Pages

Friday, February 24, 2012

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো বর্তমানে ভাষা শহীদদের প্রয়োজন এবং তার বিপরীতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও ফুলে ফুলে ঢেকে দেয়া প্রসঙ্গে



সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।
গতকাল প্রায় সব পত্রিকার প্রধান লিড নিউজ ছিল “শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভাষা শহীদদের স্মরণ।” আর ক্যাপশন ছিল মহান একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুলে ফুলে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
পত্রিকান্তরে রিপোর্ট হয়েছে, “অমর একুশে তথা মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল বাণিজ্য ছিল রমরমা। এ উপলক্ষে রাজধানীর অলিগলিতে বসেছিল ফুলের দোকান। দশগুণ বেশি দামে ফুল কিনেও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভুল করেনি ভাষাপ্রেমিক নাগরিকরা। এসব ফুলের ক্রেতা-বিক্রেতার অধিকাংশই ছিল তরুণ-তরুণী ও কোমলমতি শিশু। ধারণা করা হয়, রাজধানীতেই ফুল বাবদ কয়েক কোটি টাকা হাত বদল হয়েছে।”
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করলে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী তাতে নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জববারসহ অনেকেই শহীদ হন। শহীদদের এই রক্ত বৃথা যায়নি। পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী তাদের দাবি মেনে নেয়। সে দিন থেকে ভাষা শহীদ দিবস হিসেবে এ দিনটি পালিত হয়। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন সরকারের দাবির প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ এ দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এ দিবসে তাদের স্মরণে তৈরি মিনার বা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল নিবেদন করা হয়। এ দিবসকে কেন্দ্র করে সারাদেশে কোটি কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। পাড়ায়-মহল্লায় গড়ে উঠে হাজার হাজার অস্থায়ী ফুলের দোকান। স্থায়ী দোকানগুলোতে সারাবছরই ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু এ দিবসে সারাদেশে অতিরিক্ত ফুলের চাহিদা দেখা দেয়াতে পাড়া-মহল্লায় এসব অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠে। রাজধানীতে অধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকাতে এখানে এ দিবসটি বেশি গুরুত্বের সাথে পালিত হয়ে থাকে।
জানা গেছে, রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, স্কুল, মাদরাসা, কিন্ডার গার্টেন, সামাজিক সংগঠনসহ প্রায় ২০ হাজার প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী ও অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের ভাষা প্রেমীরা। নগরীর প্রতিটি মহল্লায় একাধিক অস্থায়ী ফুলের দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকানিরা গত শনিবার থেকে রাজধানীর পাইকারি ফুলের বাজার থেকে ফুল সংগ্রহ করেন। তবে তাদের ফুল বিক্রি শুরু হয় গত সোমবার থেকে।
উল্লেখ্য, ‘শহীদ’ একটি উঁচু ধারার ইসলামী সংবেদনশীল শব্দ। মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যারা জিহাদ করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে তাঁদেরকেই শহীদ বলা হয়। অর্থাৎ তাঁরাই হচ্ছেন প্রকৃত শহীদ। এছাড়া যাঁরা রয়েছে তাঁরা শহীদী দরজা হাছিল করে থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রকৃত শহীদগণ সম্পর্কে ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় গিয়ে যারা শহীদ হয় তাঁদেরকে মৃত বলোনা। তাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার কাছ থেকে রিযিক পেয়ে থাকে।” (সুবহানাল্লাহ!)
তাফসীরে বর্ণিত হয়েছে, মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা ঈমানের অঙ্গ। সুতরাং মাতৃভাষা রক্ষার্থে যারা জীবন দিয়েছে তারাও নিঃসন্দেহে শহীদের অন্তর্ভুক্ত। তবে তাদেরকে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত ভাবা চলবেনা। তারা জীবিত। এবং জীবিত মানুষের মতই তাঁদের প্রয়োজন রয়েছে। সুতরাং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসা জানাতে হলে তাঁদের প্রয়োজনের দিকটি সর্বাগ্রে মূল্যায়ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, ইসলামে বলা হয়েছে যে কোন ব্যক্তির ইন্তিকালের পর তার নেক কামাইয়ের সব পথ বন্ধ হয়ে যায় তিনিটি ব্যতীত। এক. নেককার উত্তরাধিকারী। তারা যা দোয়া করে। দুই. নেক উসিলা। যথা পীর ছাহেব ক্বিবলা, মুরীদ এবং ওস্তাদ ছাত্র ইত্যাদি। তিন. নেক কাজ। যথা- রাস্তাঘাট, সেতু, হাসপাতাল, পানির ব্যবস্থা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে বলা আবশ্যক যে, ভাষা শহীদদেরকে বর্তমানে সত্যিকার অর্থে সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে হলে তাঁদের প্রতি কুরআন শরীফ খতম, দান খয়রাত, নফল রোযা, মীলাদ শরীফ-এর ইত্যাদি করে তাঁদের রূহ মুবারক-এ ছওয়াব বখশিয়ে দিতে হবে।
বিপরীত দিকে শুধুই ফুল দিয়ে কবর আচ্ছাদন করা মূলত: শহীদদের কোন উপকারে আসেনা। এটা হয়ে যায় বর্তমানের একটা প্রথাগত সংস্কৃতি পালন। যে অর্থে আমরা শহীদ বলে স্মরণ করি সে অর্থে কথিত শহীদ মিনারে ফুল অর্পণ পূজার শামিল। মুসলমান দাবি করলে ইসলাম অনুযায়ী তার বিপরীত কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। বরং অঞ্জলি শব্দটার অর্থই যেমন পূজা দেয়া তেমনি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি শব্দটাও একই অর্থবোধক।
স্মৃতিস্তম্ভকে ইংরেজিতে বলা হয়- Monument. World book -তে লেখা হয়েছে- monument is a structure usually a building or statue built in memory of a person or an event. অর্থাৎ স্মৃতিস্তম্ভ হচ্ছে- একটি অবকাঠামো, যা সাধারণত দালান জাতীয় অথবা মূর্তি, যেটা কোন ঘটনা বা ব্যক্তিকে স্মরণ রাখার জন্য বানানো হয়। এ ধরনের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেবার প্রথা চালু হয়, আমেরিকায় ১৮৬৬ সালে। এ প্রসঙ্গে Encyclopedia america লিখা হয়েছে, The custom of placing flower on the graves of the war dead began on may 1866 in watertoo, New York. অর্থাৎ আমেরিকার গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পূর্বেই এ প্রথা সেখানে শুরু হয়। Encyclopedia Britannica -তে লেখা হয়েছে- The custom itself of honouring the graves of the war dead began before the close of the civil war. আর নির্দিষ্ট দিনে এই স্মৃতি প্রক্রিয়া চালু রাখা বা স্মরণীয় দিন চালু রাখাও এই সাথেই প্রবর্তিত হয়। অর্থাৎ স্মরণীয় দিন বা শোক দিবস পালনের প্রথাগত প্রচলনও শুরু হয় আমেরিকাতে। New standard Encyclopreia -তে লিখা হয়েছে- The First official observance of memorial day was at waterloo, New York in 1866. তবে এর আগেই আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে কিছু মেয়েরা স্মৃতি দিবস পালন ও ফুল দেবার সংস্কার চালু করেছিল বটে। এবং ১৯৭১ সালের পূর্বে ৩০শে মে তারিখে এই স্মরণীয় দিন পালন করা হতো। কিন্তু তারপরে তা মে মাসের শেষ বুধবারকে ধার্য করা হয় এবং আগে কেবল গৃহযুদ্ধে নিহত সৈন্যদের স্মরণে এই দিন পালন করা হলেও পরবর্তীতে স্প্যানিশ আমেরিকা যুদ্ধে, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং কোরিয়া ও ভিয়েতনামের যুদ্ধে নিহতদের স্মরণও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রথমদিকে গ্রান্ড আর্মির কমান্ডার জেনারেল John a logan নির্দেশনায় সামরিক সদস্যদের দ্বারা এই সংস্কার চালু হলেও পরবর্তীতে কেবল সৈন্যদলই নয়, স্কাউট, বিভিন্ন সংগঠন এবং সাধারণ জনতাও সমাধিস্থলে পতাকা ও ফুল স্থাপন করাসহ বিশেষ কর্মসূচি পালন করে। World book--এ লিখা হয়েছে- On memorial day people place flowers and flags on the graves of military personnel, mane organization, including boy scouts, girl scouts and fraternal groups much in military parades and take part in special programs. উল্লেখ্য খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আমেরিকানদের মাঝে স্মরণীয় দিনে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল স্থাপনসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি পালনের এই রেওয়াজ অন্যান্য দেশে ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকদের সংস্কৃতি বা মূল্যবোধেও পর্যায়ক্রমে অন্তর্ভুক্তি লাভ করে। বলাবাহুল্য, এসব কিছুর সাথে মিল রেখেই বর্তমানে আমাদের দেশে ভাষা আন্দোলনে শহীদ স্মরণে, শহীদ দিবস বা ২১শে ফেব্রুয়ারি পালন হয় অর্থাৎ তাদের স্মরণে স্থাপিত শহীদ মিনারে ফুল স্থাপনসহ বিবিধ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ইসলাম যেহেতু একটি পূর্ণাঙ্গ ও সত্য ধর্ম এবং স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, সেহেতু ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে উল্লিখিত শহীদ মিনার সংক্রান্ত সংস্কৃতিটি পর্যালোচনা করা সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের কর্তব্য।
মূলত ইসলামী প্রজ্ঞার অভাবে কোন সরকারই এ সত্যটি আদৌ উপলদ্ধি করতে পারেনি। সঙ্গতকারণেই আমরা মনে করি, সরকারেরও প্রয়োজন রয়েছে নেক পরামর্শ তথা নেক ছোহবত, রূহানী সংস্পর্শ তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই সে মহান নিয়ামত হাছিল সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে তা নছীব করুন। (আমীন)

তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.

Tuesday, February 21, 2012

ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য শরয়ী তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক যেমন কুরআন শরীফ খতম, মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ পাঠ এবং ইস্তিগফার করে দোয়া-মুনাজাতে




মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি প্রত্যেক হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ক্বওমের ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি।’
প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রেরণ করা হয়েছে।
তাই মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।

ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য শরয়ী তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক যেমন কুরআন শরীফ খতম, মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ পাঠ এবং ইস্তিগফার করে দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে তাদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আর শরীয়তের খিলাফ তর্জ-তরীক্বায় যেমন গান-বাজনা, বেপর্দা-বেহায়াপনার মাধ্যমে নয়।
কারণ, এ সমস্ত কাজগুলি ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণরূপে হারাম। তাই মুসলমানগণের জন্য করা নিষিদ্ধ।


যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি প্রত্যেক হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ক্বওমের ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি।’ প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রেরণ করা হয়েছে। তাই মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য শরয়ী তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক যেমন কুরআন শরীফ খতম, মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ পাঠ এবং ইস্তিগফার করে দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে তাদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর শরীয়তের খিলাফ তর্জ-তরীক্বায় যেমন গান-বাজনা, বেপর্দা-বেহায়াপনার মাধ্যমে নয়। কারণ, এ সমস্ত কাজগুলি ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণরূপে হারাম। তাই মুসলমানগণের জন্য করা নিষিদ্ধ।”
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদগণ তাঁদের জন্য মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এক আলোচনা মজলিসে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “আমি সব হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে উনাদেরই স্বজাতির ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি। যাতে তাদেরকে স্পষ্ট করে বোঝানো যায়।” (সূরা ইব্রাহীম-৪)। এ আয়াত শরীফ দ্বারা প্রতিভাত হয়, নিজ নিজ জাতির ভাষায় কথা বলাই আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আল্লাহ পাক উনার নিজস্ব ভাষায় প্রেরণ করেছিলেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আমি উনাকে আরবী ভাষায় প্রেরণ করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।” (সূরা ইউছূফ-২)। অর্থাৎ নিজস্ব মাতৃভাষায় কথা বলা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “মাতৃভূমিকে মুহব্বত করা ঈমানের অঙ্গ।” এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, মাতৃভাষাকে মুহব্বত করাও ঈমানের অঙ্গ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দেওবন্দী ওহাবী খারিজী উলামায়ে ‘ছূ’ গংয়ের প্ররোচনায় যালিম সম্প্রদায় এদেশের মুসলমানদেরকে সে সুন্নত পালন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলো। কাজেই যাঁরা প্রকৃতপক্ষে মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন তাঁরা শহীদী দরজা অর্জন করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এদেশবাসীর মুসলমানের উচিত- ভাষার জন্য যাঁরা প্রকৃতপক্ষে প্রাণ দিয়েছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা, তাঁদের উপকার করার চেষ্টা করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমরা মুসলমান। ইসলাম আমাদের দ্বীন। আর দ্বীন ইসলাম মোতাবেক মৃত্যুর পর প্রত্যেক বান্দা- ‘হয় কবরে আযাবে থাকে’ অথবা ‘সুখে থাকে।’ সেক্ষেত্রে জীবিতরা যদি মৃতের জন্য দোয়া করে ও মাগফিরাত কামনা করে তবে সে দোয়ার উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি কবরের আযাব ক্ষমা করে দেন। আর আযাব না থাকলে তার নিয়ামত আরো বাড়িয়ে দেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত- ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে তাঁদের উপকারার্থে তাঁদের জন্য ইস্তিগফার পাঠ করে, মাগফিরাত কামনা করে, কুরআন শরীফ খতম করে তাঁদের জন্য মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে দোয়া করা অর্থাৎ তাঁদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘বায়হাক্বী শরীফে’ বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যখন মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খীরা মৃত ব্যক্তির জন্য কুরআন শরীফ খতম, দোয়া-ইস্তিগফার ও মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে মৃত ব্যক্তির নামে ছওয়াব রেসানী করে বা বখশায়ে দেয় তখন ফেরেশতাগণ উনারা উক্ত নেকীগুলো মখমলের রুমালে জড়িয়ে মৃত ব্যক্তির নিকট পেশ করেন। মৃত ব্যক্তিরা তা দেখে খুশি হয়।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালি পায়ে চলা, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া, গান-বাজনা করা, বেপর্দা-বেহায়াপনাজনিত অনুষ্ঠান দ্বারা যারা জীবিত তারা কঠিন গুনাহে গুনাহগার হয় অর্থাৎ কবীরা ও কুফরী গুনাহে গুনাহগার হয়। আর যাঁরা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে কবরে আছেন তাঁদের কোনই উপকার হয় না। বরং তাঁরা এসব কাজের জন্য ভীষণ লজ্জিত হন ও কষ্ট পান। কারণ, তাঁরা সবই দেখতে পান। কেবলমাত্র তাঁরা নির্বাক বলেই কিছু বলতে পারেন না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে আমাদের সবারই সেভাবে আমল করা উচিত যেভাবে আমল করলে ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের উপকার হবে। অর্থাৎ ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য দোয়া-ইস্তিগফার, কুরআন শরীফ খতম ও মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে তাঁদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া। পাশাপাশি গান-বাজনাসহ সর্বপ্রকার হারাম, কুফরী ও শরীয়ত বিরোধী আমল ও বদ রসম থেকে বিরত থাকা সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য।
-০-


তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.

Sunday, February 19, 2012

“নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রূহ মুবারক মুসলমানদের ঘরে ঘরে হাযির আছেন।” সুবহানাল্লাহ!




মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদ প্রদানকারী ও ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির।
আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন।

এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর বিশুদ্ধ আক্বীদা। এর খিলাফ আক্বীদা পোষণ করা গুমরাহীর অন্তর্ভুক্ত।


যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ পাক) সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন।”
আসন্ন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে এক আলোচনা মজলিশে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আক্বাইদের কিতাবে উল্লেখ আছে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর ফতওয়া হলো, আল্লাহ পাক তিনি ইলম ও কুদরতের দ্বারা হাযির-নাযির; জাত হিসেবে নন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘আহকামুল কুরআন লিল আরাবী’তে উল্লেখ আছে, “নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ পাক) উনার ইলম ও কুদরতের দ্বারা সমস্ত স্থানে রয়েছেন।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাযির ও নাযির জানার এটাই অর্থ যে, মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি জগতের প্রত্যেক সৃষ্টির কার্যসমূহ পূর্ণরূপেই দেখেন এবং উনার ইলম সর্বত্র বিরাজমান।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর ফতওয়া হলো, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাযির-নাযির হওয়া সম্পর্কে হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আপনি যখন মসজিদে প্রবেশ করবেন তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সশ্রদ্ধ সালাম দিবেন। কারণ তিনি মসজিদসমূহে হাযির আছেন।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আল্লামা হযরত শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “নামাযে আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন করা হয়েছে। এটা যেনো এ কথারই ইঙ্গিতবহ যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতদের মধ্যে নামাযীদের অবস্থা উনার কাছে এমনভাবে উদ্ভাসিত করেছেন, যেন তিনি তাদের মধ্যে হাযির বা উপস্থিত থেকেই দেখতে পাচ্ছেন, তাদের আমলসমূহ অনুধাবন করছেন। এ সম্বোধনের আরো একটি কারণ হচ্ছে উনার এ হাযির হওয়ার (উপস্থিতির) ধারণা অন্তরে অতিমাত্রায় বিনয় ও নম্রতার সৃষ্টি করে।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আল্লামা হযরত ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘শরহে শিফা’ কিতাবে উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রূহ মুবারক মুসলমানদের ঘরে ঘরে হাযির আছেন।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত ইমাম ইবনুল হাজ্জ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘মাদখাল’ গ্রন্থ ও হযরত ইমাম কুসতুলানী রহমতুল্লাহি উনার ‘মাওয়াহেব’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, “আমাদের সুবিখ্যাত উলামায়ে কিরাম, উনারা বলেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হায়াত ও বিছাল মুবারক-এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি নিজ উম্মতকে দেখেন, তাদের অবস্থা, নিয়ত, ইচ্ছা ও মনের কথা জানেন। এগুলো উনার কাছে সম্পূর্ণরূপে সুস্পষ্ট; কোনোরূপ অস্পষ্টতা বা পুশিদা থাকে না।” সুবহানাল্লাহ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে তিনি হাযির-নাযির হতে পারেন; যা উনার সীমাহীন বৈশিষ্টের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট্য। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর বিশুদ্ধ আক্বীদা। এর খিলাফ আক্বীদা পোষণ করা গুমরাহীর অন্তর্ভুক্ত।
-০-


তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.