Pages

Saturday, January 19, 2013

মুসলিম দেশসহ বিশ্বের সব সরকারের উচিত, এ মহা পবিত্র মাস উনার মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে দেশবাসীকে সম্যক অবগত করিয়ে সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী খুশি প্রকাশ করা ও করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হে আমার হাবীব! আমি যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তবে আসমান-যমীন, লওহ-কলম কোনো কিছুই সৃষ্টি করতাম না।’
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাস সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম পবিত্র মাহে রবীউল আউওয়াল শরীফ উপস্থিত।
মুসলিম দেশসহ বিশ্বের সব সরকারের উচিত, এ মহা পবিত্র মাস উনার মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে দেশবাসীকে সম্যক অবগত করিয়ে সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী খুশি প্রকাশ করা ও করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

পাশাপাশি মহাসমারোহে পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম পালনের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা, সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করা ও পর্যাপ্ত ছুটির ব্যবস্থা করা।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার মাঝেই মাখলুকাতের কামিয়াবী নিহিত। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ফজল-করম এবং রহমত হিসেবে উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়াস্বরূপ দিয়েছেন সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের মুবারক আগমন ও বিদায় এবং বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিন তথা মাস উম্মাহর জন্য ঈদ বা খুশির অন্তর্ভুক্ত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে কোনো লোক, যে কোনো সময়, যে কোনো নিয়ামত লাভ করলে সে সন্তুষ্ট হয়, খুশি প্রকাশ করে। সাধারণ দুনিয়াবী কারণে যদি মানুষ এত খুশি হয়, তাহলে যিনি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে এ মাসে তাহলে কতটুকু খুশি প্রকাশ করতে হবে! এ মাসে যার যতটুকু তাওফীক রয়েছে, যেভাবে তাওফীক রয়েছে ঠিক ততটুকু সেভাবে সে খুশি প্রকাশ করবে; তা হলে তার জন্যে কামিয়াবী রয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হালে সরকারিভাবে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা হয়। ভিআইপি রাস্তায় কিছু রঙিন পতাকা, ব্যানার ইত্যাদি টানানো হয়। বিচ্ছিন্নভাবে অন্তঃসারশূন্য কিছু মাহফিল, সেমিনার ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয় এবং একেই যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। অথচ তুলনামূলক তথ্যে দেখা যায়, এদেশে রবীন্দ্র, নজরুলের স্মরণসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে যে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয় তার চেয়ে অনেক কম অর্থ কেবল নয়, বরং কম উৎসাহ ও কম আয়োজনের দ্বারা যেনোতেনোভাবে ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মতো পবিত্র দিন উনাকে অতিক্রান্ত করা হয়। অথচ ঈমানের একান্ত দাবির কারণেই শুধু এ মুবারক দিনেই কেবল নয়, বরং পুরো মাসে সরকারি-বেসরকারি সর্বমহলে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করে অত্যন্ত খুশির সাথে, ব্যাপক আয়োজনে, বিপুল উৎসাহে, গভীর মূল্যায়নে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হওয়া ফরযের অন্তর্ভুক্ত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ জনগণ মুসলমান, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী মুসলমান। পাশাপাশি বাংলাদেশে পবিত্র ইসলাম উনাকে রাষ্ট্র দ্বীন ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের জন্য আলাদাভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনী মাস তথা সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম মাহে রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে সারা দেশব্যাপী ব্যাপক ও শান শওকতপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ এবং যথাযথ তা’যীম-তাকরীম ও শান-শওক্বতের সাথে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পাশাপাশি সকল মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সারা বিশ্বব্যাপী সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম, মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ ও সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে পরিপূর্ণ তা’যীম-তাকরীম, আদব-মুহব্বত ও খুশি এবং শান শওকত উনার সাথে সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া এবং সে লক্ষ্যে সব দেশে কমপক্ষে এক মাসব্যাপী অর্থাৎ সম্পূর্ণ রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে ছুটি প্রদান করা। যাতে সকলেই কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাযথভাবে পালন করতে পারে।
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

No comments:

Post a Comment