আগত পবিত্র মুহররমুল হারাম মাস হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ও হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে মুহব্বত করার মাস।
তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সে মাসে হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ও হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে মুহব্বত করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি মুবারক হাছিল করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি চান হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে।” অর্থাৎ এ কথার অর্থ হলো মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন।
পবিত্র আশূরা শরীফ উনার বরকতময় দিন পবিত্র কারবালা উনার ময়দানে শাহাদত বরণকারী হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম, বেহেশতের যুবক উনাদের সাইয়্যিদ হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার শান-মান আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘তাফসীরে ইবনে হাতেম, তাফসীরে ইবনে কাছির, তাফসীরে মাযহারী’ কিতাব উনাদের বরাত দিয়ে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধারা সাইয়্যিদাতুন নিসাই আহলিল জান্নাহ হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ও উনার আওলাদদ্বয় হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের মাধ্যমে বিশ্বময় জারি রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাঁরা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের বংশ মুবারক উনার আওলাদ, উনারাই আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘মুসলিম শরীফ ও মিশকাত শরীফ’ কিতাব উনাদের বরাত দিয়ে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি। প্রথমটি হলো, মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কিতাব। যার মধ্যে রয়েছে হিদায়েত মুবারক ও নূর মুবারক। তোমরা কিতাবুল্লাহ উনাকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়িয়ে ধর। তিনি পবিত্র কিতাবুল্লাহ উনার প্রতি উৎসাহ প্রদান করলেন। অতঃপর বললেন, “দ্বিতীয়টি হলো, আমার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বা (আওলাদগণ) বংশধরগণ। উনাদের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক করছি। উনাদের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক করছি।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এ প্রসঙ্গে ‘তাফসীরে আহমদ ও তাফসীরে ইবনে কাছির’ কিতাব উনাদের বরাত দিয়ে বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো মুসলমান ব্যক্তির অন্তরে ঈমান দাখিল হবে না (হাক্বীক্বীভাবে ঈমানদার হবে না) যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য আমার বংশধর হওয়ার কারণে কুরাঈশ উনাদেরকে মুহব্বত না করবে।” আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা কুরাঈশ উনার অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বতই ঈমান উনার অঙ্গ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- পবিত্র মুহররমুল হারাম মাস হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ও হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে মুহব্বত করার মাস। তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- খাছ করে এ মাসে হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ও হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে মুহব্বত করে ও উনাদের ছানা-সিফত বর্ণনা করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি মুবারক হাছিল করা।
-০-
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
পবিত্র আশূরা শরীফ উনার পবিত্র ফাযায়েল ফযিলত ও আমল সম্পর্কে
No comments:
Post a Comment