Pages

Sunday, February 19, 2012

“নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রূহ মুবারক মুসলমানদের ঘরে ঘরে হাযির আছেন।” সুবহানাল্লাহ!




মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদ প্রদানকারী ও ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির।
আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন।

এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর বিশুদ্ধ আক্বীদা। এর খিলাফ আক্বীদা পোষণ করা গুমরাহীর অন্তর্ভুক্ত।


যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ পাক) সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন।”
আসন্ন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে এক আলোচনা মজলিশে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আক্বাইদের কিতাবে উল্লেখ আছে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর ফতওয়া হলো, আল্লাহ পাক তিনি ইলম ও কুদরতের দ্বারা হাযির-নাযির; জাত হিসেবে নন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘আহকামুল কুরআন লিল আরাবী’তে উল্লেখ আছে, “নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ পাক) উনার ইলম ও কুদরতের দ্বারা সমস্ত স্থানে রয়েছেন।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাযির ও নাযির জানার এটাই অর্থ যে, মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি জগতের প্রত্যেক সৃষ্টির কার্যসমূহ পূর্ণরূপেই দেখেন এবং উনার ইলম সর্বত্র বিরাজমান।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর ফতওয়া হলো, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাযির-নাযির হওয়া সম্পর্কে হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আপনি যখন মসজিদে প্রবেশ করবেন তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সশ্রদ্ধ সালাম দিবেন। কারণ তিনি মসজিদসমূহে হাযির আছেন।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আল্লামা হযরত শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “নামাযে আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন করা হয়েছে। এটা যেনো এ কথারই ইঙ্গিতবহ যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতদের মধ্যে নামাযীদের অবস্থা উনার কাছে এমনভাবে উদ্ভাসিত করেছেন, যেন তিনি তাদের মধ্যে হাযির বা উপস্থিত থেকেই দেখতে পাচ্ছেন, তাদের আমলসমূহ অনুধাবন করছেন। এ সম্বোধনের আরো একটি কারণ হচ্ছে উনার এ হাযির হওয়ার (উপস্থিতির) ধারণা অন্তরে অতিমাত্রায় বিনয় ও নম্রতার সৃষ্টি করে।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আল্লামা হযরত ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘শরহে শিফা’ কিতাবে উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রূহ মুবারক মুসলমানদের ঘরে ঘরে হাযির আছেন।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত ইমাম ইবনুল হাজ্জ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘মাদখাল’ গ্রন্থ ও হযরত ইমাম কুসতুলানী রহমতুল্লাহি উনার ‘মাওয়াহেব’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, “আমাদের সুবিখ্যাত উলামায়ে কিরাম, উনারা বলেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হায়াত ও বিছাল মুবারক-এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি নিজ উম্মতকে দেখেন, তাদের অবস্থা, নিয়ত, ইচ্ছা ও মনের কথা জানেন। এগুলো উনার কাছে সম্পূর্ণরূপে সুস্পষ্ট; কোনোরূপ অস্পষ্টতা বা পুশিদা থাকে না।” সুবহানাল্লাহ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে তিনি হাযির-নাযির হতে পারেন; যা উনার সীমাহীন বৈশিষ্টের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট্য। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর বিশুদ্ধ আক্বীদা। এর খিলাফ আক্বীদা পোষণ করা গুমরাহীর অন্তর্ভুক্ত।
-০-


তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.

No comments:

Post a Comment