকু? এক কথায় তিনি শুধু আল্লাহ পাক তিনি নন। এছাড়া বাকী যা কিছু নিয়ামত, ফযীলত, শান-শওকত রয়েছে সবকিছু খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আবির্ভাব সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি অনুগ্রহ ও রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন; সেজন্য তারা যেন ঈদ মুবারক উদযাপন তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
এ ঈদ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাপবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ; যা ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ তথা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে সমধিক পরিচিত। যা পালন করা শুধু মুসলমানই নয়, বরং কুল-কায়িনাতের সবার জন্য ফরয-ওয়াজিব।
মূলত পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উদযাপনের ঘনঘটা, ব্যাপকতা, প্রাচুর্যতা এমনকি দায়সারা মানসিকতা উম্মত হিসেবে হাবীবে দোজাঁহা রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি আমাদের অন্তরের টানের তথা মহব্বতের মাপকাঠির সূচক নির্দেশ করে। উনার আগমনে খুশি হওয়া তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাযথভাবে পালনের অর্থ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মূল ও প্রধান ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। আর তার বিপরীত হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার মূল ও প্রধান ইচ্ছার প্রতি অসম্মান ও শত্রুতা করা। যা ইবলিসী খাছলত এবং চূড়ান্ত হালাকির কারণ। (নাঊযুবিল্লাহ)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি অর্থাৎ সৃষ্টি করেছি- রহমতুল্লিল আলামীন তথা সারা বিশ্বের রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি অর্থাৎ সৃষ্টি করেছি।” মূলত এই আয়াত শরীফ মুবারক উনার অনেক ফযীলত। যা অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ উনার ৮-৯ নম্বর আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি অর্থাৎ সৃষ্টি করেছি- সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে। অতএব, তোমরা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি ঈমান আনো এবং উনার মুবারক খিদমত কর, মুবারক তা’যীম-তাকরীম কর সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে উনার মুবারক ছানা-ছিফত প্রশংসা মুবারক করতে থাকো।”
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র সূরা সাবা শরীফ উনার ২৮ নম্বর আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক ফরমান- “হে আমার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি অবশ্যই আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না বা বুঝে না।”
উল্লেখ্য, আজকে গণমাধ্যমকে বলা হয় মিডিয়া। সবকিছু জানার জন্য মানুষ এই মিডিয়ার উপরে নির্ভর করে। মিডিয়া জানিয়েছে- পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডে ১.৭৮ জন, প্রতি মিনিটে ১০৭ জন, প্রতি ঘণ্টায় ৬,৩৯০ জন এবং প্রতিদিন ১,৫৩,০০০ লোক মারা যাচ্ছে।
কিন্তু মিডিয়া মানুষকে জানাতে পারেনি যে মানুষের মৃত্যুর পরে কি অবস্থা হয়? মানুষের প্রবৃত্তি কী? মানুষের পরিণতি কী? ক্বিয়ামত কী? জাহান্নাম-জান্নাত উনার বিষয় কী?
কিন্তু এসব সম্পর্কে মানুষকে পরিপূর্ণ এবং প্রজ্ঞাপূর্ণ ইলম মুবারক দিয়েছেন আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার প্রতি ওহী মুবারক নাযিল হয়েছে- (১) আঘাতকারী বা ক্বিয়ামত। (২) আঘাতকারী বা ক্বিয়ামত কি? (৩) এবং আপনি কি জানেন, আঘাতকারী বা ক্বিয়ামত দিবস কি? অর্থাৎ আপনি জানেন আঘাতকারী বা ক্বিয়ামত দিবস সম্পর্কে। (৪) সেদিন বা যেদিন (ক্বিয়ামতের দিন) মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের ন্যায়। (৫) এবং পর্বতসমূহ হবে ধুনিত তুলা বা রঙিন পশমের ন্যায়। (৬) অতঃপর নেকীর পাল্লা ওজনে ভারি হবে। (৭) অতঃপর সে জীবনযাপন বা বসবাস করবে সন্তুষ্টির মধ্যে সন্তুষ্টচিত্তে। (৮) এবং অতঃপর নেকীর পাল্লা ওজনে হালকা হবে। (৯) অতঃপর তার আশ্রয়স্থল হবে হাবিয়াহ দোযখে। (১০) এবং আপনি কি জানেন, উহা (হাবিয়াহ) কি? অর্থাৎ আপনি জানেন। (১১) হাবিয়াহ হলো প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকু-। (পবিত্র সূরা ক্বারিয়াহ শরীফ)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ওহী মুবারক নাযিল হয়েছে- (১) আধিক্যের লালসা (দুনিয়ার লোভ) তোমাদেরকে (আল্লাহ পাক উনার থেকে) গাফিল করে রেখেছে। (২) যে পর্যন্ত না তোমরা কবরস্থান যিয়ারত কর অর্থাৎ ইন্তিকাল পর্যন্ত। (৩) কখনই নয়, অতিশীঘ্রই জানতে পারবে। (৪) অতঃপর কখনই নয়, অতিশীঘ্রই জানতে পারবে। (৫) কখনই নয়, যদি তোমরা ইলমুল ইয়াক্বীন দ্বারা জানতে অর্থাৎ নিশ্চিত জানতে। (৬) নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই তোমরা জাহান্নাম (জাহীম) দেখবে। (৭) অতঃপর নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই তোমরা উহা আইনুল ইয়াক্বীন অর্থাৎ চাক্ষুষ বা প্রত্যক্ষভাবে দেখবে। (৮) অতঃপর সেদিন (ক্বিয়ামতের দিন) তোমরা নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই জিজ্ঞাসিত হবে প্রাপ্ত নিয়ামত সম্পর্কে। (পবিত্র সূরা তাকাছুর শরীফ)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ওহী মুবারক নাযিল হয়েছে- (১) প্রত্যেক সম্মুখে দোষারোপকারী ও পশ্চাতে গীবতকারীর জন্য ধ্বংস, জাহান্নাম ও আফসুস। (২) যে মাল জমা করে ও গণনা করে। (৩) সে ধারণা করে, নিশ্চয়ই তার মাল স্থায়ীভাবে তার সাথেই থাকবে। (৪) কখনও নয় (যা সে ধারণা করে) অবশ্যই সে হুতামাতে (জাহান্নামে) নিক্ষিপ্ত হবে। (৫) আপনি কি জানেন, হুতামাহ কি? অর্থাৎ আপনি জানেন, হুতামাহ কি। (৬) আল্লাহ পাক উনার প্রজ্জ¦লিত অগ্নি। (পবিত্র সূরা হুমাযাহ শরীফ)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ওহী মুবারক নাযিল হয়েছে- (৭) এবং নিশ্চয়ই সে (মানুষ) নিজেই এ বিষয়ে সাক্ষী বা অবহিত। (৮) এবং নিশ্চয়ই সে (মানুষ) ধন-সম্পদের মোহে কঠিনভাবে মোহগ্রস্ত। (৯) তবে সে (মানুষ) কি জানে না যখন উত্থিত হবে কবরসমূহে যা কিছু রয়েছে। (১০) এবং তখন প্রকাশ করা হবে অন্তরে বা বক্ষসমূহে যা কিছু রয়েছে। (১১) নিশ্চয়ই তাদের রব তাদের সেই কঠিন দিন সম্পর্কে পরিপূর্ণরূপে অবহিত আছেন। (পবিত্র সূরা আদিয়াত শরীফ)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ওহী মুবারক নাযিল হয়েছে- (১) যখন যমীনকে তার উপযুক্ত কম্পনে প্রকম্পিত করা হয়। (২) এবং যমীন বের করে দিবে তার সমস্ত বোঝাসমূহ। (৩) এবং মানুষ বলবে তার কি হলো। (৪) সেদিন যমীন তার (উপরে ঘটে যাওয়া) সমস্ত সংবাদ বর্ণনা করবে বা বলে দিবে। (৫) কেননা আপনার রব তায়ালা তাকে (এরূপ বলতে) আদেশ করবেন। (৬) সেদিন মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে দলে দলে প্রকাশ পাবে বা প্রত্যাবর্তন করবে যেন তাদেরকে দেখানো হয় তাদের কৃত আমলসমূহ অথবা যেহেতু তাদেরকে তাদের কৃত আমলসমূহ দেখানো হবে। (৭) অতঃপর যে জাররা পরিমাণ নেক কাজ বা আমল করবে তা সে দেখতে পাবে। (৮) এবং যে জাররা পরিমাণ বদ কাজ বা আমল করবে তাও সে দেখতে পাবে। (পবিত্র সূরা যিলযাল শরীফ)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ‘জাহান্নাম’ শব্দটি এসেছে ৭৭ বার এবং ‘জান্নাত’ শব্দ মুবারকটি বিভিন্নভাবে এসেছে ১৪৭ বার। উল্লেখ্য, অতি সামান্য ক্ষণের দুনিয়াবী জীবন যাপনের পর জাহান্নাম বা জান্নাত মুবারক-ই একজন মানুষের শেষ পরিণতি। কিন্তু সে জাহান্নাম ও জান্নাত মুবারক উনার বিষয় আজকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে চরমভাবে উপেক্ষিত, অনালোচিত তথা লুকায়িত।
কিন্তু উম্মতের কা-ারী, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঠিকই উম্মাহকে এ বিষয়ে পূর্ণ অবহিত ও সতর্ক করেছেন। কাজেই উম্মাহর উচিত- এ বিষয়ে সতর্ক হয়ে পবিত্র সুন্নাহ শরীফ মোতাবেক জীবন-যাপন করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ উনাদের সাথে গভীর নিছবত মুবারক তায়াল্লুক মুবারক স্থাপনে কোশেশ করা।
উল্লেখ্য, ফিতনার এ যুগে প্রবৃত্তির সংশোধন তথা পবিত্র দ্বীন ইসলামী আমলে প্রবৃত্ত হওয়ার জন্য- হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, হাবীবে আ’যম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সার্বক্ষণিক রূহানী সংযোগ সমৃদ্ধ ও উনার সুমহান সুন্নত শরীফ দ্বারা সুশোভিত মুকাম্মিলে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক উনার বিকল্প নেই। সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আযম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সে মহান নিয়ামত মুবারক নছীব করুন। (আমীন)
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Saturday, January 19, 2013

মুসলিম দেশসহ বিশ্বের সব সরকারের উচিত, এ মহা পবিত্র মাস উনার মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে দেশবাসীকে সম্যক অবগত করিয়ে সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী খুশি প্রকাশ করা ও করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হে আমার হাবীব! আমি যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তবে আসমান-যমীন, লওহ-কলম কোনো কিছুই সৃষ্টি করতাম না।’
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাস সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম পবিত্র মাহে রবীউল আউওয়াল শরীফ উপস্থিত।
মুসলিম দেশসহ বিশ্বের সব সরকারের উচিত, এ মহা পবিত্র মাস উনার মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে দেশবাসীকে সম্যক অবগত করিয়ে সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী খুশি প্রকাশ করা ও করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

পাশাপাশি মহাসমারোহে পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম পালনের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা, সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করা ও পর্যাপ্ত ছুটির ব্যবস্থা করা।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার মাঝেই মাখলুকাতের কামিয়াবী নিহিত। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ফজল-করম এবং রহমত হিসেবে উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়াস্বরূপ দিয়েছেন সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের মুবারক আগমন ও বিদায় এবং বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিন তথা মাস উম্মাহর জন্য ঈদ বা খুশির অন্তর্ভুক্ত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে কোনো লোক, যে কোনো সময়, যে কোনো নিয়ামত লাভ করলে সে সন্তুষ্ট হয়, খুশি প্রকাশ করে। সাধারণ দুনিয়াবী কারণে যদি মানুষ এত খুশি হয়, তাহলে যিনি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে এ মাসে তাহলে কতটুকু খুশি প্রকাশ করতে হবে! এ মাসে যার যতটুকু তাওফীক রয়েছে, যেভাবে তাওফীক রয়েছে ঠিক ততটুকু সেভাবে সে খুশি প্রকাশ করবে; তা হলে তার জন্যে কামিয়াবী রয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হালে সরকারিভাবে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা হয়। ভিআইপি রাস্তায় কিছু রঙিন পতাকা, ব্যানার ইত্যাদি টানানো হয়। বিচ্ছিন্নভাবে অন্তঃসারশূন্য কিছু মাহফিল, সেমিনার ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয় এবং একেই যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। অথচ তুলনামূলক তথ্যে দেখা যায়, এদেশে রবীন্দ্র, নজরুলের স্মরণসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে যে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয় তার চেয়ে অনেক কম অর্থ কেবল নয়, বরং কম উৎসাহ ও কম আয়োজনের দ্বারা যেনোতেনোভাবে ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মতো পবিত্র দিন উনাকে অতিক্রান্ত করা হয়। অথচ ঈমানের একান্ত দাবির কারণেই শুধু এ মুবারক দিনেই কেবল নয়, বরং পুরো মাসে সরকারি-বেসরকারি সর্বমহলে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করে অত্যন্ত খুশির সাথে, ব্যাপক আয়োজনে, বিপুল উৎসাহে, গভীর মূল্যায়নে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হওয়া ফরযের অন্তর্ভুক্ত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ জনগণ মুসলমান, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী মুসলমান। পাশাপাশি বাংলাদেশে পবিত্র ইসলাম উনাকে রাষ্ট্র দ্বীন ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের জন্য আলাদাভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনী মাস তথা সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম মাহে রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে সারা দেশব্যাপী ব্যাপক ও শান শওকতপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ এবং যথাযথ তা’যীম-তাকরীম ও শান-শওক্বতের সাথে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পাশাপাশি সকল মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সারা বিশ্বব্যাপী সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম, মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ ও সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে পরিপূর্ণ তা’যীম-তাকরীম, আদব-মুহব্বত ও খুশি এবং শান শওকত উনার সাথে সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া এবং সে লক্ষ্যে সব দেশে কমপক্ষে এক মাসব্যাপী অর্থাৎ সম্পূর্ণ রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে ছুটি প্রদান করা। যাতে সকলেই কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাযথভাবে পালন করতে পারে।
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Wednesday, January 9, 2013

আজ মহিমান্বিত ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’
আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনার বিরোধিতাকারীরা গুমরাহ ও উলামায়ে ‘সূ’র অন্তর্ভুক্ত। এদের পরিহার করা ফরয-ওয়াজিব

সব প্রশংসা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।
পবিত্র হিজরী সনের দ্বিতীয় মাস পবিত্র ছফর শরীফ। পবিত্র হায়াত মুবারক উনার শেষ বছরে অর্থাৎ ১১ হিজরী সালে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মুহররম হারাম শরীফ মাস উনার তৃতীয় সপ্তাহে অসুস্থতাকে গ্রহণ করেন। অতঃপর আবার সুস্থতাকে গ্রহণ করেন। এরপর আবার পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার তৃতীয় সপ্তাহে অসুস্থতাকে গ্রহণ করেন। অতঃপর পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ বুধবার সকালে তিনি সুস্থতা গ্রহণ করেন। এ খবর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে। উনারা মুহব্বত উনার ফল্গুধারায় উৎফুল্ল হয়ে উঠেন এবং মুক্ত হস্তে হাদিয়া করে শুকরিয়া আদায় করেন। এ ঘটনাই ইতিহাসে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ হিসেবে অভিহিত। আজ সেই মহিমান্বিত ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’। ‘আখির’ শব্দটি ভাষাগত দিক থেকে আরবী। যদিও তা ফার্সী ও উর্দুতে ব্যবহার হয়। এর অর্থ- শেষ। আর ‘চাহার শোম্বাহ’ হচ্ছে ফার্সী শব্দ। এর অর্থ- বুধবার। আর ‘আখির’ শব্দের সাথে ‘ইয়া’ নিছবতপ্রাপ্ত বা যুক্ত হওয়ার কারণে ফার্সী ভাষার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ আখিরী শব্দটি ফার্সী। ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ বলতে পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ বুধবার উনাকে বুঝানো হয়ে থাকে। এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ খুশির দিন।
মূলত আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ নানাদিক থেকে ফযীলতযুক্ত ও তাৎপর্যম-িত। মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে যেমন একেক সময় একেক মুবারক হাল প্রকাশ করেন। তদ্রপ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও একেক সময় একেক মুবারক হাল প্রকাশ করেছেন এবং করছেন।
প্রসঙ্গত অনেকে বলে থাকেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ তায়াল্লুক মুবারক উনার অধিকারী তথা উনার সাথে নিছবত এবং বিশেষত উনার কাছ থেকে প্রাপ্ত ইলমে লাদুন্নী মুবারক উনার ইমাম, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “কোন অসুখের ক্ষমতা নেই যে তা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আক্রান্ত করে। (নাঊযুবিল্লাহ) বরং এটি মহান আল্লাহ পাক উনার ওহী মুবারক যে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইখতিয়ার যে তিনি অসুখকে গ্রহণ করেছেন, আবার বিদায় দিয়েছেন, আবার গ্রহণ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ উপলক্ষে বিশেষ যে বিষয়টি প্রতিভাত হয়, তা হলো- উম্মু আবিহা, হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কত মুহব্বত মুবারক করতেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদেরকে কত মুহব্বত মুবারক করতেন।
‘আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ উনার বর্ণনায় জানা যায়, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত মা ফাতিমা আলাইহাস সালাম উনাকে খবর দিন, তিনি যেন উনার সুমহান আওলাদগণ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে তাড়াতাড়ি আমার নিকট চলে আসেন।
সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত মা ফাতিমা আলাইহাস সালাম উনার আওলাদগণ উনাদেরকে নিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটে হাজির হলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত মা ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে নিজের গলা মুবারক উনার সাথে জড়িয়ে স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিলেন, নাতিগণ উনাদের কপাল মুবারক উনার মধ্যে চুমু মুবারক খেলেন এবং উনাদেরকে সাথে নিয়ে আহারে বসলেন। কয়েক লোকমা খাবার গ্রহণ করার পর অন্যান্য উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ উনারাও খিদমতে এসে হাজির হলেন। অতঃপর পর্যায়ক্রমে বিশিষ্ট ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারাও বাইরে এসে হাজির হন।
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থতাকে গ্রহণ করার পর সুস্থতাকে গ্রহণ করে মসজিদে নববী শরীফ উনার মধ্যে আগমন করেন এবং নামাযের ইমামতি করেন। এই অপার আনন্দে হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে অনেক কিছু হাদিয়া করেন। কোনো কোনো বর্ণনায় জানা যায় যে, খুশিতে খুশি হয়ে ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি সাত হাজার দীনার, হযরত উমর ফারুক আলাইহিস সালাম তিনি পাঁচ হাজার দীনার, হযরত উসমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি দশ হাজার দীনার, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তিন হাজার দীনার, হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একশত উট ও একশত ঘোড়া মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় হাদিয়া করতঃ মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত ও সন্তুষ্টি লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মারিফত-মুহব্বতে দগ্ধিভূত ব্যক্তি তথা মুসলমানগণ উনারা সে দিনটিকে মারিফত-মুহব্বত লাভের উসীলা সাব্যস্ত করে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের অনুসরণে যুগ যুগ ধরে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ হিসেবে পালন করে আসছেন। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যাঁরা হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০০) আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমাদের জন্য আমার সুন্নত এবং হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম তথা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের সুন্নত অবশ্য পালনীয়।”
বলাবাহুল্য, কিছু কম ইলম ও কম আমল তথা উলামায়ে ‘সূ’ রয়েছে যারা ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ পালনের বিরুদ্ধে বলে থাকে। কিন্তু এদের এ সাধারণ সমঝও নেই যে, আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনার পালনের দ্বারা মূলত আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত মুবারক তথা নিছবত-তায়াল্লুক মুবারকই অর্জিত হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই যারা আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালনের বিরোধিতা করে তারা মূলত আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত এরই বিরোধিতা করে থাকে। সঙ্গতকারণেই এরা মুসলমান থাকতে পারেনা। এরা বাতিল ৭২ ফিরক্বা তথা উলামায়ে ‘সূ’দের অন্তর্ভুক্ত। এদের ফতওয়া পরিত্যাজ্য। এরা নিকৃষ্ট ফিতনাবাজ। এদের পরিহার করা আবশ্যিক কর্তব্য।
উল্লেখ্য, আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনার হক্ব আদায়ে আমাদের উচিত বর্তমান যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার প্রতিটি বিষয়কে সেরূপ মূল্যায়ন করা এবং উনার খিদমতে অকাতরে হাদিয়া করা। পাশাপাশি ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশের রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার এদেশের সরকারেরও উচিত যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করে দিবসটি পালন করা।
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net