Pages

Wednesday, May 23, 2012

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘রজবুল হারাম মাস মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস। যে ব্যক্তি রজব মাসকে সম্মান করবে সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হবে।’ সুবহানাল্লাহ!

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘রজবুল হারাম মাস মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস। যে ব্যক্তি রজব মাসকে সম্মান করবে সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হবে।’ সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র রজবুল হারাম মাসেই রয়েছে রজবের পহেলা রাত্র, লাইলাতুর রগায়িব, শবে মি’রাজসহ অনেক বরকত-নিয়ামতপূর্ণ দিন ও রাত্র। যে দিন ও রাত্রগুলোতে নিশ্চিতভাবে দোয়া কবুল হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
কিন্তু চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে পবিত্র রজবুল হারাম মাস শুরু না হলে বিশ্বের মুসলমানগণ এই বরকত ও নিয়ামত থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
তাই সউদী আরবসহ বিশ্বের সমস্ত মুসলিম দেশের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে পবিত্র রজবুল হারাম মাস শুরু করা।
কারণ খালি চোখে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা শরীয়তের নির্দেশ।
বৈজ্ঞানিক তথ্যের উপর নির্ভর করে আরবী মাস শুরু করা শরীয়তসম্মত নয়।
চাঁদ দেখার অনেক শর্ত অনুকূলে থাকলেও অনেক সময় চাঁদ দৃশ্যমান নাও হতে পারে।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “বৈজ্ঞানিক তথ্যের উপর নির্ভর করে আরবী মাস শুরু করা শরীয়তসম্মত নয়। চাঁদ দেখার অনেক শর্ত অনুকূলে থাকলেও অনেক সময় চাঁদ দৃশ্যমান নাও হতে পারে। খালি চোখে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা শরীয়তের নির্দেশ।”
পবিত্র জুমাদাল উখরা মাসের চাঁদ বাংলাদেশে দেখা যাওয়ার সমূহসম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা দেখা না যাওয়ার কারণে এ বিষয়ে নছীহতকালে এবং চাঁদ দেখে রজবুল হারাম মাস শুরু করার গুরুত্ব বর্ণনাকালে তিনি উপরোক্ত ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হাদীছ শরীফ-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “সৃষ্টির শুরু থেকে চারটি মাস হারাম বা সম্মানিত। যিলক্বদ, যিলহজ্জ, মুহররম এবং আলাদাভাবে রজব মাস।”
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “পাঁচ রাত্রিতে নিশ্চিতভাবে দোয়া কবুল হয়- রজব মাসের পহেলা রাত্রে, শবে বরাতে, শবে ক্বদরে এবং দু’ঈদের দুই রাত্রে।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “এছাড়াও পবিত্র রজবুল হারাম মাসে রয়েছে আরো একটি বিশেষ রাত্র ও দিন। এ মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রিকে বলা হয় লাইলাতুর রগায়িব। যে মহান রাত্রিতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র রেহেম শরীফ-এ কুদরতীভাবে তাশরীফ নেন। এই বিশেষ রাত্রিগুলো দোয়া কবুলের রাত্রি, রহমত, বরকত, সাকীনা হাছিলের রাত্রি। সুতরাং পবিত্র রজবুল হারাম মাসের এই সম্মানিত রাতগুলোতে ইবাদত-বন্দেগী ও দোয়া করে নিয়ামত হাছিল করার পূর্বশর্ত হচ্ছে, চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে আরবী মাস শুরু করা। তাই সউদী আরবসহ বিশ্বের সমস্ত মুসলিম দেশের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে পবিত্র রজবুল হারাম মাস শুরু করা। কারণ চাঁদ দেখে প্রতিটি মাস শুরু করা শরীয়তের নির্দেশ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাকাশ বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী জুমাদাল উখরা মাসের চাঁদ বাংলাদেশে দেখা যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিলো। অথচ আকাশ পরিষ্কার থাকার পরেও চাঁদ দৃশ্যমান হয়নি। সে কারণেই শরীয়তের স্পষ্ট নির্দেশ হচ্ছে, প্রতি মাসেই চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে ক্বিফায়া এবং চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা। শরীয়তের নির্দেশ অমান্য করে মনগড়া নিয়মে আরবী মাস শুরু করা হারাম ও কুফরী।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, চাঁদ দেখার অনেকগুলো শর্ত পূর্বে নির্ণয় করা গেলেও কয়েকটি শর্ত চাঁদ তালাশের দিনের উপর নির্ভরশীল। যেমন চাঁদের বয়স, দিগন্তের উপর উচ্চতা, কৌণিক দূরুত্ব, চন্দ্রাস্ত, সূর্যাস্তের সময়ের পার্থক্য পূর্বে নির্ণয় করা গেলেও, সেদিনের বাতাসের আর্দ্রতা, বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ, আকাশের অবস্থা নির্ণয় করা কঠিন। অথচ চাঁদ দেখা যাওয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলোও যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেমন পূর্বে যখন রাস্তাঘাটে বিদ্যুতের বাতি ছিলো না, দুষিত বায়ু নির্গমন ছিলো না, তখন দিগন্ত রেখার ৮ ডিগ্রি উপরে চাঁদ থাকলেও তা দৃশ্যমান হতো। অথচ বর্তমানে চাঁদ ১০ ডিগ্রি উপরে থাকলেও অনেক সময় দৃষ্টিগোচর হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শরীয়তের নিয়মসমূহ ক্বিয়ামত পর্যন্ত আমলযোগ্য; তা যুগের কারণে বা বিজ্ঞানের পদ্ধতি আবিষ্কারের কারণে কখনো পরিবর্তন হবে না। বরং বিজ্ঞানকে শরীয়তের আলোকে বা শরীয়তের মানদণ্ডে ব্যাখ্যা করতে হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ২২শে মে ইয়াওমুছ ছুলাছায়ি বা মঙ্গলবারের পূর্বে সউদী আরবসহ এর পশ্চিমের কোনো দেশে পবিত্র রজবুল হারাম মাসের চাঁদ দেখা যাবে না। বাংলাদেশে পবিত্র রজবুল হারাম মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে ২৯শে জুমাদাল উখরা, ২৩শে ছানী আ’শার-১৩৭৯ শামসী, ২২শে মে-২০১২ ঈ., ইয়াওমুছ ছুলাছায়ি বা মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে ৬টা ৩৭ মিনিটে। এবং চন্দ্রাস্ত হবে ৭টা ৫০ মিনিটে। অর্থাৎ সূর্যাস্ত ও চন্দ্রাস্তের সময়ের পার্থক্য হবে ১ ঘণ্টা ১২ মিনিট। সেদিন চাঁদের বয়স হবে ৩৬ ঘণ্টারও বেশি। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার প্রায় ১৫ ডিগ্রি উপরে অবস্থান করবে। চাঁদের কৌণিক দূরত্ব হবে ১৬ ডিগ্রি ৪৭ মিনিট। সূর্য থাকবে ২৯২ ডিগ্রি আজিমাতে এবং চাঁদ খুঁজতে হবে ২৮৭ ডিগ্রি আজিমাতে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে সেদিন চাঁদ দেখা যাওয়র যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

No comments:

Post a Comment