Pages

Friday, March 16, 2012

সমুদ্র সীমানা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক রায়।


সমুদ্র সীমানা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক রায়।
সমুদ্র সীমানা ও সম্পদ ব্যবহারে বাংলাদেশ সৃমদ্ধি অর্জন করতে পারে বহুগুণ।
পাশাপাশি আয়তনও বাড়াতে পারে কয়েকগুণ।

সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।
অবশেষে অবসান হলো ৩৮ বছরের অপেক্ষার। সমতা না সমদূরত্বের ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ হবে, তা নিয়ে বিরোধ। কয়েক দশক ধরে দফায় দফায় বৈঠক ও আলোচনার সিরিজ চললেও সমস্যার কোনো সমাধান সূত্র বের হয়নি। অবশেষে ২০০৯ সালের অক্টোবরে সমুদ্র আইন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আত্মবিশ্বাস ছিল যদি ভৌগোলিক অবস্থান ও সমতার নীতি বিবেচনা করা হয়, তাহলে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশ তার অধিকার পাবে।
অন্যদিকে সমদূরত্বের ভিত্তিতে সীমানা ভাগের যুক্তি তুলেছে মিয়ানমার। তাদের দাবি, ১৩০ নটিক্যাল মাইলের বেশি প্রাপ্য নয় বাংলাদেশ।
তবে গত পরশু বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৭টায় আন্তর্জাতিক আদালতে সমুদ্রসীমা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এতে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের জয় হয়েছে। জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দ্য ল অব দ্য সির’ (ইটলস) ২৩ বিচারকের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করে।
মিয়ানমারের দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের ১৩০ নটিক্যাল মাইলের বেশি যাওয়ার সুযোগ ছিল না। সেখানে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অনুযায়ী এখন ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত ভেতরে যাওয়ার আইনগত অধিকার পেল বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, মহীসোপানের জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘে সিএলসিএস-এ যে ৪৬০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দাবি করেছে, তার পথও খোলা রইল। মূলত মিয়ানমার চেয়েছিল, সমদূরত্বের ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে। আর বাংলাদেশ চেয়েছিল সমতার ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে। আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে। যাতে কোন পক্ষই বঞ্চিত না হয়। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মোট ২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৭১ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়ে বাংলাদেশকে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার এবং মিয়ানমারকে ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৩২ বর্গকিলোমিটার এলাকা দিয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার ও ভারত বাংলাদেশের মোট ২৮টি ব্লকের মধ্যে ২৭টি নিজেদের বলে দীর্ঘদিন দাবি করে আসছিল। কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে মামলার এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের কমপক্ষে ১৮টি ব্লকের অধিকার নিশ্চিত হল। বাকিগুলো ভারতের সঙ্গে মামলার রায়ে নির্ধারিত হবে। এছাড়া এই রায়ে বাংলাদেশ যেখানে ১৩০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে আটকে যাচ্ছিল, সেখানে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অধিকার নিশ্চিত করল। এছাড়া আন্তর্জাতিক আদালত রায় দিয়ে যে সীমারেখা টেনেছে, তাতে বাংলাদেশের জন্য আনুমানিক ২৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত উক্ত হল।
বাংলাদেশের জনগণের জন্য আজ অত্যন্ত গৌরবময় এবং আনন্দের দিন। বঙ্গোপসাগরে পানিরাশি এবং তলদেশের সম্পদরাশিতে আজ বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রদত্ত রায়ে বাংলাদেশের সামনে খুলে গেছে, এক বিপুল সম্ভাবনার দুয়ার। তেল-গ্যাসসহ মূল্যবান খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য বাংলাদেশ নিতে পারবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এছাড়া বিপুল মৎস্যসম্পদ, তেল-গ্যাস ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের তলদেশে রয়েছে কোবাল্ট সালফাইড, নুডল্স, যা থেকে কোবাল্ট, নিকেল, ম্যাগনেসিয়াম, তামার মতো দামি খনিজ পদার্থ আহরণ করা সম্ভব। পাপুয়া নিউগিনিসহ বেশ কয়েকটি দেশে নুডল্স থেকে কিছু পরিমাণ স্বর্ণও পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও স্বর্ণ পাওয়া বিচিত্র কিছু নয়।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য সমুদ্রসীমা রক্ষা ও সম্পদ আহরণের জন্য বাংলাদেশে সমুদ্রবিজ্ঞান অধ্যয়ন জরুরি। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিতেও ওশেনোলজি পড়ানো হয় না। ফলে আমাদের এখানে সমুদ্রবিদ্যায় কোনো লোকবল নেই। অথচ ভারতে অন্তত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়টি পড়ানো হয়।
এদিকে বঙ্গোপসাগরের নোনাজল হটিয়ে তার বুকে জেগে উঠছে অসংখ্য দ্বীপখ-। এসব দ্বীপে সৃজন করা হচ্ছে বনভূমি, গড়ে উঠছে বসতি। এরইমধ্যে সাগরের বুকজুড়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ বর্গমাইল আয়তনের ভূখ- গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে, তৈরি হয়েছে নিঝুম দ্বীপের মতো দৃষ্টিনন্দন বনাঞ্চল। এ বছর যুক্ত হবে আরও ২ হাজার ২০০ বর্গমাইল ভূমি। কয়েকটি ক্রস ড্যাম আর প্রযুক্তিগত কিছু উদ্যোগের মাধ্যমেই আগামী দশ বছরে ওই এলাকার আয়তন দাঁড়াবে ২০ হাজার বর্গমাইল।
বিশেষজ্ঞরা জানান, সমুদ্র-বক্ষে জেগে ওঠা ৪০ হাজার হেক্টর ভূমিকে এখনই স্থায়িত্ব দেওয়া সম্ভব। পর্যায়ক্রমে এর পরিমাণ দুই লক্ষাধিক হেক্টরে বিস্তৃত হতে পারে।
কার্যতঃ এক সমুদ্র সম্পদই যে গোটা বাংলাদেশবাসীর ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। যথার্থ গবেষণা, ডাটা সংগ্রহ, তথ্যানুসন্ধানসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ ও উদ্যমের পাশাপাশি প্রয়োজন ইসলামী মূল্যবোধে উজ্জীবিত অনুভূতি ও জজবা।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘যতক্ষণ তোমরা কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ আঁকড়ে থাকবে ততক্ষণ উন্নতির শীর্ষে থাকবে। আর যখনই তা থেকে বিচ্যুত হবে তখনই লাঞ্ছিত ও পদদলিত হবে।’
আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সীমারেখা সংরক্ষণ, বৃদ্ধি, সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও সমৃদ্ধি সবই এ হাদীছ শরীফ-এর আমলের উপর নির্ভর করে। বলাবাহুল্য, এ হাদীছ শরীফ-এর আমলের জন্য চাই খাছ রূহানী ফয়েজ তাওয়াজ্জুহ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতে তা হাছিল সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Wednesday, March 14, 2012

বাংলাদেশের প্রতি মার্কিনীদের এত নজর কেন?


বাংলাদেশের প্রতি মার্কিনীদের এত নজর কেন?
প্রশিক্ষণের নামে মহড়ার নামে সম্পৃক্ততা ছাড়াও
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ চায় কেন মার্কিন সেনাবাহিনী?
দেশে কেন মার্কিন সেনাবাহিনী?
এটা সংবিধানের খেলাফ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।
মার্কিন সেনাবাহিনীর সাত সদস্যের একটি দল বাংলাদেশে আছে। তারা সন্ত্রাস দমনের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেবে। সিলেটে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ স্কুলে এ প্রশিক্ষণ হবে। চার সপ্তাহের এ প্রশিক্ষণ গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশে মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলে, সে বক্তব্য দিয়েছে কংগ্রেসের শুনানিতে। ওই শুনানিতে সে যা বলেছে, সে সম্পর্কে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, পেন্টাগনের ওই কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের শুনানিতে বলেছে, “সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়াতে, বিশেষ করে সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা জোরদারে সহযোগিতা করতে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর দলগুলো মোতায়েন করা হয়েছে। মার্কিন বাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড তাদের নিয়োগ করেছে।
মার্কিন সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ড ও গ্লোবাল পিস অপারেশনস প্রোগ্রামের (জিপিওআই) আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘শান্তিদূত-৩’ নামে এক যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে বুধবার ঢাকায় আসে জে. উইয়ারসিনস্কি। এর আগে গতবছর ডিসেম্বরেও একবার ঢাকায় এসেছিল এই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা। সে জানায়, এখানে এসেই আমি বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারছি। সে আরো জানায়, গত গ্রীষ্মে সিঙ্গাপুরে জেনারেল মুবিনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। সেসময় দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। জেনারেল মুবিন (বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান) বাংলাদেশের জঙ্গলে এই যৌথ মহড়া আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য এ ধরনের জঙ্গল নেই উল্লেখ করে সে বলে, সাধারণত পানামায় মার্কিন সেনাদের এ ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফ্রান্সিস জে. ওয়ারসিনস্কি আরো বলেছে, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত সাড়া দিতে প্রস্তুত থাকতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এই লক্ষ্যে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
সে বলে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকার মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ডাকলে দ্রুততার সঙ্গে সাড়া দেওয়ার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে বোঝার ব্যাপারও রয়েছে। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর সহযোগিতার মাধ্যমে পরস্পরে কীভাবে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে তা জানা দরকার। এই লক্ষ্যে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার কাজ করতে সহজ হবে।
ওদিকে খোদ ওয়াশিংটন পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যেও একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বলেও জানিয়েছে সফররত মার্কিন সেনা কর্মকর্তা। জেনারেল ফ্রান্সিস জে উইয়ারসিনস্কি সে বলে, আমাদের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। তবে আমরা এই সম্পর্ককে এমন অংশীদারিত্বের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, যেন প্রয়োজন হলেই টেলিফোন করে আমি জেনারেল মুবিনের (বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল মুবিন) সঙ্গে কথা বলতে পারি। আমার ধারণা, জেনারেল মুবিনও তেমনই চান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর মধ্যকার যৌথ মহড়া ‘‘কো-অর্ডিনেটেড এফ্লোট রেডিনেস অ্যান্ড ট্রেনিং’’- ক্যারাট-২০১১, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন রাজ্যের ন্যাশনাল গার্ডের মিলিটারি ডিপার্টমেন্ট এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বিমান মহড়ার প্রস্তাব দিয়েছে। চলতি মাসেই ওরিগন ন্যাশনাল গার্ডের একটি প্রতিনিধিদল এ প্রস্তাব নিয়ে ঢাকা সফরে আসছে।
প্রসঙ্গত: আমরা মনে করি বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ততা নিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনীর এই অতি আগ্রহ কোনক্রমেই উদ্দেশ্যহীন নয়। মূলত: এ শুধু উদ্দেশ্যমূলকই নয় বরং গভীর দুরভিসন্ধিমূলক। কারণ ‘সুঁচ হয়ে ঢোকা এবং ফালা হয়ে বের হওয়া’ সাম্রাজ্যবাদী মার্কিনীদের জন্মগত বৈশিষ্ট্য। মার্কিনীরা বাংলাদেশের সাথে মুসলিম ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ আফগানিস্তান এবং ইরাকে হামলার পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছে যে সেখানে তারা মুসলমানদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। মূলত: দুষ্ট লোকের মিষ্ট কথার অভাব হয়না। তারা যে লাদেন এবং সাদ্দাম এর কথা বলে যুদ্ধ শুরু করেছে সে লাদেন এবং সাদ্দাম তাদেরই এজেন্ট। তাছাড়া যুদ্ধের বাইরে লাখো কোটি বেসামরিক লোককে হত্যা করা, লাখো মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করা। এগুলো কী মুসলমানদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করার প্রমাণ?
মূলত: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে সম্পৃক্ততার পিছনে এতদ্বঅঞ্চলে মার্কিনী প্রভাব বিস্তার করাই ওদের মূল উদ্দেশ্য। বিশেষ করে এতদ্বঅঞ্চলে ওদের চির-শত্রু চীনের প্রভাব ঠেকানো এবং পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে ঘাঁটি স্থাপন করে করদ রাজ্য বানানোই ওদের আসল হীন উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, মার্কিন সেনাবাহিনী যেভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছে তা সংবিধানের ২৫নং অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট খেলাফ। আমরা ভেবে পাইনা কীভাবে ক্ষমতাসীন দল সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণ করে ক্ষমতার আসনে বসে প্রকাশ্যে সংবিধান খিলাফ করে?
কিভাবে সংবিধান বিরোধী কাজ করে? শপথ গ্রহণ করে ক্ষমতায় থেকে প্রকাশ্যে সংবিধান বিরোধী কাজ করা কী রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়? এ কী মুনাফেকী নয়?
সা¤্রাজ্যবাদী মার্কিনীসহ তাদের সহযোগী মুনাফিকদের এ জাতি, এ দেশবাসী কখনও গ্রহণ করেনা। ক্ষমা করেনা। ৭১’-এ মার্কিনীদের এ জাতি গ্রহণ করেনি। এবং তাদের সহযোগী পাকিস্তানী ও যুদ্ধাপরাধীদের আজও ক্ষমা করেনি। মহান আল্লাহ পাক তিনিও মুনাফিকদের ক্ষমা করেননা। বরং তারা থাকবে জাহান্নামের অতল গহবরে। সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থানে। (নাঊযুবিল্লাহ!)
মূলতঃ এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে ইসলামী অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা ফয়েজ, তাওয়াজ্জুহ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Tuesday, March 13, 2012

মুবারক হো-



মুবারক হো-
লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, ত্বাহিরাহ, তাইয়্যিবাহ, মাহবুবাহ, ফাক্বীহা, মাশুকাহ, গফীরাহ, নাছিবাহ, রহীমাহ, রফীক্বাহ, হাবীবাহ, নূরিয়্যাহ, ফখরিয়্যাহ, ফারীদাহ, ক্বারীনাহ, ক্বারীবাহ, কাবীরাহ, কাছিত্বাহ, ছামীনাহ, ছা’ইমাহ, ছালিহাহ, ছুফিয়্যাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল, সাইয়্য্যিদাতুনা শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার মহা মুবারক বিলাদত শরীফ তথা ঈদে আ’যমে বিলাদতে নিবরাসাতুল উমাম হযরত শাহযাদী ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।
আজ বেমেছাল মহিমান্বিত, রহমত-বরকত, ফযীলতপূর্ণ, সাকিনাযুক্ত ১৯শে রবীউছ ছানী। লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বায়িম-মাক্বামে যাহরা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল, হযরত শাহযাদী ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মহা মুবারক বিলাদত শরীফ।
যিনি তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকিয়্যাহ। ত্বয়্যিবাহ, ত্বহিরাহ, নাজিয়াহ, নাছীবাহ, ক্বারীনাহ, ক্বারীবাহ, কাবীরাহ, কাছিত্বাহ, ছামীনাহ, ছা’ইমাহ, ছালিহাহ, ছুফিয়্যাহ, উম্মুল ওয়ারা, মাহবুবাহ, মাশুক্বাহ, ফাক্বীহা।
মহান আল্লাহ পাক উনার শানে বলেছেন, “উনার সমকক্ষ কোনো পুরুষও নন।” (সূরা আলে ইমরান)
উনার মুবারক ছায়াও কখনো কোনো পরপুরুষ দেখেনি। এমনকি কোনো পর্দাহীন মহিলারাও উনাকে পর্যন্ত দেখতে পায়নি। উনার মুবারক কণ্ঠস্বর কোনো পরপুরুষ কখনো শুনেনি। বলতে গেলে সূর্যের আলোও উনাদের স্পর্শ করেনি। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গতঃ ‘সূরা কাহাফ-এর ১০৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যক্ত করেছেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, আমার রব মহান আল্লাহ পাক উনার শান-মান লিখার জন্য যদি সমুদ্রের পানিকে কালি বানানো হয় তবুও মহান আল্লাহ পাক উনার শান মান, ফাযায়িল-ফযীলত শেষ হওয়ার পূর্বেই সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে। আরো অনুরূপ যোগ করা হলেও।’
বলাবাহুল্য, এটা যেমন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার শান মুবারক-এ তেমনি উনার হাবীব আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানেও এবং সাথে সাথে উনাদের রঙে রঞ্জিত মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদাতুন নিসা, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, আফদ্বালুন নিসা বা’দাল আম্বিয়ায়ি ওয়া উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শানেও যথাযোগ্যভাবে প্রযোজ্য।
সঙ্গতকারণেই এই সুমহান বিলাদত শরীফ-এর তাৎপর্য, গুরুত্ব, মহত্ত্ব, শান-শওকত লেখার জন্য কোনো ভাষার শুরু এবং শেষ যেমন নেই তেমনি বিলাদত শরীফ পালনের ব্যাপকতার, ঘনঘটার, শান-শওকতেরও তথা সমন্বিত আয়োজনেরও কোনো পরিশেষ নাই। সবকিছুই এখানে ব্যর্থ। সস্পৃক্ত শুধুই অক্ষমতা প্রকাশ। অনিবার্য এখানে ক্ষমা প্রার্থনা।
বলার অপেক্ষা না রেখে আমরাও তাই এই সুমহান বিলাদত শরীফ প্রসঙ্গে আমাদের সব অক্ষমতার ভারে প্রথমেই করছি শেষ স্তরের ক্ষমা প্রার্থনা। নিবেদন করছি সমগ্র সত্তার নিংড়ানো নিবেদিত মুহব্বত ও শেষ স্তরের আত্মসমর্পণ।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাইনা। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইতগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা/২৩)
সঙ্গতকারণেই বলতে হয়, এক্ষেত্রে বর্তমান যামানায় হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে যিনি মধ্যমণি যিনি- ত্বাহিরাহ, তাইয়্যিবাহ, মাহবুবাহ, ফাক্বীহা, মাশুক্বাহ, তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকীয়্যাহ, নূরে হাবীবা, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, নাক্বীবাতুল উমাম, হাদীয়াতুল মাদানী, হাদীয়ে মাদারজাত, ক্বায়িম-মক্বামে ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম, ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদাতুন নিসা ফিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানী শাহযাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাথে খাছ তায়াল্লুক নিছবত হাছিলের মাধ্যমে সম্ভব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি হাছিল করা। সুবহানাল্লাহ!
বলাবাহুল্য, হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার ছানা-ছিফত করার সাধ্য যেমন কারো নেই- এ কথা যেমন সত্য তেমনি উনাদের ছানা-ছিফত করতে গেলে লাখো-কোটি বেমেছাল ছিফত অনিবার্যভাবে চলে আসে সে কথাও তেমনি নিদারুণ সত্য।
তবে একটি মূল কথা হচ্ছে যে, উনারা এমন এক মহিমান্বিত বেমেছাল অজুদ মুবারক যা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাদের গুণে গুণান্বিত এবং উনাদের তরফ থেকে যমীনবাসীর জন্য রহমত-বরকত, রিযিকসহ সব নিয়ামতের আধার। বণ্টনের উছীলা, মালিকা।
উনাদের মূলত কোনো কাজ করার প্রয়োজন হয় না। উনাদের আগমন, আবির্ভাব, বিলাদত শরীফই যমীনবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় রহমত, বরকত তথা ঈদ বা সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম-এর শামিল। কাজেই আজ শুধু হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম উনার বিলাদত শরীফ নয়, বরং গোটা কায়িনাতের জন্য আজ সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম স্বরূপ।
সঙ্গতকারণেই বলতে হয় আজকের এ ঈদে আ’যম-এর, ঈদে বিলাদতে শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক পরিসর কেবল রাজারবাগ শরীফ অথবা রাজারবাগ শরীফ-এর সিলসিলাভুক্ত পরিম-লেই পরিশেষ হবার নয়।
বরং অনিবার্য কারণেই তথা নিজস্ব প্রয়োজনেই গোটা বিশ্ব পরিসরেই এর পর্যালোচনা করতে হবে। গোটা বিশ্বব্যাপীই এই সুমহান বিলাদত শরীফ ব্যাপক শান-শওকত ও জওক-শওক তথা যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য এবং সর্বশেষ প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটায়ে পালন করতে ইবে। এবং দিন দিন উত্তরোত্তর এটার ব্যাপকতা বিস্তর বিস্তার ঘটাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
মূলতঃ এর উপরই নির্ভর করবে ভক্ত মুরীদ-মুতাক্বিদ, আশিকীন-মুহিব্বীন বিশেষতঃ আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত তথা আন্তর্জাতিক আল বাইয়্যিনাত-এর মূল্যায়ন অথবা অর্জিত সফলতা বা ব্যর্থতা।
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি মহান ত্বাহিরাহ, তাইয়্যিবাহ, মাহবুবাহ, ফাক্বীহা, মাশুক্বাহ, তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকীয়্যাহ, ত্বহিরাহ, ত্বয়্যিবাহ, নূরে হাবীবা, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, নাক্বীবাতুল উমাম, হাদীয়াতুল মাদানী, হাদীয়ে মাদারজাত, ক্বায়িম-মাক্বামে ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম, ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদাতুন নিসা ফিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উছীলায় এ ঈদে বিলাদত শরীফ যথাযথভাবে ও পরিপূর্ণ খুলুছিয়তের সাথে করার তাওফিক দান করুন। (আমীন)

তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net